মা-মেয়েকে উত্ত্যক্ত
গাইবান্ধা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১১ এপ্রিল ২০২৫ ০৪:০৭ পিএম
মাইকিং করে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ, আহত ২৫
হরিপুর-চিলমারী নির্মাণাধীন তিস্তা সেতুতে ঘুরতে যাওয়া মা-মেয়েকে উত্যক্তের ঘটনার জেরে এলাকায় মাইকিং করে নদীপারের দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। উভয় পক্ষের শতাধিক নারী-পুরুষ দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। কয়েক দফায় চলা এই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের নারী-পুরুষসহ অন্তত ২০ থেকে ২৫ জন আহত হয়েছেন।
এ সময় নদীপারের বেশ কয়েকটি ঘর ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় আলমগীর হোসেন নামের একজনকে প্রথমে চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলেও অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কয়েক দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে দুই গ্রামের মানুষের মধ্যে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে।
পুলিশ জানায়, গত ৪ এপ্রিল চিলমারী উপজেলার রমনা ইউনিয়নের দক্ষিণ খরখরিয়া গ্রামের পশির উদ্দিনের মেয়ে ও স্ত্রী দ্বিতীয় তিস্তা সেতুতে ঘুরতে যান। এ সময় গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের শহরের মোড় এলাকার বিজয়, পাভেল ও সুমন নামের তিন যুবক তাদের গোপনে ছবি তোলে ও উত্যক্ত করার চেষ্টা করেন। মা ও মেয়ে প্রতিবাদ করলে ওই যুবকরা তাদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করে।
এ সময় উপস্থিত রমনা ইউনিয়নের ডাঙ্গার চর এলাকার হামেদ আলীর ছেলে সাজু ও রোস্তম আলীর ছেলে মোতালেব মিয়া প্রতিবাদ জানালে বিজয়, পাভেল ও সুমনসহ কয়েকজন মিলে তাদের মারধর করে। পরবর্তীতে বিষয়টি জানাজানি হলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং দুই গ্রামের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। এরই জেরে বৃহস্পতিবার সকালে দক্ষিণ খরখরিয়া এলাকার লাল মিয়ার ছেলে আলমগীর হোসেন (৩৫) তার ভুট্টা ক্ষেত দেখতে গেলে হরিপুর এলাকার কয়েকজন তাকে বেধড়ক মারধর করে। এতে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয় এবং পায়ে টেঁটার আঘাতসহ পাঁচটি দাঁত ভেঙে যায়।
ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে দুই গ্রামের মানুষ মাইকিং করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে তিস্তা সেতুর দুই পাড়ে কয়েক দফায় সংঘর্ষ হয়। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে হাসপাতালে নেওয়া হলেও অধিকাংশ স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন। সংঘর্ষের পর সেনাবাহিনীর একটি টিম এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
চিলমারী মডেল থানার ওসি মো. আবদুর রহিম জানান, ছবি তোলা কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। উভয় পক্ষের অনেকে আহত হয়েছেন। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছি।
কুড়িগ্রাম সেনা ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন মো. সাফায়তে হোসেন জানান, দুই পক্ষের সংঘর্ষে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি।
সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল হাকিম আজাদ বলেন, পুলিশ, প্রশাসন ও সেনাবাহিনী দু’পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছে। পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
মা-মেয়েকে উত্ত্যক্ত
গাইবান্ধা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১ সপ্তাহ আগে
আপডেট : ১ সপ্তাহ আগে
মাইকিং করে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ, আহত ২৫
হরিপুর-চিলমারী নির্মাণাধীন তিস্তা সেতুতে ঘুরতে যাওয়া মা-মেয়েকে উত্যক্তের ঘটনার জেরে এলাকায় মাইকিং করে নদীপারের দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। উভয় পক্ষের শতাধিক নারী-পুরুষ দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। কয়েক দফায় চলা এই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের নারী-পুরুষসহ অন্তত ২০ থেকে ২৫ জন আহত হয়েছেন।
এ সময় নদীপারের বেশ কয়েকটি ঘর ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় আলমগীর হোসেন নামের একজনকে প্রথমে চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলেও অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কয়েক দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে দুই গ্রামের মানুষের মধ্যে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে।
পুলিশ জানায়, গত ৪ এপ্রিল চিলমারী উপজেলার রমনা ইউনিয়নের দক্ষিণ খরখরিয়া গ্রামের পশির উদ্দিনের মেয়ে ও স্ত্রী দ্বিতীয় তিস্তা সেতুতে ঘুরতে যান। এ সময় গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের শহরের মোড় এলাকার বিজয়, পাভেল ও সুমন নামের তিন যুবক তাদের গোপনে ছবি তোলে ও উত্যক্ত করার চেষ্টা করেন। মা ও মেয়ে প্রতিবাদ করলে ওই যুবকরা তাদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করে।
এ সময় উপস্থিত রমনা ইউনিয়নের ডাঙ্গার চর এলাকার হামেদ আলীর ছেলে সাজু ও রোস্তম আলীর ছেলে মোতালেব মিয়া প্রতিবাদ জানালে বিজয়, পাভেল ও সুমনসহ কয়েকজন মিলে তাদের মারধর করে। পরবর্তীতে বিষয়টি জানাজানি হলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং দুই গ্রামের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। এরই জেরে বৃহস্পতিবার সকালে দক্ষিণ খরখরিয়া এলাকার লাল মিয়ার ছেলে আলমগীর হোসেন (৩৫) তার ভুট্টা ক্ষেত দেখতে গেলে হরিপুর এলাকার কয়েকজন তাকে বেধড়ক মারধর করে। এতে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয় এবং পায়ে টেঁটার আঘাতসহ পাঁচটি দাঁত ভেঙে যায়।
ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে দুই গ্রামের মানুষ মাইকিং করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে তিস্তা সেতুর দুই পাড়ে কয়েক দফায় সংঘর্ষ হয়। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে হাসপাতালে নেওয়া হলেও অধিকাংশ স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন। সংঘর্ষের পর সেনাবাহিনীর একটি টিম এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
চিলমারী মডেল থানার ওসি মো. আবদুর রহিম জানান, ছবি তোলা কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। উভয় পক্ষের অনেকে আহত হয়েছেন। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছি।
কুড়িগ্রাম সেনা ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন মো. সাফায়তে হোসেন জানান, দুই পক্ষের সংঘর্ষে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি।
সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল হাকিম আজাদ বলেন, পুলিশ, প্রশাসন ও সেনাবাহিনী দু’পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছে। পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক।
ভোরের আকাশ/এসএইচ