× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

বজ্রপাতে প্রাণহানি এড়াতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে সরকারকে হাইকোর্টের রুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২০ মে ২০২৫ ০৪:৫৭ এএম

বজ্রপাতে প্রাণহানি এড়াতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে সরকারকে হাইকোর্টের রুল

বজ্রপাতে প্রাণহানি এড়াতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে সরকারকে হাইকোর্টের রুল

বজ্রপাতে প্রাণহানি এড়াতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে সরকারকে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

একই সঙ্গে বজ্রপাত বিষয়ে গৃহীত পদক্ষেপের মূল্যায়ন এবং অগ্রগতি পর্যবেক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় কারিগরি জ্ঞান সম্পন্ন একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ছয় মাসের মধ্যে একটি অগ্রগতি প্রতিবেদন ফলনামা আকারে দাখিল করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মানবাধিকার সংগঠন ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহামমদ কাউছারের করা এক রিট আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে এই আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও সিকদার মাহমুদ রাজির সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।  

রিট আবেদনের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব। তাকে সহযোগিতা করেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাওছার ও নাঈম সরদার। এ ব্যাপারে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশসচিব, পরিকল্পনাসচিব, স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।  

রিট আবেদনে বলা হয়, বজ্রপাতে গ্রামীণ জনগোষ্ঠী বিশেষত কৃষক ও জেলেরা সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হন। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, বজ্রপাতে ১৭৭ জনের মধ্যে ১২২ জনই কৃষক। সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ ও গাইবান্ধা দেশের সবচেয়ে বজ্রপাতপ্রবণ এলাকা। বজ্রপাতে নিহতের সংখ্যা এখন অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন সাইক্লোন, বন্যা ও ভূমিধসে নিহতের সংখ্যার চেয়ে বেশি। গ্রামীণ এলাকার বিস্তৃত জমি, খোলা মাঠ ও খেলার মাঠ এখন বজ্রপাতের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। যদিও সরকার বজ্রপাতকে ২০১৬ সাল থেকে একটি প্রাকৃতিক বিপর্যয় বলে ঘোষণা করেছে, তবু বজ্রপাতের ফলে হতাহতের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে এখন পর্যন্ত গৃহীত কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না।

আরও বলা হয়, বজ্রপাতে হতাহতের ঘটনা এড়াতে পাশের দেশ নেপাল ইতিমধ্যে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে। বাংলাদেশেও সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করলে বজ্রপাতের ফলে হতাহতের সংখ্যা কমিয়ে আনা সম্ভব। পদক্ষেপগুলোর মধ্যে প্রয়োজনীয় শিক্ষা ও সচেতনতা তৈরি, আগাম সতর্কতামূলক টেলিযোগাযোগব্যবস্থা তৈরি, হাওর-বাঁওড় এলাকায় প্রয়োজনীয়সংখ্যক বজ্রপাত আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন, তালগাছ রোপণ, মোবাইলে খুদে বার্তা প্রেরণ, বজ্রপাত নিরোধক যন্ত্রপাতি স্থাপন এবং বজ্রপাত থেকে বাঁচার বিভিন্ন কৌশল লিফলেট আকারে বজ্রপাতপ্রবণ এলাকায় বিতরণ করা উল্লেখযোগ্য। এ ছাড়া বজ্রপাত ও প্রতিরোধসংক্রান্ত যেসব যন্ত্রপাতি ক্রয় করতে হবে, সেসব সরঞ্জাম সহজলভ্য করার লক্ষ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ এর নির্দেশনা ও চাওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব বলেন, সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রত্যেক মানুষের জীবনের অধিকার একটি মৌলিক অধিকার। মানুষের জীবন রক্ষায় রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা সাংবিধানিক এবং আইনি দায়িত্ব। একই সাথে বজ্রপাতে নিহত এবং আহতদের প্রয়োজনীয় আর্থিক সুবিধা এবং ক্ষতিপূরণ দেয়াও রাষ্ট্রের দায়িত্ব।

স্বাভাবিক অর্থে বজ্রপাত প্রকৃতির একটি অমোঘ নিয়তি হিসেবে গণ্য করা হয়। তবে আধুনিক গবেষণা এবং প্রযুক্তির বিকাশের ফলে বজ্রপাত প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা ও আবিষ্কৃত হয়েছে। ফলে সতর্কমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে মানুষের প্রাণহানি এবং ক্ষতি অনেকাংশে কমানো সম্ভব। এই বিষয়ে রাষ্ট্রকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। গবেষণালব্ধ উপাত্ত থেকে দেখা যায়, বজ্রপাতে অধিকাংশ গরিব কৃষক ও জেলেরা আক্রান্ত হয় যেহেতু তারা বিস্তীর্ণ ভূমিতে এবং নদী অঞ্চলে বসবাস করেন এবং পেশায় কর্মরত থাকেন। ফলে রাষ্ট্রের ধণিক সমাজ তাদের কথা একেবারেই ভুলে থাকে। এটি রাষ্ট্রের বৈষম্যমূলক আচরণ।  

ইতিপূর্বে এই বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদেরকে কয়েকবার নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশের জবাব না পেয়ে ওই বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব।

ভোরের আকাশ/জাআ

  • শেয়ার করুন-
বিভাগীয় পর্যায়ে হাইকোর্টের স্থায়ী বেঞ্চ স্থাপনে ঐকমত্য হয়েছে : আলী রীয়াজ

বিভাগীয় পর্যায়ে হাইকোর্টের স্থায়ী বেঞ্চ স্থাপনে ঐকমত্য হয়েছে : আলী রীয়াজ

হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি শুরু

হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি শুরু

মুরাদনগরের সেই নারীর ভিডিও-ছবি সরানোর নির্দেশ

মুরাদনগরের সেই নারীর ভিডিও-ছবি সরানোর নির্দেশ

বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধি নিয়ে রিভিউ আবেদনের আদেশ স্থগিত

বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধি নিয়ে রিভিউ আবেদনের আদেশ স্থগিত

হাইকোর্টের পৃথক বেঞ্চে রোববার থেকে চলবে ওয়াক্ফ মামলার শুনানি

হাইকোর্টের পৃথক বেঞ্চে রোববার থেকে চলবে ওয়াক্ফ মামলার শুনানি

 পাকিস্তান-আফগান সীমান্তে ৩০ সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে পাকিস্তানি সেনারা

পাকিস্তান-আফগান সীমান্তে ৩০ সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে পাকিস্তানি সেনারা

 ট্রাম্প-পুতিন ফোনালাপের পর ইউক্রেনে রেকর্ড সংখ্যক ড্রোন হামলা

ট্রাম্প-পুতিন ফোনালাপের পর ইউক্রেনে রেকর্ড সংখ্যক ড্রোন হামলা

 দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর দৃঢ় প্রত্যয় তানজিদ হাসানের

দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর দৃঢ় প্রত্যয় তানজিদ হাসানের

 বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলে এসেছে একাধিক চমক

বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলে এসেছে একাধিক চমক

 তাহসানের সঙ্গে বিচ্ছেদ মানতে পারেননি মিথিলা

তাহসানের সঙ্গে বিচ্ছেদ মানতে পারেননি মিথিলা

 টেলর সুইফটকে ছাড়িয়ে বিশ্বসঙ্গীতে শীর্ষে অরিজিৎ সিং

টেলর সুইফটকে ছাড়িয়ে বিশ্বসঙ্গীতে শীর্ষে অরিজিৎ সিং

 কাঁচা পেঁপের রস: সুস্থ্য জীবনের জন্য প্রাকৃতিক উপকার

কাঁচা পেঁপের রস: সুস্থ্য জীবনের জন্য প্রাকৃতিক উপকার

 পৃথিবীর দিকে ছুটে আসছে সৌরজগতের বাইরের রহস্যময় ধূমকেতু, হুমকি নয় বলছে নাসা

পৃথিবীর দিকে ছুটে আসছে সৌরজগতের বাইরের রহস্যময় ধূমকেতু, হুমকি নয় বলছে নাসা

 ইডেন কলেজ সাংবাদিক সমিতির কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত

ইডেন কলেজ সাংবাদিক সমিতির কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত

 ঘুমের মধ্যে দম আটকে যাচ্ছে? হতে পারে স্লিপ অ্যাপনিয়া, কী করবেন জানুন

ঘুমের মধ্যে দম আটকে যাচ্ছে? হতে পারে স্লিপ অ্যাপনিয়া, কী করবেন জানুন

 ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ওবামা-বুশ একাট্টা

ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ওবামা-বুশ একাট্টা

 ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধের আহ্বান জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞের

ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধের আহ্বান জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞের

 সৌদি আরবে চার ওমরাহ প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স স্থগিত, বহু প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

সৌদি আরবে চার ওমরাহ প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স স্থগিত, বহু প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

 ইরানের দূতাবাসে নেতানিয়াহুর 'অপরাধের' নিন্দা জানালেন ইহুদি প্রতিনিধিরা

ইরানের দূতাবাসে নেতানিয়াহুর 'অপরাধের' নিন্দা জানালেন ইহুদি প্রতিনিধিরা

 “জুলাই ঘোষণাপত্র সংবিধানে যুক্ত করতেই হবে”—নাহিদ ইসলাম

“জুলাই ঘোষণাপত্র সংবিধানে যুক্ত করতেই হবে”—নাহিদ ইসলাম

 মালয়েশিয়ায় জঙ্গি সন্দেহে আটক তিনজন দেশে ফিরেছেন : আসিফ নজরুল

মালয়েশিয়ায় জঙ্গি সন্দেহে আটক তিনজন দেশে ফিরেছেন : আসিফ নজরুল

 “জুলাইয়ে শহীদ হতে না পারা আফসোস”—স্ট্যাটাসে আসিফ মাহমুদ

“জুলাইয়ে শহীদ হতে না পারা আফসোস”—স্ট্যাটাসে আসিফ মাহমুদ

 যুদ্ধবিরতির পর প্রথম আলোচনায় বসছে ইরান-যুক্তরাষ্ট্র

যুদ্ধবিরতির পর প্রথম আলোচনায় বসছে ইরান-যুক্তরাষ্ট্র

 সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজন সংস্কার, তা আদায় করেই ছাড়বে জামায়াত: শফিকুর রহমান

সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজন সংস্কার, তা আদায় করেই ছাড়বে জামায়াত: শফিকুর রহমান

সংশ্লিষ্ট

ইতালির নাগরিক তাবেলা হত্যা : ৩ জনের যাবজ্জীবন, ৪ জন খালাস

ইতালির নাগরিক তাবেলা হত্যা : ৩ জনের যাবজ্জীবন, ৪ জন খালাস

ছয় মরদেহ পোড়ানোর মামলা: ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল

ছয় মরদেহ পোড়ানোর মামলা: ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল

শেখ হাসিনার ৬ মাসের কারাদণ্ড

শেখ হাসিনার ৬ মাসের কারাদণ্ড

হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি শুরু

হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি শুরু