ক্যারিবিয়ানদের শক্ত স্কোয়াড
এমন একটা শুরুর পর আমির জাঙ্গুকে রাখতেই হতো ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোয়াডে। ওয়ানডে অভিষেকে গত ডিসেম্বরে বাংলাদেশের বিপক্ষে হাঁকিয়েছিলেন দারুণ এক সেঞ্চুরি। কিংবদন্তি ডেজমন্ড হেইন্সের পর প্রথম ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ানডে অভিষেকেই শতরান করেছিলেন জাঙ্গু। সেই উইকেটরক্ষক ব্যাটারকে ইংল্যান্ড এবং আয়ারল্যান্ড সিরিজের দলেও ধরে রেখেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
আয়ারল্যান্ড এবং ইংল্যান্ডে চলতি মাস থেকেই সফর শুরু হবে। ২১ মে থেকে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজটি শুরু হবে। এরপর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ শুরু ২৯ মে। ইংলিশদের বিপক্ষে পরে ৩ ম্যাচেরই আরেকটি টি-টোয়েন্টি সিরিজও খেলবে ক্যারিবিয়ানরা।
৬ ওয়ানডের এই সিরিজে দলকে নেতৃত্ব দেবেন শেই হোপ। দলে প্রত্যবর্তনের তালিকায় আছেন তিনজন। বাংলাদেশের বিপক্ষে সবশেষ ওয়ানডে সিরিজের দলে থাকলেও পরে চোটের কারণে ছিটকে পড়া দুই পেসার ম্যাথু ফোর্ড ও শামার জোসেফ ফিরেছেন দলে। এছাড়া ১৮ বছর বয়সী কিপার-ব্যাটসম্যান জুয়েল অ্যান্ড্রু ফিরেছেন এই স্কোয়াডে।
বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের পর পরিবর্তন এসেছে ক্যারিবিয়ানদের কোচিং স্টাফে। নিউজিল্যান্ডের জেমস ফ্র্যাঙ্কলিনের পরিবর্তে এই সিরিজ থেকেই বোলিং কোচের দায়িত্ব পালন করবেন সাবেক পেসার রাভি রামপল। এছাড়াও আয়ারল্যান্ড সফরের অংশটুকুতে কোচিং স্টাফে থাকবেন সাবেক আইরিশ অলরাউন্ডার কেভিন ও’ব্রায়েন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওয়ানডে স্কোয়াড: শেই হোপ, জুয়েল অ্যান্ড্রু, কেসি কার্টি, রোস্টন চেইস, ম্যাথু ফোর্ড, জাস্টিন গ্রেভস, আমির জাঙ্গু, আলজারি জোসেফ, শামার জোসেফ, ব্র্যান্ডন কিং, এভিন লুইস, গুডাকেশ মোটি, শেরফেন রাদারফোর্ড, জেডেন সিলস, রোমারিও শেফার্ড।
ভোরের আকাশ/আজাসা
সংশ্লিষ্ট
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আসন্ন টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশের ওপেনিং জুটিতে দেখা যেতে পারে নতুন চমক। ওপেনার হিসেবে এনামুল হক বিজয়ের জায়গা প্রায় নিশ্চিত হলেও, তার সঙ্গী কে হবেন—তা নিয়ে রয়েছে জোর আলোচনা। গুঞ্জন উঠেছে, নাজমুল হোসেন শান্তকেই দেখা যেতে পারে ইনিংসের সূচনায়।গল টেস্টের আগে সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু না জানালেও ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক শান্ত।তিনি বলেন, “আমার ব্যাটিংটা কোন পজিশনে হবে, সেটা কাল ম্যাচের দিনই জানাতে চাই। কারণ, চাই না প্রতিপক্ষ আগেভাগে ধারণা পেয়ে যাক।”এ সময় তিনি জানান, মেহেদী হাসান মিরাজের শারীরিক অবস্থা এখনো পুরোপুরি সুস্থ নয় এবং তাঁর ফিটনেসের ওপর নির্ভর করছে দলের চূড়ান্ত কম্বিনেশন।গলের স্পিনবান্ধব উইকেট নিয়ে শান্ত বলেন, “এখানে ব্যাটারদের জন্য চ্যালেঞ্জ থাকবে। প্রথম দুই-তিন দিন রান উঠলেও পরে স্পিনাররাই প্রভাব বিস্তার করে। কীভাবে চ্যালেঞ্জটা উপভোগ করতে পারি, সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।”গল টেস্ট শুরুর আগেই নানা সম্ভাবনা আর সমীকরণে ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয়েছে। তবে সব প্রশ্নের উত্তর মিলবে মাঠে নামার দিন, মঙ্গলবার।ভোরের আকাশ//হ.র
বাংলাদেশের বিপক্ষে ঘরের মাঠে আসন্ন টেস্ট সিরিজকে সামনে রেখে ১৮ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড (এসএলসি)। দলের নেতৃত্বে থাকছেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। আগামী ১৭ জুন গলে শুরু হতে যাওয়া প্রথম টেস্টে এই স্কোয়াড নিয়েই মাঠে নামবে লঙ্কানরা।দলে জায়গা পেয়েছেন বেশ কয়েকজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার, একইসঙ্গে আছেন উদীয়মান তরুণরাও। বর্ষীয়ান অ্যাঞ্জেলো ম্যাথ্যুস এই ম্যাচের মাধ্যমেই টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় বলবেন। স্কোয়াডে আরও রয়েছেন দিনেশ চান্দিমাল, কুশল মেন্ডিস, ওশাদা ফার্নান্দো, এবং পাথুম নিশাঙ্কার মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা।নতুন মুখ হিসেবে সুযোগ পেয়েছেন সোনাল দিনুশা, পবন রত্নায়েকে, থারিন্দু রত্নায়েকে, মিলান রত্নায়েকে এবং ইসিথা বিজয়সুন্দরার মতো তরুণ প্রতিভাবান ক্রিকেটাররা।স্পিন বিভাগে আছেন প্রভাত জয়াসুরিয়া, আকিলা ধনঞ্জয়া এবং থারিন্দু রত্নায়েকে। পেস আক্রমণে থাকছেন আসিথা ফার্নান্দো, কাসুন রাজিথা ও ইসিথা বিজয়সুন্দারা।শ্রীলঙ্কার ঘোষিত স্কোয়াড:ধনঞ্জয়া ডি সিলভা (অধিনায়ক), পাথুম নিশাঙ্কা, ওশাদা ফার্নান্দো, লাহিরু উদারা, দিনেশ চান্দিমাল, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথ্যুস, কুশল মেন্ডিস, কামিন্দু মেন্ডিস, পাসিন্দু সূর্যবন্দারা, সোনাল দিনুশা, পবন রত্নায়েকে, প্রভাত জয়াসুরিয়া, থারিন্দু রত্নায়েকে, আকিলা ধনঞ্জয়া, মিলান রত্নায়েকে, আসিথা ফার্নান্দো, কাসুন রাজিথা, ইসিথা বিজয়সুন্দারা।উল্লেখ্য, বাংলাদেশ এই সফরে দুটি টেস্ট খেলবে। প্রথমটি শুরু হবে ১৭ জুন গলে আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে। চট্টগ্রামে টাইগারদের ব্যাটিং প্রস্তুতি ও সাম্প্রতিক টেস্ট অভিজ্ঞতার প্রেক্ষাপটে, এই সফর হবে তরুণদের জন্য নিজেকে প্রমাণ করার একটি বড় মঞ্চ।ভোরের আকাশ//হ.র
দীর্ঘদিনের সহযোদ্ধা, একসময় ছিলেন বন্ধুত্বের প্রতীক। কিন্তু সময়ের বিবর্তনে তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানের সম্পর্ক আজ অনেকটাই শীতল। যদিও সেই দূরত্ব ঘোচানোর আশার কথা শুনিয়েছেন দেশের অন্যতম সফল ওপেনার তামিম ইকবাল।সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তামিম অকপটে স্বীকার করেন, সাকিবই বাংলাদেশের ক্রীড়া ইতিহাসের সর্বকালের সেরা ক্রীড়াবিদ। তার ভাষায়, “সত্যটা বলতেই হবে। আর আমি এটা প্রথমবার বলছি না। বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে যদি একজনের নাম নিতে হয়, তবে সেটা হবে সাকিব আল হাসান। ক্রিকেটে সে যা অর্জন করেছে, তা অবিশ্বাস্য। আমাদের ব্যক্তিগত সম্পর্ক যেমনই হোক, সত্য তো সত্যই থাকবে।”তামিম জানান, সাকিবের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক কখনোই তার এই মতামতকে প্রভাবিত করেনি। “অনেকে বলে, আমরা দুজন তারকা—তাই নাকি দ্বন্দ্ব! আমি তা মনে করি না। আমি তো বলেই আসছি, সাকিবই সেরা,” বলেন তিনি।একসময় একসঙ্গে সময় কাটানো, একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া, এমনকি মাঠে একসঙ্গে দলকে টেনে তোলার স্মৃতিগুলোও তুলে ধরেন তামিম। তার মতে, এখনো যদি দুইজন একসাথে কাজ করতে পারেন, তাহলে দেশের ক্রিকেট উপকৃত হবে। যদিও তামিম এখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে, তবুও ভবিষ্যতে ভিন্ন ভূমিকায় দুইজন একসঙ্গে কাজ করতে পারেন বলেই ইঙ্গিত দেন তিনি।তিনি বলেন, “আমি কখনো বিশ্বাস করি না যে সম্পর্ক আর কখনও ঠিক হবে না। আমি হয়তো কিছু ভুল করেছি, সেও করেছে। যেদিন আমরা বুঝে একসাথে বসতে পারব, সেদিন সব সমস্যার সমাধান হবে। এখন আমরা একসঙ্গে মাঠে না খেললেও, আমি বিশ্বাস করি—দুজন মিলে আবারও বাংলাদেশ ক্রিকেটকে উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারব।”উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে সর্বশেষ বাংলাদেশের জার্সি গায়ে দেন তামিম ইকবাল। এরপর বিপিএলের সময় জানান, জাতীয় দলে ফেরা হচ্ছে না আর। অপরদিকে, সাকিব আল হাসান রাজনৈতিক যোগসূত্রে পড়ে গেছেন বিতর্কের মুখে।গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন তিনি। রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে জনরোষের ভয়ে দেশে ফিরতে পারছেন না বলেই ধারণা করা হচ্ছে। যদিও ওই সময়ের পর দেশের হয়ে চারটি ম্যাচ খেলেছিলেন সাকিব, এরপর আর মাঠে দেখা যায়নি তাকে।তামিম-সাকিবের দ্বন্দ্বের অবসান এবং দেশের ক্রিকেটের স্বার্থে তাদের পুনর্মিলনের প্রত্যাশায় বুক বেঁধে আছে ক্রিকেটপ্রেমীরা।ভোরের আকাশ//হ.র
শেষ দুই ফিফা বিশ্বকাপের টিকিট পায়নি ইতালি। তাই আসন্ন ২০২৬ বিশ্বকাপকে পাখির চোখ করছে চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। সেই লক্ষ্যে নিজেদেরই কিংবদন্তি ডিফেন্ডার জেনারো গাত্তুসোর কাঁধে জাতীয় দলের দায়িত্ব তুলে দিতে যাচ্ছে ইতালি। এমনটাই জানিয়েছেন ইতালি দলের ম্যানেজার জিয়ানলুইজি বুফন। ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে ৬-৪ গোলে হারিয়ে ২০০৬-এ শেষবার বিশ্বকাপ ঘরে তোলে ইতালিয়ানরা। সেবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন তকমা কুড়াতে অনবদ্য ভূমিকা রাখেন বুফন, গাত্তুসো দু’জনই।২০১৮ রাশিয়া ও ২০২২ কাতার বিশ্বকাপে সুযোগ না পাওয়া ইতালি এবারের বাছাইপর্বেও নিজেদের তেমনভাবে মেলে ধরতে পারছে না। শুরুতেই নরওয়ের বিপক্ষে ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছে দলটি। পরের ম্যাচে মালডোভাকে ২-০ গোলে হারায় ইতালিয়ানরা। আরও একটি বিশ্বকাপে দর্শক হয়ে থাকার শঙ্কায় বরখাস্ত করা হয় কোচ লুসিয়ানো স্পালেত্তিকে।শনিবার অনূর্ধ্ব-২১ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে ইতালির রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম ‘রাই’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজের সাবেক সতীর্থের হাতে দলের দায়িত্ব তুলে দেয়ার কথা জানান বুফন।ইতালির এই কিংবদন্তি গোলকিপার বলেন, আমরা কাজ সম্পন্ন করেছি, এখন শুধু চূড়ান্ত কিছু বিষয়ের অপেক্ষা। সভাপতি ও পুরো ফেডারেশন ব্যস্ত সময় কাটিয়েছে। তবে আমি মনে করি, শেষ পর্যন্ত আমরা সেরা সিদ্ধান্তই নিয়েছি। যদিও স্পালেত্তিকে বরখাস্তের পর ইতালির প্রথম পছন্দের ছিলেন ক্লদিও রানিয়েরি। কিন্তু ইতিমধ্যে এই ৭৩ বছর বয়সী ইতালিয়ান কোচ স্বদেশি ক্লাব রোমার বিশেষ পরামর্শক হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবং কোচিং থেকে অবসর নেয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন।২০১০ দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপের পর বুটজোড়া তুলে রাখা জেনারো গাত্তুসোর কোচিং অধ্যায় শুরু হয় তিন বছর পর, সুইস ক্লাব সিয়নের প্লেয়ার-কোচ হিসেবে। সেখানে তার স্থায়িত্বকাল ছিল স্রেফ ১ মাস ও ৩ ম্যাচ। কোচ গাত্তুসর একমাত্র ট্রফি আসে ২০২০-এ, নাপোলিকে ইতালিয়ান কাপ জেতানোর মাধ্যমে। ইতালির পরবর্তী মিশন ২০২৬ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের দু’টি ম্যাচ। আগামী ৫ই সেপ্টেম্বর এস্তোনিয়ার বিপক্ষে ও ৮ই সেপ্টেম্বর ইসরাইলের বিপক্ষে ম্যাচ দুটিতে মাঠে নামবে আজ্জুরিরা। ভোরের আকাশ/এসএইচ