পিনাকী ভট্টাচার্যসহ কয়েকজনকে ধন্যবাদ জানালেন জামায়াত আমির
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সভামঞ্চে অসুস্থ হয়ে পড়ার পর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেওয়ায় বিভিন্ন ব্যক্তি ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তিনি। রোববার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ ধন্যবাদ জানান।
পেজের অ্যাডমিনের পক্ষ থেকে দেওয়া পোস্টে জানানো হয়, ডা. শফিকুর রহমানের অসুস্থতার খবর শুনে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, আমার দেশ পত্রিকার সাবেক সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার, মেক্সিকোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী, ফ্রান্সপ্রবাসী চিকিৎসক, লেখক ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য, আল-জাজিরার অনুসন্ধানী ইউনিটের সদস্য সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের এবং অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ও সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন তার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন।
এছাড়া ‘ফেস দ্য পিপল’-এর স্বত্বাধিকারী সাইফুর সাগরসহ আরও অনেকে জামায়াত আমিরের বাসায় গিয়ে দেখা করেন এবং সমবেদনা জানান।
পোস্টে বলা হয়, “দেশপ্রেমিক এই মানুষদের প্রতি আমিরে জামায়াত আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছেন।”
এর আগে আরেকটি পোস্টে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ধন্যবাদ জানান জামায়াত আমির। তিনি লেখেন, “গতকাল সভামঞ্চে অসুস্থ হয়ে পড়ার পর প্রধান উপদেষ্টা আমার খোঁজখবর নিয়েছেন এবং তার প্রেস সচিবকে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। তার এই সহমর্মিতা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। মহান আল্লাহ তাকে উত্তম জাযা দান করুন।”
অসুস্থতার পরবর্তীতে নিজের শারীরিক অবস্থার অগ্রগতি সম্পর্কে ফেসবুকে আরেক পোস্টে ডা. শফিকুর রহমান লেখেন, “আলহামদুলিল্লাহ, এখন অনেকটাই সুস্থ আছি। হাসপাতালের প্রয়োজনীয় পরীক্ষার পর বর্তমানে বাসায় বিশ্রামে আছি।”
তিনি আরও বলেন, “আমার এই সাময়িক অসুস্থতার কারণে আজকের সমাবেশে যে বিঘ্ন ঘটেছে, তার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। এটি ইচ্ছাকৃত নয়। মহান আল্লাহ নিশ্চয়ই এর মধ্যে কোনো কল্যাণ রেখেছেন।”
ভোরের আকাশ//হ.র
সংশ্লিষ্ট
আগামী নির্বাচনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেউ জিততে পারবেন না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে এমন কোনো নির্বাচনী এলাকা নেই, এনসিপির কেউ জয়লাভ করবেন। তাই তারা পিআর পদ্ধতির নামে নির্বাচন পেছানোর চক্রান্ত করছেন।রোববার (২০ জুলাই) সন্ধ্যায় রাজধানীর নয়াবাজারে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কটূক্তি, এবং অন্তর্বর্তী সরকারের নির্লিপ্ততায় সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির প্রতিবাদে আয়োজিত এক মশাল মিছিলপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।ইশরাক হোসেন তার বক্তব্যে জুলাই শহিদদের আত্মত্যাগ নিয়ে বলেন, জুলাই শহিদদের আত্মা আজ কষ্ট পাচ্ছে। কারণ, শহিদরা কেউ জানত না তাদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে কারও মাঝে ক্ষমতার লোভ জাগবে।তিনি বাক স্বাধীনতা প্রসঙ্গে বলেন, প্রতিটি মানুষের বাক স্বাধীনতা আছে, তার মানে এই নয় যে আরেকজনের স্বাধীনতা হরণ করবেন, সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করবেন। এনসিপি আজকে যেভাবে শিষ্টাচার বহির্ভূত কথা বলছে সেটিকে গণতন্ত্র বলে না। কক্সবাজারে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমেদ সম্পর্কে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী যে শিষ্টাচার বহির্ভূত কথা বলেছেন, তার জন্য তাকে ক্ষমা চাইতেই হবে। নতুবা চকরিয়ার মতো সারাদেশে জনগণ তাদের অবাঞ্ছিত করবে।বিএনপির এই নেতা বলেন, আজকে দেশে কিছু হলেই এনসিপি-জামায়াত বিএনপির দিকে আঙুল তাক করে। তারা ভালো করেই জানে দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে বিএনপি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবে। তাই একেক সময় একেক অযৌক্তিক দাবি জানিয়ে নির্বাচন পেছানোর পাঁয়তারা করছে।ইশরাক হোসেন সাম্প্রতিক সহিংসতা নিয়েও কথা বলেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, গোপালগঞ্জে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলায় বিএনপির ৩ জন নিহত হল। তখন কেন এত প্রতিবাদ হল না, রাষ্ট্রযন্ত্র কেন নিশ্চুপ ছিল। এনসিপির সমাবেশকে ঘিরে যে পাঁচটি জীবন গেল তার দায়ভার কে নেবে?তিনি কুমিল্লার মুরাদনগরের ঘটনা উল্লেখ করে বলেন, মুরাদনগরে উপদেষ্টা আসিফ কী করছেন তা সবাই অবগত। একের পর খুন হচ্ছে। হত্যা হলেই যাচাই-বাছাই না করেই বিএনপির ওপর দোষ চাপানো হয়। আর যখন দেখে এখানে নতুন একটি দলের সম্পৃক্ততা রয়েছে তখন মিডিয়াও নিশ্চুপ হয়ে যায়। মুরাদনগরে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর এখন যত নির্যাতন চলছে তা আওয়ামী লীগ আমলেও হয়নি।ভোরের আকাশ/এসএইচ
আগামী জাতীয় নির্বাচনে কোন পদ্ধতি প্রয়োগ করা হবে তা নিয়ে বিরোধ চলছে দেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে পরস্পরবিপরীত অবস্থানে রাজনৈতিক দল দু’টি। চলমান পদ্ধতি ফার্স্ট পাস্ট দ্য পোস্টের পক্ষে রয়েছে বিএনপি ও তাদের যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গী দলগুলোসহ একাধিক দল। যদি কেউ পিআর পদ্ধতি চালু করতে চায়, জাতির সামনে এসে নিজেদের রাজনৈতিক প্রস্তাব তুলে ধরুক, নির্বাচন করুক, জয়লাভ করুক; তারপর পিআর আনুক। কিন্তু বিএনপির ঘাড়ে চেপে কিংবা রাষ্ট্রের ঘাড়ে চাপিয়ে কিছু আদায় করা যাবে না। জাতি এসব ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে বলেও কঠোর হুঁশিয়ারি দেন বিএনপি। এ পদ্ধতির বিরোধীতা করে জামায়াতসহ বেশ কয়েকটি ইসলামী রাজনৈতিক দল পার্টি লিস্ট প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচনের জোড় দাবি জানাচ্ছে।গত শনিবার রাজধানীতে অনুষ্ঠিত জামায়াতের ইসলামীর জাতীয় সমাবেশ থেকে সরকারের উদ্দেশ্য কঠোর বার্তা দেন দলটির শীর্ষ নেতারা, পিআর পদ্ধতি না হলে বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না। কিন্তু বিএনপি বলেছে, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন সম্ভব নয়। এ পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে সংসদে হবে অনৈক্য। সরকার হবে দুর্বল এবং উদ্ভূত সরকারে পতন ঘটবে। ছোট ছোট দলগুলোর নানা চাহিদা তৈরি হবে। ফলে বাংলাদেশের বিশৃঙ্খল রাজনীতি আরও বেশি বিশৃঙ্খল হয়ে উঠবে। এতে বাংলাদেশ আরও সংকটে পড়ে যাবে বলে কঠোর বিরোধিতা করে আসছে বিএনপি তাদের যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গী দলগুলোসহ একাধিক দল।পক্ষান্তরে জামায়াতে ইসলামী, খেলাফত মজলিস, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, এবি পার্টিসহ বেশকিছু রাজনৈতিক দলের এই পদ্ধতির পক্ষে দৃঢ় অবস্থান রয়েছে। ফলে পিআর পদ্ধতি নিয়ে রাজনীতির মাঠে ছড়াচ্ছে ব্যাপক উত্তাপ। কোনোভাবেই পিআর পদ্ধতি বাস্তবায়ন করতে দেয়া হবে না সাফ জানিয়েছে বিএনপি। দীর্ঘ সময়ে রাজনৈতিক মাঠে স্বৈরাচার হাসিনা সরকারবিরোধী আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ থাকলেও এ পদ্ধতি নিয়ে বিএনপি-জামায়াত পরস্পর বিপরীত মুখী।এদিকে, বাংলাদেশে এই মুহূর্তে জাতীয় সংসদ নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতে করাটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন দেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষকসহ বিশিষ্টজনরা। তাদের মতে, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনটা কতটুকু গণতান্ত্রিক হবে, সেটিই বড় জিনিস। পিআর পদ্ধতি বিশ্বের প্রায় ৮০টি দেশে পরিচালিত হয়। তবে, আমাদের দেশে একটা নির্বাচনকে সামনে রেখে হঠাৎ করে পিআর পদ্ধতিতে যাওয়াটা খুব সহজ হবে না।রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা জানান, পিআর পদ্ধতির বাস্তবায়ন চ্যালেঞ্জ। সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রীয় রাজনৈতিক ব্যবস্থায় পিআর পদ্ধতির প্রয়োগ করা হয়। সেখানে এককেন্দ্রিক ব্যবস্থায় এটির প্রযোগ হয়। আমরা তো সেই পদ্ধতিতে নেই। আমাদের আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলও নেই। সুতরাং এখানে ব্যাপক প্রতিনিধিত্বের জন্য আনুপাতিক নির্বাচনের প্রয়োজন নেই। সেই কারণে আনুপাতিক নির্বাচনের যে ন্যায্যতা, সেটি খুব বেশি আমাদের দেশে টেকে না। রাজনৈতিক দলগুলোর প্রার্থীর বাইরে বাংলাদেশে স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন অনেকে। পিআর পদ্ধতিতে স্বতন্ত্রপ্রার্থীদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ খুবই কম।এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রীয় রাজনৈতিক ব্যবস্থায় পিআর পদ্ধতির প্রয়োগ হয়। সেখানে এককেন্দ্রিক ব্যবস্থায় এটির প্রয়োগ হয়। আমাদের দেশে তো সেই পদ্ধতিতে নেই। আমাদের আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলও নেই। সুতরাং এখানে ব্যাপক প্রতিনিধিত্বের জন্য আনুপাতিক নির্বাচনের প্রয়োজন নেই। সেই কারণে আনুপাতিক নির্বাচনের যে ন্যায্যতা, সেটি খুব বেশি আমাদের দেশে টেকে না।তিনি আরও বলেন, সব দল মনে করলে এটি চালু করতে পারে। কিন্তু এটি যারা চাচ্ছে তারা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিত্ব থাকতে হবে এ চিন্তা করে, তাহলে ঠিক হবে না। কারণ, আমরা তো রাজনৈতিক দলের অংশ চাই না, চাই ভোটারদের অংশ কিংবা প্রতিনিধিত্ব। পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে কোনো দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না। তখন সরকার গঠনের জন্য ছোট ছোট দলগুলোর সমর্থনের ওপর নির্ভর করতে হবে। তখন সংসদে থাকবে অনৈক্য। সরকারগুলো হবে দুর্বল এবং উদ্ভূত সরকারে পতন ঘটবে। এছাড়া, ছোট দলগুলোর নানা চাহিদা তৈরি হবে। ফলে বাংলাদেশের বিশৃঙ্খল রাজনীতি আরও বেশি বিশৃঙ্খল হয়ে উঠবে। এতে বাংলাদেশ আরও সংকটে পড়ে যাবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।এ বিষয়ে নির্বাচন বিশ্লেষক অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ বলেন, এটিতে (পিআর) কোনো দল লাভবান হবে আর কোনো দল ক্ষতিগ্রস্ত হবে সেটি বড় বিষয় নয়। নির্বাচনটা কতটুকু গণতান্ত্রিক হবে, সেটিই বড় জিনিস। আমাদের দেশে একটা নির্বাচনকে সামনে রেখে হঠাৎ করে পিআর পদ্ধতিতে যাওয়াটা খুব সহজ হবে না।পিআর পদ্ধতিতে জটিল কিছু বিষয় আছে উল্লেখ করে এই নির্বাচন বিশ্লেষক বলেন, এটি আগে বুঝতে হবে। বিভিন্ন দেশে পরিচালিত এই পদ্ধতির ওপর গবেষণা করতে হবে। এরপর কোনটা আমাদের জন্য উপযুক্ত, সেটি বের করতে হবে। তাই বাংলাদেশে এই মুহূর্তে জাতীয় সংসদ নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতে করাটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হবে বলেও মনে করেন তিনি। রাজনৈতিক দলগুলোর প্রর্থীর বাইরে বাংলাদেশে স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন অনেকে। পিআর পদ্ধতিতে স্বতন্ত্রপ্রার্থীদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ খুবই কম।এ প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বিএনপি কোনভাবেই পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চায় না। পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন যারা চায় তাদের অসৎ উদ্দেশ্য আছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। বিভিন্ন ধরনের বিভ্রান্তি সৃষ্টির মধ্য দিয়ে নির্বাচনকে বিলম্বিত করতে চায় কিছু রাজনৈতিক দল। তারা জনগণের ভাষা বোঝে না। দেশের জনগণ পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন বুঝে না বলেও উল্লেখ করেন সালাহউদ্দিন।তিনি আরও বলেন, যদি কেউ পিআর পদ্ধতি চালু করতে চায়, জাতির সামনে এসে নিজেদের রাজনৈতিক প্রস্তাব তুলে ধরুক, নির্বাচন করুক, জয়লাভ করুক; তারপর পিআর আনুক। কিন্তু বিএনপির ঘাড়ে চেপে কিংবা রাষ্ট্রের ঘাড়ে চাপিয়ে কিছু আদায় করা যাবে না। জাতি এসব ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে বলেও কঠোর হুঁশিয়ারি দেন বিএনপির এই নেতা।পিআর প্রসঙ্গে শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশের বক্তব্যে জামায়াতে ইসলামের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, কেন্দ্র দখল বা টাকা দিয়ে ভোট কেনা যাবে না বলে অনেকে পিআর পদ্ধতির নির্বাচন চান না।তিনি বলেন, পিআর পদ্ধতিতে কেন্দ্র দখল হবে না, তাহলে মতলব পূরণ হবে না। যেটা স্বচ্ছ নির্বাচন, সেটার বিরোধিতা করার মানে হলো নতুন বাংলাদেশ গড়ার ব্যাপারে তারা সিনসিয়ার (আন্তরিক) না।বিএনপির দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, আমরা মনে করি, কোনো একটি বড় দল, বা তিনটি দল না চাইলে পিআর পদ্ধতি আটকে যাওয়াটা অবিচার হবে; বৈষম্য হবে। অধিকাংশ দলই পিআর পদ্ধতিতে সমর্থন দিচ্ছে। শুধু এক লাইনে ব্যাখ্যা দিতে চাই, জনসমর্থনের দিক থেকে পাঁচ-ছয়টা দল, এনসিপি, চরমোনাই পীর, সব ইসলামী দল, গণঅধিকার পরিষদের পক্ষে রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন জামায়াতের এই নেতা।তাহের বলেন, বাংলাদেশের মানুষ একটা পরিবর্তন চায় এবং এমন একটি ব্যবস্থা আমরা আনতে চাই, যেন ফ্যাসিস্ট আর ফিরে না আসে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের অফিস স্থাপনকে কেন্দ্র করে সরকারের উদ্দেশ্য নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম (চরমোনাই পীর)। রোববার (২০ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ শঙ্কা প্রকাশ করেন।বিবৃতিতে তিনি বলেন, “সরকারের অভিলাষ আমাদের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ। কেন জাতিসংঘের নিজস্ব অফিসের জন্য বরাদ্দ সুবিধার চেয়েও বেশি সুযোগ-সুবিধা দিয়ে এ দেশে তাদের একটি কমিশন অফিস স্থাপন করতে হবে—তা বোধগম্য নয়। এই অফিসের লক্ষ্য, নীতি ও কর্মকৌশল স্পষ্ট নয়।”তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে কোনো যুদ্ধাবস্থা বা জাতিগত সহিংসতা নেই। এমন শান্তিপূর্ণ দেশে এই ধরনের কার্যালয় খোলার কোনো যৌক্তিকতা নেই। বরং এটি দেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। “অতএব অবিলম্বে এই কার্যালয় স্থাপনের অনুমতি বাতিল করতে হবে। অন্যথায় আমাদের রাজপথে নামতে বাধ্য হতে হবে,”—হুঁশিয়ারি দেন তিনি।বিবৃতিতে জাতিসংঘকে ‘ব্যর্থ সংস্থা’ হিসেবেও উল্লেখ করেন চরমোনাই পীর। তিনি বলেন, “ফিলিস্তিন, ইয়েমেন, আরাকান এবং আফ্রিকার বিভিন্ন অঞ্চলে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘনের সময় জাতিসংঘের ভূমিকা ছিল চোখে পড়ার মতো নিষ্ক্রিয়। এই ধরনের একটি সংস্থার অফিস এ দেশে খোলা অনর্থক ও বিপজ্জনক।”চরমোনাই পীর বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে বর্তমান সরকারকে ফ্যাসিবাদের বিচার, প্রশাসনিক সংস্কার এবং একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের জন্য তার দল সমর্থন দিয়ে এসেছে। কিন্তু বাস্তবে সরকার কোনো দিকেই অগ্রগতি দেখাতে পারেনি। বরং অগ্রাধিকার পাওয়ার মতো বিষয় উপেক্ষা করে এখন জাতিসংঘের কার্যালয় নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে সরকার।তিনি আরও বলেন, পশ্চিমা বিশ্ব মানবাধিকারের নামে এমন কিছু বিষয়কে সমর্থন করে, যা বাংলাদেশের সমাজ-সংস্কৃতি ও ধর্মীয় বিশ্বাসের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। যেমন—সমকামিতা, গর্ভপাত, ট্রান্সজেন্ডার স্বীকৃতি ও মৃত্যুদণ্ড বাতিলের মতো বিষয়। “এই মূল্যবোধগুলোকে আমাদের সমাজে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হবে এবং বাধা আসলে আমাদের মানবাধিকারবিরোধী হিসেবে প্রমাণ করতে তৎপর হবে কমিশনটি,”—মন্তব্য করেন তিনি।চরমোনাই পীর এটিকে ‘ভয়ংকর বিষবৃক্ষ রোপণের’ সঙ্গে তুলনা করে বলেন, এর ভয়াবহতা আমাদের জাতিকে দীর্ঘদিন ধরে ভোগ করতে হতে পারে।ভোরের আকাশ//হ.র
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সভামঞ্চে অসুস্থ হয়ে পড়ার পর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেওয়ায় বিভিন্ন ব্যক্তি ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তিনি। রোববার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ ধন্যবাদ জানান।পেজের অ্যাডমিনের পক্ষ থেকে দেওয়া পোস্টে জানানো হয়, ডা. শফিকুর রহমানের অসুস্থতার খবর শুনে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, আমার দেশ পত্রিকার সাবেক সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার, মেক্সিকোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী, ফ্রান্সপ্রবাসী চিকিৎসক, লেখক ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য, আল-জাজিরার অনুসন্ধানী ইউনিটের সদস্য সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের এবং অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ও সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন তার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন।এছাড়া ‘ফেস দ্য পিপল’-এর স্বত্বাধিকারী সাইফুর সাগরসহ আরও অনেকে জামায়াত আমিরের বাসায় গিয়ে দেখা করেন এবং সমবেদনা জানান।পোস্টে বলা হয়, “দেশপ্রেমিক এই মানুষদের প্রতি আমিরে জামায়াত আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছেন।”এর আগে আরেকটি পোস্টে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ধন্যবাদ জানান জামায়াত আমির। তিনি লেখেন, “গতকাল সভামঞ্চে অসুস্থ হয়ে পড়ার পর প্রধান উপদেষ্টা আমার খোঁজখবর নিয়েছেন এবং তার প্রেস সচিবকে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। তার এই সহমর্মিতা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। মহান আল্লাহ তাকে উত্তম জাযা দান করুন।”অসুস্থতার পরবর্তীতে নিজের শারীরিক অবস্থার অগ্রগতি সম্পর্কে ফেসবুকে আরেক পোস্টে ডা. শফিকুর রহমান লেখেন, “আলহামদুলিল্লাহ, এখন অনেকটাই সুস্থ আছি। হাসপাতালের প্রয়োজনীয় পরীক্ষার পর বর্তমানে বাসায় বিশ্রামে আছি।”তিনি আরও বলেন, “আমার এই সাময়িক অসুস্থতার কারণে আজকের সমাবেশে যে বিঘ্ন ঘটেছে, তার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। এটি ইচ্ছাকৃত নয়। মহান আল্লাহ নিশ্চয়ই এর মধ্যে কোনো কল্যাণ রেখেছেন।”ভোরের আকাশ//হ.র