নগর ভবনের সামনে সড়ক আটকে ইশরাক সমর্থকদের বিক্ষোভ
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে নগর ভবনের ভেতরে সেবা বন্ধ করে এবং সামনের সড়ক আটকে বিক্ষোভ করছেন ডিএসসিসির কর্মচারী ইউনিয়নের নেতা-কর্মীরা।
মঙ্গলবার (২৭ মে) নগর ভবনের মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন কর্মচারীরা। ঘণ্টাখানেক পর ঢাকা দক্ষিণের বিভিন্ন এলাকা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে ইশরাকের সমর্থকেরা এসে ওই বিক্ষোভে অংশ নেন।
এ সময় তারা ‘শপথ, শপথ শপথ চাই, ইশরাক ভাইয়ের শপথ চাই’, ‘চলছে লড়াই চলবে, ইশরাক ভাই লড়বে’, ‘নগর পিতা ইশরাক ভাই, আমরা তোমার ভুলি নাই’ এমন স্লোগান দিতে থাকে।
দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে ট্রেড লাইসেন্সের কাজে এসে কাজ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে আজিমপুরের রজ্জব আলী বলেন, এক দিকে এখানে আসতে অনেক সময় লেগেছে, রিকশা নিয়ে ঢাকা মেডিকেলের পরে আর সামনে যাওয়ার উপায় নাই, পরে হেঁটে নগর ভবনে এসেছি। এসে দেখি সামনে আন্দোলন আর নগর ভবনের সবজায়গায় তালা দেওয়া, কি সমস্যায় পড়েছি। এভাবে আর কয়দিন থাকবে?
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, এটি আধুনিক এক হুমকি, যা অস্ত্রের চেয়েও ভয়াবহ।শনিবার (২৬ জুলাই) সকালে খুলনার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভার আগে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।সিইসি বলেন, আমাদের প্রধান চ্যালেঞ্জ হচ্ছে জনগণের বিশেষ করে নারী ভোটারদের আস্থা ফিরিয়ে আনা। ভোটারদের কেন্দ্রে নিয়ে আসতে না পারলে নির্বাচন কার্যকর হবে না।তিনি আরও বলেন, সন্ত্রাস দমন ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে নির্বাচন পূর্বকালেই অভিযান চলবে। যাতে কেউ কোনো ধরনের ভীতি দেখিয়ে ভোটের পরিবেশ বিঘ্নিত করতে না পারে।প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমরা রাতের আঁধারে নয়, দিনের আলোতেই সব কার্যক্রম সম্পন্ন করতে চাই। যেন দেশের জনগণ স্বচ্ছভাবে দেখতে পারে, নির্বাচন কতটা নিরপেক্ষভাবে হচ্ছে।তিনি সতর্ক করে বলেন, যদি আমরা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে ব্যর্থ হই, তাহলে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গণতন্ত্র নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।সভায় খুলনা বিভাগের অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিইসি নাসির উদ্দিন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের পদোন্নতি-বদলি তদবিরের লাগাম টানছে সরকার৷ পদোন্নতি বা অন্য কোনো বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে অপ্রয়োজনীয় তদবির থেকে বিরত থাকতে পুলিশ কর্মকর্তাদের জরুরি নির্দেশনাও দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে৷ এতে সই করেছেন উপসচিব মো. মাহবুবুর রহমান।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পুলিশে কর্মরত কতিপয় সদস্য অফিস চলাকালীন সময়ে নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত কর্মস্থল ত্যাগ করে মন্ত্রণালয়ে হাজির হয়ে বিভিন্ন ধরনের তদবির করে থাকেন; যা বর্তমানে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে। তাদের এরূপ তদবিরের কারণে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিব্রত হচ্ছেন এবং দৈনন্দিন সরকারি কাজ ব্যাহত হচ্ছে। তাদের এরূপ কার্যকলাপ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিরুৎসাহিত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, পুলিশ অধিদপ্তর থেকে কতিপয় বিষয়ে কার্যক্রম গ্রহণের ক্ষেত্রে শেষ মুহূর্তে পত্র প্রেরণ করা হয় এবং উক্তপত্রের বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের পূর্বেই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বিভিন্ন উপায়ে যোগাযোগ করে থাকেন। এতে যথাযথ সিদ্ধান্ত গ্রহণে কোনো কোনো সময় জটিলতা তৈরি হয়। অধিকন্তু পুলিশ অধিদপ্তর থেকে প্রেরিত বিভিন্ন পত্রে অসম্পূর্ণ প্রস্তাব লক্ষ্য করা যায়। আবার কিছু ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়কে এড়িয়ে অন্য বিভাগ/মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সরাসরি পত্র যোগাযোগ করা হয়ে থাকে। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় অবহিত না থাকায় পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণে নানা ধরনের বিঘ্ন সৃষ্টি হয়৷ এমতাবস্থায় নিম্নোক্ত জরুরি নির্দেশনাসমূহ যথাযথভাবে প্রতিপালন করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো—ক) নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত কর্মস্থল ত্যাগ করা যাবে না।খ) পদোন্নতি বা অন্য কোনো বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে অপ্রয়োজনীয় তদবির থেকে বিরত থাকতে হবে।গ) যথাসময়ে স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রস্তাব প্রেরণ করতে হবে।ঘ) বহিঃবাংলাদেশ ছুটির ক্ষেত্রে এতদসংশ্লিষ্ট কাগজপত্র যথাযথভাবে যাচাইপূর্বক প্রেরণ করতে হবে।ঙ) চিকিৎসাজনিত বহিঃবাংলাদেশ ছুটির ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ মেডিকেল বোর্ডের প্রত্যয়ন ও চিকিৎসা প্রতিবেদন যাচাইপূর্বক প্রেরণ করতে হবে।চ) আন্তঃমন্ত্রণালয় যোগাযোগ/পত্র প্রেরণের ক্ষেত্রে ‘রুলস অব বিজনেস’ যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।ছ) প্রত্যেক কর্মকর্তা কর্তৃক নিজ নিজ জেমস (GEMS) আইডিতে লগইনপূর্বক তথ্য হালনাগাদ রাখতে হবে।এতে আরও বলা হয়েছে, উপর্যুক্ত নির্দেশনাসমূহ যথাযথভাবে প্রতিপালন এবং এ বিষয়ে সদয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।ভোরের আকাশ/এসএইচ
রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় একের পর এক দুঃসংবাদ পাচ্ছেন দগ্ধদের স্বজনরা। আজ সকালে দগ্ধ আরেক শিক্ষার্থী জারিফের (১৩) মৃত্যু হয়েছে।শনিবার (২৬ জুলাই) সকাল ৯টা ১০ মিনিটে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে।মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান। তিনি জানান, জারিফের শ্বাসনালীসহ শরীরের ৪০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। ক্রিটিকাল অবস্থায় লাইফ সাপোর্টে ছিল সে। নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।তিনি বলেন, এনিয়ে ঘটনাটিতে ইনস্টিটিউটে ১৬ জনের মৃত্যু হলো। এখন ভর্তি আছে ৩৯ জন। যাদের মধ্যে ৪ জন এখনও আইসিইউতে ক্রিটিকাল অবস্থায় আছে।মৃত জারিফের বাবা মো. হাবিবুর রহমান জানান, মাইলস্টোন স্কুলের ৭ম শ্রেণিতে ইংলিশ ভার্সনে পড়ত জারিফ। তাদের বাড়ি রাজবাড়ীর সদর উপজেলার শ্রীপুর এলাকায়। তার ২ ছেলেমেয়ের মধ্যে জারিফ ছিল ছোট।এর আগে, সোমবার (২১ জুলাই) বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর এফ-৭ বিজেআই বিমানটি দুপুর ১টা ৬ মিনিটে উড্ডয়নের ১২ মিনিটের মাথায় ১টা ১৮ মিনিটে উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিধ্বস্ত হয়।ভোরের আকাশ/এসএইচ
জলবায়ু পরিবর্তনের দায়ে এক দেশের বিরুদ্ধে এখন থেকে মামলা করতে পারবে অন্য দেশ। এই যুগান্তকারী রায় দিয়েছে জাতিসংঘের একটি শীর্ষ আদালত। কিন্তু জলবায়ুবিষয়ক রায়কে ঘিরে বাংলাদেশে আশার চেয়ে সংশয়ই বেশি। জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ও পরিবেশ আন্দোলনের নেতারা মনে করছেন, এই রায়ের বাস্তব প্রভাব বাংলাদেশের জন্য খুব একটা সুফল বয়ে আনবে না, বরং বড় দেশগুলোর বিরুদ্ধে মামলা করতে গেলে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতির আশঙ্কাই বেশি।জলাবায়ু বিশেষজ্ঞরা জানান, জাতিসংঘের জলবায়ু তহবিল যে নীতির ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে তা হলো, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ধনী দেশগুলোর দায়িত্ব বেশি। কারণ শিল্প বিপ্লবের পর থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমনের মাধ্যমে বিশ্বকে উষ্ণ করে তোলার ক্ষেত্রে তাদের বড় ভূমিকা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে ঐতিহাসিক কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমন যেকোনো দেশের তুলনায় বেশি। কিন্তু এখন দূষণ সৃষ্টির নিরিখে বিশ্বের বৃহত্তম কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমনকারী দেশ হলো চীন। এভাবে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মতো আরও অনেক বিশ্ব মোড়ল বেশি মাত্রায় কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমনকারী দেশের তালিকায় রয়েছে।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও অপেক্ষাকৃত বেশি কার্বন নির্গমন করা পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে গেলে অনেক ক্ষেত্রেই হিতে বিপরীত হতে পারে। ধনী দেশগুলোর এমন নিষ্পেষণমূলক আচরণের ক্ষেত্রে মামলা-মোকদ্দমা করে আন্তর্জাতিক আদালতে খুব একটা সুবিধা পাওয়া যাবে না। বড় লড়াইয়ে নামলে তারা অপেক্ষাকৃত ছোট ও অনুন্নত দেশগুলোর ওপর নানা ধরনের বাণিজ্যিক, কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপ প্রয়োগ করতে পারে, যা ছোট দেশগুলোর পক্ষে বহন করা কঠিন। এর বদলে বিশ্বের সব দেশকে মিলিত হয়ে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া যুক্তিযুক্ত। আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করা ও পরিচালনা করা সময়সাপেক্ষ ও অর্থসাপেক্ষ একটি প্রক্রিয়া। বড় দেশগুলো এই প্রক্রিয়ায় অভ্যস্ত হলেও ছোট দেশগুলো এ ক্ষেত্রে খুব সুবিধা করতে পারে না।এই ঐতিহাসিক রায়ে আসলে বাংলাদেশের কোনো সুবিধা হবে কিনা বা অসুবিধা হবে কিনা জানতে চাইলে জলবায়ু বিশেষজ্ঞ আইনুন নিশাত বলেন, এর ফলে বাংলাদেশের কোনো পরিবর্তন হবে না। এতে বাংলাদেশের কোনো সুফলও আসবে না। কারণ মামলার যে সিদ্ধান্ত তা বাস্তবায়ন করার পেছনে কোনো শক্তি নেই। ফলে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবে কে? কেউ মামলা করলে অন্য দেশ যদি বলে আমরা এই সিদ্ধান্ত মানি না। তাহলে আর সেটি কার্যকর থাকে না। এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও এটি কোন শক্তি দিয়ে বাস্তবায়ন করা হবে তা আলোচনায় নেই।তিন বলেন, দীর্ঘ দিন ধরেই এই বিষয়ে আলোচনা চলছে কিন্তু এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত এলেও উৎফুল্ল হওয়ার কিছু নেই।ওয়াটার কিপার্স বাংলাদেশের সমন্বয়কারী শরীফ জামিল বলেন, কোনো সরকার যদি মামলা করতো তাহলে তো সে ফসিল-ফুয়েল দিয়ে জ্বালানি উৎপাদনের কাজই করতো না। কোনো দেশের সরকার নিজেই যদি ফসিল-ফুয়েল দিয়ে জ্বালানি উৎপাদনের কাজ করে তাহলে তার পক্ষে মামলা করা সম্ভাবনা কম।তিনি বলেন, এটি একটি নৈতিক বিষয়। ভবিষ্যতে যারা ফসিল-ফুয়েলে বিনিয়োগ করতে চাইবে তাদের জন্য এটি একটি নিরুৎসাহিত করার মতো বিষয় হতে পারে। এটি একটি ভালো দিক।তিনি আরও বলেন, এই মামলা করার সিদ্ধান্তের কারণে ফসিল-ফুয়েল নিয়ে যারা কাজ করছেন তাদেরকে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে ঠিকই কিন্তু সরকারের পলিসির ওপর সবকিছু নির্ভর করছে। সরকার যদি নিজেই ফসিল-ফুয়েল নিয়ে কাজ করতে শুরু করে তাহলে তার পক্ষে তো মামলা করা সম্ভব নয়।এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (এসডো)-এর প্রধান নির্বাহী সিদ্দিকা সুলতানা বলেন, আসলে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ফলে বাংলাদেশের মতো ছোট দেশগুলো তেমন কোনো সুবিধা পাবে না। এশিয়ার দেশগুলো যেমন- বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটানের মতো ছোট দেশগুলো বড় দেশগুলোর বিরুদ্ধে মামলা এমনিতেই করতে পারবে না অর্থনৈতিক কারণেই। তারপরও বড় রাষ্ট্রগুলো ফসিল-ফুয়েল নিয়েই বেশ কাজ করছে। এক্ষেত্রে এই মামলা করার সিদ্ধান্ত খুব বেশি কাজে লাগবে না। তবে মামলা তারা করতেই পারে, তবে সুফল পাবে না। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ইস্যু নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা করলেও নতুন কোনো উদ্যোগ বা পরিবর্তন হচ্ছিল না সে ক্ষেত্রে যে একটি ইতিবাচক সিদ্ধান্ত বলে আমি মনে করি।প্রসঙ্গত, গত ২৩ জুলাই নেদারল্যান্ডসের হেগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত পরামর্শমূলক রায়ে জানিয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী দেশগুলোর বিরুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো আন্তর্জাতিক আইনে আইনি পদক্ষেপ নিতে পারবে। এই রায় বাধ্যতামূলক না হলেও জলবায়ু-ন্যায়ের ক্ষেত্রে এটি যুগান্তকারী নির্দেশনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এই মামলার সূচনা হয়েছিল ভানুয়াতুসহ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের তরুণদের উদ্যোগে। তারা দাবি তুলেছিল, দূষণকারী বড় দেশগুলো ইতিহাসের দায় এড়িয়ে যেতে পারে না। ভানুয়াতুর নেতৃত্বে ১৬টি ঝুঁকিপূর্ণ দেশ জাতিসংঘে এই আদেশের জন্য আবেদন করে এবং ১৩২টি দেশ, যার মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে, এর পক্ষে ভোট দেয়। তবে বাস্তবায়নের কাঠামো না থাকায় এই রায়ের প্রভাব বাংলাদেশসহ ছোট দেশগুলোর জন্য সীমিতই থাকবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।জলবায়ুকর্মী এবং আইনজীবীরা আশা করছেন, এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত সেই দেশগুলোর কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়ের পথ সহজ করবে যারা সবচেয়ে বেশি জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর মাধ্যমে বিশ্ব উষ্ণায়নের জন্য ঐতিহাসিকভাবে দায়ী। বাড়তে থাকা সমস্যা মোকাবিলায় উন্নত দেশগুলো যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা রক্ষায় ব্যর্থ হচ্ছিল তারা। যে হতাশা থেকে অনেক দরিদ্র দেশও এই মামলাটি সমর্থন করেছিল।ভোরের আকাশ/এসএইচ