ছবি প্রতীকী
মানিকগঞ্জ শহরে ট্রাকচাপায় সৈয়দ মো. আদনান (৬) নামের এক স্কুলশিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। শনিবার বেলা ১২টার দিকে শহরের খন্দকার ল' কলেজের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আদনান কুইন্স স্কুলের প্রি-ওয়ান শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পরীক্ষার পর রিকশায় বাসায় ফিরছিল সে। খন্দকার ল' কলেজের সামনে পৌঁছালে একটি ট্রাক রিকশাটিকে ধাক্কা দেয়। এতে রিকশায় থাকা আদনান ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হয়।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আদনানের বাড়ি ঘিওর উপজেলার বাঠইমুড়ী গ্রামে। তার বাবা রফিকুল ইসলাম ওরফে আরিফ, মায়ের নাম সীমা আক্তার। দুই ভাইবোনের মধ্যে আদনান ছিল ছোট।
ঘটনার পর ট্রাক চালক পালিয়ে যায়। তবে পুলিশ ট্রাকটি আটক করে।
মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আমান উল্লাহ বলেন, ঘাতক ট্রাকটি আটক করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
ভোরের আকাশ/আজাসা
সংশ্লিষ্ট
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও বরিশাল বিভাগীয় দলনেতা আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেছেন, ‘অন্য দলের সঙ্গে আমাদের তুলনা করে লাভ নেই। তাদের প্রার্থী খুঁজতে হয়, আর আমাদের প্রার্থী বাছাই করতে হয়। যোগ্যদের প্রার্থী হিসেবে বাছাই করে বিএনপি।’শনিবার (২৮ জুন) বেলা ১১টায় বরিশাল নগরীর সদর রোডস্থ অশ্বিনী কুমার হলে বিএনপির সদস্য ফরম বিতরণ ও সদস্য নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব এসব কথা বলেন তিনি।আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেন, ‘বিএনপি একটা বড় দল। এই দলে কোনো দ্বন্দ্ব নেই, আছে প্রতিযোগিতা। গণতান্ত্রিক দলে প্রতিযোগিতা বেশি থাকাটা স্বাভাবিক। আর দেশের জনগণের চাওয়াই বিএনপির চাওয়া। আর সেটা হলো জাতীয় নির্বাচন।’ এছাড়া বর্তমান যে পরিস্থিতি তাতে তারেক রহমান দ্রুতই দেশে ফিরবেন বলে জানান তিনি।অনুষ্ঠানে বরিশাল বিভাগের ৬ জেলায় বিএনপির সদস্য ফরম বিতরণ ও সদস্য নবায়ন কর্মসূচির আওতায় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।ভোরের আকাশ/আজাসা
মাদারীপুরের শিবচরে ব্যতিক্রম উদ্যোগ নিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাজী শাখাওয়াত হোসেন নান্নু মোল্লা। তিনি ব্যক্তি ফান্ড থেকে এতিমখানার মাদ্রাসায় চাউল সহায়তা করেন।শনিবার (২৮ জুন) উপজেলার পাঁচ্চরের বাহাদুরপুর থেকে তার নিকট আত্মীয়ের হস্তক্ষেপের মাধ্যমে উপজেলা পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের আম্বিয়া হাকীমিয়া দারুণ উলুম কওমী মাদ্রাসা ও এতিমখানায় পঁচিশ কেজি, ৫০ বস্তা চাউল এতিমদের হাতে তুলে দেন। মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দির, এতিমখানাসহ গরীব ও অসহায়দের পাশে দাঁড়ান শাখাওয়াত হোসেন নান্নু মোল্লা। তিনি তাঁর মা, বাবার রূহের মাগফেরাত কামনায় এই অনুদান করেছেন বলে জানা গেছে।তিনি বলেন, অসহায়দের সেবায় নিজেকে আত্মনিয়োগ করতে চাই। ভবিষ্যতে গরীব দুঃখীদের মাঝে সহায়তার হাত বাড়িয়ে পাশে দাঁড়াতে পারি।ভোরের আকাশ/জাআ
মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবের দ্বিবার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৮ জুন) বেলা তিনটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। মোট ৫৪ জন ভোটারের মধ্যে ৫৩ জন ভোট দিয়েছেন।নির্বাচনে সভাপতি, যুগ্ম সম্পাদক, দপ্তর সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষ পদে কেউ প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করায় চারজন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। সভাপতি হয়েছেন জাহাঙ্গীর আলম বিশ্বাস (ডেইলি স্টার), যুগ্ম সম্পাদক রিপন আনসারী (মানবজমিন), দপ্তর সম্পাদক আজিজুল হাকিম (মাইটিভি) এবং কোষাধ্যক্ষ শাহীন তারেক (দৈনিক ইনকিলাব)।সহ-সভাপতি পদে তিনজন প্রার্থীর মধ্যে শাহজাহান বিশ্বাস (দ্য নিউ এজ) ৪৭ ভোট ও আবুল বাশার আব্বাসী (দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড) ৩১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। ২৬ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন কাবুল উদ্দিন খান (বাংলাদেশ প্রতিদিন)।সাধারণ সম্পাদক পদে শাহানুর ইসলাম (দৈনিক নয়া দিগন্ত) ৪২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আকরাম হোসেন (দৈনিক আমার দেশ) ৬ ভোট ও মঞ্জুর রহমান (ইনডিপেনডেন্ট টিভি) ৫ ভোট পান।সহ-সম্পাদক পদে জাহিদুল হক চন্দন (রাইজিং বিডি) ৩০ ভোট পেয়ে জয়ী হন। প্রতিদ্বন্দ্বী আশরাফুল ইসলাম লিটন (ডিবিসি টেলিভিশন) পেয়েছেন ২৩ ভোট।ক্রীড়া সম্পাদক পদে আকমল হোসেন (সাপ্তাহিক অগ্নিবিন্দু) ৩১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুল আলীম (দেশ টিভি) পেয়েছেন ২২ ভোট।প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে খন্দকার সুজন হোসেন (বার্তা২৪ডটকম) পেয়েছেন ৩৬ ভোট এবং প্রতিদ্বন্দ্বী সোহেল হোসেন (ঢাকা পোস্ট) পেয়েছেন ১৭ ভোট।নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বে ছিলেন দৈনিক ভোরের কাগজের সুরুজ খান। নির্বাচন কমিশনার ছিলেন দৈনিক যুগান্তরের মতিউর রহমান ও দৈনিক সমকালের অতীন্দ্র চক্রবর্তী বিপ্লব।ভোরের আকাশ/আজাসা
আমতলী পৌরসভার বিভিন্ন ডোবা-নালা যেন মশার আতুরঘরে পরিণত হয়েছে। শহরজুড়ে শতাধিক ডোবা-নালায় পঁচা পানি ও ময়লার দুর্গন্ধে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। মশা-মাছির উৎপাতে নাগরিকদের ঘরে থাকা দায় হয়ে পড়েছে। পৌরবাসীর অভিযোগ, মশা নিধন বা নালা-ডোবা পরিষ্কারে পৌর কর্তৃপক্ষের নেই কোনো কার্যকর উদ্যোগ।জানা গেছে, ১৯৯৮ সালে গঠিত আমতলী পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পর দীর্ঘ ২৭ বছরেও শহরের অধিকাংশ ডোবা-নালা কখনোই সুষ্ঠুভাবে পরিস্কার করা হয়নি। ফলে পঁচা দুর্গন্ধ ও আবর্জনায় এখন পরিবেশ ভয়াবহভাবে দূষিত।শনিবার (২৮ জুন) বিকেলে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসের চারপাশের লেক, এমইউ বালিকা বিদ্যালয়ের সামনের লেক, সবুজবাগ, চাওড়া, খোন্তাকাটা, বকুলনেছা মহিলা কলেজ ও আমতলী সরকারি কলেজ সংলগ্ন ডোবা-নালাগুলোতে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ জমে আছে। এসব জায়গায় পঁচা পানি থেকে ছড়াচ্ছে তীব্র দুর্গন্ধ।স্থানীয় বাসিন্দা সিদ্দিক মিয়া বলেন, মশার তাণ্ডবে রাতে ঘুমাতে পারি না। পৌরসভাকে বলেও কোনো লাভ হয়নি।সবুজবাগের গোপাল মাঝি বলেন, ডোবার পানি পঁচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, মশা-মাছির উপদ্রবে বাচ্চাদের অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।অসিম মৃধা বলেন, আমরা বারবার অভিযোগ দিয়েও কোনো কার্যকর সাড়া পাইনি। ঘরে থাকা দুষ্কর হয়ে উঠেছে।খোন্তাকাটার ইউসুফ আলী বলেন, “মশার যন্ত্রণায় জীবন অতিষ্ঠ। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।এদিকে আমতলী পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মামুনুর রশিদ জানান, পরিত্যক্ত ডোবা-নালা দ্রুত পরিষ্কার করে মশা নিধনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রোকনুজ্জামান খান বলেন, ফগার মেশিন দিয়ে ধোঁয়া দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই ডোবা-নালা পরিস্কারে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হবে।”পৌরবাসীর দাবি—দ্রুত ও সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিয়ে এই জনস্বাস্থ্য সংকট সমাধানে মাঠে নামুক কর্তৃপক্ষ।ভোরের আকাশ/আজাসা