আমাকে বাঁচাতে কেউ আসছে না’: সুনেরাহর
মডেল ও চলচ্চিত্র অভিনেত্রী সুনেরাহ বিনতে কামাল নিজের অভিনয় দক্ষতা ও ব্যক্তিত্ব দিয়ে ইতোমধ্যে দর্শকদের মন জয় করেছেন। পাশাপাশি তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ সরব। সম্প্রতি নিজের ব্যক্তিগত কিছু অনুভূতি প্রকাশ করেছেন তিনি, যা তার অনুরাগীদের মধ্যে নতুন করে কৌতূহল সৃষ্টি করেছে।
সুনেরাহ লেখেন, ‘আমাকে বাঁচাতে কেউ আসছে না’—এই বাক্য এখন আমার জীবনের ব্যক্তিগত মন্ত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিটি দিন যেন আরও কঠিন হয়ে উঠছে। রাতগুলোতে ছাদের দিকে তাকিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটিয়ে দেই, ডুবে থাকি নিজের ভাবনায়। ধীরে ধীরে এই অনুভূতিগুলোও যেন অবসন্ন হয়ে যাচ্ছে।’
নিজের মনের অস্থিরতা নিয়ে তিনি বলেন, ‘যখন কিছু করি না, তখন মনে হয় আমি কীভাবে আরও কিছু করতে পারি, যেন অন্তত অন্যদের সঙ্গে তাল মেলাতে পারি। কারণ সবাই যেন অনেক আগেই এগিয়ে গেছে, আর আমি এখনও ফিনিশ লাইনের কাছে পৌঁছাতে পারিনি।’
সুনেরাহর কথায়, ‘আমাকে বাঁচাতে কেউ আসবে না। হ্যাঁ, কেউ কেউ হয়তো সাহায্যের হাত বাড়াতে পারে, কিন্তু তাদেরও তো নিজস্ব পথ, নিজস্ব সংগ্রাম রয়েছে। আসল সত্যি হলো—সবাই নিজেদের মতো করে বেঁচে থাকার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।’
তিনি আরও লেখেন, ‘এই উপলব্ধির কারণেই আমি নিজের মধ্যে একটা তালিকা রাখি—নতুন কী কী শিখতে চাই, কী কী চেষ্টা করতে চাই। আর তাই প্রতিদিন সকালে বাইরে যাই, যদিও জানি হয়তো বৃষ্টি থামেনি। তবুও বিশ্বাস রাখি, একদিন না একদিন এই বৃষ্টি থেমে যাবে।’
শেষে সুনেরাহ লিখেছেন, ‘আর যেদিন সত্যিই বৃষ্টি থামবে, সেদিন হয়তো আমি রোদে দাঁড়িয়ে চোখ বন্ধ করে রাখব, কিংবা রাতের আকাশের তারার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসব। কারণ তখন আমি জানব, কোনোভাবে হলেও আমি পার হয়েছি।’
ভোরের আকাশ/হ.র
সংশ্লিষ্ট
ওপার বাংলার অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা সরকার শুটিং শেষ করে ফেরার পথে শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয়ের চার ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (১৬ জুলাই) গভীর রাতে শুটিং ফ্লোর থেকে বাড়ি ফেরার পথে এ ঘটনা ঘটে। তার সঙ্গে ছিলেন চারজন পুরুষ বন্ধু।ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, যাদবপুরের সুলেখা মোড়ে একটি চায়ের দোকানে কিছু সময়ের জন্য দাঁড়ান ঐন্দ্রিলা ও তার বন্ধুরা। সেখানে চা খেয়ে অনলাইনে খাবারের অর্ডার দিচ্ছিলেন তারা। তখন রাত প্রায় তিনটা। এ সময় পাশ দিয়ে যাওয়া একটি গাড়ি থেকে থাকা কয়েকজন ব্যক্তি ঐন্দ্রিলাকে লক্ষ্য করে অশ্লীল মন্তব্য ছুড়ে দেয়।প্রথমে বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও ওই গাড়ি থামিয়ে আরও আপত্তিকর মন্তব্য ও অশোভন আচরণ শুরু করে তারা।ঐন্দ্রিলা বলেন, “আমরা ভদ্রভাবে কথা বলার চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু তারা নিজেদের আচরণ ঠিক করেনি। একপর্যায়ে আমার গায়ে হাত তোলার চেষ্টা করে শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালায়। তখন আমার বন্ধুরা বাধা দেয়। এ সময় পুলিশ পেট্রোলিংয়ে এসে ঘটনাটি দেখে তাদের থানায় নিয়ে যায়। পথে এবং থানায়ও তারা হুমকি দিতে থাকে—একবার ছাড়া পেলে আমাদের অ্যাসিড হামলার শিকার করবে বলেও ভয় দেখায়।”অভিনেত্রী আরও জানান, থানায় পুলিশ প্রথমে দুই পক্ষকে মিটমাট করার প্রস্তাব দেয়, কিন্তু তারা তাতে রাজি হননি। পরে অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যরা এসে অনুরোধ করতে থাকেন।ঐন্দ্রিলা বলেন, “একবার মনে হলো কথাবার্তায় সমাধান হতে পারে। কিন্তু ওই ব্যক্তিদের আচরণ বদলায়নি। এমনকি পুলিশের সামনেও তারা হুমকি দিয়ে যাচ্ছিল। পরে আর দেরি না করে আমরা এফআইআর করি। ততক্ষণে সকাল হয়ে গিয়েছিল।” ভোরের আকাশ/হ.র
মডেল ও চলচ্চিত্র অভিনেত্রী সুনেরাহ বিনতে কামাল নিজের অভিনয় দক্ষতা ও ব্যক্তিত্ব দিয়ে ইতোমধ্যে দর্শকদের মন জয় করেছেন। পাশাপাশি তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ সরব। সম্প্রতি নিজের ব্যক্তিগত কিছু অনুভূতি প্রকাশ করেছেন তিনি, যা তার অনুরাগীদের মধ্যে নতুন করে কৌতূহল সৃষ্টি করেছে।সুনেরাহ লেখেন, ‘আমাকে বাঁচাতে কেউ আসছে না’—এই বাক্য এখন আমার জীবনের ব্যক্তিগত মন্ত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিটি দিন যেন আরও কঠিন হয়ে উঠছে। রাতগুলোতে ছাদের দিকে তাকিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটিয়ে দেই, ডুবে থাকি নিজের ভাবনায়। ধীরে ধীরে এই অনুভূতিগুলোও যেন অবসন্ন হয়ে যাচ্ছে।’নিজের মনের অস্থিরতা নিয়ে তিনি বলেন, ‘যখন কিছু করি না, তখন মনে হয় আমি কীভাবে আরও কিছু করতে পারি, যেন অন্তত অন্যদের সঙ্গে তাল মেলাতে পারি। কারণ সবাই যেন অনেক আগেই এগিয়ে গেছে, আর আমি এখনও ফিনিশ লাইনের কাছে পৌঁছাতে পারিনি।’সুনেরাহর কথায়, ‘আমাকে বাঁচাতে কেউ আসবে না। হ্যাঁ, কেউ কেউ হয়তো সাহায্যের হাত বাড়াতে পারে, কিন্তু তাদেরও তো নিজস্ব পথ, নিজস্ব সংগ্রাম রয়েছে। আসল সত্যি হলো—সবাই নিজেদের মতো করে বেঁচে থাকার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।’তিনি আরও লেখেন, ‘এই উপলব্ধির কারণেই আমি নিজের মধ্যে একটা তালিকা রাখি—নতুন কী কী শিখতে চাই, কী কী চেষ্টা করতে চাই। আর তাই প্রতিদিন সকালে বাইরে যাই, যদিও জানি হয়তো বৃষ্টি থামেনি। তবুও বিশ্বাস রাখি, একদিন না একদিন এই বৃষ্টি থেমে যাবে।’শেষে সুনেরাহ লিখেছেন, ‘আর যেদিন সত্যিই বৃষ্টি থামবে, সেদিন হয়তো আমি রোদে দাঁড়িয়ে চোখ বন্ধ করে রাখব, কিংবা রাতের আকাশের তারার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসব। কারণ তখন আমি জানব, কোনোভাবে হলেও আমি পার হয়েছি।’ ভোরের আকাশ/হ.র
বলিউড সুপারস্টার সালমান খান গোপনে বিক্রি করে দিয়েছেন মুম্বাইয়ের বান্দ্রা পশ্চিমের অভিজাত একটি ফ্ল্যাট। সম্পত্তি নিবন্ধন সংক্রান্ত সরকারি তথ্য অনুসারে, প্রায় ৫ কোটি ৩৫ লাখ রুপিতে বিক্রি হয়েছে ফ্ল্যাটটি।সম্প্রতি ‘স্কোয়্যার ইয়ার্ডস’ এবং ইন্সপেক্টর জেনারেল অফ রেজিস্ট্রেশন (আইজিআর)-এর ওয়েবসাইটে এই লেনদেনের তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। জানা গেছে, ২০২৫ সালের জুলাই মাসে ফ্ল্যাটটি হস্তান্তরের চুক্তি সরকারিভাবে নথিভুক্ত হয়।সালমানের বিক্রি করা ফ্ল্যাটটি ‘শিব আস্থান হাইটস’ আবাসনে অবস্থিত। আয়তনে ১,৩১৮ বর্গফুটের এই ফ্ল্যাটে রয়েছে তিনটি গাড়ির জন্য পার্কিংয়ের সুবিধা। লেনদেনের সময় তিনি ৩২ লাখ ১ হাজার টাকা স্ট্যাম্প ডিউটি ও ৩০ হাজার টাকা রেজিস্ট্রেশন চার্জ পরিশোধ করেছেন।তবে এই বিক্রিকে কেন্দ্র করে সালমান খান মুম্বাই ছাড়ছেন কিনা—এ নিয়ে গুঞ্জন শুরু হলেও, ভক্তদের ধারণা, বান্দ্রা এলাকায় তার একাধিক সম্পত্তি থাকায় তিনি শহর ছাড়ার পরিকল্পনায় নেই।বর্তমানে সালমান খান আলোচনায় রয়েছেন নতুন ছবি ‘ব্যাটল অফ গলওয়ান’–এর কারণে। ২০২০ সালে ভারত-চীন সীমান্তে গলওয়ান উপত্যকায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্মিত এই চলচ্চিত্রে শহিদ কর্নেল বি. সন্তোষ বাবুর ভূমিকায় অভিনয় করছেন তিনি। তার বিপরীতে থাকছেন চিত্রাঙ্গদা সিং। ছবির পরিচালনায় রয়েছেন অপূর্ব লাখিয়া।কয়েকদিন আগেই প্রকাশিত হয়েছে সিনেমার টিজার পোস্টার। এতে রক্তমাখা মুখ ও গালে ক্ষতের দাগসহ একজন সেনা অফিসারের চেহারায় দেখা যায় সালমানকে। ছবিটি বলিউডে এক আবেগঘন অধ্যায় হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে, যেখানে কোনও গুলি ছোঁড়ার অনুমতি না থাকলেও ২০ ভারতীয় সেনা শহিদ হওয়ার নির্মম বাস্তবতা তুলে ধরা হবে।সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি পোস্ট করে সালমান লেখেন, “লক্ষ্য সঠিক রেখে পরিশ্রম করে যাও…”। ভক্তদের মতে, এটি হয়তো তার বড় কোনো প্রত্যাবর্তনের ইঙ্গিত।উল্লেখ্য, ‘সিকান্দর’ ছবিটি বক্স অফিসে প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হলেও, ‘ব্যাটল অফ গলওয়ান’ নিয়ে নতুন আশায় বুক বেঁধেছে বলিউড।ভোরের আকাশ//হ.র
আগামী ১৮ জুলাই মাল্টিপ্লেক্স চেইন স্টার সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পেতে যাচ্ছে নেপালের ছবি ‘মিসিং: কেটি হারায়েকো সূচনা’। সাফটা চুক্তির আওতায় শো-মোশন লিমিটেড ঢাকায় এই ছবি আমদানি করেছে। অন্যদিকে, বাংলাদেশ থেকে নেপালে যাচ্ছে তানিম রহমান অংশু পরিচালিত ‘ন ডরাই’ সিনেমাটি। ২০১৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবি শরিফুল রাজ ও সুনেরাহ বিনতে কামালের অভিনয়ে নির্মিত হয় এবং ৪৪তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রসহ ছয়টি বিভাগে পুরস্কার জিতেছিল। ছবিটির প্রযোজনা করেছে স্টার সিনেপ্লেক্স। দীপেন্দ্র গাউছান পরিচালিত ‘মিসিং: কেটি হারায়েকো সূচনা’ নেপালে মুক্তির পর ব্যাপক প্রশংসা পায়। প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন শ্রিষ্টি শ্রেষ্ঠা ও নাজির হুসেন। দুই ঘণ্টা ৪০ মিনিট দৈর্ঘ্যের নেপালি ভাষার এই সিনেমাটি তৈরি হয়েছে লোকজ সংস্কৃতি এবং ভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রেমের গল্প নিয়ে। ছবির গল্প আবর্তিত হয়েছে দুই চরিত্রকে কেন্দ্র করে। তারা ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে পরিচিত হয়ে প্রথম দেখা হয় একটি ক্যাফেতে। অনিচ্ছাকৃত এক ঘটনায় মেয়েটির কফিতে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে অপহরণ করে ছেলেটি। এরপর শুরু হয় অপহরণের ‘ভুল বোঝাবুঝি’ আর যাত্রা, যেখানে মেয়েটিকে পাহাড়ি অঞ্চল থেকে মধেশের সমতলভূমিতে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রথমে ভীত হলেও ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। ছেলেটি মধেশের সুন্দর স্থানগুলো দেখায় এবং মেয়েটি সেখানে মানুষ ও সংস্কৃতির প্রতি ভালোবাসা পোষণ করতে শুরু করে। সিনেমাটি নেপালের তরাই অঞ্চলের প্রকৃতি, সংস্কৃতি ও মানুষের জীবনধারা সুন্দরভাবে তুলে ধরে।স্টার সিনেপ্লেক্সের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক (বিপণন) মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য শহরের স্টার সিনেপ্লেক্সের শাখাগুলোতে সিনেমাটি প্রদর্শিত হবে। ১৭ জুলাই সন্ধ্যায় এয়ারপোর্ট সংলগ্ন সেন্টার পয়েন্ট শাখায় ছবিটির প্রিমিয়ার শো অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে নেপালের রাষ্ট্রদূত, ছবির পরিচালক, প্রযোজকসহ অন্যান্য কলাকুশলী এবং ‘ন ডরাই’ সিনেমার কলাকুশলীরা উপস্থিত থাকবেন।উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে সরকার দেশের হলে উপমহাদেশের সিনেমা মুক্তির জন্য পাঁচ শর্তের ভিত্তিতে অনুমতি প্রদান করে। সেই বছর থেকেই ভারতের বিভিন্ন ছবি ‘পাঠান’, ‘জওয়ান’, ‘ডানকি’, ‘অ্যানিমেল’ মুক্তি পায়। তবে এবার প্রথমবারের মতো নেপালি সিনেমা সরাসরি বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে।এর আগে নেপালের সঙ্গে যৌথ প্রযোজনায় কিছু সিনেমা তৈরি হলেও সরাসরি নেপালি ছবি মুক্তি পায়নি। ‘মিসিং’ সিনেমা দিয়েই বাংলাদেশে নেপালি সিনেমার যাত্রা শুরু হলো।ভোরের আকাশ/এসএইচ