আশরাফুল ইসলাম সুমন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
প্রকাশ : ০৬ এপ্রিল ২০২৫ ০৪:০৭ পিএম
ছিনতাইকৃত ট্রাক্টর এক মাসেও উদ্ধার হয়নি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে একটি মাহিন্দ্রা ট্রাক্টর আটকে রেখে চাঁদা দাবির অভিযোগ পাওয়া গেছে ৫ জনের বিরুদ্ধে। আটকে রাখা সেই ট্রাক্টরটি এক মাসেও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় গত ১৮ মার্চ ঐ ট্রাক্টরের মালিক মো. রুমেল মিয়া (২২) সরাইল থানায় ৫ জনের নাম উল্লেখ করে একটি চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেন।
মামলার অভিযুক্তরা হলেন; শাহিন মিয়া (৩৩), মো. রাজু মিয়া (৩৮), তোতা মিয়া (৫৫), মানিক মিয়া (৩৫) ও রেহেনা বেগম (৪৮)। একমাসেও পুলিশ চাঁদাবাজদের দখল থেকে মাহিন্দ্র ট্রাক্টরটি উদ্ধার করতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন গাড়ির মালিক রুমেল। এ নিয়ে পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ বলে জানা যায়।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ মার্চ সকাল ৬টার দিকে উপজেলার শাহজাদাপুর ইউনিয়নের দেওড়া (পশ্চিম পাড়া) গ্রামের আ. বাছির মিয়ার ছেলে রুমেল নিজের ট্রাক্টরটি চালিয়ে যাদবপুর মোড় পাকা রাস্তার উপর পৌঁছলে অভিযুক্তরা রাস্তা অবরোধ করেন। তারা তখন ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। রুমেল চাঁদা দিতে অসম্মতি জানালে অভিযুক্ত চাঁদাবাজরা তাকে ড্রাইভিং সিট হতে টেনে হিচড়ে নামিয়ে মারধর করে পকেটে থাকা নগদ ১৯ হাজার টাকাসহ ট্রাক্টরটি ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
ঘটনার পর রুমেল সরাইল থানায় একটি সাধারণ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু পুলিশ চাঁদাবাজদের দখল থেকে গাড়িটি উদ্ধার করতে পারেনি। এরপরে গত ১৮ মার্চ থানায় চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করলে পুলিশ দুইজনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়। কিন্তু গাড়িটি তাদের দখল থেকে উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয় পুলিশ।
গাড়িটি আটক করার বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত শাহিন বলেন, ‘গাড়িটি আমি আটক করি নাই, রাজু ও মানিক আটক করে রেখেছে।’ অভিযুক্ত রাজু জানান, ‘গাড়ি আমাদের বাড়িতে আছে।’
রুমেল বলেন, ‘আজ এক মাস হলো চাঁদাবাজদের দখলে রয়েছে আমার ট্রাক্টরটি। পুলিশ এখনো গাড়িটি উদ্ধার করতে পারেনি। দুইজন চাঁদাবাজকে পুলিশ ধরে জেলে পাঠিয়ে ছিল। তারা ৫ দিন জেল খেটে চলে এসেছে। এখন ভয়ে আছি আমার গাড়ি খুলে বিক্রয় করে দেয় কিনা।’
এ বিষয়ে শাহবাজপুর বিট অফিসার ও তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘আমরা শুনছি গাড়িটি নাকি তাদের বাড়ি থেকে সরিয়ে ফেলেছে।’
ঘটনার বিষয়ে সরাইল থানার ওসি মো. রফিকুল হাসান বলেন, ‘ঘটনার বিষয়ে ভুক্তভোগী গাড়ির মালিক থানায় মামলা দায়ের করেন। আমরা দুইজনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠাই।’ গাড়ি উদ্ধারের বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, তদন্তকারী কর্মকর্তার সাথে কথা বলার জন্য।
ভোরের আকাশ/এসএইচ