ছবি-ভোরের আকাশ
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) আয়োজনে গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলন মঙ্গলবার দুপুরে কেএমপির সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। কেএমপি কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দার সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যম কর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
এসময় পুলিশ কমিশনার জানান, বিগত ১০ মাসে মেট্রোপলিটন এলাকায় ২৬টি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এর মধ্যে দুটি লাশ নদীতে ভেসে আসায় ওই দুটি হত্যার মামলা নৌপুলিশ তদন্ত করছে। বাকি ২৪ টির মধ্যে ২২টি হত্যার পেছনের ঘটনা মেট্রোপলিটন পুলিশ তদন্তের মাধ্যমে উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছে ও আসামীদের আটক করা হয়েছে। বাকি দুইটি মামলা তদন্তাধীন রয়েছে, তবে তদন্ত কাজে অগ্রগতি আছে।
তিনি জানান, মাদকের কারণে আমাদের তরুণ প্রজন্মের ভবিষ্যৎ নষ্ট হচ্ছে। মাদকের বিক্রেতা, বাহক ও যারা খুলনার বাইরে থেকে মাদক নিয়ে আসে তাদের ওপর পুলিশের নজরদারি অব্যাহত আছে। গত সপ্তাহে হরিণটানা থানা এলাকা থেকে ১৯ হাজার পিস ইয়াবা আটক করা হয়েছে। এ ছাড়াও নিয়মিত অভিযানে মাদকদ্রব্য উদ্ধার হচ্ছে। স্কুল-কলেজ পড়ুয়া আমাদের সন্তানদের সন্ধ্যায় পড়ার টেবিলে ফিরিয়ে আনতে হবে। তারা যেন সন্ধ্যার পরে ঘরের বাইরে অযথা আড্ডা না দেয়, সেদিকে অভিভাবক-সহ সকলকে নজর দিতে হবে।
পুলিশ কমিশনার আরও জানান, খুলনা শহরে প্রায় ২০ থেকে ২২ হাজার ইজিবাইক চলাচল করে। ধারণা করা হয় এর প্রায় ৬০ শতাংশ প্রতিদিন বাইরে থেকে শহরে প্রবেশ করে। ইজিবাইক চালকরা ট্রাফিক আইন সম্পর্কে সচেতন না হওয়ায় যানজটের কারণ হয়ে ওঠে। কেএমপির উদ্যোগে এ পর্যন্ত ৬ হাজার ৫০০ ইজিবাইক চালককে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। বাকিদের তিন থেকে চার মাসের মধ্যে প্রশিক্ষণ দেয়া সম্ভব হবে। এছাড়া খুলনার সব ইজিবাইককে দুই রঙে বিভক্ত করে রঙ অনুযায়ী একদিন বাদে একদিন চলাচলের ব্যবস্থা করা বিষয়ে ভেবে দেখা যেতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মোহাম্মদ রাশিদুল ইসলাম খান, উপপুলিশ কমিশনার (উত্তর) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, উপপুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মো. আবু তারেক, উপপুলিশ কমিশনার (সিটিএসবি) আবুল বাশার মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) সুদর্শন কুমার রায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ভোরের আকাশ/আজাসা
সংশ্লিষ্ট
মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলায় এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ না পাওয়ায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে তানহা আক্তার (১৬) নামে এক শিক্ষার্থী। তানহা নালী বড়রিয়া কৃষ্ণচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিল। তার প্রাপ্ত জিপিএ ছিল ৪.৮৫। নিহত শিক্ষার্থীর বাবা মো. মোনতাজ আলী ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। শনিবার (১২ জুলাই) বিকেলে উপজেলার আরুয়া ইউনিয়নের ধুতুরাবাড়ি গ্রামে নিজ বাড়ির কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।পরিবার সূত্রে জানা গেছে, তানহা সব সময় পড়াশোনায় ভালো ছিল এবং প্রতি বছর ক্লাসে প্রথম হতো। এবার বিদ্যালয় থেকে ১৩ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। নিজের কাঙ্ক্ষিত ফল না পেয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে তানহা। ফল প্রকাশের আগে সে ঢাকায় বড় বোনের বাসায় ছিল। ফল জানার পর গতকাল শুক্রবার বাবা তাকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। এরপর থেকেই তানহা মনমরা হয়ে ছিল বলে জানান পরিবারের সদস্যরা।শনিবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে তানহা তার নিজ কক্ষে সবার অগোচরে গলায় ফাঁস দেয়। পরিবারের লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে তাকে উদ্ধার করে। পরে শিবালয় থানা–পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে।শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে মানসিক চাপে তানহা আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। পুলিশ আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ করছে।’তানহার মৃত্যুর খবরে সহপাঠী, শিক্ষক ও এলাকাবাসীর মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। খবর ছড়িয়ে পড়লে ধুতুরাবাড়ি গ্রামের বাড়িতে শত শত মানুষ ভিড় করেন তার মরদেহ দেখতে। সবাই গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং তার অকাল প্রয়াণে হতবাক প্রতিক্রিয়া জানান। পুরো এলাকায় নেমে আসে নীরবতা ও স্তব্ধতা।ভোরের আকাশ/এসএইচ
পিরোজপুরের নাজিরপুরে রাজলক্ষী কলেজ মাঠে ৪ দলীয় ফুটবল টূর্নামেন্টে ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়েছে।শনিবার (১২ জুলাই) বিকালে নাজিরপুর রাজলক্ষী কলেজ মাঠে বাকসী ফুটবল একাদশ কে ৫-৬ গোলে পরাজিত করে খেজুরতলা ফুটবল ক্লাব চ্যাম্পিয়ান হওয়ার গৌরব অর্জন করে। উভয় দলে আক্রমন ও পাল্টা আক্রমনের মধ্য দিয়ে খেলা শুরু হয়। প্রথমার্ধের ১০ মিনিটে গোলে এগিয়ে যায় খেজুরতলা ফুটবল একাদশ ।এর পর খেলার ১৫ মিনিটে পেনাল্টি পায় বাকসী ফুটবল একাদশ গোল করে ১-১ খেলায় সমতা আনে। এরপর দুই দলের পাল্টা আক্রমণে গোল দারায় ৫-৫। খেলার শেষ ৫ মিনিটে গোল করে খেজুর তলা ফুটবল একাদশ ০৫-০৬ গোলের ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নেয় খেজুর তলা ফুটবল একাদশ।খেলা শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন নাজিরপুর উপজেলা আরাফাত রহমান কোকো, ক্রীড়া সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মেহেদী হাসান রুবেল, প্রাইজ মানি দলের অধিনায়ক মোঃ লিটনের হাতে তুলে দেন। অপরদিকে রানার্স আপ দল অধিনায়ক মোঃ সাইফুল মিনার হাতে পুরস্কার তুলে দেন ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ জহিরুল ইসলাম জহির।আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য মোঃ সোহেল শেখ, ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাবুল শেখ, রাজলক্ষী কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি সৌরভ, বিএনপি নেতা আবু সাঈদ মিনা প্রমুখ।ভোরের আকাশ/এসএইচ
জয়পুরহাট জেলার সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে গত দুই দশকে ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এর হাতে প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ১০ জন নিরীহ বাংলাদেশি নাগরিক। আহত হয়েছেন আরও অনেকেই। এ নিয়ে সীমান্তজুড়ে আতঙ্ক ও শোকের ছায়া নেমে থাকলেও আজও এসব হত্যাকাণ্ডের কোনো বিচার হয়নি। নিহতদের পরিবারগুলোর দাবি-বিনা উসকানিতে, বিনা অপরাধে তাদের প্রিয়জনদের হত্যা করা হয়েছে। তারা রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ না নেওয়ার অভিযোগ করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।একাধিক পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রিয়জন হারিয়ে অনেকে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। কেউ হয়েছেন পাগলপ্রায়, কেউবা সন্তানদের নিয়ে দিশেহারা হয়ে দিন কাটাচ্ছেন। সীমান্তে একতরফা এই হত্যাযজ্ঞ থামানো ও বিচার নিশ্চিতের দাবি জানিয়ে আসছেন ভুক্তভোগীরা।হাটখোলা গ্রামের জনির বাবা আনোয়ার হোসেন কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘আমার ছেলে বেঁচে থাকলে কোরআনের হাফেজ হতো।’জনির মা বিলকিস বেগম আক্ষেপ করে বলেন, ‘কোনো বিচার পাইনি, মামলা হয়নি!’ নুন্দইল গ্রামের নিহত শামীমের স্ত্রী পরিবানু বেগম বলেন, ‘আমি একটা সন্তানকে লালন- পালন করতে না পেরে অন্যকে দিয়ে দিয়েছি!’একই গ্রামের নিহত জামিরুল মণ্ডলের বড় ভাই খাইরুল ইসলাম জানান, ‘আমার ভাই খুব ভালো মানুষ ছিল। আমরা আজও বুঝে উঠতে পারিনি কেনো তাকে হত্যা করা হলো!’একই গ্রামের উলফন বেগম, যিনি তার একমাত্র ছেলে রাজুকে হারিয়েছেন, কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘আমাকে বিচার করে দেন।’ হাটখোলার নিহত জনির চাচা আতোয়ারের অভিযোগ আরও ভয়াবহ। তার ভাষ্য, ‘বিএসএফ আমার ভাতিজার হাত-পা কেটে, চোখ উপড়ে লাশ পাঠিয়েছে!’উচনা সোনাতলার নিহত মুনসুর আলীর মা বলেন, ‘আমার ছেলেকে গুলি করে মেরে পাটের জাগের নিচে লুকিয়ে রেখেছে!’ আর তার বাবা আব্দুল বাসেত বলেন, ‘আমরাই কেনো শুধু মরিএ তারা তো মরে না!’জাতীয় নাগরিক পার্টির জয়পুরহাট জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক সংগঠক ওমর আলী বাবু বলেন, ‘জয়পুরহাট সীমান্তে বিএসএফ যেভাবে নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছে, তা মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন। বিগত সরকার এ বিষয়ে কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেয়নি। বর্তমান সরকারকে দ্রুত তদন্ত করে এসব হত্যার বিচার নিশ্চিত করতে হবে।’জয়পুরহাট জর্জ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট শাহানুর আলম শাহীন বলেন, ‘সীমান্ত হত্যা দু’দেশের সীমান্ত রক্ষীদের ফ্ল্যাগ মিটিংয়ের মাধ্যমে নিষ্পত্তি না হলে আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। এটি আন্তর্জাতিক অপরাধের পর্যায়ে পড়ে।’সীমান্তের এই নিষ্ঠুর বাস্তবতা থামাতে হলে প্রয়োজন আন্তঃরাষ্ট্রীয় আন্তরিকতা, কার্যকরী কূটনীতি ও মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা। নয়তো সীমান্তের এ কান্না থামার নয় বরং রক্তের হোলি খেলা চলতেই থাকবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে মোহাম্মদ সোহাগ নামের এক ব্যবসায়ীকে পাথর দিয়ে নির্মমভাবে হত্যার প্রতিবাদে কুড়িগ্রামে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ।শনিবার (১২ জুলাই) বিকেলে ইসলামী যুব আন্দোলনের উদ্যোগে একটি বিক্ষোভ মিছিলটি কুড়িগ্রামের ঘোষপাড়া থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জেলা কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।বক্তারা বলেন, মিটফোর্ড এলাকায় প্রকাশ্যে একজন ব্যবসায়ীকে পাথর দিয়ে হত্যা করার ঘটনা প্রমাণ করে, দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি চরমভাবে অবনতির দিকে যাচ্ছে। তারা অবিলম্বে হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের দাবি জানান এবং জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা সোহাগ হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানান এবং দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।সাবেশে বক্তব্য রাখেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি মুহাম্মাদ কাজীউল ইসলাম ও সহ-সভাপতি সাইফ মুহাম্মাদ শাহ-আলম, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি আ.ন.ম আশিকুর রহমান, সহ-সভাপতি মুহাম্মাদ শরীফুজ্জামান সিদ্দিকী এবং সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি আলহাজ্ব শাহজাহান মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মাওলানা হাফিজুর রহমান ও সহ-সভাপতি এবং কুড়িগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ নুর বখত মিঞা।ভোরের আকাশ/এসএইচ