ছবি: ভোরের আকাশ
ভোরের আকাশে সংবাদ প্রকাশের পর অবশেষে চাঁদপুর শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ইলিশ চত্বর মোড়ে সংস্কার কাজ শুরু করেছে পৌর কর্তৃপক্ষ।
সম্প্রতি ওই এলাকায় সংস্কার কাজের ধীরগতি ও খানাখন্দের কারণে ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচলে চরম ভোগান্তির অভিযোগ উঠে।
গত ৯ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) ‘চাঁদপুরে ইলিশ চত্বর মোড়ে সংস্কার কাজের ধীরগতি, খানাখন্দে দেবে গেল ট্রাক’ শিরোনামে ভোরের আকাশে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বিষয়টি তুলে ধরা হয়।
সংবাদটি প্রচারের পর স্থানীয় নাগরিকদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয় এবং বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষেও নজরে আসে। এরপর এর সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত বুধবার সকাল ১০টায় পৌরসভার তত্ত্বাবধানে সংস্কার কাজ শুরু হয়।
পৌর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইলিশ চত্বর এলাকায় যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে এবং জনদুর্ভোগ লাঘবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সংস্কার কাজ সম্পন্ন করা হবে।
স্থানীয় বাসিন্দারা পৌর কর্তৃপক্ষের উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং গণমাধ্যমের রিপোর্টের ইতিবাচক প্রভাবে অবশেষে কাজ শুরু হওয়ায় সাধুবাদ জানান।
ভোরের আকাশ/তা.কা
সংশ্লিষ্ট
ভোলা সদর উপজেলায় নৌবাহিনীর বিশেষ অভিযানে মো. রাশেদ (২৮) নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। এ সময় তার কাছ থেকে ২০ পিস ইয়াবা ও ১১৭ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়।বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করে বাংলাদেশ নৌবাহিনী।নৌবাহিনীর পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মাদক ব্যবসায়ী রাশেদকে ইয়াবা ও গাঁজাসহ আটক করা হয়। পরে তাকে ভোলা সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়। অভিযানে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যরাও অংশ নেন।বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে নৌবাহিনী মাদক ও সন্ত্রাস দমন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়মিত অভিযান ও টহল কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকবে।ভোরের আকাশ/জাআ
পিরোজপুরের ইন্দুরকানী ৫নং চন্ডিপুর ইউনিয়নে হতদরিদ্রদের জন্য স্বল্প মূল্যে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১৫ টাকা কেজি দরের চাল বিক্রিতে ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ডিলারের বিরুদ্ধে।বৃহস্পতিবার সকালে চন্ডিপুর বাজারে চাল বিতরণের সময় প্রতি বস্তায় ৩০ কেজির পরিবর্তে ২৭/২৮ কেজি চাল বিতরণ করা হয় বলে ক্রেতারা অভিযোগ করলে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সুবিধাভোগিদের নিকট ৩০ কেজি চাল ওজন মাপার যন্ত্র ব্যবহার না করে শুধু মাত্র বালতি মেপে চাল বিক্রি করছে। পরে বিক্রিত চাল অন্যস্থানে ওজন দিয়ে চাল কম দেওয়ার সত্যতা পাওয়া যায়।এলাকাবাসী জানান, অক্টোবর মাসের খাদ্যবান্ধবের ১৫ টাকা কেজি দরের চাল বৃহস্পতিবার সকালে সুবিধাভোগিদের মাঝে বিতরণ শুরু হলে ৫নং চন্ডিপুর ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের চাল বিতরণ করা হয়। খাদ্য অধিদপ্তরের ১৫ টাকা কেজি দরের ৩০ কেজি চাল দেয়ার কথা থাকলেও প্রকৃত পক্ষে দেয়া হচ্ছে ২৭ থেকে ২৮ কেজি চাল।চাল নিতে আসা একাধিক কার্ডধারীরা জানান, ১৫ টাকা কেজি ধরে ৩০ কেজি চালের দাম দিলেও প্রতিবার এখান থেকে চাল নিয়ে অন্য যে কোনো দোকানে মাপ দিলেই দেখা যায় ২ থেকে ৩ কেজি কম। এ ব্যাপারে জানার জন্য ডিলার নবিন এন্টারপ্রাইজ এর প্রোঃ মো. আব্দুল হাই জোমাদ্দার এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আস্ত চালের বস্তা হইলে কোন সমস্যা হইতে না। আমরা ১৭ লিটার বালতি মেপে চাল দিছি কম বেশি হতে পারে। সকাল থেকে ১৫০ সুবিধাভোগীদের চাল দেওয়া হয়েছে এখন আমরা একুরেট মেপে দিচ্ছি।এ ব্যাপারে ইন্দুরকানী উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসান বীন মুহাম্মদ আলী বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া নেয়া হবে।ভোরের আকাশ/জাআ
আন্তঃস্কুল বিতর্ক প্রতিযোগিতার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান বৃহস্পতিবার দুপুরে খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমির আর্ট গ্যালারিকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) আবু সায়েদ মোঃ মনজুর আলম।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, বিতর্ক প্রতিযোগিতা শিক্ষার্থীদের মেধাকে বিকশিত করে। যা ভবিষ্যতে দেশ গঠনে সহায়ক হবে। এ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা একটি বিষয় নিয়ে যৌক্তিকভাবে নিজেদের মতামত তুলে ধরতে শেখে। বিতর্ক একটি সৃজনশীল শিক্ষা মাধ্যম। তাই বিতর্কচর্চা ধরে রাখতে হবে। প্রতিযোগিতায় জয়-পরাজয় থাকবে অংশগ্রহণই বড় কথা। এধরণের অনুষ্ঠান শুধু শহরে নয়, গ্রামাঞ্চলেও করার জন্য প্রধান অতিথি সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান।অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন ইন্ডিপেন্ডেন্ট বিশ^বিদ্যালয়ের পরিচালক (প্রশাসন) লিমা চৌধুরী, সহযোগী অধ্যাপক ড. রিয়াদুল মাহমুদ, সিনিয়র কর্মকর্তা শাহনাজ পারুল ও মোঃ ফুয়াদ হোসেন। স্বাগত বক্তৃতা করেন সিনিয়র সাংবাদিক ও আন্তঃস্কুল বিতর্ক প্রতিযোগিতার আহবায়ক শেখ দিদারুল আলম।বিতর্ক প্রতিযোগিতায় দায়িত্বপ্রাপ্ত মডারেটর নেভি এ্যাংকরেজ স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোঃ সাউদ আল-ফয়সাল রাজু, প্রতিযোগিতার বিচারক খুলনা কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. মোঃ সালাউদ্দিন, সরকারি মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আখতারুজ্জামান ও কুয়েটের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ ও তথ্য) মনোজ কুমার মজুমদার বক্তৃতা করেন। খুলনা প্রান্তিকা আবাসিক এলাকা জনকল্যাণ সমিতির ব্যবস্থাপনায় ইন্ডিপেন্ডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। পরে প্রধান অতিথি আন্তঃস্কুল বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী দল এবং রানারআপ দলের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।বিতর্ক প্রতিযোগিতায় মহানগরের আটটি স্কুল অংশ গ্রহণ করে। আজ ফাইনালে খুলনা পাবলিক কলেজ ও নৌবাহিনী স্কুল ও কলেজ একে অপরের মুখোমুখি হয়। এতে বিজয়ী খুলনা পাবলিক কলেজ।ভোরের আকাশ/এসএইচ
গ্রীষ্মের প্রখর তাপ আর বর্ষার অবিরাম বৃষ্টির পর শরৎ আসে এক স্নিগ্ধ, শান্ত রূপ নিয়ে। এই ঋতুর প্রধান আকর্ষণ হলো দিগন্ত বিস্তৃতি কাশফুলের সাদা সমারোহ। কাশফুল যেন শুভ্রতার প্রতীক, যা জানান দেয় শরতের আগমন। নদীর ধারে, খোলা মাঠে কাশফুলের বন বাতাসে দুলতে থাকে, যা দেখতে অত্যন্ত মনোরম। কাশফুল মানেই মেঘলা আকাশ,হালকা বাতাস আর কিছু না বলা আবেগটা শুধু হৃদয়ই বোঝে,ভাষা নয়। কাশফুলের সাদা সৌন্দর্যে লুকিয়ে থাকে এক নিঃশব্দ প্রেম,যেন প্রকৃতি নিজেই একটা কবিতা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।শরৎ মানেই কাশফুলের রাজ্যে হারিয়ে যাওয়া। দিগন্ত জোড়া সাদা ফুলের এই মেলা যেন প্রকৃতির এক অমূল্য উপহার। কাশফুলের স্নিগ্ধ পরশ আর নির্মল বাতাস এই দুটোই যথেষ্ট মনকে সতেজ করে তোলার জন্য। শরৎ সত্যিই অসাধারণ! কাশফুল তৃণভূমির নির্মল সৌন্দর্যে হারিয়ে যায় প্রকৃতির সবচেয়ে কোমল স্পর্শ, কাশফুলের সৌন্দর্য। কবি নির্মলেন্দু গুণ এর ইচ্ছা করে ডেকে বলি, “ওগো কাশের মেয়ে,আজকে আমার দেখা জুড়ালো,তোমার হাতে বন্দী আমার প্রেম কাশ-তাই আমি এই শরতে তোমার কৃতদাস।“কুড়িগ্রাম জেলায় ধরলা,তিস্তা,দুধকুমার, ব্রহ্মপুত্রসহ রয়েছে ১৬টি। এনসব নদ-নদীর অববাহিকায় ৪শ৫টি চর-দ্বীপচরে ফুটেছে কাশফুল। এই সব কাশফুলের বাগানে প্রতিদিন বন্ধুবান্ধব, পরিবার-পরিজন নিয়ে হাজার হাজার দর্শনার্থীরা আসছে। ভীড় জমাচ্ছে এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে। দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সময় কাটাচ্ছে। এদের কেউ কাশ বনের মাঝ দিয়ে নৌকায় ঘুরে বেড়ায়,কেউ কাশ বাগানে সেলফি তুলছে, কেউ ভিডিও করছেন, যার যার মত সবাই নিজেদের মতো করে সময় উপভোগ করছে। প্রকৃতির অপরুপ সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ সকলে। ওপরে নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা। আর এর মধ্যে নদীর বুক চিরে জেগে ওঠা চরের যেদিকেই চোখ যায়, কাশফুলের শুভ্র রঙের খেলা। লম্বা-চিরল সবুজ পাতার বুক থেকে বেরিয়ে আসা কাশফুল কোথাও থোকা থোকা, কোথাও ঠাস বোনা গুচ্ছ। হঠাৎ মনে হবে যেন সেখানে সাদা চাদর বিছানো। দোল খাওয়া কাশফুলের এই সৌন্দর্য এখানে আসা পর্যটকদের মনে দেয় প্রশান্তির ছোঁয়া। অপরূপ এই দৃশ্য দেখা যাচ্ছে নদ-নদীর প্রায় ৩ শতাধিক চর-দ্বীপচরে।কুড়িগ্রাম ধরলা পারের জয়স্বরস্বতির চর, জগমনের চর, পাংগার চর এলাকায় বিভিন্ন কাশফুল বাগানে আসা দর্শনাথী জানান,ধরলা নদীর তীওে এটি অসম্ভব সুন্দর একটি জায়গা। খুব ভাল লাগছে। এখানে প্রতিবছর কাশফুল ফোটে। যা আমাদের খুব ভাল লাগে।দর্শনাথী করিম, পিও, মুক্তা, জানান, জেলা এবং জেলার বাহিরে থেকে বিভিন্ন পর্যটক কাশফুল বাগানে আসে ছবি ও ভিডিও ক্লিপ নেয়ার জন্য। গ্রামীন পরিবেশ ও সূর্যাস্তের সময় বেশী মানুষ ঘুরতে আসে। আমাদের চর-দ্বীপ চরগুলি সৌন্দের্যের লীলা ভুমি হিসেবে পরিচিত হচ্ছে।ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান জানান, ধরলা নদীর পশ্চিম পারে শত শত একর জমিতে কাশফুলের বাগানে প্রতিদিন শত শত পর্যটক বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসে। দিনভর থাকে ছবি তোলে ভিডিও করে। এটি পর্যটন ক্ষেত্রে সম্ভাবনার দার হতে পারে। কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের উদ্ভিদ বিদ্যা বিভাগের প্রফেসর মীর্জা মো. নাসির উদ্দিন জানান, পরিবেশ বান্ধব কাশফুল দেশ ও দেশের বাইরে চাহিদা থাকায় এটি বাণিজ্যিক ভাবে প্রসারের জন্য উদ্যোগ নেয়া সম্ভব। এতে করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সাথে পরিবেশ ভারসাম্য রক্ষা করতে ভূমিকা রাখবে। তাই জেলার নদনদী শাসন করার উপর গুরুত্ব দেন এই পরিবেশবিদ।ভোরের আকাশ/জাআ