গাইবান্ধা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৯ মে ২০২৫ ০৪:২৯ পিএম
স্রোতে ভেসে যাওয়া সেই সেতুটি আজও মেরামত হয়নি
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে নির্মাণের নয় মাসের মাথায় বন্যার স্রোতে ভেসে যায় বেলকা বাজার খেয়াঘাটের তিস্তার শাখা নদীতে অপরিকল্পিত ভাবে কংক্রিটের খুঁটির ওপর নির্মিত কাঠের সেতুটি। দীর্ঘ সাত মাস অতিবাহিত হলে আজও সেতুটি মোরামত বা পুনঃনির্মাণ করা হয়নি।
জানা যায়, সেই সময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন চরবাসির কষ্ট দুর করার জন্য ভেসে যাওয়া সেতুটি মেরামত বা পুনঃনির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন। প্রতিশ্রুতি মোতাবেক সেতুটি নির্মাণের জন্য বর্তমান প্রশাসনের নিকট জোর দাবি তুলে ধরা হয়েছে জানান বেলকা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত সেতুটি নির্মাণের কোন উদ্যোগ বা প্রতিশ্রুতি প্রদান করেননি প্রশাসন। আগামী দুই মাসের মধ্যে সেতু নির্মাণ করা না হলে ফের দুই ইউনিয়নের ২০ হাজার বাসিন্দাকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হবে।
চরবাসির দাবির প্রেক্ষিতে ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের এডিবির অর্থ হতে কংক্রিটের খুঁটির উপর কাঁঠের সেতু নির্মাণের জন্য অনুমোদন দেয়া হয়। এ জন্য ২৮ লাখ ৯৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয় উপজেলা পরিষদ। শুরুতেই অনিয়মের অভিযোগ উঠে সেতুটি নির্মাণের। গত বছরের ৩০ জুন সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ দেখিয়ে ঠিকাদারের টাকা ছাড় করানো হয়। ঠিকাদার শাহানুর ইসলামের পক্ষে সেতুটি নির্মাণে সাব-ঠিকাদার হিসেবে কাজ করেন বামনডাঙ্গার সাগির খান। সেতুটির নকশা করেন উপজেলা প্রকৌশলী।
কথা হয় বেলকা বাজরের ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক মিয়ার সঙ্গে তিনি বলেন, মাত্র নয় মাসের মাথায় সরকারের ৩০ লাখ টাকা তিস্তার স্রোতে ভেসে গেল। এ বিষয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি।
বেলকা চরের শিক্ষার্থী ছানা মিয়া বলেন, সেতুটি নির্মাণ হওয়ায় চরের শিক্ষার্থীরা খুশী হয়েছিল। কিন্তু বিধিবাম, উদ্বোধন না হতেই সেই সেতুটি ভেসে গেল তিস্তার স্রোত এখন আবারও সেই নৌকায় হবে কি? চরবাসির একমাত্র ভরসা।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বেলকা খেয়াঘাটের তিস্তার শাখা নদীর ওপর পুনঃরায় কাঠের সেতু নির্মাণের কোন পরিকল্পনা এই মুহুর্তে আমাদের নেই।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নিবার্হী অফিসার (ইউএনও) রাজ কুমার বিশ্বাস বলেন, আমি কিছুদিন হলো এই উপজেলায় যোগদান করেছি। এ বিষয়টি আমার জানা নেই। তারপরও বিষয়টি খতিয়ে দেখে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ভোরের আকাশ/এসআই