বিয়েতে দাওয়াত না দেওয়ায় বরের বাড়িতে হামলা
বিয়েতে দাওয়াত না দেওয়ার জের ধরে বরগুনার আমতলীর শাখারিয়া গ্রামে বর আবু বকর আকনের বাড়িতে হামলা চালিয়ে নববধূর পরিহিত দুই ভরি স্বর্ণালংকার লুটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এসময় চারজনকে পিটিয়ে আহত করা করা হয়েছে। এ ঘটনায় বর আবু বকর বাদী হয়ে শনিবার আমতলী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (১৩ জুন) রাত ৯টার দিকে। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আমতলী উপজেলার শাখারিয়া গ্রামের মোতালেব আকনের ছেলে ও রিগাল ফার্নিচারের সুপারভাইজার মো. আবু বকর বিয়ের পর নববধুকে নিয়ে নিজ বাড়িতে ফেরেন। এ সময় তিনি মেহমানদের আপ্যায়নে ব্যস্ত ছিলেন।
এমন সময় আউয়াল মাদবর, কদম আলী মাদবর ও বশির ফকিরের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন তার বাড়িতে হামলা চালায়। তারা নববধুর গায়ে থাকা দুই ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়। বাধা দিলে বর আবু বকর আকনের বাবা মোতালেব আকন (৬০), ভগ্নিপতি ইউসুফ আকন (৪৬), বোন রিপা আক্তার (২৫) ও জুলেখা আক্তার (৩৬) কে মারধর করে আহত করা হয়। আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
বর আবু বকর বলেন, ‘নববধুকে নিয়ে বাড়ি ফেরার পরপরই ওই সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা চালায়। তারা আমার স্ত্রীর গহনা লুট করে নেয় এবং আমার পরিবারের সদস্যদের পিটিয়ে জখম করে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।”
ঘটনার পরদিন বর আবু বকর ৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।
অভিযোগের বিষয়ে কদম আলী মাদবর বলেন, “আবু বকর আমার ভাগ্নে। বিয়েতে আমার অপর তিন ভাগ্নেকে দাওয়াত না দেওয়ায় ক্ষোভ থেকেই বশির ফকির ও সবুজ হাওলাদার তার বাড়িতে যায়। সেখানে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতি ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। তবে স্বর্ণালংকার লুটের অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।”
এ বিষয়ে আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে’’।
ভোরের আকাশ/আজাসা
সংশ্লিষ্ট
মৌলভীবাজারের জুড়ীতে ইসলামী ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে এসএসসি, দাখিল ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে।বুধবার (৩০ জুলাই) গ্র্যান্ড শাপলা কনভেনশন হলে এ সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।ইসলামী ছাত্রশিবির জুড়ী উপজেলা শাখার সভাপতি এমরান হোসাইন মনিয়ারের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মো: আব্দুল্লাহর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন মৌলভীবাজার -১ (বড়লেখা-জুড়ী) আসনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক মাওলানা আমিনুল ইসলাম।বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন মৌলভীবাজার জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুর রহমান, ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, ছাত্রশিবিরের মৌলভীবাজার শহর শাখার সভাপতি তারেক আজিজ, মৌলভীবাজার জেলা সভাপতি এম. ফরিদ উদ্দিন, ছাত্রশিবিরের সাবেক মৌলভীবাজার জেলা ও শহর সভাপতি আজিম উদ্দিন, সাবেক মৌলভীবাজার জেলা ও শহর সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক জেলা সেক্রেটারি মো: জসিম উদ্দিন, সিলেট মহানগর শাখার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো: রেজাউল করিম রেজা, জেলা কলেজ কার্যক্রম সম্পাদক তারেক মিয়া, জেলা প্রকাশনা সম্পাদক জুয়েল আহমদ, জুড়ী পূর্ব সভাপতি রুমেল আহমদ, জুড়ী দক্ষিণ সভাপতি নাজমুল ইসলাম, জুড়ী পূর্ব সেক্রেটারি জাবির হোসেন, প্রচার সম্পাদক খালেদ মাসুদ প্রমুখ।শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন আমিনা জান্নাত সোনিয়া, তাসনুবা জান্নাত সাদিয়া ও আশফাক হোসাইন প্রমুখ।অনুষ্ঠানে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চার শতাধিক কৃতি শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।ভোরের আকাশ/জাআ
নওগাঁর মান্দা উপজেলায় আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক মাঠে জমে উঠেছে প্রচারণা। এরই অংশ হিসেবে বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত সংসদ সদস্য এবং উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের নেতৃত্বে গণসংযোগ ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।এদিন উপজেলার ১১ নম্বর কালিকাপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা, হাট ও বাজারে শতাধিক মোটরসাইকেল অংশগ্রহণে এক বিশাল শোডাউন অনুষ্ঠিত হয়। এতে নেতৃত্ব দেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য, নওগাঁ জেলা আমির এবং মান্দা আসনের এমপি পদপ্রার্থী খন্দকার মুহাম্মদ আব্দুর রাকিব। আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী, নওগাঁ জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা মোস্তফা আল-আমিন।গণসংযোগ চলাকালে একাধিক স্থানে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে প্রার্থীরা দেশ ও জনগণের কল্যাণে দলের অঙ্গীকার তুলে ধরেন।তারা বলেন, “জনগণের অধিকার আদায়ে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। ইনশাআল্লাহ, ইসলাম ও ইনসাফের ভিত্তিতে জনকল্যাণমূলক রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করবো।”এসময় স্থানীয় জামায়াত এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। গণসংযোগে অংশ নেওয়া নেতাকর্মীদের মধ্যে দেখা যায় ব্যাপক উৎসাহ ও ঐক্য।ভোরের আকাশ/জাআ
‘খাল কেটে কৃষক বাচাঁও, ফসল বাড়াও’- শ্লোগানে বরগুনার তালতলীতে গোপের খাল পুনঃখননের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।বুধবার (৩০ জুলাই) বেলা ১১ টার দিকে উপজেলার ছোটবাগী ইউনিয়নের বেতিপাড়া গ্রামে ঘন্টাব্যাপি এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ওই এলাকার দুই শতাধিক কৃষক অংশগ্রহন করেন।এ সময় বক্তারা বলেন, গোপের খালটি পায়রা নদীর শাখা খাল হিসেবে রেকর্ডভুক্ত হয়ে আছে। খালটির পানি প্রবাহ সচল থাকাকালীন সময়ে বেতিপাড়া, জাকিরতবক, সুন্দরীয়া, চরপাড়া এলাকার কয়েক হাজার কৃষক ফসল উৎপাদন করতেন। কিন্তু খালটি ভরাট হয়ে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এ এলাকার জমিতে ফসল উৎপাদন করা যাচ্ছে না। তাই খালটি খনন না হলে এই এলাকার কৃষকরা মাঠে মারা যাবে। খালটি ভরে যাওয়ায় শুকনো মৌসুমে এলাকার মাঠে পানি উঠতে পারে না, আর বৃষ্টি মৌসুমে পানি নামতে পারে না। খালটি খনন হলে এলাকায় ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। কৃষকদের মুখে হাসি ফুটবে। তাই অতিদ্রুত খাল খননের দাবি জানান কৃষকরা।মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় ইউপি সদস্য এনায়েদ প্যাদা, সমাজ সেবক মো. শাহ-আলম, কৃষক পরিমল বাবু, হারুন প্যাদা, মোঃ ইসাহাক প্যাদা, আব্দুল কাদের, মোঃ সুলতান মিয়া প্রমুখ।ভোরের আকাশ/জাআ
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশে হামলার ঘটনায় সন্ত্রাস দমন আইনে আরেকটি মামলা হয়েছে। এতে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ, নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগসহ অঙ্গ সংগঠনের ৪৪৭ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া ৫ হাজার ব্যক্তিকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।গতকাল মঙ্গলবার রাতে গোপালগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মতিয়ার রহমান বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এ নিয়ে এনসিপির সমাবেশে হামলা, জেলা কারাগারসহ বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙচুর, পুলিশের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ এবং রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপে জড়ানোর অভিযোগে এবং হত্যার ঘটনায় মোট ১৩টি মামলা হলো।সদর, কাশিয়ানী, টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া থানায় মামলাগুলো করা হয়। ১৩টি মামলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১ হাজার ১৩৪ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা ১৪ হাজার ৪৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এসব মামলায় গত ১৬ জুলাই থেকে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পুলিশ ৩২৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার (৩০ জুলাই) গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান সর্বশেষ মামলার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।মামলায় অন্যতম আসামিরা হলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খান, সহসভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র শেখ রাকিব হোসেন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র কাজী লিয়াকত আলী লেকু, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম কবির, সাধারণ সম্পাদক আলিমুজ্জামান (বিটু), শহর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী নাঈম খান জিমি, জেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এম মাসুদ রানা, সাবেক সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নীতীশ রায় প্রমুখ।মামলার বর্ণনা থেকে জানা গেছে, ১৬ জুলাই এনসিপির গোপালগঞ্জ পৌর পার্কের উন্মুক্ত মঞ্চের সমাবেশস্থলে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে এবং স্বাভাবিক কাজ থেকে বিরত রাখে। আসামিরা রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সংঘটিত করে। সরকারি কাজে বাধা ও সরকারি কর্মচারীদের আক্রমণ করে হত্যার উদ্দেশ্যে ককটেল নিক্ষেপ করে যৌথ বাহিনীর সদস্যদের মারধর ও গুরুতর জখম করে।এর আগে, গত ২৬ জুলাই নিহত রমজান মুন্সির ভাই জামাল মুন্সি বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। অজ্ঞাত আসামির সংখ্যা এ মামলায় উল্লেখ করা হয়নি। ওই ঘটনায় চার যুবক নিহতের বিষয়ে গত ১৯ জুলাই রাতে পুলিশ বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় চারটি হত্যা মামলা করে। এসব মামলায় অজ্ঞাত ৫ হাজার ৪০০ দুষ্কৃতকারীকে আসামি করা হয়। এ ছাড়া গোপালগঞ্জ সদর থানায় সন্ত্রাস দমন আইনে দুটি এবং জেলা কারাগারে হামলার অভিযোগে একটি মামলা হয়।অন্যদিকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে কাশিয়ানী থানায় দুটি, কোটালীপাড়া থানায় একটি ও টুঙ্গিপাড়া থানায় একটি মামলা করে পুলিশ। গত ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে হামলা চালান নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। পাঁচ ঘণ্টার হামলা-সহিংসতায় চারজনের মৃত্যু হয়। পর দিন ১৭ জুলাই গভীর রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু হয়। ঘটনার দিন বিকেলে শহরের ১১৪ ধারা ও পরবর্তীতে কারফিউ জারি করা হয়।এরপর একাধিকবার কারফিউর সময় বাড়ানো হয়। গত ২০ জুলাই কারফিউ ও ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করে নেয় জেলা প্রশাসন। তারপর থেকে গোপালগঞ্জের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসতে শুরু করে। এখন গোপালগঞ্জের পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। জেলার জীবনযাত্রা স্বাভাবিক। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস ও পরীক্ষা হচ্ছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চলছে স্বাভাবিক কার্যক্রম। সব রুটে যানবাহন চলাচল করছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ