ভালুকায় তালাবদ্ধ ঘর থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধার, স্বামী পলাতক
ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার সিডস্টোর বাজার এলাকায় তালাবদ্ধ একটি ঘর থেকে সাবিনা আক্তার (৪২) নামের এক নারীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ। নিহতের স্বামী স্বপন মিয়া ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন।
রবিবার (৮ জুন) দুপুরে আল-আমিন খান নয়নের ভাড়া বাসা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়দের দাবি, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। তবে পুলিশ এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঈদের দিন থেকে নিহত দম্পতির মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। এতে সন্দেহ জাগে স্বজনদের মধ্যে। তারা বাসায় এসে তালাবদ্ধ ঘর দেখতে পান। জানালার ফাঁক দিয়ে ভেতরে নজর দিলে সাবিনা আক্তারের মরদেহ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হলে তারা ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
নিহতের ছোট ভাই সাদ্দাম হোসেন জানান, “আমার বোনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে তালা মেরে পালিয়ে গেছে স্বপন মিয়া। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীর কঠিন শাস্তি চাই।”
এদিকে সাংবাদিকরা তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে, ভালুকা মডেল থানা পুলিশের বাধার মুখে পড়েন। ছবি তোলা ও ভিডিও ধারণেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়, যা সাংবাদিকদের কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।
বাড়ির মালিক আল-আমিন খান নয়ন জানান, নিহত সাবিনা আক্তার তাঁর বাসায় ভাড়া থাকতেন এবং স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। তিনি আরও জানান, দীর্ঘদিন ধরেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলছিল।
নিহত সাবিনার বাড়ি ত্রিশাল উপজেলার কানিহারি ইউনিয়নের তিরখী গ্রামে। তাঁর স্বামী স্বপন মিয়ার বাড়ি পার্শ্ববর্তী ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়নের উজানচর এলাকায়। তাদের সংসারে তিনটি সন্তান রয়েছে।
এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে এবং স্বপন মিয়াকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
ভোরের আকাশ।।হ.র
সংশ্লিষ্ট
ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার সিডস্টোর বাজার এলাকায় তালাবদ্ধ একটি ঘর থেকে সাবিনা আক্তার (৪২) নামের এক নারীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ। নিহতের স্বামী স্বপন মিয়া ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন।রবিবার (৮ জুন) দুপুরে আল-আমিন খান নয়নের ভাড়া বাসা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়দের দাবি, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। তবে পুলিশ এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঈদের দিন থেকে নিহত দম্পতির মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। এতে সন্দেহ জাগে স্বজনদের মধ্যে। তারা বাসায় এসে তালাবদ্ধ ঘর দেখতে পান। জানালার ফাঁক দিয়ে ভেতরে নজর দিলে সাবিনা আক্তারের মরদেহ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হলে তারা ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।নিহতের ছোট ভাই সাদ্দাম হোসেন জানান, “আমার বোনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে তালা মেরে পালিয়ে গেছে স্বপন মিয়া। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীর কঠিন শাস্তি চাই।”এদিকে সাংবাদিকরা তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে, ভালুকা মডেল থানা পুলিশের বাধার মুখে পড়েন। ছবি তোলা ও ভিডিও ধারণেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়, যা সাংবাদিকদের কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।বাড়ির মালিক আল-আমিন খান নয়ন জানান, নিহত সাবিনা আক্তার তাঁর বাসায় ভাড়া থাকতেন এবং স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। তিনি আরও জানান, দীর্ঘদিন ধরেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলছিল।নিহত সাবিনার বাড়ি ত্রিশাল উপজেলার কানিহারি ইউনিয়নের তিরখী গ্রামে। তাঁর স্বামী স্বপন মিয়ার বাড়ি পার্শ্ববর্তী ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়নের উজানচর এলাকায়। তাদের সংসারে তিনটি সন্তান রয়েছে।এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে এবং স্বপন মিয়াকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।ভোরের আকাশ।।হ.র
নওগার পত্নীতলায় মধইল উচ্চ বিদ্যালয়ের ঈদ পূর্নমিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।ঈদুল আযহার ২য় দিনে মধইল উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকগণকে বরণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে সম্মানিত করা হয়।জানা যায়, মধইল বিদ্যালয়ের প্রাক্তন হতে বর্তমান পর্যন্ত সাবেক শিক্ষার্থীদের নিয়ে এ পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠিত হয়।ভোরের আকাশ/এসএইচ
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পক্ষ থেকে মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলা ও পৌরসভায় দ্বিতীয় দিনের মতো প্রায় ৩০০ অসহায় ও নিম্নআয়ের পরিবারের মাঝে কোরবানির গোস্ত বিতরণ করা হয়েছে।এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও জেলার প্রধান সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট সাকিল আহমাদ এর উদ্যোগে এই গোস্ত বিতরণ খরা হয়।রবিবার সকাল থেকে গাংনীর বিভিন্ন গ্রাম ও পাড়ায় গিয়ে এসব গোস্ত পৌঁছে দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির স্থানীয় নেতারা। কোরবানির এই উদ্যোগকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসীর মধ্যে এক উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়।এ বিষয়ে সাকিল আহমাদ জানান, “আমরা চাই, ঈদের আনন্দ সবাই ভাগ করে নিক। সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষ যেন এই খুশি থেকে বঞ্চিত না হয় — সেই চেষ্টার অংশ হিসেবেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন দলের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা, যারা পুরো প্রক্রিয়া সুসংগঠিতভাবে পরিচালনা করেন।উল্লেখ্য, ঈদুল আযহার প্রথম দিনেও একইভাবে ২৫০ পরিবারের মধ্যে কোরবানির গোস্ত বিতরণ করেছিল এনসিপি মেহেরপুর।নেতৃবৃন্দের মধ্যে জাতীয় যুব শক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক মোঃ মুজাহিদুল ইসলামস যুক্ত ছিলেন আমির হামজা, শামীম আহমেদ আজম, আকাশ প্রমুখ।এ ধরণের জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি আগামী দিনগুলোতেও অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে দলটি।ভোরের আকাশ/আজাসা
সাতকানিয়া উপজেলার ছদাহা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড পাহাড়কুল এলাকায় মাদক ব্যবসার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সমাজের প্রধানসহ ৬ জনকে হামলা করেছে দুর্বৃত্তরা। রবিবার (৮ জুন) দুপুর ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- মো. ইদ্রিস (৬০), মো. ছাবের হোসেন (২৭), মো. মুরাদ হোসেন (২৬), মোহাম্মদ জুনায়েদ (২৫), মাহমুদুল হক (৫৫) এবং শাফায়াত উল্লাহ (২৬)।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরে পাহাড়কুল এলাকায় মাদক সেবন করে মহিলাদের ইভটিজিং, ঘরের চালায় ঢিল ছোড়া, অকথ্য ভাষায় গালাগাল করছিল স্থানীয় মহিউদ্দিন, ছৈয়দ আমিন (মিয়ানমারের নাগরিক), জামাল, মিনহাজ, জসিম, আজিজ, আরফাত, জমির, মনির (খুনের আসামি), আমির হামজা, উত্তর ছদাহার আনোয়ার শহীদ, সিফাতসহ বেশ কয়েকজন মাদকসেবী। গত ৬ জুন মাদকাসক্ত অবস্থায় তারা একই কাজ পুনরাবৃত্তি করায় স্থানীয়ভাবে সমাজ প্রধান মো. ইদ্রিস মৌখিকভাবে নিষেধ করেন।একইসাথে রবিবার সালিশ (সামাজিক বৈঠক) করার নির্দেশ দেন। রবিবার সালিশের সময় আসলে স্থানীয়রা বৈঠকে যাওয়ার জন্য নতুন পাড়া (পাহাড়কুল) জামে মসজিদের পাশে চায়ের দোকানে গেলে অতর্কিতভাবে হামলা চালায় মাদকসেবীসহ দুর্বৃত্তরা। এতে ১৫০ থেকে ১৬০ জন আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে গুরুতর জখম করেন। পরে স্থানীয় ব্যক্তিবর্গের সহায়তায় সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে আহতরা।সমাজ প্রতিনিধি ও আহত মো. ইদ্রিস বলেন, আজকে সামাজিকভাবে সালিশের মাধ্যমে সমাধান করার কথা ছিল। ঘটনাস্থলে ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. তৌহিদুল ইসলামও উপস্থিত ছিলেন। আজকে মাদক, ইভটিজিংসহ নানা বিষয়ে সমাধানের কথা ছিল। কিন্তু ইউপি সদস্যের কথায় সালিশের সময় একদিন পিছিয়ে দেয়া হয়। এরই মধ্যে মাদকসেবিদের একটা গ্রুপ শর্টগান দিয়ে আমার উপর তেড়ে আসে। আমার স্ত্রী এবং পূত্রবধূর উপর হামলা চালিয়ে ঘরের স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায়। বৈঠকে যারা এসেছিলেন, তাদের অনেকের মোবাইল-মানিব্যাগ ছিনতাই করে নেয়। আমি তিনজনের হাতে শর্ট গান দেখেছি। কিছু দূরে আরও একটি গ্রুপ ফাঁকা গুলি ছুড়ে এলাকায় ভীতি ছড়াচ্ছিলো। তারমধ্যে একজন আমার মাথায়-গায়ে বেধড়ক মারধর করে, এক পর্যায়ে আমি মাটিতে লুটিয়ে পড়ি। পরে কয়েকজনের সহায়তায় এবং আহতদের সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা প্রদান করে।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হওয়ার পর অভিযুক্তরা এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যাওয়ায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে অভিযুক্ত মো.আয়াতের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সংযোগ না পাওয়ায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. জাহেদুল ইসলাম জানান, দু’পক্ষের সংঘর্ষের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ এবং সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। এখনো পর্যন্ত তাদের পক্ষে থেকে লিখিত কোন অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ