আশুলিয়ায় যাত্রীবাহী দূরপাল্লার বাসে আগুন
সাভারের আশুলিয়ায় হানিফ পরিবহনের একটি দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুন লাগার পরপরই যাত্রীরা বাস থেকে নেমে যাওয়ায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। আগুনে বাসের ভেতরের সব আসন পুড়ে গেছে। শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের শ্রীপুর সিনেমা হলের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এতে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
বাসের চালকের সহকারী মো. শাহীন জানান, দুপুরে রংপুর থেকে হানিফ পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসটি ঢাকার গাবতলীর উদ্দেশে ছেড়ে আসে। রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাসটি আশুলিয়ার শ্রীপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছালে বাসের নিচ থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। চালক বাসটি সড়কের পাশে থামালে যাত্রীরা দ্রুত নেমে যান। পরে আগুন বাসে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে বাসের সব সিট পুড়ে যায়। খবর পেয়ে ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে ১০ মিনিট চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, রংপুর থেকে আসা বাসটি মহাসড়কের চক্রবর্তী এলাকায় পৌঁছলে পোড়া গন্ধ পাওয়া যায়। এ সময় যাত্রীরা বাসের নিচে আগুনের কুণ্ডলী দেখতে পেয়ে সুপারভাইজারকে জানান। পরে শ্রীপুর এলাকার একটি ফাঁকা স্থানে এসে জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউস ইন্সপেক্টর সোমেন বড়ুয়া বলেন, রাত ৮টা ৪০ মিনিটে বাসে আগুন লাগার খবর পাই। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ১০ মিনিট চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বাসের ইঞ্জিনের অতিরিক্ত তাপমাত্রার (ওভার হিট) কারণে আগুন লেগেছে। আনুমানিক ৫-৭ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায় বান্দরবান হতে কেরানীহাটগামী একটি পূরবী বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে নাজিফা আক্তার (৫) নামে এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।রবিবার (১৮ মে) বিকেল ৫ টার দিকে সাতকানিয়া থানাধীন কেরানিহাট-বান্দরবান মহাসড়কের বুড়ির দোকান সংলগ্ন সত্যপীর মাজারের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।নিহত শিশু নাজিফা আক্তার উপজেলার কেঁওচিয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বায়তুল ইজ্জত গ্রামের আমতলা এলাকার আরব আমিরাত প্রবাসী আবছার উদ্দিনের কন্যা।নিহত শিশু নাজিফা আক্তারের চাচা আনছার উদ্দিন বলেন, আমার ভাতিজী তার নিকটাত্মীয়দের সাথে সাতকানিয়া থানাধীন বায়তুল ইজ্জতে অবস্থিত বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার এন্ড কলেজ (বিজিটিসিএন্ডসি) এলাকার ঘুরতে এসেছিল। পরে তারা সেখান থেকে হাঁটতে হাঁটতে বুড়ির দোকান সংলগ্ন সত্যপীর মাজারের কাছে আসে। তখন কেরানিহাট-বান্দরবান মহাসড়কের উত্তর পাশ হতে দক্ষিণ পাশে পার হওয়ার সময় বান্দরবান হতে ছেড়ে আসা দ্রুতগামী পূরবী বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।সাতকানিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জাহেদুল ইসলাম বলেন, দূর্ঘটনাকবলিত বাসটি আটক করা হয়েছে। বাসের চালক দূর্ঘটনার পরপরই পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। ভোরের আকাশ /জাআ
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে স্বেচ্ছাশ্রমে পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার কবিরাজবাড়ী-পঞ্চগ্রাম বাদামতলী এলাকার যাতায়াতের জন্য প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তায় সংস্কার কাজ করা হয়।কবিরাজবাড়ী-পঞ্চগ্রাম রাস্তা দিয়ে কয়েকটি গ্রামের ঘের ব্যবসায়ীরা মাছের খাবার, মুরগির খামারের খাবার, কৃষকেরা ফসল আনা-নেওয়া করেন। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদে দেনদরবার করেও ফল পাননি গ্রামবাসী। তাই জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তাটি সংস্কার করছেন।শনিবার (১৭ মে) বিকেলে সরেজমিনে দেখা গেছে, ৩০ থেকে ৪০ জন জামায়াত কর্মী সহ স্থানীয় বাসিন্দা রাস্তা সংস্কারের কাজ করছেন। খোন্তা দিয়ে মাটি কেটে রাস্তার মধ্যে যে গর্তগুলি হয়েছে ওই গর্তগুলিকে ভরাট দিতে দেখা গেছে। আবার অনেকে সেই মাটি ঝুড়িতে করে রাস্তায় ফেলছেন।স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সরকারিভাবে দীর্ঘদিন রাস্তাটিতে কোনো সংস্কারকাজ করা হয়নি। বিভিন্ন স্থানে ইট সরে গিয়ে রাস্তা ধসে গেছে। অনেক স্থানে বড় বড় গর্ত হয়েছে। বৃষ্টির সময় পানির চাপ থাকে। চলাচলে সীমাহীন ভোগান্তি পোহাচ্ছেন এলাকাবাসী। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা। তাই জামায়াতের উদ্যোগে রাস্তাটি সংস্কার করছেন তাঁরা।রাস্তা সংস্কারকাজের উদ্যোগীদের মধ্যে রয়েছেন নাজিরপুর উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, সরকারি আইনজীবী আ্যডভোকেট আবু সাঈদ মোল্লা, উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমীর অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, উপজেলা জামাতের সমাজকল্যাণ সম্পাদক আনিসুর রহমান মল্লিক, উপজেলা শিবির সভাপতি শেখ আবু হানিফ, প্রফেসর প্রদীপ কুমার মন্ডলসহ স্থানীয় জামায়াতের নেতৃবৃন্দ।নাজিরপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রাসেল শিকদার বলেন, ‘এই রাস্তা সংস্কার করার জন্য টাকা বরাদ্দ হয়েছে। ৫ আগস্ট এর আগে রাস্তাটি খুঁড়ে কাজ শুরু করছে ঠিকাদার, কিন্তু ৫ ই আগস্ট এর পরে তারা পালিয়ে গেছে। তাদের সাথে যোগাযোগ করে কোন সূরাহা হয়নি। এখন জামায়াত যে কাজটি করেছে এজন্য ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। কারণ যে কাজটি আমার করার কথা ছিল। সেই কাজটি এখন জামায়াতে ইসলামি করছে।ভোরের আকাশ/জাআ
সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস চরমপন্থা প্রতিরোধে কমিউনিটি ও বিট পুলিশিং কার্যক্রম আরো জোরদার করতে খুলনায় অনুষ্ঠিত হয়েছে দিনব্যাপী একটি কর্মশালা।রোববার (১৮ মে) রিজিওনাল কনসালটেশনের অংশ হিসেবে নগরীর হোটেল সিটিইন সম্মেলন কক্ষে কেএমপি এবং খুলনা রেঞ্জের ৩৭ বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়ে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন এন্টি টেররিজম ইউনিটের ডিআইজি (ক্রাইম এন্ড ইনভেস্টিগেশন) মফিজ উদ্দিন আহমেদএবং বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি মোঃ রেজাউল হক।কেএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) মোহাম্মদ রাশিদুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (কমিউনিটি এবং বিট পুলিশিং) মোঃ আরিফুল ইসলাম, পুলিশ সুপার(ট্রেনিং) এন্টি টেররিজম ইউনিট মোঃ শিরিন আক্তার জাহানসহ এটিইউ ও ইউএনওডিসির প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।কর্মশালায় বক্তারা বলেন, সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস চরমপন্থার উথান সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও একটি উদ্বেগের বিষয়। বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট এন্টি টেররিজম(এটিইউ) সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস চরমপন্থা মোকাবিলায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। খুলনা বিভাগের তৃণমূল পর্যায়ে কমিউনিটি এবং বিট পুলিশিং কার্যক্রম জোরদার করার মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস চরমপন্থা প্রতিরোধে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা ও ভবিষ্যত কর্মকৌশল নির্ধারণের জন্য এই কর্মশালা বিশেষ ভূমিকা রাখবে।পুলিশ সদর দপ্তর, বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ) এবং জাতিসংঘ মাদক ও অপরাধ সংস্থার যৌথ উদ্যোগে ইনিশিয়েটিভ অন কাউন্টারিং টেরোরিজম এন্ড ভায়োলেন্ট এক্সট্রিমিজম থ্রু স্ট্রেন্দেনিং অফ কমিউনিটি এন্ড বিট পুলিশিং ম্যাকানিজম এন্ড ষ্ট্রেটেজিস ইন বাংলাদেশ প্রকল্পের আওতায় এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। ভোরের আকাশ/এসআই
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে চোরা কারবারিদের হামলায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর টহল দলের দুই সদস্য অনুপ কুমার (২৯) ও মনিরুজ্জামান (২৯)। গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।রংপুর ৬১ বিজিবির একটি সূত্র জানায়, সোমবার গভীর রাতে মোহাম্মদপুর সীমান্তের শূন্যরেখা অতিক্রম করে মোটরসাইকেলে করে দুই চোরা কারবারি সীমান্তে যান। এই খবর পেয়ে নাজিরগোমানী বিওপি বিজিবি ক্যাম্পের একটি টহল দল ঘটনাস্থলে যায়। এই দলের নেতৃত্বে ছিলেন ক্যাম্প কমান্ডার নায়েব সুবেদার হাছিবুর রহমান। বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে ভারত থেকে অবৈধভাবে পাচার করা মাদকের ব্যাগ পিঠে নিয়ে পালিয়ে যায় দুইজন চোরা কারবারি। তারা তাদের মোটরসাইকেল ফেলে যাওয়ায় বিজিবি তা জব্দ করে ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়ার পথে চোরাকারবারিরা তাদের উপর হামলা চালায়। এ সময় বিজিবির দুই সদস্য গুরুতর আহত হন। ভোরের দিকে তাদের উদ্ধার করে পাটগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।রোববার (১৮ মে) বিকেলে রংপুর ৬১ বিজিবির নাজিরগোমানী ক্যাম্প কমান্ডার নায়েব সুবেদার হাসিবুর রহমান বাদী হয়ে পাটগ্রাম থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ওই ইউনিয়নের কয়েকজন চোরাকারবারির নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়। এর আগে উপজেলার উপজেলার জগতবেড় ইউপিতে অবস্থিত মোহাম্মদপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।পাটগ্রাম থানার ওসি তদন্ত স্বপন কুমার সরকার বলেন, বিজিবি একটি মামলা দায়ের করেছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।ভোরের আকাশ/এসআই