চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ নেত্রী জিনাত সোহানা গ্রেফতার
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী অ্যাডভোকেট জিনাত সোহানা চৌধুরীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৩ মে) রাত ১টার দিকে নগরীর বায়েজিদ এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
জানা যায়, জিনাত সোহানা সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। সংগঠনটির চেয়ারম্যান হলেন সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত। তাঁর বাড়ি চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায়। এছাড়া তাঁর স্বামী মোহাম্মদ ইমরান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা রাজ্যের আওয়ামী লীগের সভাপতি।
পুলিশ জানায়, গত বছরের ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম আদালত চত্বরে পুলিশের সঙ্গে চিন্ময় কৃষ্ণ ব্রহ্মচারীর অনুসারীদের সংঘর্ষের ঘটনায় করা কোতোয়ালী থানা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি জিনাত সোহানা।
এ বিষয়ে বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমান বলেন, নগরীর বায়েজিদ এলাকার একটি বাসা থেকে জিনাত সোহানাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে কোতোয়ালী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
ভোরের আকাশ/আমর
সংশ্লিষ্ট
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের পদত্যাগ দাবি করেছেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন। তিনি বলেছেন, অসত্য তথ্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করায় পদে থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন আসিফ মাহমুদ।মঙ্গলবার (১৭ জুন) দুপুরে ঢাকা দক্ষিণ নগর ভবনে সাংবাদিক ও তার সমর্থকদের উদ্দেশ্যে একটি লিখিত বক্তব্য পাঠের সময় এ মন্তব্য করেন তিনি।ইশরাক বলেন, আসিফ মাহমুদ দেশের জনগণের ম্যান্ডেটকে অবজ্ঞা করেছেন। তিনি শপথ ভঙ্গ করেছেন। শপথ ভঙ্গের জন্য আমরা তার পদত্যাগ দাবি করছি।এর আগে, উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেছেন, ইশরাক হোসেনের শপথ গ্রহণের বিষয়টি বিচারাধীন অবস্থায় গেজেটের মেয়াদ শেষ হওয়ায় শপথ পড়ানো যায়নি।এ প্রসঙ্গে ইশরাক হোসেন বলেন, উপদেষ্টার এই কথা সত্য হলে ভবিষ্যতে কোনো নির্বাচিত প্রতিনিধি শপথ পড়ার সুযোগ পাবেন না।তিনি অভিযোগ করেছেন, বিজয়ী প্রার্থীর গেজেট হলে পরাজিত প্রার্থী বা যেকোনো নাগরিককে আসিফ মাহমুদের মতো ব্যক্তি ইন্ধন দিয়ে শপথ না পড়ানোর জন্য রিট মামলা দায়ের করাবেন। রিট মামলা ৩০ দিন অনিষ্পন্ন থাকলে গেজেটে উল্লেখিত মেয়াদ এর মধ্যে শেষ হয়ে গেলে ভবিষ্যতে কোনো নির্বাচিত প্রতিনিধি শপথ পড়ার সুযোগ পাবেন না।ভোরের আকাশ/এসএইচ
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কালশি গণহত্যার বিচার করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি আহ্বায়ক আমিনুল হক।মঙ্গলবার (১৭ জুন) রাজধানীর পল্লবীতে কালশি গণহত্যায় বিচারহীনতার প্রতিবাদে এবং সাবেক ফ্যাসিস্ট এমপি ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা ও যুবলীগ নেতা জুয়েল রানার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে উর্দুভাষী যুব-ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।সমাবেশে প্রথমবারের মতো যোগ দিয়েছিলেন কালশি ট্রাজেডিটে ফ্যাসিস্টদের দেয়া আগুনে স্বজন হারায় কিশোরী ফারজানা।এ সময় আমিনুল হক বলেন, ইতিহাসের এই নৃশ্যংসতম গণহত্যার সাথে জড়িতদের দেশে ফিরিয়ে এনে তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। একইসঙ্গে স্বজন হারানো ফারজানার পড়াশোনাসহ সকল দায়িত্ব গ্রহণ করার ঘোষণা দেন তিনি।তিনি বলেন, বিহারী নেতাদের নামে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে গাইবি মামলা দেয়া হয়েছিল। স্বৈরাচার পালানোর পরও ভূমি দস্যুরা একের পর এক মিথ্যা মামলা দিচ্ছে। এসব মিথ্যা মামলা দ্রুত প্রত্যাহারের জন্য বিএনপি কাজ করছে বলেও জানান তিনি।বিহারী নেতা সাদাকাত খান ফাক্কু বলেন, ২০১৪ সালের ১৪ জুন আমাদের ক্যাম্পের একটি বাড়িতে বাইরে থেকে তালা দিয়ে আগুন দেয়া হয়। সেই আগুনে পুড়ে ফারজানার পুরো পরিবার মারা যায়। ফারজানার শরীরও ৬০ শতাংশ পুড়ে যাওয়ায় তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক ছিল। এই ঘটনার বিচার চাইতে গিয়ে তার বাবা ইয়াসিনকেও হত্যা করা হয়।এ সময় গণহত্যার সাথে ফ্যাসিস্ট সরকারের সাবেক এমপি ইলিয়াস মোল্লাহ ও পল্লবী থানা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা জড়িত বলে অভিযোগ করেন তিনি।সমাবেশে উর্দুভাষী যুব-ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক ইমরান খানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবুল আলম মন্টু, বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুদ্র মিজান, পল্লবী থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোকছেদুর রহমান আবির, আনিছুর রহমান, উর্দুভাষীদের সংগঠন ইউএসপিওয়াইআরএম এর সভাপতি সাদাকাত খান ফাক্কু, পল্লবী থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সৈয়দ হাসান সোহেলসহ আরো অনেকে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনক্ষণ নির্ধারণে সবাইকে ‘একটু ধৈর্য ধরার’ পরামর্শ দিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। মঙ্গলবার (১৭ জুন) দুপুরে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ পরামর্শ দেন।রোজার ঈদের আগে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে বিএনপি এবং অন্তর্বর্তী সরকার একমত হলেও নির্বাচন কোন মাসের কোন তারিখে হবে, সে ব্যাপারে পরিষ্কার কোনো বক্তব্য কোনো পক্ষ থেকেই শোনা যাচ্ছে না। এ ব্যাপারে বিএনপির অবস্থান কী?— এমন প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু বলেন, লন্ডনে তারেক রহমান এবং ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মধ্যেকার বৈঠক জাতির মধ্যে একটা স্বস্তি এনে দিয়েছে। আমরা সবাই মিলে একমত হয়েছি আগামী রোজার আগেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত। সকরারও হয়তো সেভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে। সময় মতো নির্বাচন কমিশনও হয়ত দিনক্ষণ ঘোষণা করবে।তবে আমাদের সব পক্ষকেই একটু ধৈর্য ধরতে হবে। আমরা মনে হয় একটু বেশিই অস্থির হয়ে গেছি। এই অস্থিরতা দূর করে একটা আস্থার জায়গা তৈরি করতে হবে। নির্বাচনের দিনক্ষণ তো সরকার ঠিক করবে না, আমরাও ঠিক করব না। এটা ঠিক করবে নির্বাচন কমিশন। সরকার কেবল নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশনা দেবে। সেটা হয়ত খুব শিগগিরিই দিয়ে দেবে। সে পর্যন্ত আমাদের একটু ধৈর্য ধরতে হবে বলেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।কোর্টের রায় থাকার পরও ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র হিসেবে শপথ নিতে দিচ্ছে না, এ বিষয়টা কীভাবে দেখছেন?এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘দেখি সরকার বিষয়টা নিয়ে কী সিদ্ধান্ত দেয়। সরকার তো আইনের শাসনে বিশ্বাস করে বলে আমরা জানি। আমার দেখি তারা কী করে। এ ব্যাপারেও একটু ধৈর্য ধারণ করা দরকার।এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটি ও চেয়ারপারসনের ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজারি কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক ও চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক বিশেষ সহযোগী উপদেষ্টা কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ।ভোরের আকাশ/এসএইচ
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত পাওলো ফার্নান্দো ডায়াস ফেরেসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।মঙ্গলবার (১৭ জুন) বেলা ১১টায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।এর আগে, সোমবার (১৬ জুন) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্ব একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক।এ সময় বিএনপি নেতাদের মধ্যে উপস্থিত রয়েছেন-বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, দলটির স্থায়ী কমিটি ও চেয়ারপারসন ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজারি কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও চেয়ারপারসন পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক বিশেষ সহযোগী উপদেষ্টা কমিটি সদস্য শামা ওবায়েদ।ভোরের আকাশ/এসএইচ