সুস্থতার জন্য জাদুকরী মোরিঙ্গা চা!
শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য, সুস্থতা এবং সকলের অন্তর্ভুক্তি সামগ্রিক সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয়। একজন মানুষ কতক্ষণ পর্যন্ত সুস্থ আছে কেউ জানে না। সুস্থ থাকার জন্য আমরা ব্যায়াম করি, জগিং করি, অন্যান্য অনেক শরীরচর্চা আরও কত কিছুই না করি। তার পরেও আমাদের প্রেসার, ওজন বেশি, ডায়াবেটিস বা কোলেস্টেরলের সমস্য লেগেই থাকে। প্রতিদিন সকালে এক কাপ মোরিঙ্গা ম্যাজিক চা পান করুন। শারীরিক নানা সমস্যার সমাধান দেবে ভেষজ গুণে ভরা মোরিঙ্গা ম্যাজিক চা।
আচ্ছা মোরিঙ্গা চেনেন তো, এটি হচ্ছে শজনেপাতার গুঁড়া। ইংরেজিতে মরিঙ্গা পাউডার নামে অনলাইনে দারুণ পরিচিতি পেয়েছে। শজনে গাছের পাতা ধুয়ে শুকিয়ে গুঁড়া করে নিলেই আপনার ম্যাজিক চা পাতা তৈরি। আর এক কাপ পানি ফুটিয়ে এক চা চামচ চা পাতা দিয়ে দুই মিনিট পর ছেঁকে নিলেই তৈরি সবুজ মোরিঙ্গা চা। চাইলে সামান্য মধু মিশিয়ে নিতে পারেন।
১. ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এই মোরিঙ্গা চা পান করলে
২. বাড়তি ওজন ঝরে
৩. প্রচুর অ্যানার্জিও পাওয়া যায়
৪. ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করে
৫. টাইপ টু ডায়াবেটিসে সুগারের মাত্র বশে থাকে
৬. কোলেস্টেরল কমায়
৭. হৃদরোগের ঝুঁকি কমে
৮. অবসাদ দূর করে
৯. শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেয়
১০. সম্পূর্ণ ভেষজ হওয়ায় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।
বুঝতেই পারছেন, কেন আপন করতে হবে এই ম্যাজিক চা। চাইলে তো ঘরেই চা পাতা তৈরি করতে পারেন। আর যদি কষ্ট করতে না চান, তাহলে অনলাইনে অর্ডার করে আনিয়ে নিন।
ভোরের আকাশ/এসআই
সংশ্লিষ্ট
বিয়ের দিনকে স্মরণীয় করে তুলতে সবাই চান নিজেকে সেরা রূপে উপস্থাপন করতে। এজন্য অনেকেই আগেভাগে পার্লারে দৌড়ঝাঁপ করেন। তবে ঘরে বসেও প্রাকৃতিক ও নিরাপদ উপায়ে নিজেকে প্রস্তুত রাখা সম্ভব। নিচে কয়েকটি ঘরোয়া উপায় তুলে ধরা হলো, যা আপনাকে বিয়ের আগেই ভেতর ও বাইরে থেকে সতেজ ও সুন্দর রাখবে।ত্বক পরিষ্কার রাখুনপ্রথমেই ভালোভাবে মুখ ধুয়ে নিন। ফেসওয়াশের বদলে ভেষজ অ্যারোমাথেরাপি ক্লিনজার ব্যবহার করুন, যা ত্বকের পিএইচ ব্যালেন্স ঠিক রাখবে।চোখের ক্লান্তি ও ডার্ক সার্কেল কমাতেবিয়ের আগে মানসিক চাপ বা ঘুমের অভাবে চোখের নিচে ফোলাভাব ও কালি দেখা দিতে পারে। সমাধান হিসেবে ফ্রিজে রাখা শসার টুকরো চোখে ১০ মিনিট রাখুন। চাইলে গ্রিন-টি ব্যাগ বা বিটরুটের রসও ব্যবহার করা যায়।শরীরের অস্বস্তিকর ফোলাভাব দূর করতেখাওয়ার ৩০ মিনিট পর এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে লেবু ও আদা মিশিয়ে খান। ধনিয়া ভিজিয়ে রেখে সেই পানি খাওয়াও উপকারী। কার্বনেটেড পানীয় ও অতিরিক্ত লবণ খাবার এড়িয়ে চলুন।চোখের ক্লান্তি কমাতে পানি ব্যবহারহাতের তালুতে অল্প পানি নিয়ে চোখে কয়েকবার লাগান। এতে মানসিক চাপ কিছুটা কমবে।হজম ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেবিয়ের প্রস্তুতির সময়ে খাবারের পরিবর্তনে হজমের সমস্যা হতে পারে। প্রতিদিন এক গ্লাস পানিতে ৩০ মি.লি. আমলকীর রস মিশিয়ে পান করুন। চাইলে দই, ইসবগুলের ভুষি বা ফ্ল্যাক্সসিড খেতে পারেন।ক্লান্তি দূর করে চাঙা থাকতেশরীর-মন সুস্থ রাখতে নিয়মিত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম দরকার। পাশাপাশি হালকা ব্যায়াম, পর্যাপ্ত পানি পান ও স্বাস্থ্যকর খাবার যেমন কলা, সালাদ, বাদাম, ওটস, ডাবের পানি খেতে হবে।ত্বকের পরিচর্যায় হালকা ম্যাসাজভালো মানের ম্যাসাজ ক্রিম বা ইমালশন ব্যবহার করে ত্বক ম্যাসাজ করুন। তেলজাতীয় পণ্য এড়িয়ে চলুন। তেল ম্যাসাজ প্রয়োজন হলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।ত্বক উজ্জ্বল করতে খাবারের যত্নত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। প্রতিদিন কমলা, লেবু, ডালিমসহ এসব ফল রাখুন খাদ্যতালিকায়।চোখে ঠাণ্ডা লাগানোম্যাসাজের পর ভেজা তুলা বা শসার টুকরো দিয়ে চোখ ঢেকে রাখুন। এতে চোখ আরাম পাবে।ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতেমুখ ধুয়ে ভালোভাবে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। এতে ত্বক নরম ও আর্দ্র থাকবে। ভোরের আকাশ/হ.র
সম্প্রতি বলিউড তারকাদের মধ্যে খালি পেটে ঘি খাওয়ার প্রবণতা খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। মালাইকা অরোরা, শিল্পা শেঠি, কৃতী শ্যাননসহ অনেক তারকা ঘিকে সুস্থতা এবং ত্বকের জন্য উপকারী গোপন উপাদান হিসেবে উল্লেখ করছেন। দিনের শুরুতেই এক চামচ ঘি খাওয়া তাদের আয়ুর্বেদিক জীবনযাত্রার অংশ বলে দাবি করা হচ্ছে।তবে এই ট্রেন্ডের পেছনে কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি রয়েছে কিনা, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে বিতর্ক চলছে। সিনিয়র কার্ডিওলজিস্ট ডা. বিমল ছাজের বলেন, ঘি হলো প্রায় ১০০ শতাংশ ট্রাইগ্লিসারাইড, যা অত্যন্ত উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত। অতিরিক্ত পরিমাণে ঘি সেবন করলে ওজন বৃদ্ধি ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে।ডা. ছাজের আরও জানান, আগের দিনে মানুষ যেহেতু কঠোর শারীরিক পরিশ্রম করত, তখন ঘি সেবন উপকারী ছিল। কিন্তু বর্তমানে আমাদের জীবনযাত্রার ধরণ পরিবর্তিত হওয়ায় সেই নিয়ম আর মানানো উচিত নয়।তিনি বিশেষ করে খালি পেটে এক চামচ ঘি খাওয়ার এই ট্রেন্ডকে ভুল বলছেন এবং এ ধরনের প্রচারিত ধারণাগুলো থেকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। দৈনন্দিন পরিমিত পরিমাণে ঘি গ্রহণ করা যায়, তবে সেটিও শারীরিক পরিশ্রম ও খাদ্যাভ্যাসের ওপর নির্ভর করে।অতএব, খালি পেটে ঘি খাওয়ার ব্যাপারে আনানুষ্ঠানিক প্রচারের পেছনে পুরোপুরি বিশ্বাস না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।ভোরের আকাশ//হ.র
শিশুর সঠিক খাদ্যাভ্যাস তাদের ভবিষ্যৎ স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাবা-মায়েরা সাধারণত পুষ্টিকর খাবার দেওয়ার চেষ্টা করেন, তবে অনেক সময় কিছু খাবার থাকে যেগুলো দেখতে স্বাস্থ্যকর মনে হলেও গোপনে শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। রঙিন প্যাকেজিং এবং আকর্ষণীয় বিপণনের আড়ালে লুকিয়ে থাকা এসব খাবার শিশুর শরীরে নানা ধরনের সমস্যা ডেকে আনতে পারে। জেনে নিন এমন ৫টি খাবারের নাম যা গোপনে শিশুর ক্ষতি করছে –১. ব্রেকফাস্ট সিরিয়াল এবং চিনিযুক্ত পানীয়স্মার্ট প্যাকেজিংয়ের কারণে অনেক বাবা-মা শিশুর জন্য ব্রেকফাস্ট সিরিয়াল বেছে নেন। কিন্তু বেশিরভাগ সিরিয়ালে চিনির পরিমাণ অত্যধিক থাকে, যা ওজন বাড়ানো ছাড়াও শরীরের শক্তি কমিয়ে দেয়। মিশ্রিত রঙ ও কৃত্রিম উপাদান অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। চিনিযুক্ত কোল্ড ড্রিংকস বা কৃত্রিম মিষ্টি যুক্ত পানীয় শিশুদের জন্য একদম উপযোগী নয়।২. স্বাদযুক্ত দইবাজারে পাওয়া স্বাদযুক্ত দইয়েও চিনি ও কৃত্রিম রঙের ব্যবহার বেশি থাকে। এটি শিশুদের স্থূলতা, টাইপ ২ ডায়াবেটিস ও দাঁতের সমস্যা বাড়াতে পারে। তাই চিনিযুক্ত দইয়ের বদলে ঘরে তৈরি টক দই খাওয়ানো উচিত, যেখানে মধু বা বেরি দিয়ে মিষ্টি স্বাদ যোগ করা যেতে পারে।৩. মাইক্রোওয়েভ পপকর্নবেশিরভাগ দোকানে পাওয়া পপকর্নের প্যাকেটে থাকে পলিফ্লুরোঅ্যালকাইল (PFAS) নামক ক্ষতিকর রাসায়নিক, যা বিকাশগত সমস্যা এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে। শিশুকে বাড়িতে চুলায় তৈরি পপকর্ন খাওয়ানোই নিরাপদ।৪. প্রক্রিয়াজাত মাংসহট ডগ, সসেজ, ডেলি মিট ইত্যাদি প্রক্রিয়াজাত মাংস শিশুদের জন্য ক্ষতিকর। এগুলোতে থাকে উচ্চ মাত্রায় সোডিয়াম, নাইট্রেট এবং প্রিজারভেটিভ, যা ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায় এবং রক্তচাপ বৃদ্ধি করতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) প্রক্রিয়াজাত মাংসকে ‘গ্রুপ ১ কার্সিনোজেন’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।৫. ডিপ ফ্রাই খাবারভাজা খাবারে ট্রান্স ফ্যাট থাকে, যা খারাপ কোলেস্টেরল বাড়ায় এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। তাছাড়া, এসব খাবারে অতিরিক্ত ক্যালোরি থাকে কিন্তু পুষ্টিগুণ কম থাকে। দোকানের ভাজা স্ন্যাকসের পরিবর্তে ঘরে তৈরি বেকড বা এয়ার-ফ্রাই করা খাবার শিশুর জন্য স্বাস্থ্যসম্মত বিকল্প।কালের সমাজ//হ.র
পাকা পেঁপের স্বাস্থ্যগুণ সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি। তবে কাঁচা পেঁপেও উপকারে কম নয়—বিশেষত, জুস আকারে খেলে এটি শরীরের জন্য হয়ে উঠতে পারে এক শক্তিশালী প্রাকৃতিক পুষ্টি উৎস। যদিও এর স্বাদ প্রথমদিকে সবার ভালো না-ও লাগতে পারে, অভ্যাস গড়ে উঠলে এটি দৈনন্দিন খাদ্যতালিকার উপকারী এক অংশ হয়ে উঠতে পারে।চলুন দেখে নেওয়া যাক, কাঁচা পেঁপের জুস খাওয়ার ফলে শরীরে কী ধরনের উপকার হয়—১. হজমক্ষমতা বাড়ায়কাঁচা পেঁপেতে থাকা পাপাইন এনজাইম প্রোটিন ভাঙতে সাহায্য করে, যা খাবার সহজে হজমে সহায়ক। নিয়মিত এই জুস খেলে অম্বল, গ্যাস্ট্রিক, কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদহজম প্রতিরোধে উপকার পাওয়া যায়।২. শরীরকে রাখে শীতল ও হাইড্রেটেডএই জুসে রয়েছে প্রচুর পানি (প্রায় ৮৮%)—যা শরীরকে আর্দ্র রাখে। একইসঙ্গে এটি হালকা মূত্রবর্ধক হিসেবে কাজ করে, ফলে বিষাক্ত উপাদান শরীর থেকে বের হয়ে যায়, এবং শরীর ভেতর থেকে ঠান্ডা থাকে।৩. ওজন কমাতে সহায়কফাইবার ও হজম সহায়ক এনজাইমসমৃদ্ধ কাঁচা পেঁপের জুস বিপাক বাড়াতে সাহায্য করে, কম ক্যালোরির কারণে এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতে পারে। এটি নিয়মিত পান করলে মলত্যাগ স্বাভাবিক হয় এবং শরীর ডিটক্সিফাই হতে থাকে।৪. ত্বককে করে উজ্জ্বল ও পরিষ্কারএতে থাকা ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের মৃত কোষ অপসারণে সহায়তা করে, ত্বককে ভিতর থেকে পরিষ্কার ও মসৃণ করে তোলে। নিয়মিত খেলে মুখে উজ্জ্বলতা বাড়ে এবং ত্বক ফ্রেশ থাকে।৫. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়পুষ্টিগুণে ভরপুর কাঁচা পেঁপের রস শরীরের ইমিউন সিস্টেম মজবুত করে। এটি ফ্রি র্যাডিকেলের বিরুদ্ধে কাজ করে, প্রদাহ হ্রাস করে এবং সংক্রমণের পর দ্রুত আরোগ্য লাভে সহায়ক হয়। বিশেষ করে মৌসুমি পরিবর্তনের সময় এই জুস উপকারী হতে পারে।ভোরের আকাশ/হ.র