রিফাতুন্নবী রিফাত, গাইবান্ধা
প্রকাশ : ২৪ মার্চ ২০২৫ ০২:১২ পিএম
জমে উঠেছে গাইবান্ধার ঈদ বাজার
আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে গাইবান্ধায় জমে উঠেছে ঈদ কেনাকাটার বাজার। ক্রেতাদের ভিড়ে জমজমাট শপিংমলগুলোয় গভীর রাত পর্যন্ত চলছে কেনাকাটা। ঈদের কেনাকাটায় জেলা শহরের সব বিপণি বিতানের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। ক্রেতাদের আকর্ষণ করতে শপিংমলগুলো আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে।
দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে। পুরুষের তুলনায় মহিলা ক্রেতার সংখ্যা বেশি। গাইবান্ধার কয়েকটি উপজেলা নদী বেষ্টিত হওয়ায় চরাঞ্চল ও গ্রামাঞ্চলের ক্রেতারা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কেনাকাটা করছেন। আর সন্ধ্যার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত শহর ও শহরতলীর ক্রেতারা কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। প্রতি বছরের মতো এবারও ঈদ বাজারে এসেছে বিভিন্ন ধরনের আকর্ষণীয় পোশাক।
সোমবার জেলা শহরের সালিমার সুপার মার্কেট, ইসলাম প্লাজা, তরফদার ম্যানশন, খাঁন মার্কেট, পৌর সুপার মার্কেট, শাপলা মার্কেট, আব্বাস উদ্দিন টাওয়ার, কাজী টাওয়ারসহ ফুটপাতের দোকানগুলো ঘুরে দেখা গেছে, দেশীয় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের আধুনিক ডিজাইনের পোশাক ক্রেতাদের নজর কেড়েছে।
এবার ভারতীয় কাপড়কে পেছনে ফেলে বাজার দখল করেছে দেশীয় সুতি কাপড়। গরমের কারণে দেশি সুতি থ্রি-পিসগুলো সবার পছন্দ ও বিক্রির শীর্ষে রয়েছে। সমানতালে বিক্রি হচ্ছে ভারতীয় গাউন ও কাজ করা লং ফ্রক। এছাড়া শিশুদের হরেক রকম পোশাকও বিক্রি হচ্ছে বেশি। তবে শিশুদের পোশাকের দাম তুলনামূলক বেশি।
এছাড়া পাঞ্জাবি, শার্ট, গেঞ্জি, ফতুয়া, থ্রি-পিস, টু-পিস ও শিশুদের জন্য সব ধরনের কাপড় পাওয়া যাচ্ছে দোকানগুলোতে। ক্রেতাদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু। ছোট ছোট বাচ্চারা ঈদের আনন্দকে পরিপূর্ণ করতে সুন্দর পোশাকে নিজেকে উপস্থাপনের প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত।
সদর উপজেলার বল্লমঝাড় থেকে আসা রনি মিয়া বলেন, গত বছর যে শার্ট কিনেছিলাম ৪০০ টাকায়, সেই শার্ট এবার ৬০০ টাকা। আর যে প্যান্ট কিনেছিলাম ৬০০ টাকায়, তার দাম এখন ৮০০ টাকা। দেখা যাচ্ছে, সব কিছুতেই ২০০-৩০০ টাকা করে বেশি নিচ্ছে দোকানিরা।
সালিমার সুপার মার্কেটের পুম্পা ফ্যাশনের মালিক বাবু ভোরের আকাশকে বলেন, ১৫ রমজানের পর থেকে ঈদের কেনাকাটা জমতে শুরু করেছে। তবে, এবছর পোশাকের দাম তুলনামূলক একটু বেশি পড়ছে। তারপরও ক্রেতারা তাদের পছন্দ মতো কাপড় ক্রয় করছেন।
গাইবান্ধার পুলিশ সুপার নিশাত এঞ্জেলা ভোরের আকাশকে বলেন, ঈদের বাজার নির্বিঘ্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। মার্কেটগুলোর মোড়ে মোড়ে পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে। ২৪ ঘণ্টা পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। যেসব এলাকা বেশি স্পর্শকাতর, সেসব জায়গায় বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। শহরের বিভিন্ন এলাকায় সিসি ক্যামেরার আওতায় মনিটরিং করা হচ্ছে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ