সংগৃহীত ছবি
অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে ও সড়কে একাধিক গাড়ি দুর্ঘটনা ও বিকল হওয়ায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ২৩ কিলোমিটার এলাকায় থেমে থেমে যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) মধ্যরাতে সেতু থেকে রাবনা বাইপাস পর্যন্ত ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ২৩ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হয়।
চালক ও যাত্রীরা জানান, ভোর রাত থেকে উত্তরবঙ্গগামী লেনের পাকুল্যা থেকে টাঙ্গাইলগামী সড়কে দেখা দেয় যানজটের। ঢাকা-টাঙ্গাইল যমুনা সেতু মহাসড়কে রাবনা বাইপাস থেকে সেতু পর্যন্ত ২৩ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। এতে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। ভোগান্তিতে পড়েছে শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সী যাত্রী সাধারণ।আটকা পড়ে পশুবাহী শতাধিক গাড়ি।
এলেঙ্গা হাইওয়ে থানার ওসি মোহাম্মদ শরীফ বলেন, এলেঙ্গা থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত যানজটের সৃষ্টি হয়।টোল প্লাজা থেকে এই যানজটের সৃষ্টি হয়। সেনাবাহিনী-পুলিশ যৌথভাবে যানজট নিরসনে কাজ করছে। এখন মহাসড়ক স্বাভাবিক হচ্ছে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
নতুন বাংলাদেশে কোন মোড়লীপনা কিংবা জমিদারী চলবে না বলে অভিমত ব্যক্ত করেছে সিলেট অনলাইন প্রেস ক্লাব। ফ্যাসিবাদ পতনের পর দেশে জমিদারী, মোড়লীপনা ও কর্তৃত্ববাদের অবসান ঘটেছে।গতকাল বিকেলে সিলেট অনলাইন প্রেস ক্লাবের কার্যকরী পরিষদের সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।সভায় বক্তারা বলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অভাবনীয় উন্নতির ফলে সাংবাদিকতার গতিপ্রকৃতি অনেকটাই বদলে গেছে। তারুণ্য নির্ভর আধুনিক সাংবাদিকতার জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। মানুষের কাছে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য প্লাটফর্ম হলো অনলাইন গণমাধ্যম। চব্বিশের ছাত্র জনতার অভ্যুত্থান ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকালে অনলাইন মিডিয়ার ভূমিকা ছিল সবচেয়ে বেশি।প্রেস ক্লাব নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশের তথাকথিত ট্রেডিশনাল মিডিয়াগুলো সেসময় ফ্যাসিবাদকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রেখেছিল। তারা ফ্যাসিস্ট গণবিরোধী সরকারের সুবিধাভোগী দালালে পরিণত হয়েছিল। তাই অপসাংবাদিকতা, মোড়লীপনা ও তৈলবাজী বন্ধে এখনই সোচ্চার হতে হবে।সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ বিভেদ কিংবা বৈষম্য নয়, সাংবাদিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সকলকে একযোগে কাজ করার আহবান জানান।সভায় বক্তারা আরো বলেন, ঔপনিবেশিক আমলের ধ্যান ধারণা আর সামন্তবাদী চিন্তা দিয়ে নতুন বাংলাদেশে কারো অগ্রযাত্রাকে দমিয়ে রাখা যাবে না। গোলামী যুগ এখন আর নাই। তরুণরা ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে চায়। সুতরাং সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মীদের সকল ধরনের প্রভাব ও রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে জনগণ ও রাষ্ট্রের কল্যাণে ভূমিকা রাখতে হবে।তারা আরো বলেন, ফ্যাসিবাদের পতনের পর সাংবাদিকতায় আবারো সিন্ডিকেট গড়ে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। পুরনো আমলের বন্দোবস্তকে ফিরিয়ে আনতে আধুনিক সাংবাদিকতাকে বিঘ্নিত করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। একটি অশুভ শক্তি ও কুচক্রী মহল সাংবাদিকতায় বিভাজনের নতুন পথ তৈরী করে শিক্ষিত তরুণদের বিভ্রান্ত ও নিরুৎসাহিত করার চেষ্টা করছে।সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ এ বিষয়ে সচেতন নাগরিক ও প্রশাসনকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অনলাইন প্রেস ক্লাব সভাপতি ও দৈনিক আলোকিত সিলেটের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক গোলজার আহমদ হেলাল। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক দিনকাল সিলেট প্রতিনিধি এম সাইফুর রহমান তালুকদার। প্রেস ক্লাবের ড. রাগীব আলী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন ক্লাবের সিনিয়র সহ সভাপতি ও ৭১ টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার আব্দুল মুহিত দিদার, সহ-সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা পোস্টের নিজস্ব প্রতিবেদক মাসুদ আহমদ রনি, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক সিলেট বাংলা নিউজ সম্পাদক মো. কামাল আহমদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক দৈনিক একাত্তরের কথার স্টাফ রিপোর্টার ও ঢাকা টাইমস এর সিলেট প্রতিনিধি লোকমান আহমদ।অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও টাইম বাংলা নিউজের সিলেট প্রতিনিধি শহীদুর রহমান জুয়েল, কাজিরবাজার পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার মো. আব্দুল হাছিব প্রমুখ।সভায় প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে নানা কর্মসূচী, উপকমিটি গঠন, শহীদ সাংবাদিক এটিএম তুরাব পদক চালু, জুলাই বিপ্লবে আহত সা়ংবাদিকদের সম্মাননা প্রদান, সাংবাদিক কল্যাণ তহবিলের পরিচালনা কমিটি গঠন, প্রবাসী সদস্যদের বিধিমালা নিরুপণ ও গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচী ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।ভোরের আকাশ/জাআ
টাঙ্গাইলের গোপালপুরে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর সাথে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা জানাতে যাওয়ার পথে ১০ থেকে ১৫ জন নেতাকর্মী সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলার শিকার হওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।রবিবার দুপুরে জেলার গোপালপুর উপজেলার খরুরিয়া ৯নং ওয়ার্ডে ঘন্টা ব্যাপী এই মানববন্ধন পালন করা হয়।মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, নগদা শিমলা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোঃ ইদ্রিস আলী, ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ জালাল সরকার, গোপালপুর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি মোঃ সারোয়ার হোসেন লিঙ্কন, ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাবিবুল্লাহ হাবু, ৯নং ওয়ার্ড যুবদলের সদস্য সচিব মোঃ হেলাল সরকার প্রমুখ।ভোরের আকাশ/আজাসা
নাটোরের লালপুরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বিলমাড়িয়া ইউনিয়ন শাখার আয়োজনে বাছাইকৃত কর্মী ও দায়িত্বশীলদের নিয়ে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।রোববার (১৫ই জুন) সকালে বিলমাড়িয়া ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর আলহাজ্ব আনেজ উদ্দীনের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি রাজন আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নাটোর জেলা আমীর অধ্যাপক ড. মীর নুরুল ইসলাম, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, লালপুর উপজেলা জামায়াতের আমীর ও নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনে জামায়াত মনোনীত এমপি প্রার্থী আলহাজ্ব মাওঃ আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মো: মহসিন আলম প্রমুখ এসময় বিলমাড়িয়া ইউনিয়নে বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে আগত জামায়াতের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।ভোরের আকাশ/আজাসা
সামান্য বৃষ্টিতেই কলাপাড়া ব্রীজ থেকে ফেরিঘাট পর্যন্ত সড়ক কর্দমাক্ত ও চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। বৃষ্টিতেই চরম বেহালদশা কলাপাড়া হাসপাতালের সামনের দুই শ’ মিটার সড়কের। ড্রেন না থাকায় সড়কের পানি জমে থাকে পাকা রাস্তায়। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টিপাত বেশী থাকায় সড়কের পানি জমে থাকে দিনের পর দিন। এতে যানবাহন চলাচলে মানুষের চরম দুর্ভোগ পড়তে হয়।পৌর শহরের প্রশে মুখের এই সড়কটির মাত্র দুই শ’ মিটারের বেহালদশা কোন ভাবেই লাঘব হচ্ছে না। এই সড়কে চলাচলকারী রোগীসহ প্রতিদিন হাসপাতালগামী আউডডোর ২৫০ ইনডোর ২০০ মানুষের ভোগান্তির যেন শেষ নেই। কাঁদা ও গর্তে ভরা এই রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন স্কুল-কলেজ মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থী, কর্মজীবী মানুষ চলাচল করেন। বৃষ্টি নামতেই পুরো রাস্তা জুড়ে কাদা ও পানি জমে যায়, ফলে পথচারীদের পায়ে হেঁটে চলাচল করাও কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে। সৃষ্ট খানা-খন্দে বৃষ্টির পানি জমে একাকার হয়ে গেছে। বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা না রাখায় ড্রেন বিহীন রাস্তা। এজন্য মূলত বৃষ্টির পানি সড়কে জমে থাকে।দীর্ঘদিন রাস্তাটি সংস্কার না হওয়াতে ইটের সলিং উঠে গেছে। সড়কের পাশ দিয়ে ড্রেন ব্যবস্থা না থাকাতে এই সড়কের পাশ দিয়ে যত পানি আটকে থাকা ময়লা পানি উপচে পড়ে জমে রয়েছে। এতে ওই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারীরা পড়ছেন ভোগান্তিতে। প্রধান রাস্তার পাশে ড্রেন না থাকায় পানি জমে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। ভোগান্তিতে পড়েন বাজারে আসা লোকজন। সরেজমিনে দেখা গেছে, পানি নিষ্কাশনের জন্য কোন ড্রেন নেই। ফলে পৌর শহরের প্রশে মুখের এই সড়কটির মাত্র দুই শ’ মিটারের পানি জলাবদ্ধতা হয়ে আছে। এই জলাবদ্ধতা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে ও রাস্তার উপরে জমা হয়ে প্রচুর দুর্গন্ধের সৃষ্টি হচ্ছে। বর্ষকালে পানি জমে জলাবদ্ধতা তিন থেকে চার মাস স্থায়ী হয়। সড়ক ও জনপথ বিভাগের এই সড়কটি কলাপাড়া পৌরসভা কর্তৃপক্ষ কয়েক বছর রক্ষণাবেক্ষণ করে আসছে। কিন্তু সংস্কারের মাস না যেতেই আবার খানাখন্দে একাকার হয়ে যায়। সাধারণ পথচারীদের দাবি পানি জমে সড়কটির এমন দশা হয়। পানি নিষ্কাশনের পথ না থাকায় সড়কটি কিছু দিনের মধ্যে খারাপ হয়ে যায়। অটোরিকশা চালক আশিকুল ইসলাম জানান, রাস্তায় পানি জমে থাকার কারণে অনেক সময় অটোরিকশার মোটরে পানি ঢুকে নষ্ট হয়ে যায়। এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করা বিপজ্জনক। রাস্তাা করা হয়েছে, কিন্তু পানি নামার ড্রেন করা হয়নি।মাইত্রো ড্রাইভার রাসেল বলেন, ‘ খানা-খন্দে রাস্তার কারনে সবচেয়ে বেশি সমস্যা রোগীদের ও আমাদের কষ্ট হয়। অটো চালক খালেক হোসেন বলেন, গর্তের কারণে মাঝায় ঝাকুনি লাগে এজন্য ব্যাথায় পায় যাত্রী এই পথে যাইতে চায় না। গাড়ির টিউব নষ্ট হয় ।’ কলাপাড়া পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রবিউল ইসলাম প্রতিবেদকে জানান, সড়কটি দ্রুত মেরামত করার ব্যবস্থা করা হবে।ভোরের আকাশ/আজাসা