সৌদি আরব পৌঁছেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মঙ্গলবার (১৩ মে) সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। মধ্যপ্রাচ্যে তিন দিনের সফর হিসেবে প্রথম সৌদিতে গেলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার লাইভ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, রিয়াদে টারম্যাক বিমানবন্দরে ট্রাম্পকে স্বাগত জানিয়েছেন সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। বিশিষ্ট ব্যক্তি ও নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ট্রাম্প ও যুবরাজ সালমানকে বেগুনি কার্পেটে হেঁটে যেতে দেখা গেছে।
ট্রাম্পের ডেপুটি চিফ অফ স্টাফ ড্যান স্কাভিনো ও সফরসঙ্গী সংবাদকর্মীদের বরাতে জানা গেছে, এয়ার ফোর্স ওয়ান-কে সৌদি আরবের এফ-১৫ যুদ্ধবিমানগুলো আকাশে নিরাপত্তা দিয়ে রিয়াদে নিয়ে এসেছে।
রাষ্ট্রীয় সফরের জাঁকজমক ইতোমধ্যেই রিয়াদের রাজপথজুড়ে স্পষ্ট। বিমানবন্দর থেকে শহরের কেন্দ্রে যাওয়ার রাস্তাগুলো যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের জাতীয় পতাকায় সজ্জিত করা হয়েছে। ট্রাম্প একটি মার্কিন-সৌদি বিনিয়োগ ফোরামে বক্তব্য দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
বিনিয়োগ ফোরামে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ ধনকুবের স্পেসএক্স ও টেসলার সিইও ইলন মাস্ক যোগ দেবেন বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা।
এরপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সৌদি আরবের ঐতিহাসিক ও ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান ‘দিরইয়াহ’ এবং ‘আত-তুরাইফ’ ঘুরে দেখবেন। দিনশেষে যুবরাজের সঙ্গে নৈশভোজে অংশ নেবেন তিনি।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
ইরান স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা ও হামলায় অংশগ্রহণকারী দেশগুলোকে তারা বৈধ প্রতিরোধের লক্ষ্য হিসেবে বিবেচনা করবে। আত্মরক্ষার অধিকার অনুযায়ী, এই দেশগুলোর বিরুদ্ধে পাল্টা জবাবও আসতে পারে বলে হুঁশিয়ার করেছে তেহরান।তেহরানের দাবি, ইরানে সাম্প্রতিক হামলায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জর্ডান সরাসরি ও পরোক্ষভাবে জড়িত ছিল। এসব দেশ ইসরায়েলকে জেট, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও লজিস্টিক সহায়তা দিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়।তারা আরও জানায়, পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চল ও আজারবাইজানে মোসাদ এবং বিভিন্ন অপরাধচক্রের সক্রিয়তা, গুপ্তচরবৃত্তি ও বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতার প্রমাণ পাওয়া গেছে।ইরান হুঁশিয়ার করে বলেছে, ভবিষ্যতে যদি কোনো দেশ ইসরায়েলের হামলায় অংশ নেয় কিংবা সমর্থন দেয়, তাহলে তা ইরানের জনগণের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণার শামিল হবে। তেহরানের ভাষায়, জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া হবে এবং অপরাধীদের পরাজিত না করা পর্যন্ত লড়াই চলবে।ভোরের আকাশ/জাআ
ইরানের রাজধানী তেহরানে ট্রান্সপন্ডার বন্ধ করে বেইজিংয়ের একটি কার্গো বিমান নেমেছে। তাতে চীনা অস্ত্র রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। রাডারে সেই বিমানের অস্তিত্ব ধরা না পড়ে সেই জন্য ট্রান্সপন্ডার বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে দাবি করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া ডটকম।সোমবার (১৬ জুন) বেশ গুরুত্ব দিয়েই ওই বিমান অবতরণের খবর প্রকাশ করে সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ওই বিমানটি আকাশে থাকতেই ট্রান্সপন্ডার বন্ধ করে দিয়েছিল, যাতে রাডারে সেই বিমানের অস্তিত্ব ধরা না পড়ে। সেই থেকেই ডানা মেলেছে নানা গুঞ্জন। গোপনে ইরানকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র সরবরাহ করছে চীন। এভাবেই ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে সরাসরি জড়িয়ে পড়েছে চীন। ইন্ডিয়া ডটকমের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের সঙ্গে চীনের সামরিক ও কৌশলগত সম্পর্ক রয়েছে। তাই ওই বিমানে সামরিক অস্ত্র বা নিষিদ্ধ কোনো পণ্য থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও এমন খবরের সত্যতা যাচাই করা যায়নি।তবে আগেই ইরানকে হুমকি দিয়ে রেখেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাই এমন পরিস্থিতিতে চীন যদি সত্যিই ইরানকে সহায়তা করে থাকে, তাহলে তা হবে যুক্তরাষ্ট্রকে সরাসরি চ্যালেঞ্জের সামিল। ইসরায়েলের সঙ্গে ইরানের এই লড়াইয়ে ইতোমধ্যে তেহরানের পাশে দাঁড়িয়ে বার্তা দিয়েছে বেইজিং। পুরোপুরি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণের কথাও চীন জানিয়ে রেখেছে।ভোরের আকাশ/জাআ
মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনা অবস্থায় মিসরের নেতৃত্বে ২১টি মুসলিম দেশের একটি গ্রুপ ইসরায়েলের ইরানের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়েছে।একইসঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে উত্তেজনা হ্রাস ও মধ্যপ্রাচ্যের সবার পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণেরও আহ্বান জানিয়েছে দেশগুলো।কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘বাছাইহীনভাবে মধ্যপ্রাচ্যের সবাই’ বলছে গ্রুপটি ইসরায়েলের পারমাণবিক কর্মসূচির প্রতি ইঙ্গিত করেছে। অর্থাৎ, ইসরায়েলকেও পরমাণু অস্ত্র প্রাপ্তির চেষ্টা থেকে সরে আসতে হবে।পাশপাপাশি গ্রুপটি সতর্ক করে বলেছে, সংঘাত আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে, যা পুরো অঞ্চলকে অস্থিরতার দিকে ঠেলে দিতে পারে। অবিলম্বে একটি সমন্বিত ও দায়িত্বশীল পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।সবাইকে আহ্বান জানিয়ে গ্রুপটি আরও বলেছে, মধ্যপ্রাচ্যকে একটি পরমাণু অস্ত্রমুক্ত অঞ্চল হিসেবে গড়ে তোলার জন্য এবং এই অঞ্চলের সব রাষ্ট্রকে পারমাণবিক অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি (এনপিটি)-তে যুক্ত হতে হবে।গ্রুপটিতে স্বাক্ষরকারী দেশগুলো হলো—আলজেরিয়া, বাহরাইন, ব্রুনাই, চাদ, কোমোরোস, জিবুতি, মিসর, গাম্বিয়া, ইরাক, জর্ডান, কুয়েত, লিবিয়া, মৌরিতানিয়া, ওমান, পাকিস্তান, কাতার, সৌদি আরব, সুদান, সোমালিয়া, তুরস্ক এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত।মুসলিম বিশ্বের অনেক দেশ যে ইসরায়েলের সামরিক তৎপরতা ও পারমাণবিক অস্ত্র বিতর্ক নিয়ে উদ্বিগ্ন এবং তারা এই অঞ্চলকে শান্তিপূর্ণ ও নিরস্ত্রীকরণমুখী রাখতে চায়, তা এখন দিবালোকের মতোই সত্য। সেই থেকে চলমান সংঘাতে এখনমধ্যপ্রাচ্য, পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ, মুসলিম দেশ পর্যন্ত উভয় দেশের অনেকে নিহত ও আহত হলেও এই সহিংস পরিস্থিতি থামাতে এখন পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।ভোরের আকাশ/জাআ
ইরানের মিসাইল হামলায় দখলদার ইসরায়েলের বৃহৎ তেল পরিশোধনাগার পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে এবং মিসাইলের আঘাতে তিনজন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল।সংবাদমাধ্যমটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, তেল পরিশোধনাগরটি পরিচালনা করা বাজান গ্রুপ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইরানের মিসাইল হামলার কারণে তাদের সব অবকাঠামো বন্ধ হয়ে গেছে। এর আগে সোমবার (১৬ জুন) রাতে সেখানে মিসাইল ছোড়ে ইরান। তেলআবিব স্টক এক্সচেঞ্জের কাছে দেওয়া বিবৃতিতে বাজান গ্রুপ জানায়, পরিশোধনাগারের অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত এবং বিদ্যুৎ কেন্দ্র বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায়, পরিশোধনাগার এবং এর সঙ্গে অন্যান্য কোম্পানিগুলো সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। আমরা এখন বিদ্যুৎ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। এর আগে হাইফা উপকূলে অবস্থিত পরিশোধনাগারটিতে সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ হামলার হুমকি দিয়েছিল। কিন্তু তারা হামলা চালায়নি। এছাড়া এটি কখনও এমন সরাসরি হামলার শিকার হয়নি। তবে এবার ইরানের মিসাইলে বিধ্বস্ত হয়েছে এটি। ভোরের আকাশ/জাআ