ব্যাটিং বিপর্যয় নিয়ে যা বললেন বিসিবি সভাপতি
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে দারুণ শুরুর পর হঠাৎ ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ দল। আড়াইশোর নিচে স্বাগতিকদের অলআউট করার পরও জয়ের পথে ছন্দপতনের কারণে মাত্র ১৬৭ রানে গুটিয়ে যায় টাইগারদের ইনিংস। এই ব্যর্থতার পর দলের মানসিকতা ও ব্যাটিংয়ে দায়িত্ববোধ নিয়ে কথা বলেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল।
প্রথম ম্যাচে দুই পেসার তাসকিন আহমেদ ও তানজিম হাসান সাকিবের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৪৯.৩ ওভারে ২৪৪ রানেই থেমে যায় শ্রীলঙ্কা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে এক উইকেটে ১০০ রান তুলে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এগোচ্ছিল বাংলাদেশ। তবে এরপরই ঘটে নাটকীয় বিপর্যয়—১০০ থেকে ১০৫ রানেই পড়েছে ৭ উইকেট। অর্থাৎ, মাত্র ৫ রানের ব্যবধানে সাজঘরে ফেরেন ছয় ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত ৩৫.৫ ওভারে ১৬৭ রানে থেমে যায় টাইগারদের ইনিংস।
এমন ব্যাটিং বিপর্যয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে চলছে তীব্র সমালোচনা। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন ব্যাটারদের দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যাটিংয়ের ওপর। এ বিষয়ে নিজের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বিসিবি সভাপতি বলেন, ব্যাটারদের মানসিকতা নিয়েই কাজ করতে হবে।
দেশের একটি টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন,
“একটা পর্যায়ে তো মনে হচ্ছিল খুব সুন্দরভাবে আমরা রান তাড়া করব। কিন্তু শান্ত রানআউট হয়ে যাওয়ার পর মনে হয়েছে সেট হয়ে যাওয়া ব্যাটারের এইভাবে আউট হওয়া দলের জন্য বড় ক্ষতি। এই ধরনের উইকেটে নতুন ব্যাটারদের পক্ষে সেট হয়ে রান তাড়া করা কঠিন। তাই ব্যাটারদের যেভাবে মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকা উচিত ছিল, সেটির ঘাটতি ছিল বলেই মনে হচ্ছে।”
প্রসঙ্গত, এই হারের ফলে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেছে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা।
ভোরের আকাশ//হ.র
সংশ্লিষ্ট
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে বাজেভাবে হেরেছিল বাংলাদেশ। সিরিজ বাঁচাতে আগামীকাল মাঠে নামবে টাইগাররা। তবে এই ম্যাচে দলের সঙ্গে থাকবেন না হেড কোচ ফিল সিমন্স।লন্ডনে চিকিৎসকদের সঙ্গে পূর্বনির্ধারিত এক মেডিকেল অ্যাপয়েন্টমেন্টে অংশ নিতে যাচ্ছেন তিনি। তাই শুক্রবার (৪ জুলাই) শ্রীলঙ্কা ছাড়ছেন তিনি। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন দলের ম্যানেজার নাফিস ইকবাল।তিনি বলেন, ফিল সিমন্স ব্যক্তিগত কারণে দু’দিনের জন্য যাচ্ছেন। ফেব্রুয়ারিতে তার একবার চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল, কিন্তু চ্যাম্পিয়নস ট্রফির কারণে তা সম্ভব হয়নি। এবারও তিনি চেষ্টা করেছিলেন অ্যাপয়েন্টমেন্ট পিছিয়ে দিতে, কিন্তু সেটি আর পরিবর্তন সম্ভব হয়নি। সফরের আগে থেকেই তিনি বোর্ডকে বিষয়টি জানিয়ে রেখেছিলেন। জানা গেছে, আগামী ৭ জুলাই শ্রীলঙ্কায় দলের সঙ্গে পুনরায় যোগ দেবেন সিমন্স। ফলে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে তিনি ডাগআউটে থাকবেন। এরপর বাংলাদেশের সামনে রয়েছে তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সিরিজ।ভোরের আকাশ/আজাসা
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে দারুণ শুরুর পর হঠাৎ ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ দল। আড়াইশোর নিচে স্বাগতিকদের অলআউট করার পরও জয়ের পথে ছন্দপতনের কারণে মাত্র ১৬৭ রানে গুটিয়ে যায় টাইগারদের ইনিংস। এই ব্যর্থতার পর দলের মানসিকতা ও ব্যাটিংয়ে দায়িত্ববোধ নিয়ে কথা বলেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল।প্রথম ম্যাচে দুই পেসার তাসকিন আহমেদ ও তানজিম হাসান সাকিবের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৪৯.৩ ওভারে ২৪৪ রানেই থেমে যায় শ্রীলঙ্কা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে এক উইকেটে ১০০ রান তুলে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এগোচ্ছিল বাংলাদেশ। তবে এরপরই ঘটে নাটকীয় বিপর্যয়—১০০ থেকে ১০৫ রানেই পড়েছে ৭ উইকেট। অর্থাৎ, মাত্র ৫ রানের ব্যবধানে সাজঘরে ফেরেন ছয় ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত ৩৫.৫ ওভারে ১৬৭ রানে থেমে যায় টাইগারদের ইনিংস।এমন ব্যাটিং বিপর্যয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে চলছে তীব্র সমালোচনা। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন ব্যাটারদের দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যাটিংয়ের ওপর। এ বিষয়ে নিজের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বিসিবি সভাপতি বলেন, ব্যাটারদের মানসিকতা নিয়েই কাজ করতে হবে।দেশের একটি টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন,“একটা পর্যায়ে তো মনে হচ্ছিল খুব সুন্দরভাবে আমরা রান তাড়া করব। কিন্তু শান্ত রানআউট হয়ে যাওয়ার পর মনে হয়েছে সেট হয়ে যাওয়া ব্যাটারের এইভাবে আউট হওয়া দলের জন্য বড় ক্ষতি। এই ধরনের উইকেটে নতুন ব্যাটারদের পক্ষে সেট হয়ে রান তাড়া করা কঠিন। তাই ব্যাটারদের যেভাবে মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকা উচিত ছিল, সেটির ঘাটতি ছিল বলেই মনে হচ্ছে।”প্রসঙ্গত, এই হারের ফলে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেছে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা।ভোরের আকাশ//হ.র
ভারতীয় টেস্ট দলের অধিনায়ক হিসেবে প্রথম অ্যাসাইনমেন্টেই নজরকাড়া পারফরম্যান্স উপহার দিলেন শুভমান গিল। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে ব্যাট হাতে ডাবল সেঞ্চুরি করে গড়েছেন একাধিক রেকর্ড।৩১১ বল খেলে এই দ্বিশতক পূর্ণ করেন গিল। ভারতের টেস্ট ইতিহাসে ইংল্যান্ডের মাটিতে প্রথম অধিনায়ক হিসেবে ডাবল সেঞ্চুরির কৃতিত্ব অর্জন করেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, ‘সেনা’ দেশগুলোর (দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া) মাটিতে ডাবল সেঞ্চুরি করা প্রথম এশীয় অধিনায়কও এখন গিল।অধিনায়ক হিসেবে এটি গিলের মাত্র দ্বিতীয় টেস্ট। আর তাতেই তিনি জায়গা করে নিয়েছেন ভারতের অভিজাত তালিকায়। দেশের ষষ্ঠ অধিনায়ক হিসেবে টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। এর আগে এই কীর্তি গড়েছেন মানসুর আলী খান পাতৌদি, সুনীল গাভাস্কার, শচীন টেন্ডুলকার, মহেন্দ্র সিং ধোনি এবং বিরাট কোহলি।ডাবল সেঞ্চুরির সময় গিলের বয়স ছিল ২৫ বছর ২৯৮ দিন। এ হিসেবে তিনি দ্বিতীয় সর্বকনিষ্ঠ ভারতীয় অধিনায়ক হিসেবে টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন। এই তালিকায় সবচেয়ে কম বয়সে দ্বিশতকের মালিক ছিলেন পাতৌদি, যিনি ১৯৬৪ সালে ২৩ বছর ৩৯ দিন বয়সে করেছিলেন ডাবল সেঞ্চুরি।বিদেশের মাটিতে অধিনায়ক হিসেবে ডাবল সেঞ্চুরি করা গিল ভারতের দ্বিতীয় ক্রিকেটার। তার আগে ২০১৬ সালে নর্থ সাউন্ডে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০০ রানের ইনিংস খেলেছিলেন বিরাট কোহলি।এ ছাড়া ইংল্যান্ডের মাটিতে ভারতীয় অধিনায়কদের মধ্যে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের ইনিংসের মালিকও এখন শুভমান গিল। এর আগে এই রেকর্ড ছিল মোহাম্মদ আজহারউদ্দিনের, যিনি ১৯৯০ সালে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে করেছিলেন ১৭৯ রান।গিলের এই দুর্দান্ত ইনিংস ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসে নতুন এক অধ্যায় রচনা করল— বিশেষ করে অধিনায়ক হিসেবে তার শুরুটা যেভাবে হলো, তাতে ভবিষ্যতের জন্য আশার বার্তাই বহন করছে।ভোরের আকাশ//হ.র
জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার মোহাম্মদ নাজিমউদ্দিন এবার যুক্ত হলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কোচিং প্যানেলে। দীর্ঘ ঘরোয়া ক্যারিয়ারের পর কোচ হিসেবে নিজের দক্ষতা গড়ে তোলেন নাজিম। এবার সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগাবেন বিসিবির বিভিন্ন পর্যায়ের দল গঠনে ও খেলোয়াড় তৈরিতে কোচ হিসেবে তার নিয়োগ ইতোমধ্যে কার্যকর হয়েছে বলে জানা গেছে।বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) চিঠিও পেয়েছেন। এরপর সাবেক এই ক্রিকেটার বলেন, হ্যাঁ কোচ হিসেবে জয়েন করেছি, চট্টগ্রাম বিভাগের বয়সভিত্তিক দলের। যখন কন্ডিশনিং ক্যাম্প বা অন্য কিছু হবে তখন সেখানে কাজ করব। চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ টি জেলা রয়েছে অর্ধেক আমি এবং অর্ধেক মুমিন ভাই করবেন।কাজের পরিধি নিয়ে নাজিম বলেন, এখন দেখি আমাদের কাজ থাকবে অনূর্ধ্ব ১৪, অনুর্ধ্ব ১৬ ক্রিকেটারদের বাছাই করা। আমার অধীনে যে জেলাগুলো থাকবে সেখানে আমি প্রধান কোচ থাকব। নোবেল ভাইয়ের জায়গায় মূলত আমি জয়েন করেছি।তিনি আরও জানান, হ্যাঁ অবশ্যই বিসিবিতে কাজ করার লক্ষ্য তো প্রত্যেকটা কোচের থাকে। আমারও তেমনটাই ছিল দেশের জন্য কাজ করবো। বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য কাজ করব। আমি একজন সাবেক ক্রিকেটার এখন কোচিংয়ে জয়েন করেছি। চেষ্টা করব নিজের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর।সবশেষ নাজিমউদ্দিন বলেন, রুট লেভেলে যারা থাকবে তাদের নিয়ে আমি কাজ করব। এখন যারা জুনিয়র আছে ওদের বেসিকটা যাতে স্ট্রং হয় সেটাই আমার লক্ষ্য থাকবে। নিজের সততা ধরে রাখা সব থেকে বড় কাজ। যারা দলে আসার যোগ্য তারা যেন সুযোগ পায়।ভোরের আকাশ/জাআ