১১৯ বস্তা সরকারি চাল জব্দের ঘটনায় বিএনপি নেতা বহিষ্কার
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কামারদহ ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব সাহাবুল ইসলাম সাবু অসৎ উদ্দেশ্যে তার গুদামে সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১১৯ বস্তা চাল মজুদ রাখেন। অবশেষে এসব চাল জব্দ করেছে প্রশাসন। এই অনৈতিক কাজের দায়ে দলের সব পদ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বুধবার (৭ মে) দুপুরে গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মইনুল হাসান সাদিক ও সাধারণ সম্পাদক মাহামুদুন নবী টিটুল স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, অনৈতিক ও সংগঠন বিরোধী কাজের সুস্পষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলাধীন কামারদহ ইউনিয়নের সদস্য সচিব মো. সাহাবুল ইসলাম সাবুকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হইল।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে কামারদহ ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব সাহাবুল ইসলাম সাবু সরকারি চাল সংগ্রহ করে বেশি দামে বিক্রির উদ্দেশ্যে তার গুদামে মজুত করে রাখেন।
গতকাল মঙ্গলবার (৬ মে) বিকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানা পুলিশের সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আসাদুজ্জামান।
এসময় ফাঁসিতলা বাজারে অবস্থিত সাহাবুলের গুদাম থেকে ১১৯ বস্তা সরকারি চাল জব্দ করে প্রশাসন। অভিযানের সময় অবৈধভাবে চাল কেনা ও মজুদ করার দায়ে গুদাম মালিক সাহাবুল ইসলাম সাবুকে গ্রেফতার করা হয়। জব্দকৃত চাল উপজেলা সরকারি খাদ্য গুদামে রাখা হয়েছে বলে জানান উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আসাদুজ্জামান।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
কুমিল্লায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় বুড়িচংয়ে ছাত্র জনতার উপর হামলা ও গুলির ঘটনায় অভিযুক্ত মামলার আসামি আওয়ামী লীগ নেতা সাহেব আলীকে গ্রেপ্তার করেছে বুড়িচং থানা পুলিশ।রোববার (১৮ মে) সকালে উপজেলার কোরপাই এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করেন বুড়িচং থানা পুলিশের একটি দল।গ্রেফতারকৃত সাহেব আলী বুড়িচং উপজেলার মোকাম ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান। এছাড়াও তিনি বুড়িচং উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এবং মোকাম ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন।গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আজিজুল হক।তিনি জানান রোববার বেলা ১১ টায় বুড়িচং উপজেলার মোকাম ইউনিয়নের কোরপাই এলাকা থেকে সাহেব আলীকে গ্রেফতার করা হয়।গ্রেফতারকৃত সাহেব আলীর বিরুদ্ধে গতবছরের গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র জনতার উপর হামলার ঘটনায় মামলা রয়েছে।উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ নেতা সাহেব আলী ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে মোকাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ভোরের আকাশ/এসআই
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে প্রতিদিনের মতো রোববারও পরিতোষ বর্মন, হরিমন বর্মন, সত্যগুণ বর্মন ও মনোরঞ্জন বর্মন মেঘনা নদীতে জাল ফেলে মাছ ধরতে যান। সকাল ১১টার দিকে তাদের জালে ধরা পড়ে ২৯ কেজি ওজনের একটি বিশাল বিগহেড মাছ।রোববার (১৮ মে) সকাল ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার চরলাপাং এলাকায় মেঘনা নদী থেকে মাছটি ধরেন গোপীনাথপুর (মনতলা) গ্রামের জেলে পরিতোষ বর্মনসহ অন্যান্য জেলেরা।পরে মাছটি স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী সুমন মিয়ার কাছে ৮৫০ টাকা কেজি দরে ২৪ হাজার ৬৫০ টাকায় বিক্রি করা হয়।স্থানীয় বাসিন্দা শ্যামল বর্মন শিমুল বলেন, জেলেদের জালে ধরা পড়া বিগহেড মাছটি দেখতে ভিড় করেন অনেকে। এতো বড় মাছ সচরাচর দেখা যায় নাজেলেরা জানায়, চলতি বছরের ৩ মার্চ তিতাস নদী থেকে ২৬ কেজি ওজনের একটি বিগহেড মাছ, ২৮ এপ্রিল ২৫ কেজির একটি বোয়াল মাছ এবং ১০ মে মেঘনা নদী থেকে ১৯ কেজি ওজনের একটি কাতলা মাছ ধরা পড়ে। এসব ঘটনায় এলাকার জেলেরা বেশ উৎসাহিত। এতো বড় বড় মাছ ধরা পড়াতে তারা খুব খুশি।জেলে পরিতোষ বর্মণ বলেন, আমাদের জালে ধরা পড়া মাছটির ওজন ২৯ কেজি। ৮৫০ টাকা কেজি ধরে এটি স্থানীয় ব্যাপারী সুমন মিয়ার কাছে বিক্রি করেছি। ভোরের আকাশ/এসআই
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন। শনিবার রাতে ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকার ভাটিয়ালপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।রোববার (১৮ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফরিদগঞ্জ থানার এসআই মো. মাহবুব আলম।জানা যায়, মারা যাওয়া যুবকের নাম ইয়াসিন হোসেন সোহান (২৫)। তিনি ওই গ্রামের মো. জসিম উদ্দিন ও হালিমা দম্পতির বড় ছেলে। খবর পেয়ে তাদের বসতঘর থেকে মরদেহ উদ্ধার করে রোববার চাঁদপুরে মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।ওই যুবকের পরিবারের বরাত দিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ইয়াসিন হোসেন সোহান তাদের ৪ ভাই-বোনের মধ্যে বড়। তার বাবা অটোরিকশা চালান। কয়েক মাস আগে তার মায়ের শরীরে ক্যানসার ধরা পড়ে। চিকিৎসার খরচ মেটাতে আর্থিক অনটনে ভুগতে থাকেন তারা। শনিবার বিকেলে তিনি নিজের কক্ষের দরজা আটকে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ৯টা নাগাদ দরজা না খোলায় পরিবারের অন্য সদস্যরা ডাকাডাকি শুরু করেন। একপর্যায়ে দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে দেখেন সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গামছা দিয়ে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলে আছে ইয়াসিন।এর আগে ইয়াসিন তার নিজের ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে লেখেন, ‘আমার মা-বাবা হয়তো আমাকে কোনো দিনও ক্ষমা করবে না। কীভাবে ক্ষমা করবে বলেন! আমি যে তাদের স্বার্থপর ছেলে। আমার জায়গায় যদি একটা মেয়ে জন্মাইত, তাইলেই হয়তো তাদের এই দুর্দিন দেখতে হইতো না।’এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার এসআই মো. মাহবুব আলম বলেন, সোহানের মরদেহ উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি পরিবারের সঙ্গে অভিমান করে আত্মহত্যা করতে পারেন। আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। ভোরের আকাশ/ জাআ
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের শৈবাল পয়েন্টে বিষধর ‘ইয়েলো বেলিড’ প্রজাতির একটি সাপ ভেসে এসেছে ।রোববার (১৮ মে) বেলা ১১টার দিকে সৈকতের শৈবাল পয়েন্টে ওই সাপটি ভেসে আসে।সি সেফ লাইফ গার্ড সংস্থার সিনিয়র লাইফ গার্ড জয়নাল আবেদীন ভূট্টো বলেন, কক্সবাজার সৈকতের কবিতা চত্বর পয়েন্টে একটি উদ্ধার কার্যক্রমে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে ফেরার সময় বেলা ১১টার দিকে সৈকতের শৈবাল পয়েন্টে কিছু জেলে জড়ো হয়ে একটি সাপকে লাঠি দিয়ে আঘাত করছিলেন। তাৎক্ষণিকভাবে আমি ও লাইফ গার্ড কর্মী ওসমান ও সাদেক তাদের বাধা দিই। এরপর তাদের কাছ থেকে সাপটিকে রক্ষা করি। উদ্ধারের আগেই সাপটিকে লাঠির আঘাতও করেন জেলেরা। পরবর্তীতে সাপটি রক্ষা করে পুনরায় সাগরে ফিরিয়ে দেয়া হয়।সিনিয়র লাইফ গার্ড জয়নাল আবেদীন ভূট্টো আরও বলেন, এটি ছোট আকারের সাপ। পেটের রঙ হলুদ, দেহের উপরিভাগ কালো ও কিছু অংশে হলুদ। এটি ‘ইয়ালো বেলিড সি’ প্রজাতির সাপ। গত বছর বর্ষা-মৌসুমের আগে এবং পরে চারটি ইয়ালো বেলিড সাপ ভেসে এসেছিলো কক্সবাজার সৈকতের লাবনী, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্টে; যা উদ্ধার করে ফের সাগরে ছেড়ে দেয়া হয়েছিল।সিনিয়র লাইফ গার্ড কর্মী ওসমান বলেন, মূলত রোববার ভোর থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত ১১১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে কক্সবাজারে। এর কারণে সাগরে পানির বেড়েছে এবং সাগর উত্তালও রয়েছে। তাই জোয়ারের পানির তোড়ে সাপটি ভেসে এসেছে।সমুদ্র বিশেষজ্ঞরা জানান, হলুদ পেটওয়ালা ইয়েলো বেলিড সি প্রজাতির সাপ বিশ্বের সবচেয়ে বিষধর সাপগুলোর একটি। প্রশান্ত মহাসাগরে পানির ওপরের স্তরে বাস হলেও ফের কক্সবাজার সৈকতে দেখা মিলেছে এই সাপের।বিশ্বের স্থল ও সমুদ্রের সাপের মধ্যে চতুর্থতম ইয়েলো বেলিড সি। হলুদ পেটযুক্ত সমুদ্রের এই সাপ সাধারণত প্রশান্ত ও ভারত সাগরের গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে বাস করে। উপকূলের চেয়ে গভীর সমুদ্রই এদের বিচরণ সবচেয়ে বেশি।