কলকাতায় মুক্তি পেল জয়া আহসানের নতুন সিনেমা ‘ডিয়ার মা’
দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান অভিনীত নতুন সিনেমা ডিয়ার মা আজ (১৮ জুলাই) কলকাতার প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে। ছবিটি পরিচালনা করেছেন অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরী। এতে জয়ার বিপরীতে অভিনয় করেছেন চন্দন রায় স্যানাল।
মা ও মেয়ের সম্পর্ককে কেন্দ্র করে নির্মিত এই চলচ্চিত্রের গল্প আবেগ ও বাস্তবতার সংমিশ্রণে সাজানো।
সিনেমাটি নিয়ে জয়া আহসান জানান, ‘আজকের দিনটি আমার কাছে বিশেষ। দর্শকদের জন্য কাজ করি, তারা ছবিটি পছন্দ করলে আমাদের পরিশ্রম সার্থক হবে। এই সিনেমার পুরো টিম মন থেকে কাজ করেছে।’
চরিত্র সম্পর্কে বলতে গিয়ে জয়া বলেন, ‘এবার আমি এক মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছি। এমন চরিত্রে প্রথমবার কাজ করলাম। দর্শকেরা কেমনভাবে গ্রহণ করবেন, সেটাই এখন দেখার বিষয়।’
ছবির প্রচারণায় অংশ নিতে কলকাতার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন জয়া আহসান। ইতোমধ্যে কলকাতা শহরজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে ডিয়ার মা ছবির পোস্টার ও বিলবোর্ড। সম্প্রতি প্রকাশিত ট্রেলারটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছে এবং সেটি শেয়ার করেছেন বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন।
বর্তমানে জয়া কলকাতায় অর্ধাঙ্গীনি নামের একটি নতুন সিনেমার শুটিংয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এছাড়াও তার অভিনীত পুতুল নাচের ইতিকথা নামের একটি ছবিও শিগগির মুক্তি পাবে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, গত ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত তাণ্ডব সিনেমায় শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয় করে আলোচনায় আসেন জয়া আহসান।
ভোরের আকাশ/হ.র
সংশ্লিষ্ট
দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান অভিনীত নতুন সিনেমা ডিয়ার মা আজ (১৮ জুলাই) কলকাতার প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে। ছবিটি পরিচালনা করেছেন অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরী। এতে জয়ার বিপরীতে অভিনয় করেছেন চন্দন রায় স্যানাল।মা ও মেয়ের সম্পর্ককে কেন্দ্র করে নির্মিত এই চলচ্চিত্রের গল্প আবেগ ও বাস্তবতার সংমিশ্রণে সাজানো।সিনেমাটি নিয়ে জয়া আহসান জানান, ‘আজকের দিনটি আমার কাছে বিশেষ। দর্শকদের জন্য কাজ করি, তারা ছবিটি পছন্দ করলে আমাদের পরিশ্রম সার্থক হবে। এই সিনেমার পুরো টিম মন থেকে কাজ করেছে।’চরিত্র সম্পর্কে বলতে গিয়ে জয়া বলেন, ‘এবার আমি এক মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছি। এমন চরিত্রে প্রথমবার কাজ করলাম। দর্শকেরা কেমনভাবে গ্রহণ করবেন, সেটাই এখন দেখার বিষয়।’ছবির প্রচারণায় অংশ নিতে কলকাতার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন জয়া আহসান। ইতোমধ্যে কলকাতা শহরজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে ডিয়ার মা ছবির পোস্টার ও বিলবোর্ড। সম্প্রতি প্রকাশিত ট্রেলারটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছে এবং সেটি শেয়ার করেছেন বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন।বর্তমানে জয়া কলকাতায় অর্ধাঙ্গীনি নামের একটি নতুন সিনেমার শুটিংয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এছাড়াও তার অভিনীত পুতুল নাচের ইতিকথা নামের একটি ছবিও শিগগির মুক্তি পাবে বলে জানা গেছে।উল্লেখ্য, গত ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত তাণ্ডব সিনেমায় শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয় করে আলোচনায় আসেন জয়া আহসান। ভোরের আকাশ/হ.র
পাকিস্তানি অভিনেত্রী হুমাইরা আসগরের রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা দিন দিন বেড়েই চলেছে। করাচির একটি ভাড়া ফ্ল্যাট থেকে তার অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধারের পর, মৃত্যুর প্রায় নয় মাস পেরিয়ে গেলেও পুরো বিষয়টি রয়ে গেছে রহস্যাবৃত। এখন ঘটনাটি তদন্ত করছে পাকিস্তানের কাউন্টার টেররিজম ডিপার্টমেন্ট (সিটিডি)।পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম এআরওয়াই ও আব তাক টিভির তথ্য অনুযায়ী, মরদেহে পচন ধরায় মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ধারণ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করেছে সিটিডি।তদন্তে উঠে এসেছে, ২০২৪ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর দুপুরে হুমাইরাকে করাচির ক্লিফটন এলাকায় যেতে দেখা যায়। ঘণ্টাখানেক পর তিনি নিজ বাসায় ফিরে এলেও তারপর আর কেউ তাকে জীবিত অবস্থায় দেখেনি। দীর্ঘ সময় ধরে তার ফ্ল্যাটটি ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। দরজা-জানালাগুলো ছিল তালাবদ্ধ, কেবল বারান্দার একটি দরজা খোলা ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, বাথরুম থেকে বের হওয়ার সময় হয়তো হুমাইরা কোনো কিছুর সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে পড়ে গিয়ে মৃত্যু বরণ করেন।আশ্চর্যের বিষয়, বাড়ির দারোয়ান ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধ আসার অভিযোগ পেয়েও তেমন গুরুত্ব দেননি। ফলে মরদেহটি দীর্ঘ সময় ফ্লোরে পড়ে থেকে অর্ধগলিত হয়ে যায় এবং অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফরেনসিক তথ্য নষ্ট হয়ে যায়।তদন্তে আরও জানা গেছে, হুমাইরা ব্যবহার করতেন তিনটি সিম কার্ড, যেগুলো মৃত্যুর আগে পর্যন্ত সচল ছিল। এসব সিম ও মোবাইল ফোন ঘেঁটে তার শেষ মুহূর্তের তথ্য বের করার চেষ্টা চলছে। মুছে ফেলা মেসেজ পুনরুদ্ধার করতেও উদ্যোগ নিয়েছে সিটিডি।অভিনেত্রীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রায় ৪ লাখ রুপি জমা রয়েছে, যা প্রমাণ করে আর্থিক সংকটে ছিলেন না তিনি। তবে কাজের ক্ষেত্রে অসুবিধার কারণে মানসিকভাবে চাপে ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। মৃত্যুর আগে তিনি অন্তত ১০ জনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু কারও সঙ্গে কথা বলতে পারেননি, এমনকি নিজের ভাই নাভিদ আসগরের সঙ্গেও নয়।অভিনেত্রীর ঘরে কোনো গয়না পাওয়া যায়নি, যা তদন্তকারীদের মধ্যে নতুন সন্দেহ তৈরি করেছে। তাই করাচি পুলিশ সম্ভাব্য পরিকল্পিত হত্যার দিকেও তদন্ত চালাচ্ছে। তদন্ত রিপোর্ট হাতে এলে পরিষ্কার হবে, হুমাইরার মৃত্যু ছিল নিছক দুর্ঘটনা, নাকি কোনো চক্রের সুপরিকল্পিত অপরাধ।ভোরের আকাশ/হ.র
ওপার বাংলার অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা সরকার শুটিং শেষ করে ফেরার পথে শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয়ের চার ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (১৬ জুলাই) গভীর রাতে শুটিং ফ্লোর থেকে বাড়ি ফেরার পথে এ ঘটনা ঘটে। তার সঙ্গে ছিলেন চারজন পুরুষ বন্ধু।ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, যাদবপুরের সুলেখা মোড়ে একটি চায়ের দোকানে কিছু সময়ের জন্য দাঁড়ান ঐন্দ্রিলা ও তার বন্ধুরা। সেখানে চা খেয়ে অনলাইনে খাবারের অর্ডার দিচ্ছিলেন তারা। তখন রাত প্রায় তিনটা। এ সময় পাশ দিয়ে যাওয়া একটি গাড়ি থেকে থাকা কয়েকজন ব্যক্তি ঐন্দ্রিলাকে লক্ষ্য করে অশ্লীল মন্তব্য ছুড়ে দেয়।প্রথমে বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও ওই গাড়ি থামিয়ে আরও আপত্তিকর মন্তব্য ও অশোভন আচরণ শুরু করে তারা।ঐন্দ্রিলা বলেন, “আমরা ভদ্রভাবে কথা বলার চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু তারা নিজেদের আচরণ ঠিক করেনি। একপর্যায়ে আমার গায়ে হাত তোলার চেষ্টা করে শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালায়। তখন আমার বন্ধুরা বাধা দেয়। এ সময় পুলিশ পেট্রোলিংয়ে এসে ঘটনাটি দেখে তাদের থানায় নিয়ে যায়। পথে এবং থানায়ও তারা হুমকি দিতে থাকে—একবার ছাড়া পেলে আমাদের অ্যাসিড হামলার শিকার করবে বলেও ভয় দেখায়।”অভিনেত্রী আরও জানান, থানায় পুলিশ প্রথমে দুই পক্ষকে মিটমাট করার প্রস্তাব দেয়, কিন্তু তারা তাতে রাজি হননি। পরে অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যরা এসে অনুরোধ করতে থাকেন।ঐন্দ্রিলা বলেন, “একবার মনে হলো কথাবার্তায় সমাধান হতে পারে। কিন্তু ওই ব্যক্তিদের আচরণ বদলায়নি। এমনকি পুলিশের সামনেও তারা হুমকি দিয়ে যাচ্ছিল। পরে আর দেরি না করে আমরা এফআইআর করি। ততক্ষণে সকাল হয়ে গিয়েছিল।” ভোরের আকাশ/হ.র
মডেল ও চলচ্চিত্র অভিনেত্রী সুনেরাহ বিনতে কামাল নিজের অভিনয় দক্ষতা ও ব্যক্তিত্ব দিয়ে ইতোমধ্যে দর্শকদের মন জয় করেছেন। পাশাপাশি তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ সরব। সম্প্রতি নিজের ব্যক্তিগত কিছু অনুভূতি প্রকাশ করেছেন তিনি, যা তার অনুরাগীদের মধ্যে নতুন করে কৌতূহল সৃষ্টি করেছে।সুনেরাহ লেখেন, ‘আমাকে বাঁচাতে কেউ আসছে না’—এই বাক্য এখন আমার জীবনের ব্যক্তিগত মন্ত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিটি দিন যেন আরও কঠিন হয়ে উঠছে। রাতগুলোতে ছাদের দিকে তাকিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটিয়ে দেই, ডুবে থাকি নিজের ভাবনায়। ধীরে ধীরে এই অনুভূতিগুলোও যেন অবসন্ন হয়ে যাচ্ছে।’নিজের মনের অস্থিরতা নিয়ে তিনি বলেন, ‘যখন কিছু করি না, তখন মনে হয় আমি কীভাবে আরও কিছু করতে পারি, যেন অন্তত অন্যদের সঙ্গে তাল মেলাতে পারি। কারণ সবাই যেন অনেক আগেই এগিয়ে গেছে, আর আমি এখনও ফিনিশ লাইনের কাছে পৌঁছাতে পারিনি।’সুনেরাহর কথায়, ‘আমাকে বাঁচাতে কেউ আসবে না। হ্যাঁ, কেউ কেউ হয়তো সাহায্যের হাত বাড়াতে পারে, কিন্তু তাদেরও তো নিজস্ব পথ, নিজস্ব সংগ্রাম রয়েছে। আসল সত্যি হলো—সবাই নিজেদের মতো করে বেঁচে থাকার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।’তিনি আরও লেখেন, ‘এই উপলব্ধির কারণেই আমি নিজের মধ্যে একটা তালিকা রাখি—নতুন কী কী শিখতে চাই, কী কী চেষ্টা করতে চাই। আর তাই প্রতিদিন সকালে বাইরে যাই, যদিও জানি হয়তো বৃষ্টি থামেনি। তবুও বিশ্বাস রাখি, একদিন না একদিন এই বৃষ্টি থেমে যাবে।’শেষে সুনেরাহ লিখেছেন, ‘আর যেদিন সত্যিই বৃষ্টি থামবে, সেদিন হয়তো আমি রোদে দাঁড়িয়ে চোখ বন্ধ করে রাখব, কিংবা রাতের আকাশের তারার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসব। কারণ তখন আমি জানব, কোনোভাবে হলেও আমি পার হয়েছি।’ ভোরের আকাশ/হ.র