সংগৃহীত ছবি
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া বলেছেন, মানুষ বলে দেয়ালেরও কান আছে কিন্তু, চব্বিশের জুলাইয়ে দেয়ালগুলোও প্রতিবাদের কণ্ঠস্বর হয়ে উঠেছিল। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের গ্রাফিতিগুলো ভবিষ্যতে ফ্যাসিবাদের পুনরুত্থানে বাধা হয়ে দাঁড়াবে।
শুক্রবার ঢাকার মেট্রো রেলের পিলারে আঁকা গ্রাফিতির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
এসময় ১৬ বছরের আওয়ামী স্বৈরশাসনের সকল নিপীড়ন, জনগণের টানা প্রতিরোধ এবং শেখ হাসিনার পতন ঘটানো জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাস তুলে ধরেন।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, জুলাই আর্ট ওয়ার্কের মূল উদ্দেশ্য ছিল মানুষের শোষণ ও নিপীড়নের চিত্র তুলে ধরা। এই গ্রাফিতিগুলো আমাদেরকে আওয়ামী স্বৈরশাসনের ভয়াল দিনগুলো এবং জনগণের সাহসী প্রতিরোধের ইতিহাস বারবার স্মরণ করিয়ে দেবে। ভবিষ্যতে এ দেশে যেন আর কোনো স্বৈরাচার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে, সে লক্ষ্যে এসব গ্রাফিতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
ভোরের আকাশ/জাআ
সংশ্লিষ্ট
শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেছেন, এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় এবারের ফলাফল সবাইকে বিস্মিত করেছে। ফলাফল কেন খারাপ হলো তা পর্যালোচনা করে কারণ খুঁজে বের করা হবে।বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সচিবালয়ে এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, এবারের ফলাফল সবাইকে বিস্মিত করেছে। এতদিন ফলাফল ভালো দেখাতে গিয়ে শিক্ষার প্রকৃত সংকট আড়াল করা হয়েছে। এই ফলাফলের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় কোনোভাবেই দায়িত্ব এড়াতে পারে না। আমরা ফলাফলকে আত্মসমালোচনার সুযোগ হিসেবে দেখছি। ফলাফল কেন খারাপ হলো তা পর্যালোচনা করে খুঁজে বের করা হবে। শিক্ষার্থীদের মঙ্গলের জন্য এবার প্রাপ্য নম্বরই দেয়া হয়েছে।এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকার শিক্ষকদের শতাংশভিত্তিক বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছে। এছাড়া সাত কলেজের বিষয়ে সব পক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে আইনের খসড়া আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।এদিকে বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. খন্দোকার এহসানুল কবির জানিয়েছেন, এবারের এইচএসসির ফলাফলে বাস্তব চিত্র সামনে এসেছে। শিক্ষার্থীরা এখন পড়ার টেবিল থেকে দূরে সরে গেছে। বিষয়টি নিয়ে অভিভাবকদেরও ভাবতে হবে।তিনি জানান, চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষায় সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী ইংরেজি ও আইসিটি বিষয়ে ফেল করেছে। বোর্ডের হিসাব অনুযায়ী ইংরেজিতে পাসের হার নেমে এসেছে ৭৭ শতাংশ থেকে ৫৮ শতাংশে, যা গত ২ দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন।উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় একযোগে দেশের ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডসহ মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এ বছর এইচএসসিতে পাশের হার ৫৮ দশমিক ৮৩। এছাড়া জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৯৭ জন। যেখানে গত বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন শিক্ষার্থী। এই হিসাবে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৭৬ হাজার ৮১৪ জন।অন্যদিকে চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ৩৪৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছেন। যেখানে গত বছর এইচএসসিতে ১ হাজার ৩৮৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছিল। এছাড়া চলতি বছর ২০২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কেউ পাস করেনি। যেখানে গত বছর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ৬৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একজনও পাস করেনি।ভোরের আকাশ/তা.কা
‘হাত রেখে হাতে, উত্তম খাদ্য ও উন্নত আগামীর পথে’ প্রতিপাদ্যে আজ বিশ্ব খাদ্য দিবস পালিত হবে।বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকালে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন খাদ্যসচিব মো. মাসুদুল হাসান। অনুষ্ঠানে খাদ্য নিরাপত্তা, পুষ্টি, কৃষি প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং টেকসই খাদ্য উৎপাদনের বিভিন্ন দিক নিয়ে গুরুত্বপূর্ন আলোচনা হবে।এফএও ছাড়াও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিলসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান খাদ্য নিরাপত্তা ও দারিদ্র্য বিমোচনে কাজ করে এই দিবস পালন করে থাকে। ২০২০ সালে খাদ্য সংকট মোকাবেলা, সংঘাতপূর্ণ এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখা এবং যুদ্ধ ও সংঘাতের অস্ত্র হিসাবে খাদ্যের ব্যবহার বন্ধ করতে নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করায় ‘বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি’ নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।বিশ্ব খাদ্য দিবস (ডব্লিউএফডি) প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭৯ সালের নভেম্বর মাসে, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) এর ২০তম সাধারণ সম্মেলনে। এই উদ্যোগটি আসে হাঙ্গেরির প্রতিনিধিদল থেকে, যার নেতৃত্বে ছিলেন হাঙ্গেরির সাবেক কৃষি ও খাদ্যমন্ত্রী ডাঃ পাল রোমানি। তিনি সম্মেলনের ২০তম অধিবেশনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে বিশ্বব্যাপী বিশ্ব খাদ্য দিবস উদযাপনের ধারণা প্রস্তাব করেন।এরপর থেকে এই দিবসটি মূলত দারিদ্র্য ও ক্ষুধার পেছনের সমস্যা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পালিত হচ্ছে। ১৯৮১ সাল থেকে প্রতি বছর বিশ্ব খাদ্য দিবসের জন্য একটি নির্দিষ্ট ‘প্রতিপাদ্য’ নির্ধারণ করা হয়, যার মাধ্যমে দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরা হয়। বর্তমানে ১৫০টিরও বেশি দেশে বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে নানা ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিশ্বজুড়ে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে এই দিবসের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বিভিন্ন কর্মসূচি ও আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হবে শুক্রবার (১৭ অক্টোবর)। স্বাক্ষরে আগের দিন তিন দাবি জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা আইনি ভিত্তি ছাড়া এবং অর্ডারের ব্যাপারে নিশ্চয়তা ছাড়া যদি সনদে স্বাক্ষর করি, সেটা মূল্যহীন হবে। পরের সরকার এলে কীসের পরিপ্রেক্ষিতে দেবে, কী টেক্সট হবে; সে নিশ্চয়তা আমরা চাই। সেই বিষয়টা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা জুলাই সনদের স্বাক্ষরের যেই অনুষ্ঠান বা যেই আয়োজনটা চলছে, সেখানে আমরা নিজেরা অংশীদার হবো না।বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর বাংলামোটরে দলটির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবির বিষয়ে জানান।তিনটি দাবি হলো১. জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশের 'টেক্সট' এবং গণভোটের প্রশ্নটি চূড়ান্ত করে আগেই জনগণের কাছে প্রকাশ করতে হবে।২. জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশের খসড়া জনগণের সার্বভৌম অভিপ্রায়ের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে প্রধান উপদেষ্টা জারি করবেন।৩. গণভোটের মাধ্যমে জনগণ যদি জুলাই সনদে রায় দেয়, তবে 'নোট অব ডিসেন্ট' এর কোনো কার্যকারিতা থাকবে না। গণভোটের রায় অনুযায়ী আগামী নির্বাচিত সংসদ তাদের উপর প্রদত্ত Constituent Power বলে সংবিধান সংস্কার করবে। সংস্কার করা সংবিধানের নাম হবে - বাংলাদেশ সংবিধান, ২০২৬।তিনি আরও বলেন, তিনটি বিষয় পরিষ্কার হওয়ার পরেই জুলাই সনদ স্বাক্ষরের যে অনুষ্ঠান সেটা হতে পারে। সেটা সেখানে আমরাও অংশগ্রহণ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করব। তবে এই বিষয়গুলোর নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জুলাই সনদ আসলে স্বাক্ষরের এটা একটা আনুষ্ঠানিকতা। সেই আনুষ্ঠানিকতা পাঠ হওয়া, না হওয়া একই বিষয়। বরং জনগণের সামনে এই বিষয়গুলো স্পষ্ট না করে জুলাই সনদ স্বাক্ষরের এই আয়োজন করাটা একটা ছলচাতুরীর মতো মনে হবে। ফলে আমরা জনগণকে কোনো অন্ধকারে রাখতে চাই না।তিনি আরও বলেন, এই সনদ কীভাবে বাস্তবায়ন করবে, কোন প্রক্রিয়ায় বাস্তবায়ন করবে সেটি আগেই জনগণের সামনে এবং আমাদের কাছে পরিষ্কার করতে হবে। আগামীকালের যে অনুষ্ঠান সে অনুষ্ঠানের পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের আহ্বান থাকবে সরকার এবং জাতীয় কমিশনের প্রতি যে, আপনারা এই দাবিগুলো বিবেচনা করুন। এই দাবিগুলো শুধু আমাদের যে একক দাবি এরকম নয়। গতকাল অনেকগুলো দল বলেছে এই সনদ কীভাবে বাস্তবায়ন হবে, এটা নিয়ে অনেকেরই ভিন্ন মত আছে এবং অনেকের মধ্যে অস্পষ্টতা আছে, তাহলে একটা জিনিস অস্পষ্টতা রেখে সবাই এক জায়গায় এসে একটা বিশাল সেলিব্রেশনের মাধ্যমে স্বাক্ষর করার যে আয়োজন, এটার তো কোনো মিনিং রাখে না।ভোরের আকাশ/তা.কা
২০২৫ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় দেশের ২০২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সবাই ফেল করেছে।বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকার সভাকক্ষে বাংলাদেশ আন্তঃ শিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি ও ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. খন্দোকার এহসানুল কবির এ তথ্য জানিয়েছেন।তিনি জানান, ২০২৪ সালে শতভাগ ফেল করা প্রতিষ্ঠান ছিল ৬৫টি। এবার সে সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০২টি।এদিন সকাল ১০টায় এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। ১১টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৫৮.৮৩ শতাংশ। যা গত বছরের তুলনায় ১৯ শতাংশ কম। ২০২৪ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় গড় পাসের হার ছিল ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ।শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এবার ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে ছাত্র ছয় লাখ ১৮ হাজার ১৫ জন এবং ছাত্রী ছয় লাখ ৩৩ হাজার ৯৬ জন। দেশের দুই হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।ঢাকা বোর্ডে পরীক্ষার্থী দুই লাখ ৯১ হাজার ২৪১ জন, রাজশাহীতে এক লাখ ৩৩ হাজার ২৪২ জন, কুমিল্লায় এক লাখ এক হাজার ৭৫০ জন, যশোরে এক লাখ ১৬ হাজার ৩১৭ জন, চট্টগ্রামে এক লাখ ৩৫ জন, বরিশালে ৬১ হাজার ২৫ জন, সিলেটে ৬৯ হাজার ৬৮৩ জন, দিনাজপুরে এক লাখ তিন হাজার ৮৩২ জন এবং ময়মনসিংহ বোর্ডে ৭৮ হাজার ২৭৩ জন। এ ছাড়া মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে আলিম পরীক্ষার্থী ৮৬ হাজার ১০২ জন এবং কারিগরি বোর্ডের অধীনে এইচএসসি (বিএম/বিএমটি) পরীক্ষার্থীর সংখ্যা এক লাখ ৯ হাজার ৬১১ জন।যেভাবে জানা যাবে পরীক্ষার ফলশিক্ষার্থীরা প্রতিটি শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটের ‘Result’ কর্নারে গিয়ে বোর্ড, রোল নম্বর ও প্রতিষ্ঠানের ইআইআইএন নম্বর দিয়ে ফল ডাউনলোড করতে পারবেন। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট কলেজ থেকেও ফল জানা যাবে।অন্যদিকে, এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানা যাবে- এর জন্য মোবাইলে লিখতে হবে : HSC বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর স্পেস রোল নম্বর স্পেস 2025 এবং পাঠাতে হবে 16222 নম্বরে। ফিরতি এসএমএসে ফল জানিয়ে দেওয়া হবে।ভোরের আকাশ/মো.আ.