সংগৃহীত ছবি
মহাকাশ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের সহযোগী প্রতিষ্ঠান স্টারলিংকের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল ঢাকায় আসছেন। এতে নেতৃত্ব দিবেন প্রতিষ্ঠানটির ভাইস প্রেসিডেন্ট লরেন ড্রেয়ার। তার সঙ্গে থাকবেন আন্তর্জাতিক কৌশল ও সরকারি সম্পর্ক পরিচালক, স্পেসএক্স রিচার্ড গ্রিফিথস।
আজ (১৮ জুলাই) প্রতিনিধিদলটি প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। পরে বিকেল ৫টায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে প্রেস কনফারেন্সে বক্তব্য রাখবেন। রাতে ঢাকার হাতিরঝিলে অনুষ্ঠিত জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তারা।
লরেন ড্রেয়ারের নেতৃত্বে আগত দলটি বাংলাদেশে তাদের ব্যবসায়িক সম্ভাবনা যাচাই, তাদের নতুন প্রযুক্তির স্থানীয় বাস্তবায়ন এবং গ্রামীণ ও দুর্গম অঞ্চলে ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়ার সহজ সমাধান।
একই সঙ্গে তথ্যপ্রযুক্তি ও যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়নে স্টারলিংকের সম্ভাব্য বিনিয়োগ ও অংশীদারত্বের দিকগুলো মূল্যায়ন করতে এবং সরকার ও নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেবে। পাশাপাশি তারা বাংলাদেশে স্টারলিংকের অফিসিয়াল যাত্রা শুরুর ঘোষণা দেবেন।
স্পেসএক্স ও স্টারলিংকের এই সফর বাংলাদেশের ডিজিটাল ট্রান্সফর্মেশনের লক্ষ্য পূরণে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
১৯ তারিখ ফিরে যাবে প্রতিনিধি দলটি।
ভোরের আকাশ/জাআ
সংশ্লিষ্ট
মহাকাশ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের সহযোগী প্রতিষ্ঠান স্টারলিংকের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল ঢাকায় আসছেন। এতে নেতৃত্ব দিবেন প্রতিষ্ঠানটির ভাইস প্রেসিডেন্ট লরেন ড্রেয়ার। তার সঙ্গে থাকবেন আন্তর্জাতিক কৌশল ও সরকারি সম্পর্ক পরিচালক, স্পেসএক্স রিচার্ড গ্রিফিথস।আজ (১৮ জুলাই) প্রতিনিধিদলটি প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। পরে বিকেল ৫টায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে প্রেস কনফারেন্সে বক্তব্য রাখবেন। রাতে ঢাকার হাতিরঝিলে অনুষ্ঠিত জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তারা।লরেন ড্রেয়ারের নেতৃত্বে আগত দলটি বাংলাদেশে তাদের ব্যবসায়িক সম্ভাবনা যাচাই, তাদের নতুন প্রযুক্তির স্থানীয় বাস্তবায়ন এবং গ্রামীণ ও দুর্গম অঞ্চলে ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়ার সহজ সমাধান।একই সঙ্গে তথ্যপ্রযুক্তি ও যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়নে স্টারলিংকের সম্ভাব্য বিনিয়োগ ও অংশীদারত্বের দিকগুলো মূল্যায়ন করতে এবং সরকার ও নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেবে। পাশাপাশি তারা বাংলাদেশে স্টারলিংকের অফিসিয়াল যাত্রা শুরুর ঘোষণা দেবেন।স্পেসএক্স ও স্টারলিংকের এই সফর বাংলাদেশের ডিজিটাল ট্রান্সফর্মেশনের লক্ষ্য পূরণে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।১৯ তারিখ ফিরে যাবে প্রতিনিধি দলটি।ভোরের আকাশ/জাআ
আগামীকাল শুক্রবার (১৮ জুলাই) ১ জিবি ইন্টারনেট ফ্রি পাবেন দেশের সব মোবাইল ফোন গ্রাহক। জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষ্যে ‘ফ্রি ইন্টারনেট ডে’ ঘোষণা করেছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। তারই অংশ হিসেবে ১ জিবি ফ্রি ইন্টারনেট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গ্রাহকরা এই ইন্টারনেট ৫ দিন ব্যবহার করতে পারবেন।বুধবার (১৬ জুলাই) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বিটিআরসির সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগ।এতে বলা হয়, জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস পালন, জনআকাঙ্ক্ষা পূরণ এবং জনস্বার্থে ১৮ জুলাই ফ্রি ইন্টারনেট ডে ঘোষণা উপলক্ষে গ্রাহকদের ফ্রি ইন্টারনেট দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত ৯ জুলাই মোবাইল অপারেটরদের এ নির্দেশ দেওয়া হয়। আগামী ১৮ জুলাই সব গ্রাহককে ৫ দিন মেয়াদি এক জিবি ফ্রি ডাটা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।যেভাবে পাবেনডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ জানিয়েছে, জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে ১৮ জুলাই সব মোবাইল গ্রাহক পাচ্ছেন ৫ দিন মেয়াদি এক জিবি ফ্রি ডাটা। ফ্রি ডাটা পেতে ডায়াল করুন জিপি *121*1807#, রবি *4*1807#, বাংলালিংক *121*1807 এবং টেলিটক *111*1807# নম্বরে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
গুগল তাদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটবট জেমিনিতে যুক্ত করেছে নতুন ও আকর্ষণীয় একটি ফিচার—‘ভিও থ্রি’। এই টুলের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা ছবি থেকে সরাসরি ভিডিও তৈরি করতে পারবেন, সঙ্গে যুক্ত হবে সংলাপ ও পরিবেশের শব্দ। এতে কৃত্রিম ভিডিও তৈরির প্রযুক্তিতে এক নতুন দিগন্ত খুলে যাবে।জেমিনির নতুন এই ফিচার বর্তমানে গুগল এআই আলট্রা ও প্রো সাবস্ক্রাইবারদের জন্য নির্দিষ্ট কিছু অঞ্চলে ওয়েব সংস্করণে চালু করা হয়েছে। ধীরে ধীরে এটি মোবাইল সংস্করণেও আনা হবে বলে গুগল জানিয়েছে।ব্যবহারকারীরা প্রম্পট বারের ‘টুলস’ অপশন থেকে ‘ভিডিও’ নির্বাচন করে ছবি আপলোড করতে পারবেন এবং টেক্সটের মাধ্যমে নির্দেশনা দিতে পারবেন। যেমন, ছবির ভেতরে কীভাবে নড়াচড়া হবে, কী ধরনের শব্দ বা সংলাপ যুক্ত থাকবে, ব্যাকগ্রাউন্ড সাউন্ড ও পরিবেশের শব্দও যুক্ত করার সুবিধা রয়েছে।তৈরি ভিডিওগুলো ৭২০পি রেজল্যুশনে, ১৬:৯ ল্যান্ডস্কেপ ফরম্যাটে এমপি৪ (MP4) ফাইল হিসেবে ডাউনলোড করার সুযোগ থাকবে। প্রতিটি ভিডিওতে থাকবে দৃশ্যমান এবং গোপন ‘সিন্থআইডি ওয়াটারমার্ক’ (জলছাপ), যা জানাবে এটি একটি এআই-জেনারেটেড কনটেন্ট।গুগল জানিয়েছে, দৈনন্দিন জীবনের ছবি ও দৃশ্যে অ্যানিমেশন যোগ করা, নিজের আঁকা ছবি জীবন্ত করা বা প্রকৃতির দৃশ্যে গতি আনতে এই ফিচারটি ব্যবহার করা যাবে।এই নতুন ফিচারটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে সৃজনশীলতার নতুন সম্ভাবনা উন্মোচনে বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।ভোরের আকাশ//হ.র
পক্ষাঘাতগ্রস্ত ও দীর্ঘমেয়াদি স্নায়ুজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীদের পুনর্বাসনে নতুন যুগের সূচনা করছে বাংলাদেশ। আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে রাজধানীর শাহবাগে অবস্থিত বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) সুপারস্পেশালাইজড হাসপাতালে স্থাপিত দেশের প্রথম রোবটিক রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টারে সীমিত পরিসরে পাইলট প্রকল্প শুরু হতে যাচ্ছে।চীনের কারিগরি সহায়তায় প্রতিষ্ঠিত এই সেন্টারটি উন্নত বিশ্বের মানদণ্ডে গড়ে তোলা হয়েছে, যেখানে মিলবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ও সুনির্দিষ্ট পুনর্বাসন সেবা। বুধবার (৯ জুলাই) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে এতথ্য জানানো হয়।সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চীনের সরকার এই প্রকল্পে প্রায় ২০ কোটি টাকা মূল্যের রোবটিক যন্ত্রপাতি অনুদান দিয়েছে। প্রযুক্তির দিক থেকে এই সেন্টারটি হবে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম আধুনিক রোবটিক রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার, যা বাংলাদেশের চিকিৎসা খাতে একটি যুগান্তকারী মাইলফলক হয়ে উঠবে। এই সেন্টারে রয়েছে মোট ৬২টি রোবট, যার মধ্যে ২২টি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ভিত্তিক। এসব রোবটের মাধ্যমে রোগীর অবস্থা অনুযায়ী অত্যন্ত নিখুঁতভাবে ফিজিওথেরাপি, স্নায়ুবিক পুনর্বাসন এবং দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসাসেবা প্রদান করা সম্ভব।বিএমইউ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সেন্টারটি চালুর পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে চীনের ৭ সদস্যের বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের একটি বিশেষজ্ঞ দলের নেতৃত্বে ইতোমধ্যে ২৭ জন চিকিৎসক ও ফিজিওথেরাপিস্টকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জনবল অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা অর্জন করলে এবং প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন হলে সেন্টারটি পুরোদমে চালু করা হবে। এই রোবটিক সেন্টার যেসব রোগীরা স্ট্রোক, পক্ষাঘাত, স্নায়ুবিক বৈকল্য, দীর্ঘমেয়াদি ব্যথা, নার্ভ ইনজুরি, ফ্রোজেন শোল্ডার, দুর্ঘটনাজনিত জটিলতা বা শরীরের অঙ্গের দুর্বলতাসহ জটিল পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছেন তাদের উপকারে আসবে।বিশেষ করে জুলাই মাসে সংঘটিত ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে যারা আহত হয়েছেন এবং এখনও দীর্ঘমেয়াদি সমস্যায় ভুগছেন, তাদের এই সেন্টারে বিনামূল্যে রোবটিক চিকিৎসাসেবা দেওয়া হবে। সেন্টারটি শুধু বিশেষ উদ্দেশ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। পরিকল্পিত নীতিমালার আলোকে সাধারণ রোগীদের জন্যও ধাপে ধাপে সেবা উন্মুক্ত করা হবে। একই সঙ্গে চেষ্টা থাকবে চিকিৎসার ব্যয় রোগীদের আর্থিক সক্ষমতার মধ্যে রাখার।এই সেন্টার চালু হলে বাংলাদেশ আধুনিক প্রযুক্তি-নির্ভর পুনর্বাসন চিকিৎসায় এক নতুন যুগে প্রবেশ করবে। দেশীয় চিকিৎসাব্যবস্থার জন্য এটি শুধু একটি প্রযুক্তিগত অগ্রগতি নয়, বরং পক্ষাঘাতগ্রস্ত ও দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থতায় ভোগা মানুষের জীবনে আশার আলো হয়ে উঠবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ