সংগৃহীত ছবি
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভে সপ্তাহব্যাপী প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ই জুলাই) এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক মো. আবদুল জলিল।
এ কর্মসূচির আওতায় ফিল্ম আর্কাইভের প্রজেকশন হলে ১৫ জুলাই থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের মাঝে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হবে।
সপ্তাহব্যাপী এই প্রদর্শনীর প্রথম দিনে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় নির্মিত 'শ্রাবণ বিদ্রোহ', বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট (বিসিটিআই) প্রযোজিত 'সময়ের বীর শহিদ তানভীর' এবং বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ নির্মিত 'দ্য মনসুন রেভুলেশন' প্রদর্শিত হয়। প্রদর্শনীতে গ্লোবাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ প্রায় ২০০ জন উপস্থিত ছিলেন।
প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনকালে ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক মো. আবদুল জলিল বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনা তরুণ প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে গণঅভ্যুত্থানকেন্দ্রিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ করে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করার জন্য তরুণ প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানান।
ভোরের আকাশ/জাআ
সংশ্লিষ্ট
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের প্রতীক তালিকায় ‘নৌকা’ প্রতীক অন্তর্ভুক্ত রাখার সিদ্ধান্তকে ঘিরে প্রশ্ন তুলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি নির্বাচন কমিশনের এ সিদ্ধান্ত নিয়ে কড়া সমালোচনা করেন।স্ট্যাটাসে আসিফ মাহমুদ লেখেন, “অভিশপ্ত ‘নৌকা’ মার্কাটাকে আপনারা কোন বিবেচনায় আবার শিডিউলভুক্ত করতে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠালেন? সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে এই গণঅভ্যুত্থানকে আপনারা জাস্ট বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখালেন। কাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে এবং কাদেরকে দেওয়ার জন্য এই মার্কা রাখছেন আপনারা?”তিনি আরও লিখেন, “পরাজিতদের স্বপ্নের রিফাইন্ড আওয়ামী লীগকে তাদের মার্কা ফিরিয়ে দিতে চান? বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে নির্বাচন কমিশনের প্রতি প্রশ্ন রইলো।”তার এই মন্তব্য নির্বাচন কমিশনের প্রতীক সংক্রান্ত সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত নিয়ে সামাজিক ও রাজনৈতিক মহলে নতুন করে আলোচনা তৈরি করেছে।ভোরের আকাশ//হ.র
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক অগ্রগতি, প্রশাসনিক কার্যক্রম এবং সাম্প্রতিক উদ্যোগগুলো সম্পর্কে নিয়মিত অবহিতকরণের অংশ হিসেবেই উপাচার্যের এই সাক্ষাৎ বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।সাক্ষাৎকালে উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিতব্য ডাকসু নির্বাচন ও নির্বাচন কমিশনের অগ্রগতি, ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা ব্যবস্থা, শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রমের বর্তমান অবস্থা, উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি এবং শিক্ষার্থীবান্ধব বিভিন্ন পদক্ষেপ সম্পর্কে বিস্তারিত অবহিত করেন প্রধান উপদেষ্টাকে।তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আবাসিক হল ও স্থাপনা নির্মাণসহ একনেকে অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকা বেশ কিছু বৃহৎ প্রকল্পের দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য প্রধান উপদেষ্টার সহযোগিতা কামনা করেন। পাশাপাশি, গবেষণার গতি বাড়াতে সরকারি বরাদ্দ বৃদ্ধির অনুরোধও জানান উপাচার্য।এসময় উপাচার্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন্ন সমাবর্তনে প্রধান উপদেষ্টার উপস্থিতি কামনা করেন।প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা খাতে উন্নয়ন এবং সার্বিক অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে তিনি সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।ভোরের আকাশ//হ.র
বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য মিসরের ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই বলে জানিয়েছে ঢাকায় কায়রোর দূতাবাস।মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) মিসর দূতাবাস এক বার্তায় এই তথ্য জানিয়েছে।মিশর দূতাবাস জানায়, ঢাকার একটি পত্রিকায় ‘উপসাগর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, কেন বাংলাদেশিরা ভিসা অস্বীকারের সম্মুখীন হচ্ছে’- শীর্ষক একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিসা দেওয়া বন্ধ করেছে মিসর। বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য মিসরীয় ভিসা প্রদানের উপর কোনো আনুষ্ঠানিক স্থগিতাদেশ বা নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি। আবেদনকারী এবং সাধারণ জনগণের মধ্যে অপ্রয়োজনীয় বিভ্রান্তি এবং উদ্বেগ সৃষ্টি করতে পারে এমন ভুল তথ্য প্রচার করা ঠিক নয়। যে কোনো জিজ্ঞাসার জন্য দূতাবাসের কনস্যুলার বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করেছে মিসর দূতাবাস। মিশর দূতাবাস +02 2222 93 999 visa.consular.egyembdha@gmail.comভোরের আকাশ/জাআ
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রাথমিক বাছাইয়ে ফেল করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) নিবন্ধন চাওয়া নতুন ১৪৪টি দল। এসব দলকে তাদের আবেদনপত্রে ঘাটতি থাকা কাগজপত্র আগামী ১৫ দিনের মধ্যে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসি। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।ইসি জানায়, প্রাথমিকভাবে যাচাই করে দেখা গেছে, কোনো দলেরই জমা দেওয়া আবেদনপত্র পুরোপুরি মানসম্পন্ন নয়। প্রথম ধাপে ৬২টি দলকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে চিঠি পাঠানো হবে বাকি ৮২টি দলকে। সংশোধনের সুযোগ থাকলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঘাটতি পূরণ না হলে আবেদন বাতিল হতে পারে।এর আগে, গত ২০ এপ্রিল পর্যন্ত নিবন্ধনের জন্য আগ্রহী দলগুলোকে আবেদন করতে গণবিজ্ঞপ্তি দেয় ইসি। পরবর্তীতে সময়সীমা বাড়িয়ে ২২ জুন পর্যন্ত করা হয়। এ সময়ের মধ্যে মোট ১৪৪টি দল নিবন্ধনের আবেদন করে। বর্তমানে দেশে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৫০টি।ভোরের আকাশ/জাআ