চিতলমারীতে কৃষকের মাঝে বীজ সার ও নারিকেল চারা বিতরণ
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে রোপা আমন এর উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে কৃষি পূর্নবাসন প্রণোদনা কর্মসূচীর আওতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের চাষাবাদে সহায়তায় জন্য বিনামূল্যে বীজ, রাসায়নিক সার ও নারিকেলের চারা বিতরণ করা হয়েছে।
সোমবার (৩০ জুন) সকাল ১০টায় উপজেলা কৃষি অফিস চত্বরে ইউএনও তাপস পালের সভাপতিত্বে ৮২৫ জন কৃষকের মাঝে জনপ্রতি ৫ কেজি করে আমন ধানের বীজ, ১০কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার এবং ৫০০ জন কৃষকের মাঝে ৫টি করে মোট ২৫০০টি এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২৭০টি নারিকেল গাছের চারা বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষি বিদ মোঃ সিফাত আল মারুফ, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ শর্মী রায়, উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার মোঃ আহমেদ ইকবাল, উপজেলা এলজিইডি অফিসে ইন্জিনিয়ার মোঃ সাদ্দাম হোসেন, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মোঃ হাবিবুর রহমান, উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসার মোঃ হাফিজুর রহমান, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোঃ সোহেল পারভেজ, উপজেলা আইসিটি অফিসার মোঃ আসাদুজ্জামান, উপজেলা সমবায় অফিসার মোল্লা সাইফুল ইসলামপ্রমুখ।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ সিফাত আল মারুফ সাংবাদিকদের বলেন, পর্যায়ক্রমে ৫০ জন কৃষকের মাঝে ৫টি করে ২৫০টি আমের চারা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১০০০ জন ছাত্র ছাত্রীর মাঝে ৪টি করে ৪০০০টি নিম, জাম, বেল ও কাঁঠাল, ১২০ জন কৃষকের মাঝে গ্রীষ্মকালীন উফসী জাতের কমলি শাক ১০০ গ্রাম, লাউ ১০ গ্রাম, চালকুমড়া ৫ গ্রাম, পুইশাক ১০০ গ্রাম, মিষ্টি কুমড়া ১০ গ্রাম করে বীজ বিতরণ করা হবে।
এছাড়া বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও মাদ্রাসা ও স্কুলের ১৪০টি তাল গাছের চারা বিতরণ করা হবে।
ভোরের আকাশ/জাআ
সংশ্লিষ্ট
গাজীপুরের কাপাসিয়ায় "উপজেলা পর্যায়ে বাস্তবায়িত ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমের গতিশীলতা আনয়ন" শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৩০ জুন) সকালে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে এ প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।কাপাসিয়া উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বাস্তবায়িত ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমের উপর সম্যক ধারণা প্রদান করেন উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোঃ রুহুল আমিন। কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক এ টি এম তৌহিদুজ্জামান।উপজেলা সহকারী সমাজসেবা অফিসার মো. রেহান উদ্দিনের পরিচালনায় কর্মশালায় ইউনিয়ন পর্যায়ের গঠিত দলনেতা, জনপ্রতিনিধি, অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, সাংবাদিক, ইমাম, ফিল্ড সুপারভাইজার সহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার লোকজন অংশগ্রহণ করেন।এসময় কর্মশালায় অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন কাপাসিয়া থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) রবিউল ইসলাম, কাপাসিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি এফ এম কামাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক বেলায়েত হোসেন শামীম, অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদ মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ, ফিল্ড সুপারভাইজার আবুল হোসেন, হালিম খাতুন প্রমুখ।ভোরের আকাশ/আজাসা
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা মামলায় মানিকগঞ্জ জেলা শ্রমিক লীগের সাবেক সহ-সভাপতি মীর তৌফিকূর রহমানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।সোমবার (৩০ জুন) বিকেল চারটার দিকে শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে সদর থানা পুলিশ।পুলিশ জানায়, গ্রেফতার হওয়া মীর তৌফিকূর রহমান (৩৫) সদর উপজেলার মীর ফজলুর রহমানের ছেলে।মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আমান উল্লাহ বলেন, “বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি মীর তৌফিকূর রহমান। তদন্ত শেষে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ করে মঙ্গলবার তাকে আদালতে পাঠানো হবে।”এ ঘটনায় অন্য আসামিদেরও শনাক্ত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।ভোরের আকাশ/আজাসা
টাঙ্গাইলের নাগরপুরে ওয়াকফকৃত জায়গায় মডেল মসজিদ নির্মাণ না করে সরকারি কলেজ চত্বরে নির্মাণের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে এলাকাবাসী। সোমবার (৩০ জুন) দুপুরে নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রোডে ওই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। বক্তব্য রাখেন, প্রস্তাবিত মডেল মসজিদ কমিটির সভাপতি সাবেক ইউপি সদস্য মো. তাজউদ্দীন, শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান মিজান, স্থানীয় স্কুলের প্রধান শিক্ষক আজিজুর রহমান, কলেজছাত্র শাহাদত হোসেন প্রমুখ।বক্তারা অভিযোগ করেন, ২০১৮ সালে নাগরপুরে মডেল মসজিদ নির্মাণের প্রস্তাবনায় ৪০ শতাংশ জায়গায় এই মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়। নিয়ম অনুয়ায়ী কমপক্ষে ৪০ শতাংশ জায়গা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নামে রেজিষ্ট্রেশন করে দেওয়ার বিধান রয়েছে। সে অনুয়ায়ী নাগরপুরের ৫নং ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষ তাদের জমি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নামে ওয়াক্ফ করে দেয়। এর পর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আহসানুল ইসলাম টিটু এমপি নির্বাচিত হলে মসজিদটি অন্যত্র নির্মাণের উদ্যোগ নেন। কিন্তু শর্ত অনুযায়ী জায়গা পাওয়া না যাওয়ায় তা নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। সম্প্রতি স্থানীয় কতিপয় বিএনপি নেতা নাগরপুর সরকারি কলেজ চত্বরে মডেল মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। ভিত্তিফলক নির্মাণ করে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসককে গত ২৬ জুন(বৃহস্পতিবার) নামফলক উন্মোচনের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে জেলা প্রশাসক শরীফা হক ভিত্তিফলক উন্মোচন করেননি। এদিকে বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। মডেল মসজিদের জন্য ওয়াকফকৃত জায়গা থাকা স্বত্বেও এভাবে কলেজ চত্বরে মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়ার বিষয়টি নাগরপুরের সাধারণ মানুষ মেনে নিচ্ছে না। এলাকাবাসী সরকারি কলেজ চত্বরে মডেল মসজিদ নির্মাণের প্রতিবাদ এবং ওয়াক্ফকৃত জায়গায় মডেল মসজিদ নির্মাণের দাবিতে ওই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।ভোরের আকাশ/আজাসা
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে ‘সম্প্রীতির পুকুর’ হিসেবে পরিচিতি সুতিহার দীঘি নামে একটি জলমহালের ইজারা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়েছে।সোমবার বেলা ১১ টার দিকে নাচোল উপজেলা সদরের বাসস্ট্যান্ডে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। এতে উপজেলার বরেন্দ্রা এলাকার কয়েক শ’ আদিবাসী ও মুসলিম নারী পুরুষ অংশ নেন। পরে তারা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের যান। সেখানে আধাঘণ্টার বেশি অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়।এ সময় বিক্ষোভকারীরা জানান, নাচোল উপজেলার নেজামপুর ইউনিয়নের বরেন্দ্রা গ্রামের সুতিহার দীঘিটি এলাকার ‘সম্প্রীতির পুকুর’ নামে পরিচিত। দীর্ঘ প্রায় ৫০ বছর ধরে এই দীঘিটি বরেন্দ্রা গ্রামের মৎসজীবী সমিতির নামে লীজ নেয়া হয়। সেখানে মাছ চাষ করে পাওয়া অর্থে স্থানীয় মসজিদ, মন্দির, গোরস্থান, শ্মশানের উন্নয়ন করা হয়। অস্বচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা বৃত্তি দেয়া হয়। মুসলিম, হিন্দু ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠির অস্বচ্ছল পরিবারের মেয়েদের বিয়েতে আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়। এই দীঘিকে ঘিরেই বরেন্দ্র গ্রামে গড়ে উঠেছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য নজির। কিন্তু এ বার জলমহাল নীতিমালা অমান্য করে ১৫ কিলোমিটার দূরের একটি সমিতিকে দীঘিটি লীজ দেয়া হয়েছে। এতে করে গ্রামের মানুষ ওই দীঘির পানি ব্যবহার করার সুযোগও পাচ্ছেন না।পরে দীঘিটির লীজ বাতিল করে বরেন্দ্রা মৎসজীবী সমবায় সমিতির অনুকূলে লীজ দেয়ার দাবি জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে স্মারকলিপি দেয়া হয়।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নীলুফা সরকার বলেন, জেলা প্রশাসক বরেন্দ্র গ্রামের পুকুরটি পরিদর্শন করেছেন। উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক। ভোরের আকাশ/আজাসা