ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৩ অক্টোবর ২০২৫ ১১:০৬ পিএম
ছবি-ভোরের আকাশ
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে মোছা. রৌশনারা বেগম (৫০) নামে এক নারীকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের খৈরাটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ওই নারী মৃত আব্দুল জলিলের স্ত্রী। অভিযুক্ত সাখাওয়াত হোসেন (২১) ওই নারীর প্রতিবেশী নাতী। সে ওই এলাকার মোস্তুফার ছেলে।
এ ঘটনার পর পুলিশ অভিযুক্ত সাখাওয়াত পিতা মোস্তুফা (৪৮) ও বড় ভাই সাজ্জাদ হোসেনকে (২৪) আটক করেছে পুলিশ। নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত রৌশনারার পরিবারের সঙ্গে পূর্ব বিরোধ ছিল মোস্তুফার পরিবারের।
এই অবস্থায় শুক্রবার সন্ধ্যায় রৌশনারা বেগমের একটি মুরগী মোস্তুফাদের ওখানে যায়। এরপর মুরগী আনতে গেলে মোস্তুফা ও তাঁর মা সালেমা বেগমসহ (৬৫) পরিবারের অন্য সদস্যরা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন।
একপর্যায়ে মোস্তুফার ছোট ছেলে সাখাওয়াত দা হাতে দৌঁড়ে এসে রৌশনারা বেগমের ঘাড়ে কুপ দেয়। এসময় চিৎকার দিয়েই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে রৌশনারা বেগম। এরপর স্থানীয়রা আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই নারীকে উদ্ধারকরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ প্রসঙ্গে নিহত রৌশনারা বেগমের পুত্রবধূ হাফসা আক্তারের (৩০) ভাষ্য, সন্ধ্যা হয়ে গেলে আমাদের একটি ঘরে উঠেনি। পরে আমার শাশুড়ি এদিকসেদিক খোঁজতে থাকলে প্রতিবেশী এক চাচি এসে জানায় মোস্তুফাদের ঘরের পেছনে কলাগাছের পাশে মুরগী বসে আছে। এরপর আমার শাশুড়ি মুরগী আনতে গেলে মোস্তফার ছেলে সাখাওয়াত আমার শাশুড়িকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। আমার শাশুড়ি হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।
এ প্রসঙ্গে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, মরদেহের সুরতহাল সম্পন্ন করে ময়নাতদন্তের লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় অভিযান চালিয়ে প্রধান অভিযুক্তসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
তিনি আরও জানান, ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা বটি ও লাঠি আলামত হিসেবে উদ্ধার করা হয়েছে।
ভোরের আকাশ//হর