বকশীগঞ্জের সাংবাদিক হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন
জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জে কর্মরত সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাধুরপাড়া ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল আলম বাবুর কঠোর শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে সাধুরপাড়া ইউপির সামনে সর্বস্তরের জনসাধারণের ব্যানারে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। এর আগে বিক্ষোভ মিছিল করে বিক্ষুব্ধরা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বাবুর চাঁদাবাজি, সালিশ বাণিজ্য, নিয়োগ বাণিজ্য ও অন্যায়-অত্যাচারের জন্য অতিষ্ঠ থাকত পুরো ইউনিয়ন। ৫ আগস্টের পর তার বিরুদ্ধে দুইটি নাশকতার মামলা হলেও তাকে গ্রেপ্তার করছে না পুলিশ। উল্টো এখনো মানুষকে নানাভাবে হয়রানি করছে বাবু।
সাংবাদিক নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম বলেন, খুনি বাবু চেয়ারম্যান আবার ইউনিয়ন পরিষদে আসার কথা শুনে এলাকাবাসী মানববন্ধন করেন। একজন গণমাধ্যমকর্মীকে প্রকাশ্যে হত্যা করা হলো তবুও এখনো বিচার পেলাম না।
সাংবাদিক নাদিমের মেয়ে রাব্বিলাতুল জান্নাত বলেন, বাবু চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের দোসর হওয়াসহ আমার বাবার হত্যাকারী হয়ে কীভাবে চেয়ারম্যান পদ ফিরে পায়। আগামী তিনদিনের মধ্যে তাকে গ্রেপ্তার না করা হলে এলাকাবাসীর সঙ্গে আরও বড় আন্দোলনে যাবো আমরা।
২০২৩ সালের ১৪ জুন রাতে কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে বাবু চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিমের ওপর হামলা করে দুর্বৃত্তরা। এরপর ১৫ জুন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে মারা যান তিনি।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
ভোলার চরফ্যাশনে সাধারণ জনগণের জানমালের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং রাস্তাঘাটে জনসাধারণের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে যৌথ বাহিনীর উদ্যোগে সড়কে বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়েছে।রোববার (১৮ই মে) রাত ৮টায় উপজেলা সদরের বিআরডিবি সড়কে চেক পোস্ট বসিয়ে নৌবাহিনীর সদস্যরা ও ট্রাফিক পুলিশ নিয়ে এই অভিযান শুরু করেন।অভিযানে মোটরসাইকেলসহ বেশ কিছু যানবাহনে লাইসেন্স ও হেলমেট না থাকায় আটক করে জরিমানা করা হয়। প্রধান সড়কে প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেল থামিয়ে চালানো হয় তল্লাশি।এ সময় অভিযানে ট্রাফিক পুলিশের টিএসআই নাইম বলেন, যৌথ বাহিনীর উদ্যোগে এই অভিযান চলছে। অভিযানের মাধ্যমে দুর্ঘটনা এড়ানোর পাশাপাশি সবাইকে সচেতন করা হচ্ছে। সব শেষে, আমরা মোটরসাইকেল আরোহীদের আটক করছি। কারণ মোটরসাইকেলে অনেকে হেলমেট ব্যবহার করেন না। একই সাথে ওভার স্পীডে রাস্তায় চলাচল করে থাকে।তিনি আরো বলেন, সাধারণ জনগণের জানমালের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং রাস্তাঘাটে জনসাধারণের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে নৌবাহিনী ও পুলিশসহ সকল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। যৌথ বাহিনীর চেকপোস্ট পরিচালনার মূল উদ্দেশ্য হলো সাধারণ মানুষ যেন নিশ্চিন্তে ও নিরাপদে চলাফেরা করতে পারে এবং দুষ্কৃতকারীদের তৎপরতা যেন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে আমরা এই যৌথ কার্যক্রম পরিচালনা করছি।ভোরের আকাশ/জাআ
কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার অফিসের অভ্যন্তরীণ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে।রবিবার (১৮ মে) তাড়াইল উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার অফিসে কর্মরত দলিল লেখকদের মধ্যে প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ফোর্স পরিচালক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তাড়াইল উপজেলার সাব রেজিস্ট্রার অফিসের সাব রেজিস্ট্রার মো. তরিকুল ইসলাম। কর্মশালায় দলিল লেখার আধুনিকতার নানাবিধ বিষয়ে দক্ষতা বৃদ্ধি, শুদ্ধাচরণ চর্চা, সুশাসন জবাবদিহিতা জোরদারকরণে দলিল লেখকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।জানা গেছে, এ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তাড়াইল উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার অফিসের ৬০ জন কর্মরত দলিল লেখকের মধ্যে মৌলিক প্রশিক্ষণ পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেন শ্রেষ্ঠ দলিল লেখক নাজমুল হক আকন্দ, দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন মো. হাফিজুল ইসলাম, তৃতীয় স্থান অধিকার করেন মো. আশরাফ উদ্দিন, চতুর্থ স্থান অধিকার করেন নূরে আলম সিদ্দিকী, পঞ্চম স্থান অধিকার করেন হুমায়ুন কবির উজ্জ্বল।দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণ কর্মশালা শেষে তাড়াইল উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার মো. তরিকুল ইসলাম প্রশিক্ষণার্থীদের হাতে ক্র্যাচ ও সনদপত্র তুলে দেন।ভোরের আকাশ/জাআ
ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু ও শৈলকুপা উপজেলার দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন। এসময় দুই এলাকার বাড়ি-ঘরসহ দোকান ভাঙচুর হয়েছে অন্তত ১০টি ।রোববার (১৮ মে) হরিণাকুণ্ডুর চরপাড়া বাজার এবং শৈলকুপার মাইলমাড়ী এলাকায় দুপুর থেকে থেমে থেমে এ সংঘর্ষ চলে বিকাল পর্যন্ত।হরিণাকুণ্ডু উপজেলার রঘুনাথপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বশির উদ্দিন জানান, ঘটনার সূত্রপাত মূলত শনিবার। ঝিনাইদহের দুই উপজেলা শৈলকুপা ও হরিণাকুণ্ডুকে দুই ভাগ করেছে কুমার নদী। এ দুই উপজেলাকে নদীর উপর ব্রিজ থাকায় আবার সংযুক্ত করেছে। ওপারে রয়েছে শৈলকুপার মির্জাপুর ইউনিয়নের মাইলমারী গ্রাম। আর এপারে রয়েছে হরিণাকুণ্ডু রঘুনাথপুর ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রাম। শনিবার বিকালে চরপাড়া গ্রামে ওপারের এক মুরব্বীর সাথে মাছ কেনা-বেচাকে কেন্দ্র করে কথাকাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এরপর যে যার মতো চলে যায়। রোববার সকালে আবার চরপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দুইদল ছাত্রদের মধ্যে শনিবারের বিষয়ে আবারও কথাকাটাকাটি হয়। এর জের ধরে পোড়াহাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে মাইলমাড়ী গ্রামের দুই স্কুলছাত্রকে মারধর করে চরপাড়া গ্রামের তিন বহিরাগত যুবক। এ ঘটনা জানাজানি হলে দুপুরের দিকে উত্তেজনা চরমে পৌঁছালে উভয় গ্রামের শত শত মানুষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। থেমে থেমে এ সংঘর্ষ চলে প্রায় ৩ ঘণ্টারও বেশি । একপর্যায়ে পুলিশ এসে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। তারপর সেনাবাহীনি এসে বিকালে পরিস্থিতি পুরোটা নিয়ন্ত্রণ করে। এ সংঘর্ষে অন্তত ৪০ জন আহত হন। ২টি বাড়ি ও বাজারে ৭/৮টি দোকান ভাংচুর হয়েছে ।হরিণাকুণ্ডু থানা ওসি মোঃ আব্দুর রউফ খান জানান, সংঘর্ষের পর পুরো এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনির সদস্য বর্তমানে অবস্থান করছে। এ ঘটনায় এখনও কোন আটক নেই । কোন মামলাও হয়নি । ভোরের আকাশ/এসআই
চাকরি স্থায়ীকরণ ও পুনর্বাসনের দাবিতে বিক্ষোভ ও সংবাদ সম্মেলন করেছে দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির বিশ গ্রামের ক্ষতিগ্রস্থ জেএসএমই’র কর্মরত শ্রমিকরা।রবিবার (১৮ মে) সকাল ১১টায় বড়পুকুরিয়া কোল মাইন কোম্পানি লিমিটেডের প্রশাসনিক ভবনের মূল ফটকের সামনে এই বিক্ষোভ ও সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বড়পুকুরিয়া কোল মাইন কোম্পানি লিমিটেডের কয়লা উত্তোলনের কারণে তারা বসতি, কৃষিজমি, ক্ষেত-খামার ও পূর্বপুরুষদের কবরস্থান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের বিনিময়ে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় বড়পুকুরিয়া কোল মাইন কোম্পানী লিমিটেড কর্তৃপক্ষের প্রতিশ্রুত সমঝোতা চুক্তির ভিত্তিতে ২০১৮ সালে তাদের চাকরি দেয়া হয় এবং বলা হয়, জেএসএমই চাইনিজ কোম্পানির কাজ শেষ হলে এক্সএমসি চাইনিজ কোম্পানিতে এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ নিয়োগকৃত সকল শ্রমিকদের যোগদান করাবেন। যতদিন কয়লাখনি সচল থাকবে ক্ষতিগ্রস্থ শ্রমিকদের চাকরি বহাল থাকবে। কিন্তু চলতি মাসের ৬ তারিখে তাদের জানানো হয়, ভূগর্ভে কর্মরত অবস্থায় দূর্ঘটনাজনিত কারণে কোন শ্রমিক ক্ষতিগ্রস্থ হলে কর্তৃপক্ষ দায়ভার নিবেন না।আরও জানানো হয়, আর মাত্র ৪ থেকে ৫ মাস তাদের চাকুরি রয়েছে বিষয়টি জানতে পেরে সকলে দিশেহারা হয়ে পড়েন।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জেএসএমই’র শ্রমিক শহিবুল ইসলাম বাবু বলেন, জেএসএমই’র ১৭৪জন শ্রমিক যখন চাকরিতে যোগদান করেন তখন তাদের বয়স ২২ থেকে ২৯ বছর ছিল। ৭ বছর পর এখন তাদের বয়স হয়েছে ৩৪ থেকে ৩৬ বছর। নতুন করে তাদের এখন কোন চাকরিতে যোগদানের বয়স নেই।এছাড়াও খনির কারণে চাষাবাদের জমি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন তারা। এই চাকরি ছাড়া কীভাবে জীবিকা নির্বাহ করবে!ক্ষতিগ্রস্থ শ্রমিক মো. ওসমান আলী জানান, ২০১৮ সালে যোগদানের পর থেকে তাদের নিয়োগপত্র নিয়ে কর্তৃপক্ষ প্রহসন করে আসছে। নতুনভাবে নিয়োগ বাণিজ্য করার জন্য তাদের সঙ্গে এ ধরণের প্রতারণা করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।এ সময় জেএসএমই’র উপস্থিত সকল শ্রমিক নিরূপায় হয়ে চাকরি স্থায়ীকরণ বা পুনর্বাসনের দাবিতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।আগামী তিন দিনের মধ্যে তাদের দাবি মানা না হলে জীবন-জীবিকার তাগিদে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। ভোরের আকাশ/এসআই