সংগৃহীত ছবি
দেশের একের পর এক অপরাধমূলক কর্মকান্ড বেড়েই চলেছে। বদলে যাচ্ছে অপরাধের ধরন ও বীভৎসতা। ছিনতাইকারীদের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না মানুষের শরীরের জামা-কাপড়ও। রাজধানীর শ্যামলীতে ঘটে গেছে এক চরম নৃশংস ও চমকে দেওয়ার মতো এমন ছিনতাইয়ের ঘটনা। ছিনতাইকারীরা শুধু টাকা-পয়সা বা ব্যাগই নয়, ভুক্তভোগীর গায়ের জামা ও পায়ের জুতাও ছিনিয়ে নিয়েছে। পুরো ঘটনা ধরা পড়ে সিসিটিভি ক্যামেরায় এবং সেই ভিডিও ফুটেজ এখন ভাইরাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
শনিবার (১২ জুলাই) সকালে শ্যামলী ২ নম্বর রোডে এমন ঘটনা ঘটে। তিন ছিনতাইকারী একটি মোটরসাইকেলে দেশীয় অস্ত্র ঠেকিয়ে ছিনতাইয়ের ঘটনাটি ঘটায়। আজ শেরে বাংলা নগর থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমাউল হক এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী যুবকের নাম শিমিয়ন (২৭)। তিনি একমি ল্যাবলেটরিতে কেমিস্ট হিসেবে চাকরি করেন। শ্যামলী দুই নম্বর রোডে একটি ভাড়া বাসায় থাকেন। শুক্রবার সকালে অফিসে যাওয়ার সময় ছিনতাইয়ের শিকার হন।
ওসি ইমাউল হক বলেন, ‘তিন ছিনতাইকারী মোটরসাইকেলে এসে ওই যুবকের সঙ্গে থাকা ব্যাগ, টাকা, মোবাইল, এমনকি তার জামা ও জুতা ছিনিয়ে নেয়। আমরা সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছি এবং ছিনতাইকারীদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।’
এদিকে সিসিটিভির ফুটেজ বিশ্লেষণে দেখা যায়, ছাতা হাতে এক যুবক হেঁটে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ পেছন থেকে তিন ছিনতাইকারী মোটরসাইকেলে এসে তাকে ঘিরে ফেলে। দুই জন হাতে ধারালো অস্ত্র নিয়ে যুবকের মুখোমুখি অবস্থান নেয়, অন্য একজন মোটরসাইকেল ইউটার্ন করে সামনে এসে পথ আটকে দাঁড়ায়। তাদের মধ্যে দুই জনের মাথায় হেলমেট ছিল, আর একজন ছিল খালি গায়ে। এরপর তারা ভুক্তভোগী যুবকের সঙ্গে থাকা ব্যাগ ও জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিয়ে নেয়। একপর্যায়ে তাদের হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে ভীতি সৃষ্টি করে ভুক্তভোগীর শরীরের জামা ও পায়ের জুতা খুলিয়ে নেয়। ছিনতাই শেষে তিন জন আবার মোটরসাইকেলে ওঠে দ্রুত পালিয়ে যায়।
এ ঘটনা ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। সাধারণ মানুষ প্রশ্ন তুলছে- রাজধানীর ব্যস্ত এলাকায় এভাবে একজন মানুষের সর্বস্ব কেড়ে নেওয়া, এমনকি জামা-জুতা পর্যন্ত ছিনিয়ে নেওয়ার সাহস কোথা থেকে পায় দুর্বৃত্তরা? এটি রাজধানীর আইনশৃঙ্খলার ভয়াবহ অবনতির চিত্র। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর নজরদারি দাবি করলেও ছিনতাইকারীরা যেন দিনে-দুপুরেও বেপরোয়াভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
ওসি ইমাউল হক আরও বলেন, ‘এই ঘটনার ভুক্তভোগী শিমিয়ন শনিবার সন্ধ্যায় থানায় এসে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করে অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।’
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
দেশের একের পর এক অপরাধমূলক কর্মকান্ড বেড়েই চলেছে। বদলে যাচ্ছে অপরাধের ধরন ও বীভৎসতা। ছিনতাইকারীদের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না মানুষের শরীরের জামা-কাপড়ও। রাজধানীর শ্যামলীতে ঘটে গেছে এক চরম নৃশংস ও চমকে দেওয়ার মতো এমন ছিনতাইয়ের ঘটনা। ছিনতাইকারীরা শুধু টাকা-পয়সা বা ব্যাগই নয়, ভুক্তভোগীর গায়ের জামা ও পায়ের জুতাও ছিনিয়ে নিয়েছে। পুরো ঘটনা ধরা পড়ে সিসিটিভি ক্যামেরায় এবং সেই ভিডিও ফুটেজ এখন ভাইরাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।শনিবার (১২ জুলাই) সকালে শ্যামলী ২ নম্বর রোডে এমন ঘটনা ঘটে। তিন ছিনতাইকারী একটি মোটরসাইকেলে দেশীয় অস্ত্র ঠেকিয়ে ছিনতাইয়ের ঘটনাটি ঘটায়। আজ শেরে বাংলা নগর থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমাউল হক এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী যুবকের নাম শিমিয়ন (২৭)। তিনি একমি ল্যাবলেটরিতে কেমিস্ট হিসেবে চাকরি করেন। শ্যামলী দুই নম্বর রোডে একটি ভাড়া বাসায় থাকেন। শুক্রবার সকালে অফিসে যাওয়ার সময় ছিনতাইয়ের শিকার হন।ওসি ইমাউল হক বলেন, ‘তিন ছিনতাইকারী মোটরসাইকেলে এসে ওই যুবকের সঙ্গে থাকা ব্যাগ, টাকা, মোবাইল, এমনকি তার জামা ও জুতা ছিনিয়ে নেয়। আমরা সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছি এবং ছিনতাইকারীদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।’এদিকে সিসিটিভির ফুটেজ বিশ্লেষণে দেখা যায়, ছাতা হাতে এক যুবক হেঁটে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ পেছন থেকে তিন ছিনতাইকারী মোটরসাইকেলে এসে তাকে ঘিরে ফেলে। দুই জন হাতে ধারালো অস্ত্র নিয়ে যুবকের মুখোমুখি অবস্থান নেয়, অন্য একজন মোটরসাইকেল ইউটার্ন করে সামনে এসে পথ আটকে দাঁড়ায়। তাদের মধ্যে দুই জনের মাথায় হেলমেট ছিল, আর একজন ছিল খালি গায়ে। এরপর তারা ভুক্তভোগী যুবকের সঙ্গে থাকা ব্যাগ ও জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিয়ে নেয়। একপর্যায়ে তাদের হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে ভীতি সৃষ্টি করে ভুক্তভোগীর শরীরের জামা ও পায়ের জুতা খুলিয়ে নেয়। ছিনতাই শেষে তিন জন আবার মোটরসাইকেলে ওঠে দ্রুত পালিয়ে যায়।এ ঘটনা ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। সাধারণ মানুষ প্রশ্ন তুলছে- রাজধানীর ব্যস্ত এলাকায় এভাবে একজন মানুষের সর্বস্ব কেড়ে নেওয়া, এমনকি জামা-জুতা পর্যন্ত ছিনিয়ে নেওয়ার সাহস কোথা থেকে পায় দুর্বৃত্তরা? এটি রাজধানীর আইনশৃঙ্খলার ভয়াবহ অবনতির চিত্র। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর নজরদারি দাবি করলেও ছিনতাইকারীরা যেন দিনে-দুপুরেও বেপরোয়াভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে।ওসি ইমাউল হক আরও বলেন, ‘এই ঘটনার ভুক্তভোগী শিমিয়ন শনিবার সন্ধ্যায় থানায় এসে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করে অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।’ভোরের আকাশ/এসএইচ
রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতাল কম্পাউন্ডে পিটিয়ে ও কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে চাঁদ মিয়া ওরফে সোহাগ নামে এক ব্যবসায়ীকে। এরপর নিথর দেহটাকে সড়কে ফেলে তার ওপর দাঁড়িয়ে চলেছে প্রকাশ্য উন্মত্ততা। শত শত মানুষের সামনে নৃশংস এই ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার (৯ জুলাই) সন্ধ্যায়। ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজ ইতোমধ্যে গণমাধ্যমের হাতে এসেছে। এদিকে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয়েছে সমালোচনা প্রতিবাদ। অনেকেই ভিডিওটি পোস্ট করে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। সেই কাতারে আছে নির্মাতা আশফাক নিপুন। আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেয়া এক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, চাঁদাবাজি/ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ/পার্সেন্টেজ যে নাম আর কারণই দেওয়া হোক না কেন, মিটফোর্ড হাসপাতালের ভেতরে প্রকাশ্য দিবালোকে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ সোহাগকে যে নৃশংসভাবে হত্যা আর (বুক আর মাথার ওপর বিশাল পাথর ফেলে ফেলে) উলঙ্গ করে রাস্তায় ফেলে মৃতদেহের ওপর লাফিয়ে লাফিয়ে উল্লাস করা হলো শত শত মানুষের সামনে, এই ভয়াবহ ঘটনা এবং ভিডিও লিটমাস টেস্ট হয়ে থাকল অদূর ভবিষ্যতে ভোটের মাধ্যমে যারাই ক্ষমতায় আসবেন তাদের জন্য।এরপর প্রশ্ন করে আরও লিখেছেন, আপনারা কি এই চাঁদাবাজদের ক্ষমতায়িত করবেন? নাকি সাধারণ মানুষকে ক্ষমতায়িত করবেন? আপনারা কি এই চাঁদাবাজদের সেবা করবেন? নাকি সাধারণ মানুষের সেবা করবেন? আপনারা কি ‘সন্ত্রাসী সন্ত্রাসীই, সে যে দলেরই হোক না কেন’ বলে আইন এবং বিচারের শাসন নিশ্চিত করবেন? নাকি ঘটনার পর ‘অমুক সন্ত্রাসী আমার দলের কেউ না’ বলে দায় সারবেন?নির্মাতা আরও লিখেছেন, আমরা ‘রোগী মরিবার পরে ডাক্তার সাহেব আসিলেন’ দেখতে চাই না আর। এই দেশেরই প্রবল প্রতাপশালী সরকার প্রধান, তার পরিবারসহ লেজ তুলে পালাতে বাধ্য হয়, যখন সাধারণ মানুষ লাল কার্ড দেখায়। মানুষ যেন আবার লাল কার্ড না দেখায়, সেই ভয়টা রাখেন। সেভাবে কাজ করেন। সোহাগ হত্যাকারী গ্রেপ্তারকৃত মহিন আর তার বাহিনীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি অবিলম্বে কার্যকর করা হোক।ভোরের আকাশ/জাআ
রাজধানীর সূত্রাপুর কাগজিটোলা এলাকার একটি বাসায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে বাবা-মা ও ৩ সন্তান দগ্ধ হয়েছেন। তাদেরকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। দগ্ধ ব্যক্তিদের রাজধানীর জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।দগ্ধ ব্যক্তিরা হলেন ভ্যানচালক মো. রিপন পেদা (৩৫), তাঁর স্ত্রী মোছা. চাঁদনী (২৪), ছেলে তামিম পেদা (১৬), রোকন পেদা (১৪) ও মেয়ে আয়েশা (১)।বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন শাওন বিন রহমান বলেন, দগ্ধ প্রত্যেকের অবস্থাই আশঙ্কাজনক। রিপনের শরীরের ৬০ শতাংশ, চাঁদনীর ৪৫, তামিমের ৪২, রোকনের ৬০ ও আয়েশা ৬৩ শতাংশ পুড়ে গেছে।দগ্ধ চাঁদনীর মামা জাকির হোসেন বলেন, পাঁচতলা বাড়িটির নিচতলায় এক কক্ষে পরিবারটি ভাড়া থাকে। রাতে পরিবারের সদস্যরা ঘুমিয়ে পড়েন। তাঁরা ঘুমে থাকা অবস্থায় কক্ষটিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় পরিবারটির পাঁচ সদস্যই দগ্ধ হন। পরে তাঁদের উদ্ধার করে বার্ন ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়।জাকির হোসেন আরো বলেন, কক্ষটিতে কীভাবে আগুন লাগল, সে বিষয়ে পরিবারটির সদস্যরা কিছু জানাতে পারেননি।দগ্ধ রিপনের গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী।ভোরের আকাশ/জাআ
রাজধানীর বাড্ডা থেকে শীর্ষ সন্ত্রাসী মোজাম্মেল ও তার এক সহযোগীকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) র্যাব সদর দপ্তরের মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক মুত্তাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।এর আগে বুধবার (৯ জুলাই) রাতে রাজধানীর বাড্ডা থানার ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ইউআইইউ) এলাকা থেকে ২ রাউন্ড গুলিভর্তি দু’টি ম্যাগাজিন ও একটি বিদেশি পিস্তলসহ তাদের গ্রেপ্তার করে র্যাব-১ এর একটি আভিযানিক দল।এ বিষয়ে উত্তরার র্যাব-১ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও নিশ্চিত করেছেন র্যাব সদর দপ্তরের মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক মুত্তাজুল ইসলাম।ভোরের আকাশ/এসএইচ