তালাক গোপন করে শারীরিক সম্পর্ক, সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা
স্ত্রীকে তালাকের তথ্য গোপন করে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করার অভিযোগ উঠেছে সাবেক স্বামী মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে। ওই নারী তার বিরুদ্ধে বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন।
ওই ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ বেগম লায়লাতুল ফেরদৌস বৃহস্পতিবার মামলাটি গ্রহণ করে আমতলী থানার ওসিকে এজাহারভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ওই ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর রনজুয়ারা শিপু।
জানা গেছে, তালতলী উপজেলার তালুকদার পাড়া গ্রামের সালাউদ্দিন শরীফের ছেলে মাহবুবুর রহমানের সঙ্গে ২০১২ সালে আমতলী উপজেলার ওই নারীর বিয়ে হয়। ওই দম্পতির ৯ বছরের একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। ওই নারী আমতলী শহরে সন্তান নিয়ে বসবাস করেন। তার স্বামী মাহবুবুর রহমান পিরোজপুর জেলার আনসার ভিডিপি অফিসে কর্মরত। সেখানে থাকা অবস্থায় তিনি পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। পরকীয়ার জেরে তিনি স্ত্রীকে নানাভাবে নির্যাতন করে আসছেন বলে অভিযোগ স্ত্রীর। তার সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছেদ করতে যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছিলেন। স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে ওই নারী তার বিরুদ্ধে আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি যৌতুক মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামি মাহবুবুর রহমান মামলা সংক্রান্ত তথ্য জানতে পেরে চলতি বছরের ৬ এপ্রিল গোপনে স্ত্রীকে তালাক দেন। পরে ১১ এপ্রিল তিনি বাদীর বাড়িতে আসেন এবং আপসের কথা বলে রাতে দৈহিক সম্পর্ক করেন। পিরোজপুর ফিরে গিয়ে ১৫ এপ্রিল তালাকনামার কপি মেসেঞ্জারে পাঠিয়ে দেন।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার ওই নারী সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন।
মামলার বাদী বলেন, ‘আমার স্বামী ১১ এপ্রিল বাসায় এসে আপসের কথা বলে রাতে আমার সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক করে। এরপর ১৫ এপ্রিল মেসেঞ্জারে তালাকনামার কপি পাঠায়, যাতে লেখা ছিল সে আমাকে ৬ এপ্রিল তালাক দিয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘তালাক গোপন রেখে সে ইচ্ছাকৃতভাবে আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেছে। এর মানে সে আমাকে জেনে শুনে ধর্ষণ করেছে। আমি এই ধর্ষকের শাস্তি দাবি করছি।’
এ বিষয়ে জানতে মাহবুবুর রহমানের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
আমতলী থানার ওসি মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, আদালতের নথি পেলে আদেশ অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভোরের আকাশ/সু
সংশ্লিষ্ট
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন, প্রয়োজনীয় সংষ্কার, পিআর পদ্ধতিতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনসহ কেন্দ্র ঘোষিত ৫-দফা দাবী আদায়ের লক্ষ্যে গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলা জামায়াতে ইসলামী বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে।শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বাদ আছর কাপাসিয়া উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে উপজেলা কমপ্লেক্সর প্রধান ফটক চত্বর থেকে এই বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি উপজেলা সদরের থানার মোড়, কলেজ রোড, পুরাতন বাসস্ট্যান্ড, প্রেসক্লাব মোড়, ডাকবাংলো মোড়, তাজউদ্দিন চত্বরসহ প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে ফকির মজনু শাহ সেতুর পশ্চিম পাশে বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কাপাসিয়া উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা ফরহাদ হোসেন মোল্লা এবং সঞ্চালনা করেন উপজেলা সেক্রেটারি মাওলানা তোফাজ্জল হোসেন।সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, গাজীপুর-৪ (কাপাসিয়া) আসনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যক্ষ সালাউদ্দিন আইউবী। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, গাজীপুর জেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর মাওলানা শেফাউল হক,বিশিষ্ট সাংবাদিক অধ্যাপক শামসুল হুদা লিটন, কাপাসিয়া উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা আবুল ফাত্তাহ, মাওলানা ইমতিয়াজ হোসেন বকুল প্রমূখ।সমাবেশে প্রধান অতিথি অধ্যক্ষ সালাউদ্দিন আইউবী বলেন, জাতীয় সনদের ভিত্তিতে পিআর পদ্ধতিতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে। অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে। বিগত স্বৈরাচারী সরকারের আমলে সকল জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করতে হবে। স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে।তিনি আরো বলেন,গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও জনগণের অধিকার রক্ষায় এই ৫ দফা দাবির বাস্তবায়ন অত্যন্ত জরুরি। জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও পিআর পদ্ধতি ছাড়া এদেশে কোন নির্বাচন জনগণ মেনে নিবেনা।বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন। বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীরা ব্যানার, প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন ও নানা স্লোগানে সজ্জিত হয়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে মিছিলে অংশ গ্রহণ করেন। জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্র ঘোষিত পুরো কর্মসূচি ছিল শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর।ভোরের আকাশ/এসএইচ
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া থেকে পটুয়াখালীর মহিপুরে মাছ ধরতে গিয়ে পরিকল্পিত হত্যাকান্ডের শিকার হেলালের (২৪) খুনিদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নিহত হেলাল তুষখালী ইউনিয়নের ছোটমাছুয়া গ্রামের হারুন হাওলাদারের ছেলে।শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে পাঁচ শতাধিক নারী ও পুরুষের অংশগ্রহণে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।এতে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় আরিফ ফরাজী,আলী আকব্বর,ফিরোজ হোসেন, মোঃ শাহ আলম, কুদ্দুস শরীফ, নিহত হেলালের বোন শারমিন আক্তার, বাবা হারুন হাওলাদার ও মা শেফালী বেগম।বক্তারা বলেন, মাছ ধরার জন্য ফিশিং বোটে যেতে দেরি হওয়ায় রাতভর নির্যাতন করে হেলালকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। হেলালের ডাক চিৎকার শুনে কেউ যাতে উদ্ধার করতে না পারে সেজন্য বঙ্গোপসাগরের নির্জন জলরাশীতে গিয়ে নির্যাতন চালানো হয়।বেহুশ হয়ে হুশ হওয়ার পর আবারও নির্যাতন চালানো হয়। একপর্যায়ে দীর্ঘসময় অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকলে সকাল ১০টার দিকে প্রথমে কুয়াকাটা ২০ শযা বিশিষ্ট হাসপাতাল ও পরে কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষনা করে।এরপর হাসপাতালে লাশ ফেলে রেখে আসামীরা পালিয়ে যায়।এ ঘটনায় গত ৫ সেপ্টেম্বর নিহত হেলালের মা বাদী হয়ে মহিপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার ৪ নং আসামী শুক্কুর গত ৮ সেপ্টেম্বর বাগেরহাট থেকে র্যাবের হাতে গ্রেফতারের পর মামলার প্রধান আসামী মন্টু ফরাজীসহ অন্য আসামীরা মামলার বাদী ও তার পরিবারকে হুমকি দিয়ে আসছে।মামলার প্রধান আসামী মন্টু ফরাজী মঠবাড়িয়া উপজেলার ছোট মাছুয়া গ্রামের (৫ নং ওয়ার্ড) আমির হোসেন ফরাজীর ছেলে।ঘটনার পর সে অন্য আসামীদের নিয়ে মহিপুর থেকে ফিশিং বোট চালিয়ে মোড়েলগঞ্জে এসে বোট ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। মহিপুর থানা পুলিশ বোটটি জব্দ করেছে।এ ব্যাপারে মহিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মাহমুদ হাসান জানান, ঘটনাস্থল বিবেচনায় মহিপুর থানায় মামলা হলেও বাদী ও আসামীদের বাড়ি মঠবাড়িয়া এলাকায়। এক্ষেত্রে কিছুটা প্রতিবন্ধকতা তৈরি হলেও আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের বরিশাল বিভাগীয় কমিটি ও পিরোজপুর জেলা কমিটির উদ্যোগে মাননীয় প্রধান বিচারপতি ও রেজিস্ট্রার জেনারেল মহোদয়ের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রায় ২০ হাজার কর্মচারীর দীর্ঘদিনের ন্যায্য দাবিদাওয়া আদায়ের লক্ষ্যে একটি স্মারকলিপি পেশ করা হয়।শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে বরিশাল সার্কিট হাউজে এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের সম্মানিত উপদেষ্টা ও বরিশালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা জনাব আবুল কালাম আজাদ।এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বরিশাল বিভাগীয় কমিটির সভাপতি জনাব হেদায়াতুল নবী খান জাকির, পিরোজপুর জেলা শাখার সভাপতি মোঃ অহীদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাফিজুল ইসলামসহ বরিশাল বিভাগের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।নেতৃবৃন্দ জানান, বিচার বিভাগীয় কর্মচারীদের প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধা, পদোন্নতি, বেতন-ভাতা কাঠামো এবং অন্যান্য ন্যায্য দাবির দ্রæত বাস্তবায়ন অত্যন্ত জরুরি। স্মারকলিপি প্রদানের মাধ্যমে তারা আশা প্রকাশ করেন যে, মাননীয় প্রধান বিচারপতি এ বিষয়ে ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। ভোরের আকাশ/হ.র
পিরোজপুর-২ (ভাণ্ডারিয়া, কাউখালী, নেছারাবাদ) আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী, ভান্ডারিয়া সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি মো. মাহমুদ হোসেন বলেছেন, “বাংলাদেশে সব ধর্মের মানুষের সহাবস্থান আছে। বিএনপি সবসময়ই ধর্মীয় সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করে। একটি নিরপেক্ষ ও জনগণের সরকার গঠনের মাধ্যমে আমরা আবার সেই শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়তে চাই। আপনারা ভয়ের মধ্যে নয়, নিরাপদে উৎসব পালন করুন এটাই আমাদের প্রত্যাশা।”শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া মদনমোহন জিউর মন্দিরে আয়োজিত শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।তিনি আরও বলেন, “ দুঃশাসন, দুর্নীতি ও নির্যাতনের রাজনীতি থেকে মুক্তি পেতে হলে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমার পরিবার আগেও আপনাদের সাথে ছিলো, ভবিষ্যতে থাকবে। আমি আপনাদের দোয়া ও সহযোগিতা চাই, যেন এই এলাকার সেবা করার সুযোগ পাই।”ভান্ডারিয়া পূজা উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক বাবু কিরণ চন্দ্র বসু ও সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার দাসের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর হোসেন, যুগ্ম আহবায়ক গোলাম মস্তফা শরিফ, বিএনপি নেতা সাখাওয়াত হোসেন মিঠু, পৌর যুবদলের আহবায়ক মেহেদী হাসান মুন্সী, উপজেলা স্বেচ্ছা সেবক দলের সদস্য সচিব সাইফুল ইসলাম, ছাত্রদল নেতা মাহফুজুল ইসলাম প্রমূখ্য। পরে উপজেলার ৪৯টি মন্দিরের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের হাতে শুভেচ্ছা অনুদান তুলে দেন তিনি।ভোরের আকাশ/হ.র