হেলালী-মাহবুব-জাফর প্যানেলের সব প্রার্থী বিজয়ী
ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও উৎসবমুখর পরিবেশে বহুল প্রতিক্ষীত সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার-জেইউসি'র দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এতে পেশাদার সাংবাদিকদের প্যানেল হেলালী-মাহবুব-জাফর প্যানেলের সব প্রার্থী বিজয়ী হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের দেয়া তথ্য মতে, ৫৩ ভোটের মধ্যে ২৯ ভোট কাস্ট হয়েছে। এতে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন দৈনিক দিনকাল এর স্টাফ রিপোর্টার নুরুল ইসলাম হেলালী, সহ-সভাপতি দৈনিক কালবেলার জেলা প্রতিনিধি এম আর মাহবুব, সাধারণ সম্পাদক দৈনিক রুপালী সৈকত পত্রিকার বার্তা সম্পাদক এস এম জাফর, যুগ্ম-সম্পাদক দৈনিক বণিক বার্তার জেলা প্রতিনিধি ছৈয়দ আলম, কোষাধ্যক্ষ এনটিভির স্টাফ রিপোর্টার ইকরাম চৌধুরী টিপু, সাংগঠনিক সম্পাদক দৈনিক আজাদীর জেলা প্রতিনিধি শাহেদ মিজান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক দৈনিক কক্সবাজারের স্টাফ রিপোর্টার বেদারুল আলম, সদস্য দৈনিক ইনকিলাবের বিশেষ সংবাদদাতা শামসুল হক শারেক ও দৈনিক সংবাদ এর স্টাফ রিপোর্টার এম, জসিম উদ্দিন ছিদ্দিকী সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
অন্যদিকে আশেক-হাসিম-আনছার প্যানেলের ৭জন প্রার্থী একটি করে এবং সহ-সভাপতি প্রার্থী মোহাম্মদ হাসিম ২ ভোট ও যুগ্ম সম্পাদক প্রার্থী হুমায়ুন সিকদার ৩ ভোট পেয়েছেন।
১৪ জুন (শনিবার) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কক্সবাজার প্রেসক্লাবের হল রুমে একটানা ভোটার গণ তাদের পছন্দের প্রার্থীদের ভোট প্রদান করেন।
নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান কক্সবাজার প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এস এম আমিনুল হক চৌধুরী জানান, দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার (জেইউসি) এর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ৫৩ ভোটারদের মধ্যে ২৯ জন ভোটার তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট প্রদান করেন।
ভোটগ্রহণে দায়িত্ব পালন করেন নির্বাচন কমিশনের অপর দুই সদস্য মাহবুবর রহমান ও এএইচ সেলিম উল্লাহ।
নির্বাচন কমিশন সদস্য মাহবুবর রহমান বলেন, সাংবাদিকদের সর্বোচ্চ সংগঠন সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার এর এই নির্বাচন বহু কাঠখড় পুড়িয়েছে। তাই এই নির্বাচন নিয়ে সাংবাদিক মহল ছাড়াও সচেতন মহলের ব্যাপক আগ্রহ ছিলো। এ কারণে ভোটগ্রহণে কঠোর নিরাপত্তা জোরদার করা। মোতায়েন করা পুলিশ ফোর্স। প্রেসক্লাব আঙিনায় স্থাপন করা হয় সিসি ক্যামেরা।
ভোরের আকাশ/আজাসা
সংশ্লিষ্ট
ময়মনসিংহের কেওয়াটখালী আর্চ স্টিল ব্রিজ প্রকল্পে অনুমোদিত নকশা পরিবর্তন, ভূমি অধিগ্রহণে অনিয়ম ও ব্যয় বৃদ্ধি করে রাষ্ট্রীয় অর্থ অপচয়ের অভিযোগ তুলেছে নাগরিক সংগঠন ‘ব্রহ্মপুত্র সুরক্ষা আন্দোলন’।শনিবার (১৪ জুন) ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের নেতারা জানান, একনেক অনুমোদিত নকশা উপেক্ষা করে সংযোগ সড়ক ৫.১ কিমি থেকে বাড়িয়ে ৮.২ কিমি করা হয়েছে। এতে করে ব্যয় প্রায় ২,০০০ কোটি টাকা পর্যন্ত বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।এছাড়া ভূমি অধিগ্রহণ ৮১ একর থেকে বাড়িয়ে ১১৩ একর করায় অতিরিক্ত ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে, যার একটি বড় অংশ রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালীদের জমি বলে দাবি করা হয়।সংগঠনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ রিট করা হয়েছে। আদালত একনেক নকশা অনুযায়ী কাজ পরিচালনার নির্দেশনা চেয়ে রুল জারি করেছেন।নেতারা প্রকল্পের স্বচ্ছ, দ্রুত ও জনবান্ধব বাস্তবায়নের দাবি জানান।ভোরের আকাশ।। হ, র
ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় এক রিকশাচালক বাবাকে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে ‘চাঁদাবাজ’ হিসেবে মামলার আসামি হয়েছেন তার কিশোর পুত্র। এ ঘটনায় আরেক কিশোরকেও সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা ও প্রতিবাদের সৃষ্টি হয়েছে।শনিবার (১৪ জুন) বিকেলে ভালুকার হবিরবাড়ী ইউনিয়নের জামিরদিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঈদের আগের দিন জামিরদিয়া এলাকার বাদশা টেক্সটাইল মিলের ২ নম্বর গেট সংলগ্ন স্থানে এক নারী যাত্রীকে গন্তব্যে না নেওয়ায় রিকশাচালক সাইফুল ইসলামকে প্রকাশ্যে মারধর করেন আল আমিন, তার ভাই শামীম এবং তাদের সহযোগী মেহেদী হাসান।ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে শুক্রবার (১৩ জুন) সাইফুলের ছেলে সিফাত তার দুই সহপাঠীকে নিয়ে অভিযুক্তদের দোকানে যান। এ সময় কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে সিফাত দোকানের শোকেজে লাথি মারেন বলে জানা যায়। পরে দোকানদাররা তাদের হাতে খেলনা পিস্তল ধরিয়ে ‘ডাকাত ডাকাত’ বলে চিৎকার শুরু করেন এবং সেনাবাহিনীর সদস্যদের খবর দেন। সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুই কিশোরকে আটক করে ভালুকা মডেল থানায় হস্তান্তর করে।পরদিন মেহেদী হাসান বাদী হয়ে সিফাত ও তার বন্ধু সাদিকুলের বিরুদ্ধে খেলনা পিস্তল দিয়ে চাঁদা দাবি এবং দোকানে ভাঙচুরের অভিযোগে মামলা করেন।সিফাতের বাবা সাইফুল ইসলাম বলেন, “আমি একজন রিকশাচালক। একটি নারী যাত্রীকে না নেওয়ার কারণে আমাকে প্রকাশ্যে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। পরে আমার ছেলে প্রতিবাদ করলে তাকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে।”স্থানীয় বাসিন্দা হারুন জানান, “সিফাত ও সাদিকুল শান্ত, ভদ্র ও শিক্ষিত ছেলে। তারা এমন কোনো অপরাধে জড়াতে পারে না। এটি সম্পূর্ণ সাজানো একটি ঘটনা। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি।”অন্যদিকে অভিযোগকারী মেহেদী হাসান বলেন, “ওরা আমার দোকানে এসে পিস্তল রেখে শোকেজ ভাঙচুর করে। আমরা চিৎকার করলে এলাকাবাসী এসে তাদের ধরে ফেলে এবং সেনাবাহিনীকে খবর দেয়।”ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, “ঘটনার পর দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়েছে। দুই কিশোরকে আদালতে পাঠানো হলে আদালত তাদের কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।”এ ঘটনা নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়দের দাবি, বিষয়টি নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে প্রকৃত সত্য উদঘাটন করা হোক।ভোরের আকাশ।।হ,র
ঝালকাঠির রাজাপুরে বাস ও পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। শনিবার (১৪ জুন) দুপুরে রাজাপুর উপজেলার পাকাপোল এলাকায় বরিশাল-মঠবাড়িয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের বাড়ি মাগুরা জেলায় বলে জানা গেছে।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভাণ্ডারিয়া থেকে রাজাপুরগামী একটি পিকআপ ভ্যান বিপরীত দিক থেকে আসা পাথরঘাটা থেকে ঢাকাগামী হানিফ পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রচণ্ড ধাক্কায় উভয় যানবাহনই রাস্তার পাশের খাদে পড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই পিকআপের দুই আরোহী মশিউর রহমান (৩৫) ও সবুজ মোল্লা (৩৮) নিহত হন।দুর্ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয়রা তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধারকাজে অংশ নেন। পরে রাজাপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।রাজাপুর থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল মালেক জানান, “দুর্ঘটনার তদন্ত চলছে। বাস ও পিকআপ চালকের দায়-দায়িত্ব নির্ধারণে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।”এ দুর্ঘটনায় নিহতদের বাড়ি মাগুরায় হলেও, যাত্রীবাহী বাসটি পাথরঘাটা থেকে ছেড়ে আসায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আবারও নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থার দাবি উঠেছে সচেতন মহলের পক্ষ থেকে।ভোরের আকাশ।।হ,র
জামালপুর শহরের পশ্চিম কাচারীপাড়ায় গোপন অভিযানে জুয়ার আসর থেকে নগদ অর্থ ও জুয়ার সরঞ্জামসহ পাঁচজনকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি বিশেষ দল।ডিবি সূত্রে জানা গেছে, শহরের কাচারীপাড়ার মৃত জসিম মেম্বারের পরিত্যক্ত চারতলা ভবনের তৃতীয় তলার একটি কক্ষ থেকে ১,৭৫০ টাকা নগদ অর্থ ও জুয়া খেলার সরঞ্জামসহ পাঁচজন জুয়াড়িকে আটক করা হয়।আটককৃতরা হলেন—১. মোঃ নিজাম উদ্দিন (৬১), পিতা-মৃত আলাল শেখ, সাং–বন্দেরবাড়ি।২. সুমন (৩৯), পিতা–মামুনুর রশিদ, সাং–বিদ্যাপাড়া।৩. মোঃ রিপন আকন্দ (৪৬), পিতা–মৃত আমানুল্লাহ, সাং–চামড়া গুদাম।৪. মোঃ ফরহাদ হোসেন (৫০), পিতা–মৃত ফজর, সাং–কাচারীপাড়া।৫. মোঃ রেজা (৬৬), পিতা–মৃত বছির উদ্দিন, সাং–মুকুন্দবাড়ী।অভিযানটি পরিচালনা করেন জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা ডিবি-১ এর এসআই (নিঃ) মোঃ আবু বকর সিদ্দিক এবং এসআই (নিঃ) মোঃ এহসানুল হক। পুলিশ সুপার সৈয়দ রফিকুল ইসলাম, পিপিএম (সেবা)–এর নির্দেশনায় বিশেষ এ অভিযান চালানো হয়।আটককৃতদের বিরুদ্ধে জুয়া আইনে নিয়মিত মামলা রুজু করে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে ডিবি সূত্র জানিয়েছে। ভোরের আকাশ।।হ,র