ছবি : সংগৃহীত
দীর্ঘ পাঁচ বছর পর বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমারে জাতীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে ।
রাজধানী নেইপিদো, ইয়াঙ্গুন, মান্দালয়সহ জান্তা-নিয়ন্ত্রিত সব শহর ও গ্রামাঞ্চলে আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ৬টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
২০২১ সালে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখলের পর এবারই প্রথম দেশটিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
মিয়ানমারের নির্বাচন কমিশনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, রাজধানী নেইপিদো, বাণিজ্যিক রাজধানী ও বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুন, দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়সহ জান্তা-নিয়ন্ত্রিত সব শহর ও গ্রামাঞ্চলে আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ৬টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশ সময় অনুযায়ী ভোটগ্রহণ শুরু হয় সকাল ৬টা ৩০ মিনিটে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, জাতীয় পার্লামেন্ট এবং প্রাদেশিক আইনসভা—উভয় পর্যায়ের নির্বাচনের ভোটগ্রহণ একযোগে চলছে।
যদিও বিদ্রোহীদের দখলে থাকা অঞ্চল ও প্রদেশগুলোতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে না।
সূত্র: সিটিজেন ট্রিবিউন
ভোরের আকাশ/মো.আ.
সংশ্লিষ্ট
ইন্দোনেশিয়ার সুলাভেসি দ্বীপে একটি বৃদ্ধাশ্রমে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরও তিনজন গুরুতর দগ্ধ হয়েছেন।রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাত ৮টা ৩১ মিনিটে উত্তর সুলাভেসি প্রদেশের রাজধানী মানাডো শহরের ওই বৃদ্ধাশ্রমে আগুন লাগে বলে জানায় স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। খবর পেয়ে দমকল বাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করে।মানাডো সিটির ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ এজেন্সির প্রধান জিমি রোটিনসুলু বার্তাসংস্থা এএফপিকে জানান, নিহতদের বেশির ভাগের মরদেহ তাদের নিজ নিজ কক্ষ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। আগুন লাগার সময় অধিকাংশ বয়স্ক বাসিন্দা কক্ষে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।তিনি আরও জানান, অন্তত ১২ জনকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেল মেট্রো টিভির সম্প্রচারিত ভিডিওতে দেখা যায়, আগুনে পুরো বৃদ্ধাশ্রমটি দাউদাউ করে জ্বলছে এবং স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধারকাজে সহায়তা করছেন।১৭ হাজারের বেশি দ্বীপ নিয়ে গঠিত ইন্দোনেশিয়ায় প্রায়ই প্রাণঘাতী অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। চলতি মাসেই রাজধানী জাকার্তায় একটি সাততলা অফিস ভবনে অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ২২ জন নিহত হন। এর আগে ২০২৩ সালে দেশটির পূর্বাঞ্চলে একটি নিকেল প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানায় বিস্ফোরণে প্রাণ যায় অন্তত ১২ জনের।ভোরের আকাশ/তা.কা
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরীফ ওসমান হাদির হত্যাকারীদের শনাক্ত ও গ্রেফতারে সহায়ক তথ্যের জন্য ৫৫ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংগঠন শিখস ফর জাস্টিস (এসএফজে)।সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দেয় সংগঠনটি।বিবৃতিতে এসএফজে বলেছে, ঢাকা মহানগর পুলিশের প্রকাশ্য বক্তব্য অনুযায়ী, ওসমান হাদির হত্যায় জড়িত ব্যক্তিরা ঘটনার পর ভারতে পালিয়ে যায়। এ প্রেক্ষাপটে হত্যাকারীদের অবস্থান, গ্রেফতার ও প্রত্যর্পণে সহায়ক বিশ্বাসযোগ্য তথ্য দিতে পারলে ৫৫ লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।এসএফজের জেনারেল কাউন্সেল গুরপতবন্ত সিং পান্নুন অভিযোগ করে বলেন, ‘ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ড ভারতের মোদী সরকারের নির্দেশে সংঘটিত হয়েছে এবং এটি সীমান্ত পেরিয়ে পরিচালিত সন্ত্রাসী কার্যক্রমের অংশ।’তার দাবি, এই হত্যাকাণ্ডের ধরন কানাডায় শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।এসএফজের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘পুরস্কারের উদ্দেশ্য জনসাধারণের সহযোগিতা নিশ্চিত করা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে হত্যাকারীদের শনাক্ত, গ্রেফতার ও প্রত্যর্পণে সহায়তা করা।’এ বিষয়ে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ বা ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।ভোরের আকাশ/মো.আ.
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে মুখোমুখি সংঘর্ষে দুটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে একজন নিহত এবং আরেকজন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।রোববার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল প্রায় ১১টা ২৫ মিনিটে হামোন্টন মিউনিসিপ্যাল এয়ারপোর্টের ওপর আকাশে হেলিকপ্টার দুটি পরস্পরের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়।হামোন্টন পুলিশের প্রধান কেভিন ফ্রিল জানান, বিমান দুর্ঘটনার খবর পেয়ে জরুরি উদ্ধারকারী দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, একটি হেলিকপ্টার দ্রুত ঘূর্ণায়মান অবস্থায় মাটির দিকে আছড়ে পড়ছে। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস একটি হেলিকপ্টারে ছড়িয়ে পড়া আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) জানিয়েছে, এটি ছিল আকাশে সংঘটিত একটি মুখোমুখি সংঘর্ষ। হামোন্টন মিউনিসিপ্যাল এয়ারপোর্টের ওপর এন্সট্রম এফ-২৮এ মডেলের একটি হেলিকপ্টারের সঙ্গে এন্সট্রম ২৮০সি মডেলের আরেকটি হেলিকপ্টারের সংঘর্ষ হয়। প্রতিটি হেলিকপ্টারে কেবল পাইলটই ছিলেন। তাদের মধ্যে একজন ঘটনাস্থলেই মারা যান, আর অন্যজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।দুর্ঘটনাস্থলের কাছের একটি ক্যাফের মালিক সাল সিলিপিনো জানান, নিহত ও আহত পাইলট দুজনই তার ক্যাফের নিয়মিত ক্রেতা ছিলেন এবং প্রায়ই একসঙ্গে নাশতা করতেন। তিনি বলেন, দুর্ঘটনার আগে তিনি ও অন্যান্য ক্রেতারা হেলিকপ্টার দুটিকে উড্ডয়ন করতে দেখেছিলেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই একটি হেলিকপ্টার ঘুরতে ঘুরতে নিচে নামতে শুরু করে, এরপর অন্যটিও একইভাবে নিয়ন্ত্রণ হারায়। ঘটনাটি ছিল ভীষণই ভয়ংকর, বলে জানান তিনি। বলেন, ‘এখনও আমি কাঁপছি।’হামোন্টনের বাসিন্দা ড্যান ডেমশেক এনবিসি১০-কে জানান, তিনি জিম থেকে বের হচ্ছিলেন, এমন সময় একটি জোরালো শব্দ শুনে দেখেন, আকাশে দুটি হেলিকপ্টার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঘুরতে শুরু করেছে। তিনি বলেন, ‘প্রথম হেলিকপ্টারটি এক মুহূর্তের মধ্যেই সোজা অবস্থা থেকে উল্টে গিয়ে দ্রুত ঘুরতে ঘুরতে নিচে পড়তে থাকে। দ্বিতীয়টি প্রথমে কিছুটা ঠিক ছিল মনে হলেও হঠাৎ আরেকটি শব্দ শোনা যায়, এরপর সেটিও দ্রুত ঘূর্ণায়মান অবস্থায় নিচে নেমে আসে।’প্রায় ১৫ হাজার জনসংখ্যার শহর হামোন্টন নিউ জার্সির আটলান্টিক কাউন্টিতে অবস্থিত, যা ফিলাডেলফিয়া শহর থেকে প্রায় ৩৫ মাইল (৫৬ কিলোমিটার) দক্ষিণ-পূর্বে। শহরটি কৃষিভিত্তিক ঐতিহ্যের জন্য পরিচিত এবং এর কাছেই রয়েছে পাইনের ব্যারেন্স, যা এক মিলিয়নেরও বেশি একরজুড়ে বিস্তৃত একটি বনাঞ্চল।পুলিশ প্রধান কেভিন ফ্রিল জানান, এফএএ এবং ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড (এনটিএসবি) যৌথভাবে দুর্ঘটনার তদন্ত করবে। দুর্ঘটনার সময় আকাশে আংশিক মেঘ থাকলেও বাতাস ছিল হালকা এবং দৃশ্যমানতা ভালো ছিল বলে জানিয়েছে আবহাওয়া পূর্বাভাস সংস্থা অ্যাকুওয়েদার।সূত্র: এপিভোরের আকাশ/মো.আ.
অযোধ্যার ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ৩৩ বছর পর, পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে সেই একই আদলে একটি মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। বেলডাঙার মাটিতে এই মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর থেকেই এলাকাটি কার্যত জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে।প্রতিদিন পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার মুসলিম দর্শনার্থী মসজিদ নির্মাণের এই স্থানটি দেখতে আসছেন। ভিড় সামলাতে জেলা পুলিশকে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে এবং সেখানে বাড়তি নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।অনুদান ও জনসৃষ্ঠি ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশেই এই মসজিদের অবস্থান হওয়ায় যাতায়াতের সুবিধার কারণে বাসযাত্রীরাও যাত্রা বিরতি দিয়ে এখানে নামাজ আদায় করছেন। বর্তমানে সেখানে গড়ে ওঠা একটি অস্থায়ী মসজিদে মানুষ নিয়মিত নামাজ পড়ছেন।মজার ব্যাপার হলো, এই মসজিদ নির্মাণের জন্য কোনো সরকারি অনুদান নেওয়া হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী অর্থ দান করছেন। এমনকি ভিন রাজ্য থেকে অনেকে প্রতীকী হিসেবে একটি-দুটি করে ইট নিয়েও হাজির হচ্ছেন এই মহৎ কর্মে শরিক হতে।অস্থায়ী মেলা ও আবেগ মসজিদ প্রাঙ্গণকে কেন্দ্র করে সেখানে এখন একটি উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাটি অনেকটা মেলা প্রাঙ্গণের রূপ নিয়েছে, যেখানে বাবরি মসজিদের ছবি সম্বলিত স্টিকার ও টি-শার্ট বিক্রি হচ্ছে। আগত দর্শনার্থীরা বলছেন, তারা নিজেদের অর্থায়নে আল্লাহর ঘর নির্মাণ করতে চান এবং এজন্য তারা বিশেষ দোয়াপ্রার্থনাও করছেন।প্রেক্ষাপট ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর অযোধ্যার বাবরি মসজিদ ভেঙে ফেলার স্মরণে ঠিক ৩৩ বছর পর, চলতি বছরের ৬ ডিসেম্বর বেলডাঙায় এই নতুন মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। যদিও মূল নির্মাণকাজ কবে নাগাদ পুরোদমে শুরু হবে, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো তারিখ এখনো জানানো হয়নি, তবে মানুষের আবেগ ও স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ এই প্রকল্পকে এক ভিন্ন উচ্চতায় নিয়ে গেছে।ভোরের আকাশ/মো.আ.