স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যা,রোহিঙ্গা এনজিওকর্মী আটক
কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ছৈয়দ আলম (২৭) নামে এক রোহিঙ্গা এনজিও কর্মীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ছৈয়দ আলমকে আটক করেছে এপিবিএন পুলিশ। বুধবার (১১ জুন) রাতে উখিয়ার ২ নম্বর ক্যাম্পের নিজ বসতঘরে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ক্যাম্পের কমিউনিটি লিডার ইদ্রিস মিয়া।
নিহত আয়েশা খাতুন (২৫) উখিয়ার ২ নম্বর ক্যাম্পের ওয়েস্ট ডি-১২ ব্লকের বাসিন্দা। তার স্বামী ছৈয়দ আলমও একই ক্যাম্পে থাকতেন।
ক্যাম্পের মাঝি (কমিউনিটি লিডার) ইদ্রিস মিয়া জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্প-২ ওয়েস্টের বাসিন্দা এনজিও সংস্থা ‘এক্টে’ কর্মরত ছৈয়দ আলম ও তার স্ত্রী আয়েশা খাতুনের মধ্যে পারিবারিক কলহের জেরে কথা কাটাকাটি হয়। তর্কের এক পর্যায়ে স্ত্রী আয়েশা খাতুনকে ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেছে। পরে ঘটনাটি এপিবিএন পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ অভিযান চালিয়ে করে ঘাতক ছৈয়দ আলমকে আটক করে।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আরিফ হোসেন বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্বামীর হাতে স্ত্রী নিহত হয়েছে বলে জেনেছি। পরে থানা থেকে পুলিশের টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করেন। ঘটনায় অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ভোরের আকাশ/আজাসা
সংশ্লিষ্ট
চট্টগ্রাম নগরীতে বাড়ছে করোনাভাইরাসের প্রকোপ। প্রতিদিন বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। এবার একদিনেই আক্রান্ত হলেন ৯ জন। এ নিয়ে মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ জনে।এর আগে গত ৬ দিনে করোনা আক্রান্ত হয়েছিল ৯ জন। তবে করোনা আক্রান্ত কারো মৃত্যু হয়নি।এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫০টি নমুনা পরীক্ষায় ৯ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।রোববার (১৫ জুন) দুপুরে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদন এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।প্রতিবেদনের তথ্যে জানা যায় , চট্টগ্রাম জেলার ১৫টি ল্যাবের তিনটিতে ১৫০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালে ২৪টি নমুনা পরীক্ষায় ১ জন, এপিক হেলথ কেয়ারে ৪৯টি নমুনা পরীক্ষায় ৪ জন, পার্কভিউ হাসপাতালে ৫৯টি নমুনা পরীক্ষায় ২জন এবং এভারকেয়ার হাসপাতালে ১৮টি নমুনা পরীক্ষায় ২ জনের করোনা শনাক্ত হয়।এদিকে আক্রান্ত ৯ জনের মধ্যে দুজন উপজেলা এবং ৮ জন নগরীর বাসিন্দা। এছাড়া মোট ১৮ আক্রান্তের মধ্যে ১৫ জন নগরীর ও ৩ জন উপজেলার বাসিন্দা।অন্যদিকে করোনা সংক্রমণ রোধে মাস্ক পড়াসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। এছাড়া করোনা মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।ভোরের আকাশ/আজাসা
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আহত মসজিদ কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম (৫২) ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। প্রায় আড়াই মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর শনিবার (১৪ জুন) তার মৃত্যু হয়।এ ঘটনায় শনিবার রাতে চর আবাবিল ইউনিয়নের উদমারা এলাকা থেকে কিশোর গ্যাং সদস্য সাব্বির হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে অভিযুক্ত রহিম উদ্দিনকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কিশোর গ্যাং সদস্যদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।নিহতের ভাই মো. জসিম উদ্দিন জানান, দক্ষিণ চর আবাবিলের উদমারা এলাকায় জুয়ার আসর ও মাদক সেবনের প্রতিবাদ করায় ৩ এপ্রিল স্থানীয় কিশোর গ্যাং সদস্যরা জাহাঙ্গীর আলমের ওপর হামলা চালায়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন।প্রথমে তাকে রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, পরে সদর হাসপাতালে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দীর্ঘ চিকিৎসার পর শনিবার তিনি মারা যান।পুলিশ জানায়, জাহাঙ্গীর আলম উদমারা সাহাদু উল্যা মাঝিবাড়ি জামে মসজিদের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। মসজিদের আশপাশে মাদক ও জুয়া বন্ধে তার ভূমিকার কারণেই কিশোর গ্যাংয়ের বিরাগভাজন হন তিনি। হামলায় নেতৃত্ব দেন কিশোর গ্যাং সদস্য জুবায়ের, বাহার ও সাব্বির।এ ঘটনায় জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী রাজিয়া বেগম ৭ এপ্রিল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। আদালত মামলা আমলে নিয়ে রায়পুর থানাকে তদন্তের নির্দেশ দেয় এবং ১০ এপ্রিল মামলা রুজু হয়।এর আগে একই এলাকায় কিশোর গ্যাং সদস্যদের হামলায় সুদেব শীল মনু নামে আরও একজন নিহত হন। এসব ঘটনার প্রতিবাদে এলাকাবাসী একাধিকবার বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করলেও থামেনি কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য।ভোরের আকাশ/আজাসা
আমের ‘বাণিজ্যিক রাজধানী’ হিসেবে পরিচিত নওগাঁয় এবার বেড়েছে আম চাষ। দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানির প্রস্তুতি নিয়েছেন জেলা কৃষি বিভাগ। জেলা প্রশাসনের নির্ধারিত সময় অনুযায়ী গত ২২ মে থেকে শুরু হয়েছে আমের বাজার। তবে নওগাঁয় সবচেয়ে বড় যে আম এর বাজার বসে তা মূলত আমরুপালি। যা আগামী ১৮ জুন থেকে বাজারে পাওয়া যাবে। জেলায় এবার প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকার আম বাণিজ্য হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।জেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে নওগাঁয় এ বছর ৩০ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে আম চাষ করা হয়েছে। এতে প্রায় ৩ লাখ ৮৬ হাজার টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য্য করেছে কৃষি বিভাগ।নওগাঁ জেলায় এবার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ৩ লাখ ৬৮ হাজার ৪৩৫ টন আম। হেক্টরপ্রতি গড় ফলন ধরা হয়েছে ১২ দশমিক ৬৫ টন। প্রতি কেজি আমের গড় মূল্য ৫০ টাকা নির্ধারণ করে চলতি মৌসুমে ৩ হাজার ৮৪২ কোটি ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার আম বাণিজ্যের আশা করছে জেলার কৃষি বিভাগ। আম বাগানের গাছে গাছে ঝুলছে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন জাতের আম। এ জেলায় এবার দেশি জাতের পাশাপাশি চাষ হয়েছে বিদেশি নয় জাতের আম। বিভিন্ন রংয়ের এসব আম নজর কাড়বে যে কারো। ফলনও হয়েছে খুব ভালো। বাহারী রঙের এমন আমের চাহিদা, এবং দামও অনেক। অন্যান্য আমের তুলনায় চাষ পদ্ধতি খুব একটা আলাদাও নয়। দেশের মাটিতে বিদেশি জাতের আম চাষ করেছেন তরুণ কৃষক সোহেল রানা। তিনি জানান, দেশের মাটিতে বিদেশি জাতের আম চাষের আগ্রহ থেকে এমন বাগান করেছেন। তবে বাংলাদেশের মাটিতে এতো ভালো ফলন হবে, এটা তিনি কল্পনাও করেননি। এসব আমের চারা কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় বিভিন্ন দেশ থেকে তিনি সংগ্রহ করেছেন। আমগুলো রঙ এবং স্বাদ- সব দিক দিয়েই সেরা। তাই এ আমগুলো বাংলাদেশ থেকে বিদেশে রপ্তানির কথা ভাবছেন তিনি। সোহেল রানার বাগানে চাষকৃত আমের মধ্য রয়েছে, আমেরিকান- অস্টিন, রেড পালমার, কেইট ও গেøইন, জাপানের- মিয়াজাকি, থাইল্যান্ডের- রেড এমপেরর, কিউজাই ও রেড আইভরি, ভারতের- কোহিতুর, পাকিস্থানের- আনোয়ার রাতাউলসহ দেশিও বিভিন্ন প্রজাতির আম রয়েছে তার বাগানে। নওগাঁ কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছেন, চলতি বছর নওগাঁ থেকে ১ হাজার ৫০০ টন আম রপ্তানির লক্ষ্যে নিরাপদ প্রক্রিয়াজাতের মধ্য দিয়ে প্রস্তুত করা হয়েছে। যা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা কৃষি বিভাগ। রপ্তানিকৃত আমের মধ্যে রয়েছে আমরুপালি, বারি ফোর, ব্যানানা ম্যাংগো, গৌড়মতিসহ বিভিন্ন জাতের আম। ইতি মধ্যে বিদেশে আম রপ্তানির জন্য কয়েকজন আম চাষিকে প্রশিক্ষণ ও নিরাপদ আম প্রস্তুতের পরামর্শ দিয়েছেন কৃষি বিভাগ। তাদের বাগান থেকেই আম চিন, ইংল্যান্ড, জার্মানি, ইতালি, ফ্রান্স, ডেনমার্ক, দুবাই, কাতার, সুইডেন ও ওমানে রপ্তানি করা হবে।চাষিরা বলছেন, তাদের বাগানে উৎপাদিত আম শতভাগ নিরাপদ ও ক্ষতিকর রাসায়নিকমুক্ত। ২শ থেকে ৩শ গ্রাম ওজনের আকর্ষণীয় এসব আম বাছাই করে রপ্তানির প্রস্তুতি নিয়েছেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয় ও রাষ্ট্রীয় মান নিয়ন্ত্রক সংস্থার ছাড়পত্র নিয়েই চতুর্থ বারের মত দেশের সীমানা পাড়ি দিচ্ছে নওগাঁর আম। সাপাহার বরেন্দ্র অ্যাগ্রো পার্কের উদ্যোক্তা ও আম চাষি সোহেল রানা এ বছর প্রায় ১০০ বিঘা জমিতে আমের চাষ করেছেন। আমরুপালি, বারি-৪, গৌড়মতি, ব্যানানা ম্যাংগো, কাটিমন, ল্যাংড়া, হিমসাগর, ফজলি, মিয়াজিকিসহ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন জাতের আম আছে তার বাগানে। এ বছর আমরুপালি, বারি-৪, গৌড়মতি, ব্যানানা ম্যাংগো ও কাটিমন জাতের আম রপ্তানির জন্য বিশেস পদ্ধতিতে চাষ করেছেন।সোহেল রানা বলেন, ‘গত বছর তার এই বাগান থেকে ১০ টন আম ইংল্যান্ড ও কাতারে রপ্তানি করেছি। লাভও ভালই পেয়েছি। এ বছর চিন, জার্মানি, ফিনল্যান্ড, দুবাই, ইংল্যান্ড, কাতার, সুইডেন ও ওমানে আম রপ্তানির পরিকল্পনা রয়েছে। ‘কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় আধুনিক ফরুট্স ব্যাগিং ও বিষমুক্ত নিরাপদ আম উৎপাদন করা হয়েছে। এ বছর প্রায় ৫০ টন আম রপ্তানি করতে পারবেন বলেও তিনি জানান।জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, , ‘জেলায় এবার বৈরি আবহাওয়ার কারনণ আমের ঘনত্ব কম। ঘনত্ব কম হওয়ায় গতবারের চেয়ে আকারে বড় হয়েছে এবারের আম। ফলে যা লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তা পূরুণ হবে। এবার এ জেলা থেকে ১৫শ টন আম রপ্তানির প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এ জন্য শুরু থেকেই আমরা কিছু বাগান নির্ধারণ করেছি। এসব বাগান থেকেই নিরাপদ আম রপ্তানি করা হবে।’ জেলায় এবার চলতি মৌসুমে ৩ হাজার ৮৪২ কোটি ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার আম বাণিজ্য হবে বলে মনে করা হচ্ছে।ভোরের আকাশ/আজাসা
নওগাঁর আত্রাই প্রেসক্লাবের যুগ্নসাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক নাজিমুল হক নাহিদের ভাতিজা ৬ষ্ঠ শ্রেণির মেধাবি শিক্ষার্থী মেহেরাব হোসেন সৌরভের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।রবিবার (১৫ জুন) সকালে উপজেলার কলকাকলী মডেল স্কুল এন্ড কলেজে বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন, তার পরিবারের সদস্য, বন্ধু-বান্ধব, শিক্ষক, সহপাঠী ও অন্যান্য শুভাকাক্সক্ষী।কলকাকলী মডেল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. মাজেদুর রহমান গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, কোমলমতি শিশুটি বিদ্যালয়ে ছিল সকলের কাছে প্রিয়। তার প্রতিটি স্মৃতি জড়িয়ে আছে বিদ্যালয়ের সকল স্থানে। একই সাথে তিনি মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।পবিত্র ঈদুল আযহার দিন সকালে সিরাজগঞ্জ খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মেহেরাব হোসেন সৌরভ। ওই দিন বাদ মাগরিব ভবানীপুর জিএস উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাজার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে মরহুমের দাফন সম্পন্ন করা হয়। ভোরের আকাশ/আজাসা