ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০১ জুন ২০২৫ ০৭:৪৭ পিএম
ভারত থেকে আসা উজানের পানিতে আখাউড়া গ্রাম প্লাবিত
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর টানা বর্ষণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর এলাকার আশপাশের সীমান্তবর্তী কয়েক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
রোববার সকালে সরেজমিন দেখা যায়, স্থলবন্দরের পাশ দিয়ে বয়ে চলা কলন্দি খাল, কালিকাপুর হয়ে আব্দুল্লাপুর দিয়ে জাজি গাং, বাউতলা দিয়ে মরা গাং ও মোগড়া ইউনিয়ন হয়ে বয়ে যাওয়া হাওড়া নদী দিয়ে অস্বাভাবিকভাবে পানি ঢোকার কারণে তলিয়ে যাচ্ছে ওইসব গ্রামের রাস্তা-ঘাট। এতে করে উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের কালিকাপুর, বীরচন্দ্রপুর, আব্দুল্লাহপুর ও বঙ্গেরচর গ্রামের জমি ও রাস্তাঘাট তলিয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গতরাত থেকে এসব নদী-খাল দিয়ে পানি ঢুকছে। এতে করে এসব গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়া বিঘ্নিত হচ্ছে।
আখাউড়া স্থলবন্দর মৎস্য রপ্তানীকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক মিয়া জানান, গতরাত থেকে পানি ঢুকছে, বন্দরের আশপাশে পানিতে তলিয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত রপ্তানিতে কোনো প্রভাব পড়েনি। তবে পানি যেভাবে বাড়ছে এতে করে আখাউড়া-আগরতলা সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে করে দু’দেশের বাণিজ্য বন্ধ হওয়ার শঙ্কায় রয়েছি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনজুর রহমান বলেন, ‘হাওড়া নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৩০-৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। তবে বিপদসীমা পার করেনি। বিপদসীমা থেকে ২ মিটার নিচে আছে।’
উল্লেখ্য, গেল আগস্টে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে হাওড়া নদীর বাঁধ ভেঙে উপজেলার প্রায় ৩৬টি গ্রাম প্লাবিত হয়। এ সময় ৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়েছিল। এতে ১৯৫ হেক্টর ফসলি জমি ও প্রায় ১২ কোটি টাকার মৎস্যসম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এভাবে টানা বর্ষণ চলতে থাকলে ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পানিতে সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বাড়ার তীব্র আশঙ্কা রয়েছে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ