× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের অপেক্ষায় স্থানীয় সরকার বিভাগ

ভোরের আকাশ প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৮ মে ২০২৫ ০৯:৪৭ এএম

আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের অপেক্ষায় স্থানীয় সরকার বিভাগ

আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের অপেক্ষায় স্থানীয় সরকার বিভাগ

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত এখনও পায়নি স্থানীয় সরকার বিভাগ। মতামত কখন জানানো হবে, সেটিও স্পষ্ট করে বলতে পারছে না আইন মন্ত্রণালয়।

গত ১৫ মে বৃহস্পতিবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ২০২০ সালের মেয়র নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী ইশরাক হোসেনের দায়ের করা নির্বাচনি মামলার রায় ও নির্বাচন কমিশনের আপিল দায়ের না করা বিষয়ে কোনো আইনি জটিলতা আছে কি না, জানতে চেয়ে আইন ও বিচার বিভাগে চিঠি পাঠায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। চিঠিতে বলা হয়, ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে বিচারিক আদালতের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন আপিল না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন ২০০৯-এর ধারা ৬ অনুযায়ী পরবর্তী প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণে কোনো আইনি জটিলতা আছে কি না, সেটি জানতে চাওয়া হয় ওই চিঠিতে।

স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্ম সচিব মাহবুবা আইরিনের সই করা ‘মতামত প্রদানসংক্রান্ত’ শিরোনামে চিঠিটিতে আরও বলা হয়, নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালে নির্বাচন কমিশনকে বিবাদী করে মামলা হলেও তাতে কমিশন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেনি। মামলায় একতরফা রায় হয়েছে। আবার মামলার আরজি সংশোধনীর বিষয়ে হাইকোর্টের রায় আমলে না নিয়ে নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালে রায় হয়। এ রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন হয়েছে। অথচ বরিশাল সিটি করপোরেশনের পরাজিত মেয়র প্রার্থীর একই ধরনের আবেদন নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালে খারিজ হয়েছে। আবার সিটি করপোরেশনে নির্বাচনে প্রার্থীদের মেয়াদকাল সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে আইনগত বাধা রয়েছে কি না, সে বিষয়েও মতামত চেয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।

গতকাল শনিবার এ বিষয়ে যুগ্ম সচিব মাহবুবা আইরিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আইন ও বিচার বিভাগের মতামত এখন পর্যন্তও তাদের কাছে পৌঁছায়নি। স্থানীয় সরকার বিভাগ এই মতামতের পেলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে। গতকাল বিকেলে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব শেখ আবু তাহেরের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের চিঠির জবাব এখনো আসেনি।

এর আগে আইন ও বিচার বিভাগের আরেকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে এ নিয়ে আলাপ করলে তিনি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বিষয়টি অনেক দিক থেকেই জটিল। ইশরাককে এখন মেয়র নিয়োগ করা হলে তার মেয়াদ কতদিন হবে। তার কি নিয়োগ পাওয়ার সময় আছে কি না এবং নির্বাচন কমিশন গেজেট প্রকাশের পর আইন মন্ত্রণালয়ের আর মতামত দেওয়ার সুযোগ আছে কি না, সেটিও এখন পর্যালোচনা করতে হচ্ছে।  

২০২০ সালে ১ ফেব্রুয়ারি ডিএসসিসি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ফজলে নূর তাপস ৪ লাখ ২৪ হাজার ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। তার বিপরীতে বিএনপির প্রার্থী ইশরাক হোসেন পেয়েছিলেন ২ লাখ ৩৬ হাজার ভোট। ওই নির্বাচনে অনিয়ম কারচুপির অভিযোগও ছিল বিস্তর। এরপর গত ২৭ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ে শপথ নেন তিনি। আর মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণ করে ২০২০ সালের ১৬ মে।

চলতি বছরের গত ২৭ মার্চ ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম ২০২০ সালের পহেলা ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি নির্বাচনের ফল বাতিল করে বিএনপি দলীয় মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেনকে বিজয়ী ঘোষণা করে রায় দেন। একইসঙ্গে ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপসকে মেয়র হিসেবে অবৈধ ঘোষণা করে সরকারের গেজেট বাতিল করেন আদালত।

এরপর ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশের বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ চেয়ে গত ২২ এপ্রিল চিঠি দেয় নির্বাচন কমিশন(ইসি)। কিন্তু আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত আসার আগেই ইশরাককে মেয়র হিসেবে গেজেট প্রকাশ করেন ইসি।

ভোরের আকাশ/এসএইচ

  • শেয়ার করুন-
 আড়িয়াল খাঁয় ট্রলারডুবিতে নিখোঁজ চালকের লাশ উদ্ধার

আড়িয়াল খাঁয় ট্রলারডুবিতে নিখোঁজ চালকের লাশ উদ্ধার

সংশ্লিষ্ট

জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা কমিশনের একার দায়িত্ব নয়: আলী রীয়াজ

জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা কমিশনের একার দায়িত্ব নয়: আলী রীয়াজ

শব্দ দূষণে বধির হওয়ার ঝুঁকিতে দেড় কোটি মানুষ

শব্দ দূষণে বধির হওয়ার ঝুঁকিতে দেড় কোটি মানুষ

বাসযোগ্য নগর গড়তে রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতিতে সংলাপ

বাসযোগ্য নগর গড়তে রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতিতে সংলাপ

আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের অপেক্ষায় স্থানীয় সরকার বিভাগ

আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের অপেক্ষায় স্থানীয় সরকার বিভাগ