জুলাইয়ের মধ্যে সনদ প্রণয়ন না হলে দায়ভার সরকারের: সালাহউদ্দিন
বাংলাদেশে জনগণ এখনো ‘পিআর’ (আনুপাতিক) নির্বাচনী পদ্ধতির বিষয়টি পুরোপুরি বোঝে না— এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, জুলাইয়ের মধ্যেই জাতীয় সনদ প্রণয়ন না হলে তার দায়ভার বহন করতে হবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর মিরপুর পল্লবীতে বিএনপির আয়োজিত মৌন মিছিলপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। মহানগর উত্তর বিএনপি আয়োজিত এই কর্মসূচি ছিল ‘জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থান’– এ শহীদদের স্মরণে আয়োজিত দলীয় কর্মসূচির অংশ।
সালাহউদ্দিন অভিযোগ করেন, কিছু রাজনৈতিক দল নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের দাবি তুলে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, “কেয়ারটেকার সরকার তিন মাসের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত হয় কেবল জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের জন্য। তাদের হাতে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের কোনো সাংবিধানিক দায়িত্ব নেই।”
তিনি আরও বলেন, “যারা এখন পিআর পদ্ধতি, স্থানীয় সরকার নির্বাচন ইত্যাদি নিয়ে মাঠ গরম করছে— তাদের উদ্দেশ্য একটাই: নির্বাচন বিলম্বিত ও অনিশ্চিত করা।”
সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অতীতে যারা অবস্থান নিয়েছে, তারা এখন ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে। এসব অপচেষ্টা এবার ব্যর্থ হবে।”
সালাহউদ্দিন অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতি ‘ঢাকায় জন্ম হলেও দাফন হয়েছে দিল্লিতে’। তিনি আরও বলেন, “আজ যারা বিভিন্ন নামধারী দল হয়ে সংস্কার কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় বসছে— তাদের অনেকেই অতীতে আওয়ামী লীগের সঙ্গী ছিল। অথচ এখন তারা দলবদ্ধভাবে কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই সভা-সমাবেশ করে যাচ্ছে।”
তিনি হুঁশিয়ার করে বলেন, “জুলাই মাস শেষ হওয়ার আগেই যদি জাতীয় সনদ চূড়ান্ত না হয়, তবে এর দায় বর্তাবে সংস্কার কমিশন ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ওপর।”
বিএনপির এই নেতা বলেন, “আমরা তো ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব আগেই দিয়েছি। এই রাষ্ট্রকে গণতান্ত্রিক ও জনগণের সেবায় নিয়োজিত করতে হলে সংবিধান, রাষ্ট্রব্যবস্থা ও প্রশাসনিক কাঠামোতে আমূল সংস্কার দরকার।”
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, “সব দলের সঙ্গে আলোচনা করে একদিন অবশ্যই আমরা একটি জাতীয় ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারব। যদিও গণতন্ত্রে শতভাগ মতৈক্য সব সময় সম্ভব নয়, তবে গণতন্ত্রের সৌন্দর্য সেখানেই।”
সমাবেশের শেষদিকে তিনি ফ্যাসিবাদবিরোধী বিভিন্ন স্লোগানে অংশ নেন, যেমন: “এই দেশ আমার মুক্ত, আর দেব না রক্ত”, “ফ্যাসিবাদের ঠাঁই নাই, বাংলায় বাংলায়” এবং “রক্তঝরা বাংলায়, ফ্যাসিবাদের ঠাঁই নাই”।
ভোরের আকাশ/হ.র
সংশ্লিষ্ট
বাংলাদেশে জনগণ এখনো ‘পিআর’ (আনুপাতিক) নির্বাচনী পদ্ধতির বিষয়টি পুরোপুরি বোঝে না— এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, জুলাইয়ের মধ্যেই জাতীয় সনদ প্রণয়ন না হলে তার দায়ভার বহন করতে হবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে।শুক্রবার (১৮ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর মিরপুর পল্লবীতে বিএনপির আয়োজিত মৌন মিছিলপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। মহানগর উত্তর বিএনপি আয়োজিত এই কর্মসূচি ছিল ‘জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থান’– এ শহীদদের স্মরণে আয়োজিত দলীয় কর্মসূচির অংশ।সালাহউদ্দিন অভিযোগ করেন, কিছু রাজনৈতিক দল নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের দাবি তুলে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, “কেয়ারটেকার সরকার তিন মাসের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত হয় কেবল জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের জন্য। তাদের হাতে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের কোনো সাংবিধানিক দায়িত্ব নেই।”তিনি আরও বলেন, “যারা এখন পিআর পদ্ধতি, স্থানীয় সরকার নির্বাচন ইত্যাদি নিয়ে মাঠ গরম করছে— তাদের উদ্দেশ্য একটাই: নির্বাচন বিলম্বিত ও অনিশ্চিত করা।”সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অতীতে যারা অবস্থান নিয়েছে, তারা এখন ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে। এসব অপচেষ্টা এবার ব্যর্থ হবে।”সালাহউদ্দিন অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতি ‘ঢাকায় জন্ম হলেও দাফন হয়েছে দিল্লিতে’। তিনি আরও বলেন, “আজ যারা বিভিন্ন নামধারী দল হয়ে সংস্কার কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় বসছে— তাদের অনেকেই অতীতে আওয়ামী লীগের সঙ্গী ছিল। অথচ এখন তারা দলবদ্ধভাবে কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই সভা-সমাবেশ করে যাচ্ছে।”তিনি হুঁশিয়ার করে বলেন, “জুলাই মাস শেষ হওয়ার আগেই যদি জাতীয় সনদ চূড়ান্ত না হয়, তবে এর দায় বর্তাবে সংস্কার কমিশন ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ওপর।”বিএনপির এই নেতা বলেন, “আমরা তো ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব আগেই দিয়েছি। এই রাষ্ট্রকে গণতান্ত্রিক ও জনগণের সেবায় নিয়োজিত করতে হলে সংবিধান, রাষ্ট্রব্যবস্থা ও প্রশাসনিক কাঠামোতে আমূল সংস্কার দরকার।”তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, “সব দলের সঙ্গে আলোচনা করে একদিন অবশ্যই আমরা একটি জাতীয় ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারব। যদিও গণতন্ত্রে শতভাগ মতৈক্য সব সময় সম্ভব নয়, তবে গণতন্ত্রের সৌন্দর্য সেখানেই।”সমাবেশের শেষদিকে তিনি ফ্যাসিবাদবিরোধী বিভিন্ন স্লোগানে অংশ নেন, যেমন: “এই দেশ আমার মুক্ত, আর দেব না রক্ত”, “ফ্যাসিবাদের ঠাঁই নাই, বাংলায় বাংলায়” এবং “রক্তঝরা বাংলায়, ফ্যাসিবাদের ঠাঁই নাই”। ভোরের আকাশ/হ.র
শনিবার (১৯ জুলাই) রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত জাতীয় সমাবেশ। সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা দুপুর ২টায়, তবে তার আগেই—শুক্রবার (১৮ জুলাই) সন্ধ্যা থেকে দেশজুড়ে থেকে আগত দলটির নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে জড়ো হতে শুরু করেছেন।সন্ধ্যার পর থেকেই উদ্যানে ও এর আশপাশের এলাকায় ছিল তাদের দৃশ্যমান উপস্থিতি। অনেকেই আগেই পৌঁছে মাঠেই অবস্থান নেন এবং সেখানে মাগরিবের নামাজ আদায় করেন।সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে—শাহবাগ, টিএসসি, দোয়েল চত্বর, কাকরাইল ও মৎস্য ভবনসহ আশপাশের এলাকায় ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলের দিকে অগ্রসর হচ্ছেন। অনেকের হাতে ছিল দলীয় প্রতীক দাঁড়িপাল্লা, আর গায়ে সাদা গেঞ্জি—যাতে লেখা ছিল, ‘তারুণ্যের প্রথম ভোট, জামায়াতের পক্ষে হোক’ এবং ‘দাঁড়িপাল্লায় ভোট দিন’।ঢাকার বাইরে থেকে আগত একদল কর্মী জানান, তারা যানজট এড়াতে ও সময় সাশ্রয়ের জন্য আগেভাগেই ঢাকায় চলে এসেছেন।দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সমাবেশটি শান্তিপূর্ণভাবে ও সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ভোরের আকাশ/হ.র
আমাদের ভিতরে ঘাপটি মেরে থাকা ষড়যন্ত্রকারীরা গণতন্ত্রকে নসাৎ করতে চায় মন্তব্য করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহবায়ক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।শুক্রবার (১৮ জুলাই ) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের উদ্যোগে দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিনষ্টের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।তিনি বলেছেন, আমাদের ভেতরেও কিছু ষড়যন্ত্রকারী রয়েছে, যারা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে চায়। তারা এখনো ঘাপটি মেরে বসে আছে। তাদের মুখোশ উন্মোচন করাও আমাদের দায়িত্ব।সংগঠনটির সদস্য সচিব কাদের গনি চৌধুরী সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, প্রফেসর ডক্টর এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, প্রফেসর ড. লুৎফুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আসাদুজ্জামান চুন্নু, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম, কৃষিবিদ শামিমুর রহমান শামীম প্রমুখ।বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে সংগঠনের নেতাকর্মীরা একটি মৌন মিছিল কদম ফোয়ারা হয়ে পল্টন মোড় থেকে প্রেসক্লাব এসে শেষ হয়। ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, আমাদের ভেতরে যারা আজকে গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করতে চায়, সেই ষড়যন্ত্রকারীরাও ঘাপটি মেরে আছে; তাদের চরিত্র উন্মোচন করা আজকে আমাদের দায়িত্ব। মিটফোর্ডের ঘটনার পর দ্রুততার সাথে বিএনপি ও তার অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এবং দাবি তুলেছে দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই। তারপরেও আমাদের নেতা তারেক রহমানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ট্যাগিং করা হচ্ছে। আপনারা একবারও ভাবেন না আপনারা কী করছেন? আপনারা কেন আগুন নিয়ে খেলার চেষ্টা করছেন, অন্যের ক্রীড়ানক হয়ে কেন আপনারা দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে বিনষ্ট করার চেষ্টা করছেন। সকলকে সতর্ক থাকতে হবে, সকলকে ধৈর্য ধরতে হবে। ষড়যন্ত্রকারীদের উসকানিতে পা দেওয়া যাবে না।ঐক্য বিনষ্টকারীদের উদ্দেশ্যে অধ্যাপক জাহিদ বলেন, রাজনীতি করুন, ময়দানে আসুন। বিএনপি ও সমমনা দলগুলো একত্রিত কর্মসূচি নিয়ে এসেছে। আপনাদের কী কর্মসূচি আছে, সেটি নিয়ে আসুন। কর্মসূচির নামের খবর নাই। কথায় কথায় পিআর (সংখ্যানুপাতিক হারে ভোট ব্যবস্থা) বলবেন, কথায় কথায় স্থানীয় সরকার নির্বাচন চাই। আরে ভাই, গণতন্ত্রের লড়াই জাতীয় নির্বাচনের জন্য। স্থানীয় সরকারের নির্বাচনের জন্য গণতন্ত্রের লড়াই হয় না। আর পিআর পদ্ধতি বাংলাদেশে ৫৪ বছর কেন, ১৫৪ বছরেও কোনো প্র্যাকটিস হয় নাই। আজকে কেন এই সমস্ত কথা বলে বিবাদ-দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করছেন। তার অর্থ হচ্ছে আপনারা গণতন্ত্রকে প্রলম্বিত করতে চান, গণতন্ত্র যাতে ফিরে না আসে; তাহলে হয়ত আপনাদের অন্য সুবিধা আছে।তিনি বলেন, মনে রাখবেন, জনগণকে ক্ষমতাহীন করে বেশি দিন যদি রাখতে চান, এই জনগণ কিন্তু ফুঁসে উঠবে। তখন সেই আগুনে আপনারা জ্বলের পুঁড়ে ছারখার হয়ে যাবেন। আমি সকলকে উদাত্ত কণ্ঠে আহ্বান জানাতে চাই, ধৈর্য ধরুন এবং ঐক্যবদ্ধভাবে স্বৈরাচারকে যেমন রুখেছি, তারা পালিয়ে গেছে এবং একইভাবে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার যে লড়াই, সেই লড়াইয়ে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে। কোনো অবস্থাতেই ষড়যন্ত্রকারীরা কামিয়াবি হবে না।গোপালগঞ্জে এনসিপির কর্মসূচির প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, মার্চ ফর গোপালগঞ্জ বলেন, আর পদযাত্রা বলেন, আমি তো বলি, সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সরকার নিদারুণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। কারণ এই গোপালগঞ্জ- আপনাদের খেয়াল আছে, কোটালিপাড়ায় বোমার হামলার কথা প্রধানমন্ত্রী (শেখ হাসিনা) থাকা অবস্থায় উনার এখানে এতো কিছু থাকার পরে কীভাবে বোমা ফুটল? সেখানে তখন কোথায় ছিল গোয়েন্দা বাহিনী। অর্থাৎ ষড়যন্ত্র যদি না হয়, তাহলে এরকম ঘটনা ঘটানো যায় না।তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার তো ফরিদপুরে সুন্দর প্রোগ্রাম হলো, সেখানে তো কিছু হলো না, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, রাজবাড়ী- সবই তো কাছাকাছি। আপনারা নড়াইল গেলেন- কিছু হলো না; সারা বাংলাদেশ ঘুরে বেড়াচ্ছেন, কোথাও কিছু হয় নাই- ওখানে কেন হচ্ছে? কাজেই মনে রাখতে হবে স্বৈরাচারের দোসরদের ওপর দোষ চাপাচ্ছি, ঠিক আছে। কিন্তু আমাদের ভেতরে যারা আজকে গণতন্ত্রকে নসাৎ করতে চায়, সেই ষড়যন্ত্রকারীরাও ঘাপটি মেরে আছে; তাদের চরিত্র উন্মোচন করা আজকে আমাদের দায়িত্ব। ঐক্য বিনষ্ট করলে কী হয় কিছু আলামত পাওয়া যাচ্ছে।অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, জুলাই-অগাস্ট আন্দোলনে পেশাজীবীদের অবদানকে ছোট করে দেখার সুযোগ নাই। আজকে মনে রাখতে হবে, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে রাজনীতিবিদরাও ছিলেন, পেশাজীবীরাও ছিলেন এবং আছেন। এই অবস্থায় আমরা যখন দেখতে পাই রাজনীতিবিদদের মধ্যে ছোট ছোট স্বার্থের জন্য অনৈক্য, তখন আমরা হতাশাগ্রস্ত হই। আমরা সাবধান করে দেই, আপনারা (রাজনীতিবিদরা) দ্বিধা-বিভক্ত হবেন না। আপনারা ঐক্য বিনষ্ট করবেন না। ঐক্য বিনষ্ট করলে কী হয়, সেটি সত্যিকার অর্থেই কিছু আলামত পাওয়া যাচ্ছে।তিনি বলেন, জুলাই আন্দোলনে তো কোনো ধরনের অনৈক্য ছিল না, এক কাতারে ছিলাম। তারপরে যখন আমরা দেখলাম, প্রধান উপদেষ্টা বললেন, শুধুমাত্র এরা (ছাত্ররা) আমাকে ক্ষমতায় বসিয়েছে’; তখন বিভক্তি শুরু হলো।মবজাস্টিস প্রসঙ্গে জাহিদ বলেন, যে কথাগুলো মাঠে এসেছে, মবাক্রেসি অথবা মবজাস্টিস। যখনই কোনো বিনা বিচারে কিছু হচ্ছে; বলা হচ্ছে- কঠোরভাবে দমন করা হবে। কিন্তু কঠোরতার কিছুই দেখা যাচ্ছে না। মাঠে সেনাবাহিনী ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার নিয়ে আছে, র্যাব আছে, বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থাকার পরেও আজকে দুষ্কৃতিকারীরা কীভাবে সেই মিটফোর্ড বলেন, মুরাদনগর বলেন, খুলনা বলেন, কক্সবাজার বলেন, সেই পটিয়া বলেন, সেই পাটগ্রাম বলেন, কচুয়া বলেন এবং গোপালগঞ্জের সর্বশেষ ঘটনা বলেন। কীভাবে এসব ঘটনা ঘটলো, আজকে দেশের মানুষ জানতে চায়। আপনারা কি এই সমস্ত ঘটনা সত্যি সত্যি প্রতিরোধ করার জন্য আন্তরিক? না, সত্যি আপনারা মুখে এক কথা বলেন, আরেক কথা মনে মনে পোষণ করেন।তিনি বলেন, অনেক উপদেষ্টার কথা শুনলে মনে হয়, যেন উনারা সারা জীবন ক্ষমতায় থাকবেন, জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি। কিন্তু মনে রাখতে হবে- আপনারা জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি নন; আন্দোলন-সংগ্রামে যারা ছিলেন, তাদের সমর্থিত হয়ে একটি নির্ধারিত সময়ের জন্য নির্ধারিত দায়িত্ব পালনে আপনারা দায়িত্ব নিয়েছেন। এই দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করলে জনগণ আপনাদেরকে ফুলের মালা দেবে। আর যদি ব্যর্থ হন, অর্থাৎ গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে আপনারা যদি টালবাহানা করেন; মনে রাখবেন যেই জনগণ স্বৈরাচারকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করে, সেই জনগণ আগামী দিনে কোন ইতিহাস সৃষ্টি করবে- সেটি আপনাদের মনে রাখা উচিত। কোনো অবস্থাতেই এমন কোনো অনৈক্যের কথা বলবেন না, এমন কোনো দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে জড়াবেন না। মনে রাখবেন ওই কথাটি যে- ‘দিল্লিও নয়, পিন্ডিও নয়, সিদ্ধান্ত হবে বাংলাদেশে, সবার আগে বাংলাদেশ’।ভোরের আকাশ/জাআ
চট্টগ্রাম শহরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি এবং নিরপরাধ ব্যবসায়ীদের মিথ্যা মামলা ও চাঁদাবাজির কবল থেকে রক্ষার জন্য জোর আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।শুক্রবার (১৮ জুলাই) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়।এতে আরও বলা হয়, রাজধানী ঢাকার পর চট্টগ্রাম দেশের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ শহর। বন্দর নগরী হিসেবে চট্টগ্রামের গুরুত্ব অপরিসীম। মূলত, সারাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালিত হয় চট্টগ্রাম থেকেই। ব্যবসা বাণিজ্যের উন্নতি এবং দেশের আর্থিক খাতকে শীর্ষস্থানে নিয়ে যেতে হলে এই শহরটিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন অপরিহার্য। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, বর্তমানে চট্টগ্রাম শহরে ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি এবং চাঁদাবাজির দৌরাত্ম্যে শহরটিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির নাজুক অবস্থা বিরাজ করছে। এ ধরনের পরিস্থিতি ব্যবসা-বাণিজ্য কার্যক্রমে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এই পরিস্থিতি চলমান থাকলে দেশের ব্যবসা বাণিজ্য তথা অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়বে।বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিএনপি সর্বস্তরের ব্যবসায়ী মহল ও জনগণকে এ বিষয়ে একসাথে দুস্কৃতিকারিদেরকে প্রতিহত করার আহ্বান জানায়। বিএনপি চট্টগ্রাম শহরে চাঁদাবাজি, মিথ্যা মামলা দিয়ে সাধারণ মানুষকে নাজেহাল ও অবনতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করছে এবং এই সমস্ত অনাচারের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে স্থানীয় প্রশাসনকে আহ্বান জানাচ্ছে।ভোরের আকাশ/জাআ