রহিম মিয়ার সংসারে স্বচ্ছলতার গল্প
কুষ্টিয়ার ছেলে রহিম মিয়া। বেনাপোলে ‘কুলফি মালাই বিক্রেতা’ হিসেবে বেশ নাম-ডাক। লাল কাপড়ে মোড়ানো মাটির পাতিল ভর্তি বরফের সাথে রাখা কুলফি মালাই নিয়ে ভ্যানগাড়িতে মাইক বাজিয়ে বেনাপোল শহরে ঘুরে বেড়ান তিনি। টিনের ছোট্ট কৌটায় সাদাটে কুলফি মালাই, স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয়- যা মুখে দিতেই গলে যায়, তাই ছোট-বড় সবার প্রিয়। শহরবাসীর কাছে এভাবেই নানা উপমায় পরিচিত ‘রহিম মিয়ার কুলফি মালাই’। এই মালই বিক্রি করে সংসারে স্বচ্ছলতাও ফিরিয়ে এনেছেন রহিম মিয়া।
বেনাপোল শহর ছাড়িয়ে গ্রামগঞ্জের বিভিন্ন আনাচে-কানচেও পাওয়া যায় এই কুলফি মালাই। জানা যায়, রহিম মিয়ার দেখাদেখি বেনাপোলে গড়ে উঠেছে আরও ৪/৫টি ঠেলাগাড়ীর কুলফি মালাই দোকান। যারা কুলফি তৈরি ও বিক্রিকে পেশা হিসেবে নিয়েছেন।
রহিম মিয়ার সাথে কথা বলে জানা যায়, তার বাড়ি কুষ্টিয়া হলেও তিনি এখন বেনাপোলের বাসিন্দা। ২০১০ সালে বেনাপোল আসেন। বেনাপোলে কুলফি মালাইয়ের কোনো দোকান কিংবা গাড়ি নেই দেখে সিদ্ধান্ত নেন-বেনাপোল থেকে কুলপি মালাই তৈরি করে বিক্রি করার। স্থায়ী কোনো জায়গা না পাওয়ায় ভ্যানগাড়িতে ভ্রাম্যমাণ হিসেবে মালাই বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন।
এরপর থেকে বেনাপোল শহরে ঠেলা গাড়িতে কুলফি বিক্রি করতে করতে সকলের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেন। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে কুলফি মালাই বিক্রি করে আসছেন রহিম মিয়া। রহিম জানান, তিনি কুলফি মালাই তৈরি করতে বেনাপোলের বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে খাঁটি গরুর দুধ ক্রয় করেন। গরুর দুধ, চিনি, এলাচ,কিচমিচ,গরম মসলাসহ নানা উপকরণ দিয়ে তৈরি করেন সুস্বাদু কুলফি মালাই। কুলফি মালাই তৈরিতে তার স্ত্রী তাকে সহযোগিতা করেন। রহিম মিয়া আরও জানান, কুলফি মালাই বিক্রি করে তার সংসারও ভালোভাবেই চলে যাচ্ছে।
ভোরের আকাশ/আজাসা
সংশ্লিষ্ট
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে প্রতিদিনের মতো রোববারও পরিতোষ বর্মন, হরিমন বর্মন, সত্যগুণ বর্মন ও মনোরঞ্জন বর্মন মেঘনা নদীতে জাল ফেলে মাছ ধরতে যান। সকাল ১১টার দিকে তাদের জালে ধরা পড়ে ২৯ কেজি ওজনের একটি বিশাল বিগহেড মাছ।রোববার (১৮ মে) সকাল ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার চরলাপাং এলাকায় মেঘনা নদী থেকে মাছটি ধরেন গোপীনাথপুর (মনতলা) গ্রামের জেলে পরিতোষ বর্মনসহ অন্যান্য জেলেরা।পরে মাছটি স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী সুমন মিয়ার কাছে ৮৫০ টাকা কেজি দরে ২৪ হাজার ৬৫০ টাকায় বিক্রি করা হয়।স্থানীয় বাসিন্দা শ্যামল বর্মন শিমুল বলেন, জেলেদের জালে ধরা পড়া বিগহেড মাছটি দেখতে ভিড় করেন অনেকে। এতো বড় মাছ সচরাচর দেখা যায় নাজেলেরা জানায়, চলতি বছরের ৩ মার্চ তিতাস নদী থেকে ২৬ কেজি ওজনের একটি বিগহেড মাছ, ২৮ এপ্রিল ২৫ কেজির একটি বোয়াল মাছ এবং ১০ মে মেঘনা নদী থেকে ১৯ কেজি ওজনের একটি কাতলা মাছ ধরা পড়ে। এসব ঘটনায় এলাকার জেলেরা বেশ উৎসাহিত। এতো বড় বড় মাছ ধরা পড়াতে তারা খুব খুশি।জেলে পরিতোষ বর্মণ বলেন, আমাদের জালে ধরা পড়া মাছটির ওজন ২৯ কেজি। ৮৫০ টাকা কেজি ধরে এটি স্থানীয় ব্যাপারী সুমন মিয়ার কাছে বিক্রি করেছি। ভোরের আকাশ/এসআই
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন। শনিবার রাতে ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকার ভাটিয়ালপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।রোববার (১৮ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফরিদগঞ্জ থানার এসআই মো. মাহবুব আলম।জানা যায়, মারা যাওয়া যুবকের নাম ইয়াসিন হোসেন সোহান (২৫)। তিনি ওই গ্রামের মো. জসিম উদ্দিন ও হালিমা দম্পতির বড় ছেলে। খবর পেয়ে তাদের বসতঘর থেকে মরদেহ উদ্ধার করে রোববার চাঁদপুরে মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।ওই যুবকের পরিবারের বরাত দিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ইয়াসিন হোসেন সোহান তাদের ৪ ভাই-বোনের মধ্যে বড়। তার বাবা অটোরিকশা চালান। কয়েক মাস আগে তার মায়ের শরীরে ক্যানসার ধরা পড়ে। চিকিৎসার খরচ মেটাতে আর্থিক অনটনে ভুগতে থাকেন তারা। শনিবার বিকেলে তিনি নিজের কক্ষের দরজা আটকে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ৯টা নাগাদ দরজা না খোলায় পরিবারের অন্য সদস্যরা ডাকাডাকি শুরু করেন। একপর্যায়ে দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে দেখেন সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গামছা দিয়ে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলে আছে ইয়াসিন।এর আগে ইয়াসিন তার নিজের ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে লেখেন, ‘আমার মা-বাবা হয়তো আমাকে কোনো দিনও ক্ষমা করবে না। কীভাবে ক্ষমা করবে বলেন! আমি যে তাদের স্বার্থপর ছেলে। আমার জায়গায় যদি একটা মেয়ে জন্মাইত, তাইলেই হয়তো তাদের এই দুর্দিন দেখতে হইতো না।’এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার এসআই মো. মাহবুব আলম বলেন, সোহানের মরদেহ উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি পরিবারের সঙ্গে অভিমান করে আত্মহত্যা করতে পারেন। আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। ভোরের আকাশ/ জাআ
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের শৈবাল পয়েন্টে বিষধর ‘ইয়েলো বেলিড’ প্রজাতির একটি সাপ ভেসে এসেছে ।রোববার (১৮ মে) বেলা ১১টার দিকে সৈকতের শৈবাল পয়েন্টে ওই সাপটি ভেসে আসে।সি সেফ লাইফ গার্ড সংস্থার সিনিয়র লাইফ গার্ড জয়নাল আবেদীন ভূট্টো বলেন, কক্সবাজার সৈকতের কবিতা চত্বর পয়েন্টে একটি উদ্ধার কার্যক্রমে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে ফেরার সময় বেলা ১১টার দিকে সৈকতের শৈবাল পয়েন্টে কিছু জেলে জড়ো হয়ে একটি সাপকে লাঠি দিয়ে আঘাত করছিলেন। তাৎক্ষণিকভাবে আমি ও লাইফ গার্ড কর্মী ওসমান ও সাদেক তাদের বাধা দিই। এরপর তাদের কাছ থেকে সাপটিকে রক্ষা করি। উদ্ধারের আগেই সাপটিকে লাঠির আঘাতও করেন জেলেরা। পরবর্তীতে সাপটি রক্ষা করে পুনরায় সাগরে ফিরিয়ে দেয়া হয়।সিনিয়র লাইফ গার্ড জয়নাল আবেদীন ভূট্টো আরও বলেন, এটি ছোট আকারের সাপ। পেটের রঙ হলুদ, দেহের উপরিভাগ কালো ও কিছু অংশে হলুদ। এটি ‘ইয়ালো বেলিড সি’ প্রজাতির সাপ। গত বছর বর্ষা-মৌসুমের আগে এবং পরে চারটি ইয়ালো বেলিড সাপ ভেসে এসেছিলো কক্সবাজার সৈকতের লাবনী, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্টে; যা উদ্ধার করে ফের সাগরে ছেড়ে দেয়া হয়েছিল।সিনিয়র লাইফ গার্ড কর্মী ওসমান বলেন, মূলত রোববার ভোর থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত ১১১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে কক্সবাজারে। এর কারণে সাগরে পানির বেড়েছে এবং সাগর উত্তালও রয়েছে। তাই জোয়ারের পানির তোড়ে সাপটি ভেসে এসেছে।সমুদ্র বিশেষজ্ঞরা জানান, হলুদ পেটওয়ালা ইয়েলো বেলিড সি প্রজাতির সাপ বিশ্বের সবচেয়ে বিষধর সাপগুলোর একটি। প্রশান্ত মহাসাগরে পানির ওপরের স্তরে বাস হলেও ফের কক্সবাজার সৈকতে দেখা মিলেছে এই সাপের।বিশ্বের স্থল ও সমুদ্রের সাপের মধ্যে চতুর্থতম ইয়েলো বেলিড সি। হলুদ পেটযুক্ত সমুদ্রের এই সাপ সাধারণত প্রশান্ত ও ভারত সাগরের গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে বাস করে। উপকূলের চেয়ে গভীর সমুদ্রই এদের বিচরণ সবচেয়ে বেশি।
চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায় বান্দরবান হতে কেরানীহাটগামী একটি পূরবী বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে নাজিফা আক্তার (৫) নামে এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।রবিবার (১৮ মে) বিকেল ৫ টার দিকে সাতকানিয়া থানাধীন কেরানিহাট-বান্দরবান মহাসড়কের বুড়ির দোকান সংলগ্ন সত্যপীর মাজারের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।নিহত শিশু নাজিফা আক্তার উপজেলার কেঁওচিয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বায়তুল ইজ্জত গ্রামের আমতলা এলাকার আরব আমিরাত প্রবাসী আবছার উদ্দিনের কন্যা।নিহত শিশু নাজিফা আক্তারের চাচা আনছার উদ্দিন বলেন, আমার ভাতিজী তার নিকটাত্মীয়দের সাথে সাতকানিয়া থানাধীন বায়তুল ইজ্জতে অবস্থিত বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার এন্ড কলেজ (বিজিটিসিএন্ডসি) এলাকার ঘুরতে এসেছিল। পরে তারা সেখান থেকে হাঁটতে হাঁটতে বুড়ির দোকান সংলগ্ন সত্যপীর মাজারের কাছে আসে। তখন কেরানিহাট-বান্দরবান মহাসড়কের উত্তর পাশ হতে দক্ষিণ পাশে পার হওয়ার সময় বান্দরবান হতে ছেড়ে আসা দ্রুতগামী পূরবী বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।সাতকানিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জাহেদুল ইসলাম বলেন, দূর্ঘটনাকবলিত বাসটি আটক করা হয়েছে। বাসের চালক দূর্ঘটনার পরপরই পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। ভোরের আকাশ /জাআ