সিলেট ব্যুরো
প্রকাশ : ২০ মে ২০২৫ ১০:১৩ এএম
ইশরাককে দ্রুত শপথ না পড়ালে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি সালাহউদ্দিনের
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, অল্পসময়ের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আদালত ঘোষিত ইশরাক হোসেনকে শপথ গ্রহণ করানোর ব্যবস্থা হোক। তা নাহলে ঢাকার চলামান আন্দোলনকে কেন্দ্র করে হয়তো আরও বৃহত্তর আন্দোলন হতে পারে। সোমবার বিকালে তিনি সিলেট নগরীর শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে সিলেট বিভাগে বিএনপির নতুন সদস্য সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ঢাকার রাজপথে নগরভবনে আজকে কয়েকদিন যাবত জনগণ ঘেরাও করে রেখেছে। আল্টিমেটাম দিয়েছে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টাকে। আদালতের রায়ে যিনি মেয়র হয়েছেন। নির্বাচন কমিশন যার নামে গেজেট প্রকাশ করেছে আদালতের রায় মেনে তাকে আপনারা শপথ গ্রহণ করাবেন না। বিভিন্ন রকমের কলাকৌশল করছেন। তাহলে কি এটা আইনের শাসন হলো?
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, এই সংস্কারের ফল আমাদের পেতে হলে একটি নির্বাচিত সংসদের বিকল্প নেই। আমরা নির্বাচনের কথা বললে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার খুব নারাজ হয়। বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন দাবি করবে না? তো কী দাবি করবে? কিছু কিছু উপদেষ্টা বলছেন তারা নাকি জনগণের দ্বারা নির্বাচিত। গণঅভ্যুত্থান নাকি তাদের নির্বাচিত করেছে। তারা যদি সেভাবে নির্বাচিত হয়ে যায় বাংলাদেশে নির্বাচন ব্যবস্থা কেন আছে? নির্বাচন কমিশনের কাজ কী?
এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আপনারা অত্যন্ত অগণতান্ত্রিক পন্থায় হাঁটছেন। আপনারা কথা বলছেন গণতন্ত্রের বিপরীত ভাষায়। আপনারা কাজ করছেন আইনের শাসনের বিরুদ্ধে।
সালাহউদ্দিন আহমদ আরও বলেন, বিএনপি থাকলে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব থাকবে, বিএনপি দুর্বল হলে বাংলাদেশ দুর্বল হবে। বিএনপির জন্ম না হলে দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তন হত না। বিএনপি সুসংগঠিত না থাকলে দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হত না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি চালু হতো না। তাই বিএনপি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের পাহারাদার।
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) জি কে গউছের সভাপতিত্বে ও সহসাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ্ সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির কোষাধ্যক্ষ এম. রাসেদুজ্জামান মিল্লাত।
সম্মানিত অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. এনামুল হক চৌধুরী, আরিফুল হক চৌধুরী ও এম.এ মালিক, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক এমপি কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহসমবায়-বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক এমপি শাম্মী আক্তার।
সভায় সূচনা বক্তব্য দেন- বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য (দপ্তরে দায়িত্বে) তারিকুল আলম তেনজিন, স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি এম. নাসের রহমান, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান চৌধুরী, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি শেখ সুজাত মিয়া, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমদ, সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি আহ্বায়ক ফজলুল করিম ময়ুন, হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান।
ভোরের আকাশ/এসএইচ