চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৫ অক্টোবর ২০২৫ ১২:৩৬ পিএম
ছবি: ভোরের আকাশ
দীর্ঘ তিন যুগ (৩৫ বছর) পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচন। সকাল থেকে উৎসবমুখর পরিবেশে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। ভোট শুরুর আগে আইডি কার্ড দেখে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে প্রবেশ করানো হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে বাড়তে থাকে ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি।
বুধবার, ১৫ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টা থেকে শুরু হয় ভোট। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। প্রত্যেক শিক্ষার্থী কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের জন্য ২৬টি ভোট ও হল সংসদের জন্য ১৪টি ভোট, মোট ৪০টি ভোট প্রদান করবেন।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, চাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ২৭ হাজার ৫১৬ জন। দীর্ঘ ৩৫ বছর পর আয়োজিত এই নির্বাচনে ১৩টি প্যানেল থেকে সহ–সভাপতি পদে ২৪ জন, সাধারণ সম্পাদক পদে ২২ জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে ২১ জন, খেলাধুলা সম্পাদক পদে ১২ জন, সহ সম্পাদক পদে ১৪ জন, সাহিত্য–সংস্কৃতি সম্পাদক পদে ১৭ জন, সহ সম্পাদক পদে ১৫ জন, দপ্তর সম্পাদক পদে ১৭ জন, সহ সম্পাদক পদে ১৪ জন, ছাত্রী কল্যাণ সম্পাদক পদে ১৩ জন, সহ সম্পাদক পদে ১০ জন, বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক পদে ১১ জন, গবেষণা ও উদ্ভাবন সম্পাদক পদে ১২ জন, সমাজসেবা ও পরিবেশ সম্পাদক পদে ২০ জন, স্বাস্থ্য সম্পাদক পদে ১৫ জন, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে ১৭ জন, ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক পদে ১৬ জন, যোগাযোগ ও আবাসন সম্পাদক পদে ১৭ জন, সহ সম্পাদক পদে ১৪ জন, আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক পদে ৯ জন, পাঠাগার ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে ২০ জন, আর নির্বাহী সদস্য পদে প্রার্থী ৮৫ জন।
এছাড়া, হল সংসদ নির্বাচনে ৯টি ছাত্র হলে ৩৫০ জন এবং পাঁচটি ছাত্রী হলে ১২৩ জন বিভিন্ন পদে লড়বেন। শিল্পী রশিদ চৌধুরী হোস্টেলে ২০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এদিকে ভোটগ্রহণ শেষে ওএমআর পদ্ধতিতে ভোটগণনা শুরু হবে। হল সংসদের ফলাফল কেন্দ্রেই ঘোষণা করা হবে, আর কেন্দ্রীয় সংসদের ফল ঘোষণা করা হবে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের মিলনায়তনে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, নির্বাচনের দিন পাঁচটি ভবনের ১৫টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে। এসব কেন্দ্রে ৬০টি ভোটকক্ষ ও ৬৮৯টি বুথ রাখা হয়েছে।
প্রকৌশল অনুষদ ভবনে সোহরাওয়ার্দী হলের ৪ হাজার ৩৬ জন ভোট দেবেন। কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের নতুন ভবনে (শহীদ হৃদয় চন্দ্র তরুয়া ভবন) ভোট দেবেন ৫ হাজার ২৬৩ শিক্ষার্থী। বিজ্ঞান অনুষদ ভবনে ৪ হাজার ৫৩৮ জন, সমাজবিজ্ঞান অনুষদ ভবনে ৬ হাজার ৬০৬ জন এবং ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ ভবনে ৭ হাজার ৭৩ জন ভোটার রয়েছেন।
প্রতিটি ভোটকক্ষে গোপন বুথের বাইরে স্থাপন করা হয়েছে ৯০টি সিসিটিভি ক্যামেরা। পাশাপাশি ১৫টি ভোটকেন্দ্রে পরিস্থিতি দেখানোর জন্য ২০টি এলইডি স্ক্রিন বসানো হয়েছে। ভোটকক্ষে প্রবেশের আগে আইডি কার্ড দেখাতে হবে এবং কর্মকর্তাদের মাধ্যমে যাচাই শেষে ব্যালট নিতে হবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন বলেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে সবরকম প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। পুলিশ, এপিবিএন, বিজিবি, র্যাবসহ প্রায় ১২ শতাধিক সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। র্যাবের ৮টি প্লাটুন থাকবে ফল ঘোষণার পর পর্যন্ত।
ভোরের আকাশ/তা.কা