‘বাংলাদেশের পরবর্তী টেস্ট অধিনায়কত্ব নিয়ে আমি প্রস্তুত’ — তাইজুল ইসলাম
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শেষে আচমকা অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ান নাজমুল হোসেন শান্ত। এর ফলে টেস্ট দলে নতুন অধিনায়কের খোঁজ চলছে, যদিও এখনো বিসিবি কোনো ঘোষণা দেয়নি। এই জল্পনার মধ্যে নিজের ইচ্ছার কথা স্পষ্ট করেছেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম।
ক্রীড়াভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তাইজুল বলেন, “অধিনায়ক যখন নিজের জায়গা ছেড়ে দেয়, তখন সেটাকে সম্মান করে তার কথাকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। অধিনায়ক যে দায়িত্বে থাকে, তার ওপর দল বিশ্বাস স্থাপন করে ভালো খেলে। আমার অভিজ্ঞতা ও দক্ষতায় কোনো কমতি নেই। তবে এটা বলব না যে, আমি অধিনায়ক হওয়ার জন্য তীব্র আগ্রহী।”
তিনি আরও যোগ করেন, “অধিনায়ক হওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ টিম ম্যানেজমেন্টের হাতে। তারা ঠিক করবে আমি এই দায়িত্বে থাকব কিনা। যদি সুযোগ আসে, আমি অবশ্যই তা গ্রহণ করব। টেস্ট অধিনায়কত্ব মানে শুধু দায়িত্ব নয়, এটা একটি ভিশন থাকা দরকার, দলের ভবিষ্যত লক্ষ্য নির্ধারণ করা জরুরি।”
তাইজুল বলেন, “অভিজ্ঞতা এবং বয়সও গুরুত্বপূর্ণ। ২০২১ সালের আগে আমি তেমন সুযোগ পাইনি বিদেশে টেস্ট খেলার। এখন অভিজ্ঞতা বাড়ছে, এবং আমার পারফরম্যান্সও উন্নতির পথে। নতুন খেলোয়াড়দেরও সময় দেওয়া দরকার, যাতে তারা দলকে শক্তিশালী করতে পারে।”
পরিসংখ্যান মতে, শান্ত দেশের সবচেয়ে সফল টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে বিবেচিত, ১৪ ম্যাচে ৪ জয়সহ ২৮.৫৭ শতাংশ সাফল্য হার রয়েছে তার। অন্যদিকে সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের অধীনে দলের সাফল্য কিছুটা কম।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বর্তমানে তিন ফরম্যাটে আলাদা আলাদা অধিনায়ক নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনায় রয়েছে। ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে ইতোমধ্যে দায়িত্ব পেয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ, যাকে টেস্ট নেতৃত্বও দেয়া হতে পারে বলে খবর আসছে।
তাইজুলের নিয়মিত ও ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের কারণে তাকে টেস্ট দলে নেতৃত্বের সম্ভাব্য অপশনে রাখা হয়েছে, যা আগামী দিনে বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটের জন্য নতুন দিগন্ত খুলতে পারে।
ভোরের আকাশ//হ.র
সংশ্লিষ্ট
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শেষে আচমকা অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ান নাজমুল হোসেন শান্ত। এর ফলে টেস্ট দলে নতুন অধিনায়কের খোঁজ চলছে, যদিও এখনো বিসিবি কোনো ঘোষণা দেয়নি। এই জল্পনার মধ্যে নিজের ইচ্ছার কথা স্পষ্ট করেছেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম।ক্রীড়াভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তাইজুল বলেন, “অধিনায়ক যখন নিজের জায়গা ছেড়ে দেয়, তখন সেটাকে সম্মান করে তার কথাকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। অধিনায়ক যে দায়িত্বে থাকে, তার ওপর দল বিশ্বাস স্থাপন করে ভালো খেলে। আমার অভিজ্ঞতা ও দক্ষতায় কোনো কমতি নেই। তবে এটা বলব না যে, আমি অধিনায়ক হওয়ার জন্য তীব্র আগ্রহী।”তিনি আরও যোগ করেন, “অধিনায়ক হওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ টিম ম্যানেজমেন্টের হাতে। তারা ঠিক করবে আমি এই দায়িত্বে থাকব কিনা। যদি সুযোগ আসে, আমি অবশ্যই তা গ্রহণ করব। টেস্ট অধিনায়কত্ব মানে শুধু দায়িত্ব নয়, এটা একটি ভিশন থাকা দরকার, দলের ভবিষ্যত লক্ষ্য নির্ধারণ করা জরুরি।”তাইজুল বলেন, “অভিজ্ঞতা এবং বয়সও গুরুত্বপূর্ণ। ২০২১ সালের আগে আমি তেমন সুযোগ পাইনি বিদেশে টেস্ট খেলার। এখন অভিজ্ঞতা বাড়ছে, এবং আমার পারফরম্যান্সও উন্নতির পথে। নতুন খেলোয়াড়দেরও সময় দেওয়া দরকার, যাতে তারা দলকে শক্তিশালী করতে পারে।”পরিসংখ্যান মতে, শান্ত দেশের সবচেয়ে সফল টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে বিবেচিত, ১৪ ম্যাচে ৪ জয়সহ ২৮.৫৭ শতাংশ সাফল্য হার রয়েছে তার। অন্যদিকে সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের অধীনে দলের সাফল্য কিছুটা কম।বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বর্তমানে তিন ফরম্যাটে আলাদা আলাদা অধিনায়ক নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনায় রয়েছে। ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে ইতোমধ্যে দায়িত্ব পেয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ, যাকে টেস্ট নেতৃত্বও দেয়া হতে পারে বলে খবর আসছে।তাইজুলের নিয়মিত ও ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের কারণে তাকে টেস্ট দলে নেতৃত্বের সম্ভাব্য অপশনে রাখা হয়েছে, যা আগামী দিনে বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটের জন্য নতুন দিগন্ত খুলতে পারে।ভোরের আকাশ//হ.র
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট মনে করেন, সাকিব আল হাসানের উপস্থিতি দলে নতুন প্রাণ সঞ্চার করবে। দীর্ঘদিন জাতীয় দলে অনুপস্থিত থাকার পরও সাম্প্রতিক বাজে পারফরম্যান্সের কারণে সাকিবকে দলে ফিরিয়ে আনার দাবি জোরালো হচ্ছে।সোমবার এক অনুষ্ঠানে পাইলট বলেন, “যদি রাজনৈতিক জটিলতা দূর করা যায়, তাহলে সাকিবের বিকল্প এখনও আমাদের দলে নেই। একজন মাল্টিস্কিল অলরাউন্ডার হিসেবে সাকিব দলের জন্য অপরিহার্য। তার চার ওভার বোলিং প্রতিপক্ষের জন্য চাপের কারণ হয়, পাশাপাশি ব্যাট হাতে দলের ইনিংস সামলাতে পারেন। জিএসএল-এ তার পারফরম্যান্সই প্রমাণ করে সে কতটা প্রয়োজনীয়।”তিনি আরও বলেন, “দলে লিডারশিপের অভাব আছে। একজন সিনিয়র প্লেয়ার থাকলে বাকিরা তার নেতৃত্বে কাজ করবে। যেমন মাশরাফি অধিনায়ক থাকাকালে তামিম, সাকিব, মাহমুদউল্লাহ সবাই তার জুনিয়র ছিল। সাকিব ফিরে এলে দলের চেহারা সম্পূর্ণ বদলে যাবে।”সাকিবের বিকল্প হিসেবে সম্ভাব্য অলরাউন্ডার নিয়ে পাইলট বলেন, “আমাদের অনেক ভালো অলরাউন্ডার আছে, যেমন রিশাদ হোসেন, তানজিম হাসান, শরিফুল ইসলাম। কিন্তু আমরা তাদের যথাযথভাবে ব্যবহার করছি না। শরিফুলকে আমি একবার ১ ওভারে ১৮ রান দিতে দেখেছি, অথচ এখনও ১০ নাম্বারে ব্যাট করছেন। অনেক দেশের মতো আমাদেরও পিছনের ব্যাটারদের অলরাউন্ডার হিসেবে গড়ে তোলার প্রয়োজন।”তিনি যোগ করেন, “রিশাদকে কি কখনো ৪-৫ নাম্বারে ব্যাট করার চিন্তা করা হয়েছে? তানজিমকে বেন স্টোকসের মতো অলরাউন্ডার হিসেবে দেখতে পারি। প্লেয়াররা ভালো, কিন্তু ম্যানেজমেন্ট ও কোচদের দায়িত্ব রয়েছে তাদের সঠিক ব্যবহার ও বিকাশে।”এভাবে দলে সঠিক নেতৃত্ব ও গঠন পেলে আগামীতে টাইগারদের পারফরম্যান্সে বড় ধরনের উন্নতি আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন খালেদ মাসুদ পাইলট।ভোরের আকাশ//হ.র
ভুটানকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে সাফ অনুর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে হ্যাটট্রিক জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। হ্যাটট্রিক জয়ে হ্যাটট্রিক করেছেন শান্তি। অন্য গোলটি করেছেন বদলি নামা মুনকি। শান্তির হ্যাটট্রিকটি এবারের আসরের তৃতীয়।আর বাংলাদেশের দ্বিতীয়। বাংলাদেশের হয়ে প্রথম হ্যাটট্রিক করেন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মোসাম্মৎ সাগরিকা।ঝির ঝির বৃষ্টিতে কিংস অ্যারেনায় খেলতে নেমে ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। তবে ভুটানের গোলরক্ষককে পেমা ইয়াংজম একা পেয়েও পরাস্ত করতে পারেননি তৃষ্ণা রানী।নেপাল ম্যাচের জয়ের নায়ক গোল করতে না পারলেও শান্তি মার্ডি ঠিকই পেরেছেন। ডান প্রান্ত থেকে উমেলা মারমার পাস ধরে শুরুতে শট নেন তৃষ্ণা। তার শট ভুটানের গোলরক্ষক প্রতিহত করলে দ্বিতীয় সুযোগ পান শান্তি।শান্তির নেওয়া প্রথম শটও প্রতিপক্ষের এক ডিফেন্ডারের শরীরে বাধা প্রাপ্ত হয়েছিল। তবে ফিরতি সুযোগে বাঁ পায়ের শটে ঠিকই জাল খুঁজে নেন শান্তি। ১৯ মিনিটে গোল শোধ দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিল ভুটান।বাঁ প্রান্তে যখন খেলদেন ওয়াংমো বল পেলেন তখন তার সামনে শুধুই বাংলাদেশের গোলরক্ষক মিলি আক্তার। ভুটানের ফরোয়ার্ড শটটা নিলেনও বটে কিন্তু তা গোলরক্ষকের সামনে গিয়ে আটকে যায়। বৃষ্টির পানিতে আটকে যাওয়ায় বল তালুবন্দি করতে কোনো সমস্যা হয়নি মিলির। পরে আর কোনো গোল না হলে বিরতিতে যায় দুই দল।বৃষ্টির মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় কিংস অ্যারেনার পরিবর্তে প্র্যাকটিস গ্রাউন্ডে দ্বিতীয়ার্ধের খেলা হয়। নতুন মাঠে খেলতে নেমে লিডটা বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। ৫৩ মিনিটে ভুটানকে সমতায় ফেরান সানগে ওয়াংমো। বাংলাদেশের রক্ষণভাগের ভুলে শুরুতে শট নিয়েছিলেন কেলদেন। তার নেওয়া শট বাংলাদেশের এক ডিফেন্ডার গোলমুখ থেকে হেডে ক্লিয়ার করেন। তবে ফিরতি সুযোগে ওয়াংমো ঠিকই ভুটানকে সমতায় ফেরান।গোল হজম করে বাংলাদেশ আবার এগিয়ে যেতে মরিয়া হয়ে ওঠে। সেই সুযোগটাও আসে ৬৭ মিনিটে পাওয়া কর্নারে। রুমা আক্তারে নেওয়া কর্নার থেকে বাংলাদেশকে দ্বিতীয়বার এগিয়ে দেন শান্তি। হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন ৭৯ মিনিটে।শান্তির হ্যাটট্রিকের আগে একক নৈপুণ্যে অসাধারণ এক গোল করেন মুনকি। ৭৬ মিনিটে মাঝ মাঠে বল পেয়ে এক এক করে তিনজনকে কাটিয়ে বাঁ প্রান্ত থেকে ডান পায়ের দারুণ প্লেসিংয়ে ভুটানের গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন বদলি নামা মুনকি।ভোরের আকাশ/জাআ
ইংল্যান্ড সফরে অসাধারণ ফর্মে আছেন ভারতীয় উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান ঋষভ পান্ত। চলমান লর্ডস টেস্টের প্রথম ইনিংসে তিনি করেছেন ফিফটি, পাশাপাশি গড়েছেন নতুন এক রেকর্ড।লর্ডস টেস্টের তৃতীয় দিন শনিবার লাঞ্চের আগে ১১২ বলে ৭৪ রান করার সময় বেন স্টোকসের সরাসরি থ্রোতে রান আউট হন পান্ত। তার ইনিংসে ছিল ৮টি চার ও ২টি ছক্কা। এই দুই ছক্কায় পান্ত ভারতের হয়ে টেস্টে সর্বোচ্চ ছক্কার তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠেছেন, যেখানে তিনি রয়েছেন রোহিত শর্মার পাশে।রোহিত শর্মা তার ক্যারিয়ারে ১১৬ ইনিংসে মোট ৮৮ ছক্কা মারেন, আর পান্ত মাত্র ৮০ ইনিংসে তা স্পর্শ করেছেন। তালিকায় শীর্ষে আছেন বীরেন্দর শেবাগ, যিনি ১৮০ ইনিংসে ৯১টি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন। তবে পান্তের সামনে এখনও অনেক ম্যাচ রয়েছে, তাই এই রেকর্ড ভাঙারও সম্ভাবনা উজ্জ্বল।বিশেষ করে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পান্তের ছক্কার পরিমাণই নজরকাড়া। মাত্র ১৫ টেস্টেই তিনি ৩৬টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন, যা ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বোচ্চ রেকর্ড এবং সেখানে তিনি ছাপিয়ে গেছেন লিজেন্ড ভিভ রিচার্ডসকেও।পান্তের এই ধারাবাহিক পারফরম্যান্স ভারতীয় ক্রিকেট দলের জন্য বড় পাওয়া হিসেবে দেখা হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে আরও অনেক রেকর্ড গড়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল।ভোরের আকাশ//হ.র