টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৬ জুন ২০২৫ ০৯:৪২ পিএম
ঈদযাত্রায় উত্তরের পথ এখন স্বাভাবিক
ঈদযাত্রায় উত্তরের পথ স্বাভাবিক। ঈদযাত্রায় ঘরমুখো মানুষের শেষদিনেও চরম ভোগান্তি নিয়ে বাড়ি ফিরছিল উত্তরবঙ্গের মানুষ। ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে দিন ভর ৩৫ থেকে ৪০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়েছিল। শত কষ্ট অপেক্ষা করেও বাসের ছাদে ও খোলা ট্রাক-পিকআপে করে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছিল মানুষ। এতে ভোগান্তিতে পড়েছিল শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সী যাত্রীরা।
ঢাকা-টাঙ্গাইল যমুনা সেতু মহাসড়কের সেতু থেকে সাকুল্য পযন্ত প্রায় ৪০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়ে। অতিরিক্ত গাড়ির চাপ, সেতুর উপর গাড়ি বিকলসহ বিভিন্ন কারণে বুধবার (৪ জুন) ভোর ৪ টা থেকে শুরু হওয়া সেই যানজট শুক্রবার রাত সাড়ে ৭টা পর্যন্ত অব্যহত থাকে।
ঢাকা-টাঙ্গাইল যমুনা সেতু মহাসড়কের এলেঙ্গা বাস স্টেশন, রাবনা বাইপাস, আশেকপুর বাইপাস ঘুরে দেখা যায়, মহাসড়কে মানুষের ঢল। যাত্রীবাহী বাস ছাড়াও ট্রাক, পিকআপ, বিভিন্ন সড়কের লোকাল বাস, লেগুনায় যাত্রী পরিবহন করা ছিল। মহাসড়কে বাসের চেয়ে ট্রাক ও পিকআপ বেশি দেখা যাচ্ছিল। এ ছাড়া বাড়তি ভাড়া দিতে হয়েছিল যাত্রীদের। গণপরিবহন সংকট ও অতিরিক্ত ভাড়ার কারণে অনেকেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খোলা ট্রাক-পিকআপ ও বাসের ছাদে গন্তব্যে পৌঁছায়।
পুলিশ, চালক ও যাত্রীরা জানান, মহাসড়কে ফিটনেস বিহীন যানবাহন বিকল ও দুর্ঘটনার ফলে এই ভোগান্তি। অন্যদিকে যমুনা সেতুর ধারণক্ষমতা কম থাকায় স্বাভাবিক ভাবে গাড়ি পারাপার করতে পারছিলনা।
টাঙ্গাইলের (অতিরিক্ত) পুলিশ সুপার রাকিবুল হাসান রাসেল জানান, যানজট নিরসনে জেলা পুলিশ নিরসলভাবে কাজ করে যাত্রীদের যানজট মুক্ত করে ঘরমুখো মানুষদের নিজ নিজ গন্তব্যে পৌঁছাতে দিতে পুলিশ সার্বিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ