প্রায় ৫ কোটি টাকা দামের এক লাখ ৬০ হাজার পিস ইয়াবার বৃহৎ চালানসহ চার কারবারিকে গ্রেফতার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। গ্রেফতাররা হলেন নজরুল ইসলাম ওরফে সোহেল রানা (৩৪), আল-মামুন (৩২), মোহাম্মদ ফারুক ওরফে ওমর ফারুক (৪৬) ও ফারুকের স্ত্রী তানিয়া (৩২)। শনিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা মেট্রো উত্তর কার্যালয়ের উপ-পরিচালক শামীম আহমেদ।শামীম আহমেদ বলেন, গত শুক্রবার দিনগত রাতে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এ গোয়েন্দা কার্যক্রমের ভিত্তিতে রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ১ লাখ ৬০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এসময় একটি প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়। এছাড়া জব্দ করা মাদকের আনুমানিক মূল্য ৫ কোটি টাকা।তিনি বলেন, আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। মাদক কারবারিরা অর্জিত অর্থ দিয়ে বায়িং হাউজ ও আবাসন ব্যবসা পরিচালনা করছে বলে জানা গেছে।মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বলছে, বায়িং হাউজ-আবাসন ব্যবসার আড়ালে হাতিরঝিলে তারা গড়ে তুলেছিলেন রমরমা মাদক ব্যবসা। এ ঘটনায় গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে রমনা সার্কেলের পরিদর্শক লোকমান হোসেন বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ মোতাবেক সংশ্লিষ্ট থানায় একটি মামলা করেন।
১ সপ্তাহ আগে
কুমিল্লার কালীরবাজার ইউনিয়নের ধনুয়াখলা গ্রামে সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হয়েছেন সিএনএন বাংলা টিভির নিজস্ব প্রতিনিধি আবুল হাসনাত সজীব ও তার সহকর্মী মো. মাজারুল ইসলাম। মঙ্গলবার (১৮মার্চ) জাতিয় প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টার দিকে ৮-১০ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। স্থানীয়রা আহতদের কুমিল্লা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।সজীব অভিযোগ করেছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্রতিহতকারী ছাত্রলীগ নেতা আশিক, আমেরিকা প্রবাসী সজীব ও মনু মিয়ার ছেলে জনি এই হামলার নেতৃত্ব দেন। তিনি জানান, কুমিল্লা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রেজাউল কাইয়ুম আওয়ামী সন্ত্রাসীদের বিএনপিতে অনুপ্রবেশ করানোর চেষ্টা করছেন, যা তিনি প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করেছিলেন। এছাড়াও রেজাউল ও তার ভাই রাশেদ এর নানা অপকর্ম নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করার পর থেকে সজিব ও তার পরিবারকে নানারূপ হুমকি দিয়ে আসছে বলে তিনি জানিয়েছেন। এ ঘটনায় কোতোয়ালী মডেল থানায় অভিযোগ করা হলেও এখন পর্যন্ত কোনো তদন্ত হয়নি। সাংবাদিক সজীব হামলার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন।ভোরের আকাশ/মি
১ সপ্তাহ আগে
সিরাজুল ইসলাম, গোয়ালন্দ থেকে ফিরে: পদ্মা নদী থেকে অবাধে বালু তোলার কারণে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের চরমহিদাপুর এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে। নদীর তীরে বড় বড় ফাটল তৈরি হয়েছে। কিছুক্ষণ পরপর মাটি নদীতে ধসে পড়ছে। বর্ষা মৌসুমে চরের বিশাল এলাকা নদীতে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। দৌলতদিয়া ও সিএন্ডবি নৌপুলিশের সহায়তায় ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হকের ঘনিষ্ঠজন শেখ আলম অবৈধভাবে এই বালু উত্তোলন করছেন বলে জানা গেছে। স্পিডবোটে ২০ থেকে ২৫ জন সশস্ত্র লোক বালু উত্তোলনে পাহারা দিচ্ছেন। বালু উত্তোলন রাজবাড়ী-ফরিদুপর সীমান্তে হচ্ছে কি না, তা নিশ্চিত না হওয়ার অজুহাত দেখিয়ে গোয়ালন্দ উপজেলা প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। গোয়ালন্দের স্থানীয় সাংবাদিক সোহাগ সরেজমিন গিয়েছিলেন। তিনি ফেসবুকে একটি ভিডিও আপলোড করেছেন। এতে দেখা যাচ্ছে চরের মাটিতে ফাটল সৃষ্টি হয়েছে। মাটি ভেঙে নদীতে পড়ছে। চর বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন একজন কৃষক। ফরিদপুর সীমান্তে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এই চরে ভুট্টা, মিষ্টি কুমড়াসহ বিভিন্ন ধরনের ফসল চাষ হচ্ছে। এভাবে নদী থেকে বালু তুললে চরের বিশাল এলাকা বিলীন হয়ে যাবে। তিনি বলেন, বালু কেটে নেওয়ার কারণে তীরের কাছে পানিতে বিশাল গর্ত তৈরি হয়েছে। স্রোতের কারণে চর বিলীন হয়ে যেতে পারে। স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, বালু লুট চক্রের নেতৃত্বে রয়েছেন ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হকের ঘনিষ্ঠজন বলে পরিচিত আলম শেখ। ফরিদপুরের সিএন্ডবি ঘাট এলাকার এই ব্যক্তি প্রায় দুই মাস ধরে পাঁচটি ড্রেজার দিয়ে দিন-রাত নদী থেকে বালু তুলছেন। প্রতিদিন ৯০ থেকে ১০০টি বাল্কহেডে এই বালু অন্যত্র নিয়ে যাওয়া যাচ্ছে। প্রতিটি বাল্কহেড নিচ্ছে ১০ হাজার ফুট বালু। প্রতি ফুট বালু তিন টাকা ৫০ পয়সায় বিক্রি করছে চক্রটি। অর্থাৎ প্রতিটি বাল্কহেড থেকে আদায় করা হচ্ছে ৩৫ হাজার টাকা। এ হিসেবে প্রতিদিন ৩ কোটি টাকার বেশি বালু লুট করা হচ্ছে। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তারা বলছেন, আমরা নিরীহ মানুষ। বালু লুট চক্রের সদস্যরা প্রভাবশালী। তারা অনেক টাকা-পয়সার মালিক। টাকা দিয়ে তারা সবার মুখ বন্ধ করে রাখছে। আমরা ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পাচ্ছি না। কারণ তাদের সঙ্গে বিরোধে জড়ালে বিপদ হতে পারে। তারা নানাভাবে হয়রানি করতে পারেন। কিন্তু এভাবে বালু তুললে রাস্তা-ঘাট, ফসলি জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা নদীতে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। রাজবাড়ী জেলা প্রশাসকের কাছে ২৬ ফেব্রুয়ারি একটি অভিযোগ দিয়েছেন মহিদাপুরের বাসিন্দা আসলাম প্রামানিক। অভিযোগে বলা হয়েছে, এই বালু মহাল ইজারা না দেওয়া সত্ত্বেও আলম শেখ গং লোড ড্রেজার স্থাপন করে দিন-রাত অবৈধভাবে বালু তুলছেন। এটা আইন পরিপন্থি। এলাকাবাসী তাদের বারবার বালু না তুলতে নিষেধ করেছে। নৌ-পুলিশকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। এরপরও বালু উত্তোলন থামছে না। বালু উত্তোলনের ফলে এলাকাবাসীর ফসলি জমি, ঘরবাড়ি, স্কুল, মাদরাসা, মসজিদ, পাকারাস্তা ও সরকারি স্থাপনা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে। বালু উত্তোলন বন্ধ এবং অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানানো হয়েছে এই অভিযোগে।জানা গেছে, প্রায় দুই মাস ধরে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। স্থানীয়রা এর বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে। এ কারণে কয়েক দিন ধরে ৫ থেকে ৬টি স্পিডবোটে ২০ থেকে ২৫ জন সশস্ত্র ব্যক্তি বালু উত্তোলন পাহারা দিচ্ছেন। এতে স্থানীয়রা শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হকের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ আলম শেখ। বিভিন্ন মিছিল মিটিংয়ে তিনি ছিলেন সামনের সাড়িতে। সরকার পরিবর্তনের পর তিনি বিএনপির লোকজনের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন। এই দায়িত্বে রয়েছেন তার আপন বড় ভাই মুজিবুর মিয়া। ফরিদপুরের সিএন্ডবি নৌ-পুলিশের কার্যালয়টি আলম শেখের বিল্ডিংয়ে। দৌলতদিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে তার সখত্যা রয়েছে। সব মিলিয়ে তিনি অত্যন্ত প্রভাবশালী। ফলে তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পান না।বালু উত্তোলনে সহযোগিতার অভিযোগ অস্বীকার করে দৌলতদিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এনামুল হক বলেন, আমি দুই মাস ধরে এখানে দায়িত্ব পালন করছি। অনেক বালু খেকোর বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছি। অভিযান চলবে। কোনো শেখই ছাড় পাবে না। অভিযোগের বিষয়ে জানতে কয়েকবার কল করা হয় সিএন্ডবি নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নাসিমের মোবাইল ফোনে। তবে সেটি বন্ধ পাওয়া গেছে। অভিযোগের বিষয়ে আলম শেখ বলেন, তিনি বালু উত্তোলন করছেন না। তার কোনো ড্রেজার নেই। তিনি ওখান থেকে বালু কিনে আনেন। অবৈধ বালু কেনা অপরাধ কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, তিনি বৈধ বালু কিনছেন। বালু উত্তোলন করা হচ্ছে মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার নেছরাগঞ্জ ইউনিয়নের চর থেকে। ওই চর একজন ইজারা নিয়েছেন। কে ইজারা নিয়েছেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি আপনাকে হোয়াটসঅ্যাপে ওয়ার্ক অর্ডার পাঠাচ্ছি। এই বলেই তিনি ফোনের সংযোগ কেটে দেন। আলম শেখের কথাতেই রয়েছে গড়মিল। তিনি চর ইজারা নেওয়ার কথা বললেও বালু তোলা হচ্ছে নদী থেকে। আলম শেখের এই দাবির বিষয়ে স্থানীয়রা বলছেন, ডেজারের মালিক আলম শেখ। তিনি যেখান থেকে বালু উত্তোলন করছেন; সেখান থেকে নেছরাগঞ্জ ইউনিয়নের ওই চরের দূরত্ব অন্তত ৫ কিলোমিটার। বালু উত্তোলন করা হচ্ছে চরমহিদাপুর থেকে; যা গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের অংশ। প্রশাসন সরেজমিন এলেই ঘটনার সত্যতা পাবে।আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, আলম শেখ স্থানীয়দের চাপের মুখে ড্রেজার কিছুটা নদীর ভেতরে নিয়ে গেছেন। এখন তিনি দাবি করছেন বালু তোলা হচ্ছে নেছরাগঞ্জ থেকে; যা ডাহা মিথ্যা কথা।গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদুর রহমান বলেন, আসলাম প্রামানিক নামে এক লোক জেলা প্রশাসকের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এর একটা কপি তিনি আমাদেরকে দিয়েছেন। কিন্তু সেখানে তার ফোন নম্বর নেই। ফলে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। যোগাযোগ করতে পারলে কোথায় বালু উত্তোলন হচ্ছে, ট্রেস করা সহজ হতো। তিনি বলেন, আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। আমরা মাঝে-মধ্যে অভিযান পরিচালনা করছি। সীমান্ত নিয়ে ধোঁয়াশা : চরমহিদাপুরে বালু উত্তোলন নিয়ে বেশ কয়েকটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। একটি সংবাদ গোয়ালন্দ উপজেলা প্রশাসনের ফেসবুকে পাঠিয়েছেন স্থানীয় সাংবাদিক শেখ রাজীব। সেখানে প্রশাসন থেকে বলা হয়েছে, রাজবাড়ী বা ফরিদপুর সীমানার ভেতরে বালু তোলা হচ্ছে কি না, তা রিপোর্ট করার আগে নিশ্চিত হওয়া দরকার। একই সঙ্গে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগকারী আসলামের ফোন নং চাওয়া হয়। বিএনপি নেতারা যা বলছেন : গোয়ালন্দ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ আহমেদ বলেন, সশস্ত্র পাহারায় বালু উত্তোলনের বিষয়টি তিনি শুনেছেন। ওই জায়গাটি রাজবাড়ী, ফরিদপুর ও মানিকগঞ্জের মোহনা। গোয়ালন্দের ভেতর বালু তোলা হচ্ছে কি না, তা খুঁজে বের করা প্রশাসনের দায়িত্ব। ‘ম্যানেজ’ করার বিষয়ে তিনি বলেন, বালু খেকোদের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান কঠোর। কয়েকদিন আগেও প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে তারা বলেছেন। বিএনপির কোনো নেতাকে ম্যানেজ করা হয়েছে কি না, তা তিনি জানেন না। ম্যানেজের অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।গোয়ালন্দ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সুলতান নূর ইসলাম মুন্নু মোল্লা বলেন, মোহনায় বালু উত্তোলন করার কথা তিনি শুনেছেন। তবে রাজবাড়ীর মধ্যে বালু তোলা হচ্ছে কি না, তা তিনি নিশ্চিত না। বিএনপির কারো বিরুদ্ধে সুবিধা নেওয়ার প্রমাণ পেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২ সপ্তাহ আগে
ভোরের আকাশ প্রতিবেদক : সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর নামে চট্টগ্রামের আনোয়ারায় থাকা ৯৫৭ বিঘা জমি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এসব সম্পদের মূল্য ৪ কোটি ৬৫ লাখ ৬২ হাজার ১৮৮ টাকা উল্লেখ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রোববার দুদকের পৃথক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। দুদকের উপপরিচালক মাহফুজ ইকবাল স্থাবর সম্পদ জব্দের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত আবেদন মঞ্জুর করেন।দুদকের উপপরিচালক মাহফুজ ইকবাল সম্পদ জব্দের আবেদনে উল্লেখ করা হয়, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর নামে চট্টগ্রামের আনোয়ারায় ২৯টি দলিলের সম্পদ পাওয়া গেছে। এসব দলিলে ৩১ হাজার ৫৯৪ শতক বা ৯৫৭ বিঘা জমি রয়েছে। এসব সম্পদের মূল্য ৪ কোটি ৬৫ লাখ ৬২ হাজার ১৮৮ টাকা।আবেদনে বলা হয়, সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও তার স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে মালিকানাধীন এসব স্থাবর সম্পত্তিসমূহ হস্তান্তরের চেষ্টা করা হচ্ছে। যা করতে পারলে অনুসন্ধানের ধারাবাহিকতায় মামলা করা, আদালতে চার্জশিট দাখিল ও বিচার শেষে সাজার অংশ হিসেবে অপরাধলব্ধ আয় থেকে অর্জিত সম্পত্তি সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্তকরণসহ সকল উদ্দেশ্যই ব্যাহত হবে। তাই উল্লিখিত স্থাবর সম্পত্তিসমূহ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ধারা ১৪ মোতাবেক জব্দ করা একান্ত প্রয়োজন।এদিকে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ তদন্তে দুদক, সিআইডি ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ৭ সদস্যের একটি টাস্কফোর্স টিম তদন্ত করছে। এর আগে দুদক থেকে ৩৯টি ব্যাংক হিসাবে ৫ কোটি টাকা অবরুদ্ধ করা হয়। এছাড়া গত বছরের ১৭ অক্টোবর সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও তার পরিবারের নামে থাকা দেশ-বিদেশের ৫৮০ বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট, জমিসহ স্থাবর সম্পদ জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এর মধ্যে যুক্তরাজ্যে ৩৪৩টি, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ২২৮টি এবং যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছে ৯টি। এছাড়া গত ৭ অক্টোবর সাবেক মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও তার স্ত্রী রুকমীলা জামানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।
৩ সপ্তাহ আগে