সংগৃহীত ছবি
গাজীপুরের শ্রীপুরে পিস্তল ঠেকিয়ে এক স্কুলছাত্রকে তুলে নেয়ার দুই ঘণ্টা পর ফেরত দিয়েছে অস্ত্রধারীরা। এঘটনায় দুইজনকে আটকে করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের ধনুয়া গ্রামের হাজী মার্কেট এলাকায় হাজী প্রি কেডেট স্কুলে এ ঘটনা ঘটে।
স্কুলছাত্রকে তুলে নেয়ার ২২ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে। স্কুলের সামনে থেকে স্কুলছাত্রকে অস্ত্র ঠেকিয়ে তুলে নেওয়ার ঘটনায় আতংকিত হয়ে পড়েছে স্কুলের শিক্ষক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। ঘটনার পরপরই অস্ত্রধারীরা পলাতক রয়েছে। পিস্তলটি আসল নাকি নকল সেটি উদ্ধার হওয়ার পর বিস্তারিত জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ভুক্তভোগী স্কুলছাত্র মো. ফেরদৌস আহমেদ (১৪) উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামের মো. সাইফুল ইসলামের ছেলে।
নবম শ্রেণির ছাত্র হৃয়দ বলেন, স্কুল ছুটি হওয়ার পরপরই আমরা বাহিরে যায়। হঠাৎ করে কয়েকজন যুবক এসে ফেরদৌসকে ধরে মারতে মারতে টেনে হিচরে নিয়ে যেতে থাকে। এসময় আমরা ডাক চিৎকার দিলে শিক্ষকরা এগিয়ে আসে। এরপর আমরা তাকে রক্ষা করতে চেষ্টা করি। হঠাৎ করে একজন রুবেল স্যারের দিকে পিস্তল তাক করে বলে কেউ এগিয়ে আসলে গুলি করে উড়িয়ে দিবো।এরপর সবাই ভয় পেয়ে এদিক সেদিক চলে যাই।
হাজী প্রি ক্যাডেট স্কুলের সহকারী শিক্ষক আলমগীর হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীদের ডাক চিৎকার কান্নাকাটি শুনতে পেয়ে আমরা বাইরে গিয়ে এমন দৃশ্য দেখতে পাই। আমরা আমাদের শিক্ষার্থীকে রক্ষার জন্য চেষ্টা করি। কিন্তু অস্ত্রধারীরা বেশ কয়েকবার ফায়ার করার চেষ্টা করে। এই বলে যে সামনে আসবে তাকেই শেষ করে দিবো। এরপর আমরা পিছু হটি। গুলির ভয়ে কেউ সামনে আসেনি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূরুনাহার বলেন, ঘটনার পরপরই আমরা সবাই ছুটে যায়। কিন্তু অস্ত্র তাক করার পরপরই সবাই ভয়ে আতংকিত হয়ে পড়ে। তবে কি কারণে স্কুলছাত্রকে তুলে নিলেন এবিষয়ে জানতে পারিনি। স্কুল ছুটি হওয়ার পরপরই স্কুল গেইট থেকে তাকে তুলে নেয়। এসময় অনেক মারধর করে তাকে। স্বজনদের সহযোগিতায় দু'ঘন্টা পর অস্ত্রধারীরা ছেড়ে দেয়।
শ্রীপুর থানার পরিদর্শক তদন্ত শামীম আকতার বলেন, বিষয়টি জানার পরপরই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। গ্রেপ্তারের পর জানা যাবে পিস্তলটি আসল নাকি নকল।শ্রীপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ মহম্মদ আব্দুল বারিক জানান,এঘটনায় পুলিশ অস্ত্রধারী কাউসারসহ দুইজনকে আটক করেছে। পরবর্তী আইগত ব্যাবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
ভোরের আকাশ/আজাসা
সংশ্লিষ্ট
কুড়িগ্রামের সদর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী যাত্রাপুর নৌকা ঘাটে অতিরিক্ত অর্থ আদায় বন্ধের দাবীতে এলাকাবাসীদের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।শনিবার (১২ জুলাই) দুপুরে সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের যাত্রাপুর নৌকা ঘাটে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে চরের শত শত মানুষ অংশ নেন।মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, যাত্রাপুর হাটের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নজরুল আর্মি, যাত্রাপুর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান রহিমুদ্দিন হায়দার রিপন, ইউপি সদস্য আবু রায়হান, আব্দুস সালাম সহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।বক্তারা বলেন, চরের লাখো মানুষ এই যাত্রাপুর হাটে শনিবার ও মঙ্গলবার হাট করতে আসেন। এসব মানুষদের কাছ থেকে ঘাটে নির্ধারিত খাজনার চেয়েও অতিরিক্ত খাজনা আদায় করছে ঘাট ইজারাদার।এছাড়াও চরাঞ্চলের মানুষ কৃষি পন্য হাটে বিক্রি করতে আসলে খাজনা হিসেবে অতিরিক্ত টাকা গুনতে হয়। ফলে চরাঞ্চলের মানুষ অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পরছে। অতিরিক্ত অর্থ আদায় বন্ধে প্রসাশনের দৃষ্টি কামনা করেন চরের বাসিন্দারা।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে রাসেল (১৬) নামে এক বাংলাদেশি কিশোর নিহত হয়েছে।শনিবার (১২ জুলাই) ভোর রাতে উপজেলার মিনাপুর সীমান্তে ৩৫৩ মেইন পিলারের তিনুয়া মাদারী সীমান্তের কাছে ভারতের অভ্যন্তরে এই ঘটনা ঘটে। আসকর আলী রাসেল ৫ নং হরিপুর ইউনিয়নের হরিপুর সদর উপজেলার রাজবাড়ী এলাকার নিয়াজ উদ্দিনের ছেলে।বিজিবি ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রাসেলের কয়েকজন বন্ধু মিলে কাজের সন্ধানে অবৈধভাবে ভারতের পাঞ্জাবের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। শনিবার ভোর আনুমানিক ৩টা ৩০ মিনিটে মিনাপুর সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া কেটে ভিতরে প্রবেশ করলে ভারতের কিষাণগঞ্জ ব্যাটেলিয়ানের সদস্যরা তাদেরকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে এতে রাসেল গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যায়। রাসেলের মরদেহ ২০০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে পড়েছিল। পরে বিএসএফ তার মরদেহ নিয়ে যায়।বাংলাদেশ (বিজিবি) দিনাজপুর ৪২ ব্যাটেলিয়ানের অধিনায়ক লে.কর্ণেল আব্দুল্লাহ আল মঈন হাসানকে মুঠোফোনে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান, তারা ঘটনাটি সম্পর্কে অবগত আছেন। বিএসএফের সাথে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বাংলাদেশে লাশ ফেরত আনার প্রক্রিয়া চলমান।ভোরের আকাশ/এসএইচ
বাগেরহাটে টানা ভারী বর্ষণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় প্লাবিত হয়েছে ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিস্তীর্ণ ফসলি জমি ও মাছের ঘের। বিশেষ করে মৎস্য চাষে খ্যাত এই অঞ্চলে তলিয়ে গেছে ৯ শতাধিক মৎস্য ঘেরেরও বেশি। এতে অর্ধকোটি টাকার মাছ ভেসে গিয়ে চাষিরা মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছেন।মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এবারের বৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গলদা চিংড়ি উৎপাদনের অন্যতম এলাকা জেলার মোংলা, রামপাল, বাগেরহাট সদর ও মোরেলগঞ্জ এর সাথে ফকিরহাট, চিতলমারী ও মোল্লাহাট উপজেলার চাষিদের ক্ষতির পরিমাণও কম নয়। চাষিদের দাবি কয়েকশ কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে এই পানিতে।ফকিরহাট উপজেলার ফলতিতা এলাকার সবুজ রায় বলেন, বৃষ্টির পানিতে ঘের ডুবে একাকার হয়ে গেছে। ঘেরের পারের উপর হাঁটু পানি। নেট, কচুরিপানা ও ঘাষ দিয়ে মাছ ভেসে যাওয়া ঠেকানোর চেষ্টা করেছি, কিন্তু কতদূর আছে জানি না।চিতলমারীর সালাম নামের আরেক চাষি বলেন, এখন আসলে মাছ ধরার সময় আমাদের। কিন্তু হঠাৎ দুর্যোগ আমাদের পথে বসিয়ে গেল। আমার ৩টি ঘেরের প্রায় ১০ লাখ টাকার মাছ ভেসে গেছে। ঘেরের পাড়ের সবজি গাছও মরে যাবে পানি টানার সাথে সাথে।স্থানীয় মৎস্য চাষিরা জানান, হঠাৎ করেই পানি বাড়তে শুরু করে। মাত্র এক রাতেই ঘেরগুলো ডুবে যায়। মাছ বের করে নেওয়ার কোনো সুযোগই পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় অনেকেই নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন।মোরেলগঞ্জ উপজেলার চাষি রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি ৭ বিঘা জমিতে রুই, কাতলা, পাঙাস ও তেলাপিয়া মাছের চাষ করেছিলাম। কয়েক দিনের মধ্যে বিক্রি করার কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ পানি বেড়ে সব ভেসে গেছে। প্রায় ৭ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।বাগেরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. মো. আবুল কালাম আজদ বলেন, বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে ৯০০টির বেশি ঘের পানির নিচে চলে গেছে। ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৪৫ লাখ টাকা।ভোরের আকাশ/এসএইচ
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বলেছেন, ফেনীর মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনীয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণের ৭ হাজার ৩৪০ কোটির প্রকল্পটি সেনাবাহিনীকে দিয়ে বাস্তবায়ন করার কথা ভাবছে সরকার।শনিবার (১২ জুলাই) সকালে ফেনীর পুরাতন মুন্সীর হাটে একটি আশ্রয়কেন্দ্রে পরিদর্শনে আসেন উপদেষ্টা। এ সময় তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের এসব কথা বলেন।ফারুক-ই-আজম বলেন, এখানকার বর্তমানের বাঁধ এরকম বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারবে না এটি আমাদের অভিজ্ঞতা হয়েছে। এর জন্য আরও শক্তিশালী বাঁধ এবং উদ্যোগ-আয়োজন প্রয়োজন। প্রস্তাবিত এ বড় প্রকল্প যথাযথভাবে যথাযথ কর্তৃপক্ষ যেন প্রযুক্তিগত সহযোগিতা নিয়ে সম্পন্ন করেন তা নিশ্চিত করা হবে।তিনি বলেন, এখানে কোনো অসঙ্গতি রয়েছে কিনা, সবাই যেন ত্রাণ সহায়তা যথাযথ পান সেজন্য দেখতে এসেছি। এ ছাড়া বন্যাকবলিত এলাকায় যেসব সমস্যা হচ্ছে, এগুলো জানতে এসেছি। কিভাবে কাজ করলে এটি থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া যাবে তা ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে শুনেছি। সরকারও তাদের কথা শুনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।এ সময় ফেনী জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম, পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমানসহ জেলার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ