রাজবাড়ীতে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলায় চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে মাসুদ মোল্লা (৩৭) নামে এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন। শুক্রবার (১৬ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত মাসুদ মোল্লা ইসলামপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা জিমউদ্দিন মোল্লার ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, মাসুদের মানসিক সমস্যা ছিল। পাশাপাশি পারিবারিক কলহও চলছিল। আজ সকালে বাজার থেকে ফেরার পথে রাজশাহীগামী টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেন তিনি। পরে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে রাজবাড়ী রেলওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বিধান কুমার জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছে। প্রয়োজনীয় আইনগত নেয়া হবে।
ভোরের আকাশ/আজাসা
সংশ্লিষ্ট
চাঁদপুরে মেঘনা নদীতে বিষাক্ত বর্জ্য ও কেমিক্যালের কারণে পানি দূষণ হওয়ায় আবারও মরে ভেসে উঠছে দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। এতে নদী উপকূলীয় এলাকায় মরা মাছের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে।শুক্রবার (১৬ মে) ভোর থেকে জেলার মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে দশানি পর্যন্ত মেঘনা পাড়ের বিভিন্ন স্থানে মাছ মরে ভেষে থাকার এমন চিত্র দেখা গেছে। এমন পরিস্থিতিতে নদীপাড়ের মানুষজনের মাঝে নতুন করে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।শুক্রবার ভোরে মাছ ধরতে নদীতে নামেন স্থানীয় জেলেরা। তখনই তারা দেখতে পান পানিতে ভেসে রয়েছে অসংখ্য মরা মাছ। বিশেষ করে ঝাটকা, চেউয়া, বেলে, টেংরা, পুটি, চাপিলাসহ অসংখ্য ছোট-বড় দেশিয় মাছ মারা যাচ্ছে। এদিকে পঁচা মাছের দুর্গন্ধে নদীপাড়ের বাসিন্দারা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। দূষণ হওয়ার কারণে এখন নদীর পানি খাওয়া ও ব্যবহার করতে পারছেনা স্থানীয়রা। কি কারণে বার বার নদীতে মাছ মারা যাচ্ছে এবং পানি দূষণ হচ্ছে, তার সমাধান চান এলাকাবাসী।এদিকে ইলিশের পোনা জাটকা মরে ভেসে উঠায় চিন্তিত মেঘনা পাড়ের জেলেরা। এভাবে ছোট আকারের জাটকা মারা পড়লে মৌসুমে কাঙ্খিত ইলিশ পাবে কি-না, তা নিয়ে দুশ্চিন্তা জেলেদের মাঝে।ষাটনল এলাকার জেলে পলাশ বর্মন বলেন, এই নদীই আমাদের জীবন। কিন্তু এখন এই পানিতে মাছ তো নেই, বরং বিষ ছড়িয়ে গেছে। কয়েক বছর ধরেই এমন হচ্ছে। কেউ কোনো ব্যবস্থা নেয় না। জাটকাসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ মরে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে মাছ শূন্য হয়ে পড়বে নদী।দশানি এলাকার বাসিন্দা সেলিনা বেগম বলেন, বাচ্চারা নদীতে খেলতে যায়, গোসল করে। এখন তো মনে হচ্ছে পানিতে হাত দিলেও অসুস্থ হয়ে যাবে। আমরা নদীর পানি সব সময় ব্যবহার করি কিন্তু এখন পারছি না।দশানি এলাকার মাছ ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, আজকে যা দেখলাম, তাতে আগামী কয়েক মাস নদী থেকে মাছ পাওয়া কঠিন হবে। বাজারে মাছের দাম বেড়ে যাবে এবং স্থানীয় লোকজন ভুক্তভোগী হবে।পাশবর্তী কলাকান্দা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. শামসুদ্দিন বলেন, যে সব এলাকায় মাছ মরে যাচ্ছে, ওই এলাকা পরিদর্শন করেছি। নদীর এই অবস্থা অত্যন্ত দুঃখজনক ও উদ্বেগজনক। মাছ মরার এই ঘটনা শুধু পরিবেশের ক্ষতি নয়, মানুষের জীবীকার উপরও সরাসরি আঘাত। প্রতিদিন শত শত মানুষ এই নদীর উপর নির্ভরশীল। বারবার অভিযোগ করলেও কোন কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। আমি উপজেলা পরিষদে বিষয়টি তোলার প্রস্তুতি নিচ্ছি এবং জেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ পাঠাবো। নদী বাঁচলে আমরা বাঁচবো, এটাই এখন সবার মূল দাবি হওয়া উচিত।মতলব উত্তর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা বিজয় কুমার দাস বলেন, এটি নিছক মাছ মরার ঘটনা নয়, এটি একটি জলজ পরিবেশগত দুর্যোগ। শীতলক্ষ্যা থেকে আসা দূষিত পানির প্রবাহ একাধিকবার এই এলাকায় বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে। এটি প্রথম নয়, একাধিকবার ঘটেছে এমন ঘটনা। ২০২৩ সালের মার্চ ও ২০২৪ সালের আগস্ট মাসেও একই ধরণের ঘটনা ঘটেছিল। তখনও মেঘনার পানি দূষিত হয়ে মাছের গণমৃত্যু হয়। তবে এবার পরিমাণ আরও বেশি দেখা যাচ্ছে।পরিবেশ আন্দোলনের সংগঠন ‘মতলবের মাটি ও মানুষ’ এর সভাপতি শামীম খান বলেন, নদীকে কেন্দ্র করে হাজারো পরিবার মাছ ধরে জীবীকা নির্বাহ করে। বারবার দূষণে নদী মৃতপ্রায়। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছে না। প্রয়োজন দ্রুত আন্ত:জেলা পরিবেশ কমিশন গঠন এবং কারখানাগুলোর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। মানবিক ক্ষতির পাশাপাশি অর্থনৈতিক বিপর্যয় এই ঘটনায় শুধু পরিবেশ নয়, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন শত শত জেলে ও মাছ ব্যবসায়ী। নদীর ওপর নির্ভরশীল হাজারো মানুষের জীবিকা এখন হুমকির মুখে।পরিবেশ অধিদপ্তর চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, মেঘনা নদীতে মাছ মরে যাওয়ার কারণ অনুসন্ধানে চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি পরিবেশ অধিদপ্তর ও মৎস্য বিভাগের সমন্বয়ে গঠিত উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। সেখানকার প্রতিবেদন অনুযায়ি নদীর পানিতে অ্যামোনিয়ার পরিমাণ বেড়ে যাওয়া, পিএইচ ও অক্সিজেনের হার কমে গিয়েছিল। এছাড়া নদীর তলদেশ দিয়ে কারখানার বিষাক্ত বর্জ্য ও কেমিক্যালযুক্ত পানি বয়ে যাচ্ছে।তিনি আরও বলেন, নতুন করে আবার কেনো মাছ মারা যাচ্ছে, সেটি তদন্ত করে দেখতে হবে। তবে আবারো মাছ মারা যাওয়ার খবর এখনো কেউ জানায়নি। ঘটনাস্থলে গেলে পুরো বিষয়টি জানতে পারবো। ভোরের আকাশ/এসআই
বিএনপি মানবতার রাজনীতি করে এবং সব ধর্মের মানুষের পাশে দাঁড়ায় বলে মন্তব্য করেছেন দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু। তিনি বলেন, “স্বাধীনতার পর থেকেই বিএনপি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পাশে থেকে তাদের কল্যাণে কাজ করে আসছে। ভবিষ্যতেও অতীতের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আমরা সবাইকে নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই।” তাই কেউ নিজেকে এখন থেকে সংখ্যালঘু ভাববেন না, আমাদের পরিচয় আমরা বাংলাদেশী।শুক্রবার বিকেলে গাজীপুরের রাজাবাড়ী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের লক্ষীপুর গ্রামে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।অধ্যাপক বাচ্চু বলেন, “একটি মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নিয়ে গুজব ছড়ায়। এ ধরনের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সবাইকে রুখে দাঁড়াতে হবে। বাংলাদেশে সবাই শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করছে, এখানে কেউ সংখ্যালঘু নয়।” তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নে সবাইকে পাশে থাকার আহ্বান জানান।নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামীলীগ সরকারের নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে সমালোচনা করে তিনি বলেন, “যারা দিনের ভোট রাতে করেছে, যারা নিজেদের ভোট প্রশাসনের হাতে তুলে দিয়েছে, সেই দলকে সারাজীবনের জন্য বয়কট করা উচিত।” সভায় সভাপতিত্ব করেন মাদব মণ্ডল এবং পরিচালনা করেন রাজাবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট মহিদুল ইসলাম নয়ন।এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন শ্রীপুর প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ও মপবিস-২ এর সভাপতি এস.এম. মাহফুল হাসান হান্নান, রাজাবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা. আব্দুল বারেক, উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মোসলেমউদ্দিন মৃধা, রাজাবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন, তেলিহাটি ইউনিয়নের সভাপতি আবু জাফর, গাজীপুর জেলা যুবদলের সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন ব্যাপারী এবং উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশিদুল ইসলাম নয়ন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের দেশ ভিত্তিক উৎকর্ষ কার্যক্রমের আওতায় ও গ্রামীণফোনের সহযোগিতায় ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে বরিশাল মহানগর এর ৪৭ টি স্কুলের প্রায় ৫ হাজার ৬শ ছাত্র-ছাত্রী বই পড়া কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে বই পড়া কর্মসূচির পুরস্কার বিতরণ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।শুক্রবার (১৬ মে) সকালে নগরীর ব্যাপ্টিস্ট মিশন বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।বই পড়ার এই বর্ণাঢ্য পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খন্দকার মোঃ আসাদুজ্জামান অবসরপ্রাপ্ত সচিব ও সাবেক ট্রাস্টি বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার, বরিশাল মোঃ সোহরাব হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা আঞ্চলিক উপ-পরিচালক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসাইন, জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ হারুনুর রশিদ, ব্যাপ্টিস্ট মিশন বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গাব্রিয়েল গাইন, গ্রামীণফোন বরিশাল ডিভিশন সার্কেল হেড সানুয়ার হোসেন, পরিচালক, বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র শামীম আল মামুন সহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের মনকে সুন্দর ও রুচিস্নিগ্ধ ভাবে গড়ে তোলার জন্য বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে ৪৭ বছর ধরে সারাদেশে এই বই পড়া কর্মসূচির আয়োজন।আজকের এই অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের সৌজন্যে বরিশাল মহানগরের ৪৭টি স্কুলের মধ্যে ৩৬ টি স্কুলের ২ হাজার ৪১১জন শিক্ষার্থী সরাসরি মঞ্চ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করে এবং বাকি ১১ টি স্কুলের শিক্ষার্থীদের পক্ষে স্কুলের শিক্ষক ও সংগঠকদের পুরস্কার দেওয়া হয়। এছাড়াও বইপড়া এ কর্মসূচিতে ৫ টি স্কুল থেকে ৭৩ জন সেরাপাঠক বিজয়ীদের মধ্যে লটারির মাধ্যমে ৭জন শিক্ষার্থীকে দেওয়া হয় বিশেষ পুরস্কার।ভোরের আকাশ/এসআই
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা মিরুখালী ইউনিয়নের যুবদলের সদস্য সচিব রুবেল তালুকদারের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছেন স্থানীয় বিএনপি এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন।শুক্রবার বিকাল সাড়ে পাঁচটায় প্রায় ৩ শতাধিক নারী পুরুষের উপস্থিতে মিরুখালী বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে মিরুখালী স্কুল এন্ড কলেজের সামনে মানববন্ধন শেষ করেন।এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন মঠবাড়িয়া উপজেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুব মনির, মঠবাড়িয়া উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ সোহেল রানা, মিরুখালী যুবদলের সদস্য সচিব রুবেল তালুকদার, মঠবাড়িয়া সরকারি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোঃ নাঈম প্রমুখ।মিরুখালী যুবদলের সদস্য সচিব রুবেল তালুকদার বলেন, ২০১৪ সালে আমার ছোট ভাইকে হত্যা করেন আল-আমীন তালুকদার তার বিচার ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার করেনি এখন সেই খুনিরা আমার নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে হয়রানি করে। আমি এর সুষ্ঠু তদন্ত চাই এবং আমার নামের মামলা প্রত্যাহার চাই।মঠবাড়িয়া উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ সোহেল রানা বলেন, শেখ হাসিনার দোসররা এখনো বিভিন্ন নামে আমাদের সহযোদ্ধাদের নামে মিথ্যা মামলা করে আর আপনারা সেই মামলা তদন্ত না করে মামলারুজু করেন এই মামলা যদি প্রত্যাহার না করে তাহলে যুবদল নেতা রুবেল তালুকদারের পরিবারও মামলা করবে সেই মামলাও নিতে হবে অন্যথায় মঠবাড়িয়া উপজেলা যুবদল হিংস্র রূপ ধারন করবে তা সহ্য করার মত ক্ষমতা আপনাদের নেই।ভোরের আকাশ/এসএইচ