মামুন হোসাইন, চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৩ অক্টোবর ২০২৫ ০৯:৪২ পিএম
চরফ্যাশনে ব্ল্যাকমেইল ও চাঁদাবাজির শিকার ব্যবসায়ী, চলছে মামলার প্রস্তুতি
ভোলার চরফ্যাশনে মিরাজ নামের এক যুবক ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেইল ও চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. মিহির হাওলাদার। এ ঘটনায় মামলা করার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) বেলা ১১টায় চরফ্যাশন পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে নিজ বাসায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ব্যবসায়ী মিহির হাওলাদার অভিযোগ করেন, আড়াই বছর আগে অসুস্থ স্ত্রীর মেডিকেল টেস্টের রিপোর্ট ডাক্তারকে দেখানো এবং ওষুধ আনতে ঢাকায় যাওয়ার সময় লঞ্চের কেবিনে মিরাজ ও তার সহযোগীরা তাকে আটকে রাখে। পরে তারা একটি অচেনা তরুণীকে কেবিনে প্রবেশ করিয়ে ভিডিও ধারণ করে এবং ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এ সময় তার কাছ থেকে ওষুধ কেনার ৪০ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ফোনও নিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, পরবর্তীতে ভিডিও ফাঁসের ভয় দেখিয়ে মিরাজ আরও ৬০ হাজার টাকা নেয়।সম্প্রতি আবারও ১ লাখ টাকা দাবি করে, কিন্তু তিনি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) লঞ্চে ধারণ করা পুরোনো ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করে। এতে তার ব্যক্তিগত মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয়েছে এবং পরিবার গভীরভাবে মানসিক চাপে পড়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে তার স্ত্রী লাভলী আক্তার, চাচাতো ভাই জাহাঙ্গীর হাওলাদার, মনির হাওলাদারসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জাহাঙ্গীর হাওলাদার বলেন, “মিরাজ ও তার চক্র শুধু আমাদের নয়, সাধারণ মানুষকেও আতঙ্কের মধ্যে ফেলেছে। আমরা চাই প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নিবে।”
স্থানীয়রা জানান, সম্প্রতি চরফ্যাশনে নারীকে ফাঁদ হিসেবে ব্যবহার করে চাঁদাবাজি ও ব্ল্যাকমেইলের ঘটনা বাড়ছে। এতে সাধারণ মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
অভিযুক্ত মিরাজ চরফ্যাশন পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সিরাজের ছেলে এবং ছাত্রলীগের কর্মী বলে জানা গেছে। মিরাজ নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মী তাই সে আত্মগোপনে থাকায় তাকে পাওয়া যায়নি। এবং তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও বন্ধ রয়েছে।
চরফ্যাশন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মিজানুর রহমান হাওলাদার জানান, “অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ভোরের আকাশ//হ.র