তীব্র তাপদাহে পুড়ছে মানিকগঞ্জ
তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে মানিকগঞ্জে। তাপমাত্রা ৩৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বিরাজ করছে সবখানে।
রোববার (১১ মে) এ বিষয়ে জেলার সিভিল সার্জন জানান, এই তীব্র তাপপ্রবাহে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে বাড়ি থেকে বের না হতে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
সূত্র জানায়, এই তীব্র তাপদাহে শহরে খুব কম লোকজন চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে তীব্র তাপপ্রবাহে থেমে থাকেনি শ্রমজীবী ও সাধারণ মানুষের জীবন। তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে কাজ করতে গিয়ে অনেকেই অসুস্থ হয়ে জেলা সদর হাসপাতালে আসছেন।
মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, তীব্র দাবদাহের জন্য প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ জন রোগী চিকিৎসা নিতে আসছে। এর মধ্যে শ্রমজীবী মানুষ বেশি। এছাড়াও দাবদাহে রান্না করতে গিয়ে অনেক নারী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে আসছেন।
আবহাওয়া অফিসর জানায়, রোববার মানিকগঞ্জে ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
ডাক্তার শফিকুল ইসলাম জানান, জীবিকার তাগিদে যারা বের হবেন তাদের সাদা রঙের কাপড় বা হালকা রঙের পাতলা কাপড় পরতে বলা হয়েছে। ছাতা বা টুপি ব্যবহার ও পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পানের পরামর্শ দেন। অসুস্থ বোধ করলে সঙ্গে সঙ্গে নিকটতম হাসপাতালে যেতে পরামর্শ দেন তিনি।
ভোরের আকাশ/আমর
সংশ্লিষ্ট
মাদারীপুরে সনদ বিতরনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে মাসব্যাপী অনুর্ধ্ব ১৫ ফুটবল প্রশিক্ষণ। জেলা ক্রীড়া অফিসের আয়োজনে রোববার (১৭ মে) বিকালে জেলা স্টেডিয়ামে ফুটবল প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে সনদ বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক মোছাঃ ইয়াসমিন আক্তার।যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ক্রীড়া পরিদপ্তরের বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচি ২৪-২৫ অর্থ বছরের আওতায় ফুটবল প্রশিক্ষণের সমাপনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ফাতিমা আজরিন তন্বী।এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর সাহা, জেলা ক্রীড়া অফিসার সমীর বাইন, ক্রীড়া সংগঠক জেলা ক্রীড়া সংস্থার এ্যাডহক কমিটির সদস্য মাসুমুল হক জাহিদুর রহমান খান, আতিকুর রহমান লাবলু ও জুবায়ের আহমেদ নাফি প্রাক্তন খেলোয়াড়, কোচ ও অন্যরা।ফুটবল প্রশিক্ষণ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বাছাইকৃত ৪৮ জন শিক্ষার্থী এতে অংশগ্রহণ করে। তৃনমূল থেকে প্রতিভাবান খেলোয়াড় বাছাই ও প্রতিভা অন্বেষণের লক্ষ্যে এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। ভোরের আকাশ/এসআই
কুমিল্লায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় বুড়িচংয়ে ছাত্র জনতার উপর হামলা ও গুলির ঘটনায় অভিযুক্ত মামলার আসামি আওয়ামী লীগ নেতা সাহেব আলীকে গ্রেপ্তার করেছে বুড়িচং থানা পুলিশ।রোববার (১৮ মে) সকালে উপজেলার কোরপাই এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করেন বুড়িচং থানা পুলিশের একটি দল।গ্রেফতারকৃত সাহেব আলী বুড়িচং উপজেলার মোকাম ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান। এছাড়াও তিনি বুড়িচং উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এবং মোকাম ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন।গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আজিজুল হক।তিনি জানান রোববার বেলা ১১ টায় বুড়িচং উপজেলার মোকাম ইউনিয়নের কোরপাই এলাকা থেকে সাহেব আলীকে গ্রেফতার করা হয়।গ্রেফতারকৃত সাহেব আলীর বিরুদ্ধে গতবছরের গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র জনতার উপর হামলার ঘটনায় মামলা রয়েছে।উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ নেতা সাহেব আলী ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে মোকাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ভোরের আকাশ/এসআই
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে প্রতিদিনের মতো রোববারও পরিতোষ বর্মন, হরিমন বর্মন, সত্যগুণ বর্মন ও মনোরঞ্জন বর্মন মেঘনা নদীতে জাল ফেলে মাছ ধরতে যান। সকাল ১১টার দিকে তাদের জালে ধরা পড়ে ২৯ কেজি ওজনের একটি বিশাল বিগহেড মাছ।রোববার (১৮ মে) সকাল ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার চরলাপাং এলাকায় মেঘনা নদী থেকে মাছটি ধরেন গোপীনাথপুর (মনতলা) গ্রামের জেলে পরিতোষ বর্মনসহ অন্যান্য জেলেরা।পরে মাছটি স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী সুমন মিয়ার কাছে ৮৫০ টাকা কেজি দরে ২৪ হাজার ৬৫০ টাকায় বিক্রি করা হয়।স্থানীয় বাসিন্দা শ্যামল বর্মন শিমুল বলেন, জেলেদের জালে ধরা পড়া বিগহেড মাছটি দেখতে ভিড় করেন অনেকে। এতো বড় মাছ সচরাচর দেখা যায় নাজেলেরা জানায়, চলতি বছরের ৩ মার্চ তিতাস নদী থেকে ২৬ কেজি ওজনের একটি বিগহেড মাছ, ২৮ এপ্রিল ২৫ কেজির একটি বোয়াল মাছ এবং ১০ মে মেঘনা নদী থেকে ১৯ কেজি ওজনের একটি কাতলা মাছ ধরা পড়ে। এসব ঘটনায় এলাকার জেলেরা বেশ উৎসাহিত। এতো বড় বড় মাছ ধরা পড়াতে তারা খুব খুশি।জেলে পরিতোষ বর্মণ বলেন, আমাদের জালে ধরা পড়া মাছটির ওজন ২৯ কেজি। ৮৫০ টাকা কেজি ধরে এটি স্থানীয় ব্যাপারী সুমন মিয়ার কাছে বিক্রি করেছি। ভোরের আকাশ/এসআই
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন। শনিবার রাতে ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকার ভাটিয়ালপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।রোববার (১৮ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফরিদগঞ্জ থানার এসআই মো. মাহবুব আলম।জানা যায়, মারা যাওয়া যুবকের নাম ইয়াসিন হোসেন সোহান (২৫)। তিনি ওই গ্রামের মো. জসিম উদ্দিন ও হালিমা দম্পতির বড় ছেলে। খবর পেয়ে তাদের বসতঘর থেকে মরদেহ উদ্ধার করে রোববার চাঁদপুরে মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।ওই যুবকের পরিবারের বরাত দিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ইয়াসিন হোসেন সোহান তাদের ৪ ভাই-বোনের মধ্যে বড়। তার বাবা অটোরিকশা চালান। কয়েক মাস আগে তার মায়ের শরীরে ক্যানসার ধরা পড়ে। চিকিৎসার খরচ মেটাতে আর্থিক অনটনে ভুগতে থাকেন তারা। শনিবার বিকেলে তিনি নিজের কক্ষের দরজা আটকে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ৯টা নাগাদ দরজা না খোলায় পরিবারের অন্য সদস্যরা ডাকাডাকি শুরু করেন। একপর্যায়ে দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে দেখেন সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গামছা দিয়ে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলে আছে ইয়াসিন।এর আগে ইয়াসিন তার নিজের ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে লেখেন, ‘আমার মা-বাবা হয়তো আমাকে কোনো দিনও ক্ষমা করবে না। কীভাবে ক্ষমা করবে বলেন! আমি যে তাদের স্বার্থপর ছেলে। আমার জায়গায় যদি একটা মেয়ে জন্মাইত, তাইলেই হয়তো তাদের এই দুর্দিন দেখতে হইতো না।’এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার এসআই মো. মাহবুব আলম বলেন, সোহানের মরদেহ উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি পরিবারের সঙ্গে অভিমান করে আত্মহত্যা করতে পারেন। আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। ভোরের আকাশ/ জাআ