সয়াবিন তেলের নতুন দাম নির্ধারণ
অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন বলেছেন, বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটারে ১৪ টাকা বাড়িয়ে ১৮৯ টাকা ও খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটারে ১২ টাকা বাড়িয়ে ১৬৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সচিবালয়ে ভোজ্যতেলের আমদানি ও সরবরাহসহ সার্বিক বিষয়ে আয়োজিত পর্যালোচনা সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটারে ১৪ টাকা বাড়িয়ে ১৮৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যদিকে খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটারে ১২ টাকা বাড়িয়ে ১৬৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া বাজারে পাঁচ লিটারের প্রতি বোতল সয়াবিন তেল ৯২২ টাকা ও প্রতি লিটার খোলা পাম তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬৯ টাকা। নতুন এ দাম আজ থেকেই কার্যকর হবে বলে জানান তিনি।
স্থানীয় বাজার থেকে ভোজ্যতেলের জোগান বাড়াতে এরইমধ্যে দুইটি তেল কোম্পানি তেল উৎপাদন শুরু করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, আরও ৬-৭টি তেল কোম্পানি তেল উৎপাদনের প্রক্রিয়ায় আসবে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
শীত মৌসুম শেষ হয়েছে আরও আগে। বাজারে আসতে শুরু করেছে বিভিন্ন ধরনের গ্রীষ্মের সবজি। তবে এসব সবজির দাম তুলনামূলক বেশি। একই সঙ্গে তেল, চাল, পেঁয়াজের দামও বাড়তি। তবে ঈদের পর কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে মুরগির দামে, কেজিপ্রতি ৬০ থেকে ৭০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার ও সোনালি জাতের মুরগি।শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর শেওড়াপাড়া, কাপ্তান বাজার, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, টাউন হল, কারওয়ান বাজার ঘুরে ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।গত মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ১৪ টাকা বাড়িয়ে ১৮৯ টাকা করা হয়েছে। পাম তেলের দাম বেড়েছে লিটারে ১২ টাকা।এদিকে, পহেলা বৈশাখ থেকে চড়েছে পেঁয়াজের বাজার। গত সপ্তাহে যেখানে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়, সেখানে আজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। সামনে দাম আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।সপ্তাহ ব্যবধানে প্রায় প্রতিটি সবজিতে দাম বেড়েছে ৫-১০ টাকা পর্যন্ত। বিক্রেতারা বলছেন, ঈদের পর এখনো পুরোপুরি সচল হয়নি সরবরাহ ব্যবস্থা। এতে শাক-সবজি কম আসায় দাম বাড়ছে। বিক্রেতাদের দাবি, বাজারে শাক-সবজি কম আসছে। এতে দাম বাড়ছে কিছুটা। রাজধানীর কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা আনিস বলেন, সরবরাহ কমায় দাম বেড়েছে সবজির। সপ্তাহ ব্যবধানে কোনো কোনো সবজিতে ৫-১০ টাকা পর্যন্তও বেড়েছে। সরবরাহ বাড়লে দাম কমে আসবে।বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ঝিঙা প্রতি কেজি মানভেদে ৮০ থেকে ৯০ টাকা, প্রতি পিস লাউ ৭০ থেকে ৮০ টাকা। বেগুন মানভেদে প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১২০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, পটোল ৬০ থেকে ৭০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা, শজনে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৮০ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা, বরবটি ৬০ থেকে ৮০ টাকা, গাজর ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১০০ থেকে ১২০ টাকা, ধনেপাতা ৩০-৪০ টাকা, পেঁপে ৫০ থেকে ৬০ টাকা ও দেশি শসা ৮০ টাকা। প্রতি পিস চালকুমড়া ৬০ টাকা। কাঁচা পেঁপে ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।ক্রেতারা বলছেন, রমজানে সবজির দাম কম থাকলেও, ঈদের পর থেকেই শাক-সবজির বাজার চড়া। দাম কমাতে বাজার মনিটরিং অব্যাহত রাখতে হবে। না হলে ফের অস্থির হয়ে উঠবে নিত্যপণ্যের বাজার।তবে, রমজানজুড়ে ভোগানো লেবুর ডজন নেমে এসেছে ৫০-৬০ টাকায়। বিক্রেতার বলছেন, রমজানে যেখানে লেবুর হালি বিক্রি হয়েছে ৮০-১০০ টাকায়, সেখানে এখন দাম কমে ডজনই বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়।ঈদের পর বাজারে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। ব্রয়লার মুরগি এখন বিক্রি হচ্ছে ১৬০–১৭০ টাকায়, যেখানে ঈদের আগে দাম ছিল ২২০–২৩০ টাকা। সোনালি মুরগির দাম নেমে এসেছে ২২০–২৬০ টাকায়, যা আগে ছিল ৩০০–৩৩০ টাকা।ভোরের আকাশ/এসএইচ
রাজস্ব আয় বাড়ানো ও ভর্তুকি ব্যয় কমাতে গিয়ে শিল্পগ্যাস ও সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর ফলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভাব পড়েছে দ্রব্যমূল্যেও ওপর। ফলে, ইতোমধ্যে পেঁয়াজ, ডিম ও সবজির দাম বাড়তে শুরু করেছে। কমার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না আগে থেকেই বাড়তে থাকা চাল ও ডালের দামে। এছাড়া সরকারের মুদ্রানীতি ও রাজস্বনীতিতে সমন্বয় না থাকায় মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা খুব সফল হচ্ছে না। গত মাসেও সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের বেশি ছিল। যে কারণে মূল্যস্ফীতির চাপ আরো জেঁকে বসার শঙ্কা অর্থনীতিবিদ-রাজনীতিবিদদের।এদিকে, প্রবৃদ্ধির পরিবর্তে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণকে প্রাধান্য দিয়ে বর্তমানে কঠোর মুদ্রানীতি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে বাজারে টাকার সরবরাহ কমে গেছে। সর্বনিম্ন অবস্থানে গেছে বেসরকরি খাতে বিনিয়োগ প্রবৃদ্ধি। সংকুচিত হয়েছে কর্মসংস্থান। বৃহত্তর স্বার্থে এই পরিস্থিতি মেনে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হলেও উল্টো পথে হাঁটছে সরকার।ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) গতকালের হিসাবে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে ঢাকার বাজারে দেশি পেঁয়াজ, মোটা চাল, খোলা আটা, সয়াবিন তেল, পাম তেল, ডিমের দাম বেড়েছে। দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা। সবজির দাম বেড়েছে গড়ে ২০ টাকার মতো। প্রতি ডজন ডিমের দাম বেড়েছে ১০ টাকা।এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার প্রতি লিটার তেলের দাম ১৪ টাকা বাড়িয়েছে সরকার। এতে সরকারের মাসে রাজস্ব আয় বাড়বে সাড়ে ৫শ কোটি টাকা। শিল্পে নতুন সংযোগের ক্ষেত্রে গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে বাড়ানো হয়েছে ৩৩ শতাংশ। পাশাপাশি পুরনো ব্যবহারকারীরা প্রতিশ্রুতির অতিরিক্ত গ্যাস ব্যবহার করলে একই হারে বাড়তি দাম দিতে হবে।এতে সরকারের কী পরিমাণ ভর্তুকি কমে আসবে সেটি অবশ্য নির্দিষ্ট করে বলতে পারেনি বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কর্পোরেশন। তবে, এর প্রভাবে কারখানাগুলোর উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাবে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। কারণ, অনেক কারখানাই ঘোষিত লোডের অতিরিক্ত গ্যস ব্যবহার করে বাড়তি উৎপাদনের চাহিদা মেটাতে।পেট্রোবাংলার হিসাবে, ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের অক্টোবর পর্যন্ত শিল্পে অনুমোদিত লোডের চেয়ে ১৪ কোটি ৭৮ লাখ ঘনমিটার গ্যাস বাড়তি ব্যবহার করা হয়েছে। আর কারখানার নিজস্ব বিদ্যুৎকেন্দ্র (ক্যাপটিভ) ৫ কোটি ৭৬ লাখ ঘনমিটার গ্যাস বাড়তি ব্যবহার করা হয়েছে। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী এই পরিমাণ গ্যাসের দাম বাড়তি হারে দিতে হবে শিল্প মালিকদের।এর আগে গত ৯ ডিসেম্বর সর্বশেষ বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানো হয়েছিল। তখন বেড়েছিল লিটারে ৮ টাকা। এরপরও ব্যবসায়ীরা আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধির কথা জানিয়ে দাম বাড়ানোর চিঠি দিয়েছিলেন। তবে সরকার শুল্ক-করে ছাড় দিয়ে মূল্য বৃদ্ধি ঠেকিয়ে রাখে। গত ১৭ অক্টোবর ভোজ্যতেল আমদানি, উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে মূল্য সংযোজন করের হার (মূসক/ভ্যাট) ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করে সরকার। নভেম্বরে আরও কমিয়ে ভ্যাট ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়।তেলকল মালিক সমিতি বলছে, ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ গত ৩১ মার্চ শেষ হয়েছে। ফলে সয়াবিন তেলের এক লিটারের বোতলের দাম হওয়ার কথা ১৯৮ টাকা। তবে ভোক্তার স্বার্থ বিবেচনায় নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮৯ টাকা।গত মঙ্গলবার সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানো নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশিরউদ্দীন।বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এত দিন সরকার প্রতি মাসে প্রায় ৫৫০ কোটি টাকা রাজস্ব ছাড় দিয়েছে। রমজান পর্যন্ত গত কয়েক মাসে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ছাড় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সরকার পরিচালনার ব্যয়ের কথা বিবেচনা করে এভাবে রাজস্ব ছাড় দেওয়ার ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা আছে।মূল্যবৃদ্ধির প্রসঙ্গে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ভোক্তাপর্যায়ে আজ যে মূল্যবৃদ্ধি করতে বাধ্য হলাম, আমি মনে করছি, এই বাধ্যবাধকতা সাময়িক। অদূর ভবিষ্যতে এই দাম কমানো সম্ভব হবে।তিনি বলেন, ভ্যাট অব্যাহতি আরেকটু দীর্ঘায়িত করা যেত কি না, সরকার সেই চেষ্টা করেছে। কিন্তু শেষমেশ দেখা গেল, এ মুহূর্তে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া সরকারের জন্য খুবই সংবেদনশীল বিষয়।এদিকে বাজারে অন্যান্য নিত্যপণ্যের দামও বাড়ছে। পবিত্র রমজান মাসে পেঁয়াজের দাম কম ছিল। ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি পেঁয়াজ কেনা গেছে। তবে গত চার দিন ধরে দাম বাড়ছে। গতকাল প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। জানা গেছে, চার দিন আগে পেঁয়াজের দাম হঠাৎ বাড়তে শুরু করেছে।সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশও (টিসিবি) জানিয়েছে, দেশি পেঁয়াজের দর কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকায়।ব্যবসায়ীরা জানান, চলতি বছর পেঁয়াজের ফলন ভালো হয়েছে। এ কারণে মৌসুমের শুরু থেকেই দাম গত বছরের তুলনায় কম ছিল। তবে এখন দাম বেড়ে গেছে।মগবাজারের কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, ফার্মের মুরগির বাদামি এক ডজন ডিম বড় বাজারে ১২০-১২৫ টাকা এবং মহল্লার মুদি দোকানে ১৩০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। বিক্রেতাদের দাবি, এক সপ্তাহে ডজনে ১০ টাকার মতো বেড়েছে। পবিত্র ঈদুল ফিতরের পর চাহিদা কমায় বাজারে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম কমেছে।বুধবার প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৬০-১৭০ টাকা এবং সোনালি মুরগি বিক্রি হয়েছে ২২০-২৬০ টাকায়। চালের দাম অনেক দিন ধরেই চড়া। নতুন করে দাম বাড়েনি বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।তবে টিসিবি জানাচ্ছে, খোলা আটার সর্বনিম্ন দাম কেজিতে ২ টাকা বেড়েছে। ডালের দাম আগের মতোই বেশি। নতুন করে হেরফের হয়নি। চিনির দামও আগের মতো রয়েছে, কেজি ১২০ টাকার আশপাশে। এদিকে বেড়েছে সবজির দাম।ব্যবসায়ীরা বলছেন, শীতের সবজির সরবরাহ শেষ। এখন গ্রীষ্মের সবজির চাহিদা বেশি। নতুন সবজি আসছে, দাম চড়া। কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ১৪টি সবজির দামের হিসাব দেয়।গত বুধবারের হিসাবে দেখা যায়, এক মাসের ব্যবধানে সবজির দাম বেড়েছে ১৪ থেকে ৫৬ শতাংশ পর্যন্ত।ভোরের আকাশ/এসএইচ
দেশের বাজারে সোনার দাম আবার বেড়েছে। ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম ৩ হাজার ৩৩ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৬৫ হাজার ২০৯ টাকা। যা দেশের ইতিহাসে রেকর্ড।বুধবার (১৬ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। যা আজ বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) থেকেই কার্যকর হবে।এতে বলা হয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) দাম বেড়ে যাওয়ায় দাম সমন্বয় করা হয়েছে। নতুন দাম আগামীকাল বৃহস্পতিবার বার থেকে কার্যকর হবে। সর্বশেষ ১৩ এপ্রিল রাতে সোনার দাম ভরিপ্রতি সর্বোচ্চ ১ হাজার ৩৮ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ৬২ হাজার ১৭৬ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। এ দামেই বুধবার রাত পর্যন্ত সোনা বিক্রি হয়েছে।নতুন দাম অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) থেকে সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম দাঁড়াবে ১ লাখ ৬৫ হাজার ২০৯ টাকা। ২১ ক্যারেট এক লাখ ৫৭ হাজার ৬৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক লাখ ৩৫ হাজার ১৭৪ টাকা। এ ছাড়া সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম বেড়ে দাঁড়াবে এক লাখ ১১ হাজার ৬৫৯ টাকা।দেশের বাজারে সোনার দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। বাজুসের তথ্য অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৫৭৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতিভরি রুপার দাম ১ হাজার ৫৮৬ টাকা নির্ধারণ করা আছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন বলেছেন, বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটারে ১৪ টাকা বাড়িয়ে ১৮৯ টাকা ও খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটারে ১২ টাকা বাড়িয়ে ১৬৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সচিবালয়ে ভোজ্যতেলের আমদানি ও সরবরাহসহ সার্বিক বিষয়ে আয়োজিত পর্যালোচনা সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটারে ১৪ টাকা বাড়িয়ে ১৮৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যদিকে খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটারে ১২ টাকা বাড়িয়ে ১৬৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া বাজারে পাঁচ লিটারের প্রতি বোতল সয়াবিন তেল ৯২২ টাকা ও প্রতি লিটার খোলা পাম তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬৯ টাকা। নতুন এ দাম আজ থেকেই কার্যকর হবে বলে জানান তিনি।স্থানীয় বাজার থেকে ভোজ্যতেলের জোগান বাড়াতে এরইমধ্যে দুইটি তেল কোম্পানি তেল উৎপাদন শুরু করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, আরও ৬-৭টি তেল কোম্পানি তেল উৎপাদনের প্রক্রিয়ায় আসবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
সয়াবিন তেলের নতুন দাম নির্ধারণ
অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন বলেছেন, বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটারে ১৪ টাকা বাড়িয়ে ১৮৯ টাকা ও খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটারে ১২ টাকা বাড়িয়ে ১৬৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সচিবালয়ে ভোজ্যতেলের আমদানি ও সরবরাহসহ সার্বিক বিষয়ে আয়োজিত পর্যালোচনা সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটারে ১৪ টাকা বাড়িয়ে ১৮৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যদিকে খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটারে ১২ টাকা বাড়িয়ে ১৬৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া বাজারে পাঁচ লিটারের প্রতি বোতল সয়াবিন তেল ৯২২ টাকা ও প্রতি লিটার খোলা পাম তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬৯ টাকা। নতুন এ দাম আজ থেকেই কার্যকর হবে বলে জানান তিনি।
স্থানীয় বাজার থেকে ভোজ্যতেলের জোগান বাড়াতে এরইমধ্যে দুইটি তেল কোম্পানি তেল উৎপাদন শুরু করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, আরও ৬-৭টি তেল কোম্পানি তেল উৎপাদনের প্রক্রিয়ায় আসবে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
শীত মৌসুম শেষ হয়েছে আরও আগে। বাজারে আসতে শুরু করেছে বিভিন্ন ধরনের গ্রীষ্মের সবজি। তবে এসব সবজির দাম তুলনামূলক বেশি। একই সঙ্গে তেল, চাল, পেঁয়াজের দামও বাড়তি। তবে ঈদের পর কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে মুরগির দামে, কেজিপ্রতি ৬০ থেকে ৭০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার ও সোনালি জাতের মুরগি।শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর শেওড়াপাড়া, কাপ্তান বাজার, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, টাউন হল, কারওয়ান বাজার ঘুরে ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।গত মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ১৪ টাকা বাড়িয়ে ১৮৯ টাকা করা হয়েছে। পাম তেলের দাম বেড়েছে লিটারে ১২ টাকা।এদিকে, পহেলা বৈশাখ থেকে চড়েছে পেঁয়াজের বাজার। গত সপ্তাহে যেখানে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়, সেখানে আজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। সামনে দাম আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।সপ্তাহ ব্যবধানে প্রায় প্রতিটি সবজিতে দাম বেড়েছে ৫-১০ টাকা পর্যন্ত। বিক্রেতারা বলছেন, ঈদের পর এখনো পুরোপুরি সচল হয়নি সরবরাহ ব্যবস্থা। এতে শাক-সবজি কম আসায় দাম বাড়ছে। বিক্রেতাদের দাবি, বাজারে শাক-সবজি কম আসছে। এতে দাম বাড়ছে কিছুটা। রাজধানীর কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা আনিস বলেন, সরবরাহ কমায় দাম বেড়েছে সবজির। সপ্তাহ ব্যবধানে কোনো কোনো সবজিতে ৫-১০ টাকা পর্যন্তও বেড়েছে। সরবরাহ বাড়লে দাম কমে আসবে।বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ঝিঙা প্রতি কেজি মানভেদে ৮০ থেকে ৯০ টাকা, প্রতি পিস লাউ ৭০ থেকে ৮০ টাকা। বেগুন মানভেদে প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১২০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, পটোল ৬০ থেকে ৭০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা, শজনে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৮০ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা, বরবটি ৬০ থেকে ৮০ টাকা, গাজর ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১০০ থেকে ১২০ টাকা, ধনেপাতা ৩০-৪০ টাকা, পেঁপে ৫০ থেকে ৬০ টাকা ও দেশি শসা ৮০ টাকা। প্রতি পিস চালকুমড়া ৬০ টাকা। কাঁচা পেঁপে ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।ক্রেতারা বলছেন, রমজানে সবজির দাম কম থাকলেও, ঈদের পর থেকেই শাক-সবজির বাজার চড়া। দাম কমাতে বাজার মনিটরিং অব্যাহত রাখতে হবে। না হলে ফের অস্থির হয়ে উঠবে নিত্যপণ্যের বাজার।তবে, রমজানজুড়ে ভোগানো লেবুর ডজন নেমে এসেছে ৫০-৬০ টাকায়। বিক্রেতার বলছেন, রমজানে যেখানে লেবুর হালি বিক্রি হয়েছে ৮০-১০০ টাকায়, সেখানে এখন দাম কমে ডজনই বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়।ঈদের পর বাজারে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। ব্রয়লার মুরগি এখন বিক্রি হচ্ছে ১৬০–১৭০ টাকায়, যেখানে ঈদের আগে দাম ছিল ২২০–২৩০ টাকা। সোনালি মুরগির দাম নেমে এসেছে ২২০–২৬০ টাকায়, যা আগে ছিল ৩০০–৩৩০ টাকা।ভোরের আকাশ/এসএইচ
রাজস্ব আয় বাড়ানো ও ভর্তুকি ব্যয় কমাতে গিয়ে শিল্পগ্যাস ও সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর ফলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভাব পড়েছে দ্রব্যমূল্যেও ওপর। ফলে, ইতোমধ্যে পেঁয়াজ, ডিম ও সবজির দাম বাড়তে শুরু করেছে। কমার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না আগে থেকেই বাড়তে থাকা চাল ও ডালের দামে। এছাড়া সরকারের মুদ্রানীতি ও রাজস্বনীতিতে সমন্বয় না থাকায় মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা খুব সফল হচ্ছে না। গত মাসেও সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের বেশি ছিল। যে কারণে মূল্যস্ফীতির চাপ আরো জেঁকে বসার শঙ্কা অর্থনীতিবিদ-রাজনীতিবিদদের।এদিকে, প্রবৃদ্ধির পরিবর্তে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণকে প্রাধান্য দিয়ে বর্তমানে কঠোর মুদ্রানীতি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে বাজারে টাকার সরবরাহ কমে গেছে। সর্বনিম্ন অবস্থানে গেছে বেসরকরি খাতে বিনিয়োগ প্রবৃদ্ধি। সংকুচিত হয়েছে কর্মসংস্থান। বৃহত্তর স্বার্থে এই পরিস্থিতি মেনে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হলেও উল্টো পথে হাঁটছে সরকার।ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) গতকালের হিসাবে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে ঢাকার বাজারে দেশি পেঁয়াজ, মোটা চাল, খোলা আটা, সয়াবিন তেল, পাম তেল, ডিমের দাম বেড়েছে। দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা। সবজির দাম বেড়েছে গড়ে ২০ টাকার মতো। প্রতি ডজন ডিমের দাম বেড়েছে ১০ টাকা।এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার প্রতি লিটার তেলের দাম ১৪ টাকা বাড়িয়েছে সরকার। এতে সরকারের মাসে রাজস্ব আয় বাড়বে সাড়ে ৫শ কোটি টাকা। শিল্পে নতুন সংযোগের ক্ষেত্রে গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে বাড়ানো হয়েছে ৩৩ শতাংশ। পাশাপাশি পুরনো ব্যবহারকারীরা প্রতিশ্রুতির অতিরিক্ত গ্যাস ব্যবহার করলে একই হারে বাড়তি দাম দিতে হবে।এতে সরকারের কী পরিমাণ ভর্তুকি কমে আসবে সেটি অবশ্য নির্দিষ্ট করে বলতে পারেনি বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কর্পোরেশন। তবে, এর প্রভাবে কারখানাগুলোর উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাবে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। কারণ, অনেক কারখানাই ঘোষিত লোডের অতিরিক্ত গ্যস ব্যবহার করে বাড়তি উৎপাদনের চাহিদা মেটাতে।পেট্রোবাংলার হিসাবে, ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের অক্টোবর পর্যন্ত শিল্পে অনুমোদিত লোডের চেয়ে ১৪ কোটি ৭৮ লাখ ঘনমিটার গ্যাস বাড়তি ব্যবহার করা হয়েছে। আর কারখানার নিজস্ব বিদ্যুৎকেন্দ্র (ক্যাপটিভ) ৫ কোটি ৭৬ লাখ ঘনমিটার গ্যাস বাড়তি ব্যবহার করা হয়েছে। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী এই পরিমাণ গ্যাসের দাম বাড়তি হারে দিতে হবে শিল্প মালিকদের।এর আগে গত ৯ ডিসেম্বর সর্বশেষ বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানো হয়েছিল। তখন বেড়েছিল লিটারে ৮ টাকা। এরপরও ব্যবসায়ীরা আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধির কথা জানিয়ে দাম বাড়ানোর চিঠি দিয়েছিলেন। তবে সরকার শুল্ক-করে ছাড় দিয়ে মূল্য বৃদ্ধি ঠেকিয়ে রাখে। গত ১৭ অক্টোবর ভোজ্যতেল আমদানি, উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে মূল্য সংযোজন করের হার (মূসক/ভ্যাট) ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করে সরকার। নভেম্বরে আরও কমিয়ে ভ্যাট ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়।তেলকল মালিক সমিতি বলছে, ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ গত ৩১ মার্চ শেষ হয়েছে। ফলে সয়াবিন তেলের এক লিটারের বোতলের দাম হওয়ার কথা ১৯৮ টাকা। তবে ভোক্তার স্বার্থ বিবেচনায় নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮৯ টাকা।গত মঙ্গলবার সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানো নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশিরউদ্দীন।বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এত দিন সরকার প্রতি মাসে প্রায় ৫৫০ কোটি টাকা রাজস্ব ছাড় দিয়েছে। রমজান পর্যন্ত গত কয়েক মাসে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ছাড় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সরকার পরিচালনার ব্যয়ের কথা বিবেচনা করে এভাবে রাজস্ব ছাড় দেওয়ার ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা আছে।মূল্যবৃদ্ধির প্রসঙ্গে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ভোক্তাপর্যায়ে আজ যে মূল্যবৃদ্ধি করতে বাধ্য হলাম, আমি মনে করছি, এই বাধ্যবাধকতা সাময়িক। অদূর ভবিষ্যতে এই দাম কমানো সম্ভব হবে।তিনি বলেন, ভ্যাট অব্যাহতি আরেকটু দীর্ঘায়িত করা যেত কি না, সরকার সেই চেষ্টা করেছে। কিন্তু শেষমেশ দেখা গেল, এ মুহূর্তে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া সরকারের জন্য খুবই সংবেদনশীল বিষয়।এদিকে বাজারে অন্যান্য নিত্যপণ্যের দামও বাড়ছে। পবিত্র রমজান মাসে পেঁয়াজের দাম কম ছিল। ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি পেঁয়াজ কেনা গেছে। তবে গত চার দিন ধরে দাম বাড়ছে। গতকাল প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। জানা গেছে, চার দিন আগে পেঁয়াজের দাম হঠাৎ বাড়তে শুরু করেছে।সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশও (টিসিবি) জানিয়েছে, দেশি পেঁয়াজের দর কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকায়।ব্যবসায়ীরা জানান, চলতি বছর পেঁয়াজের ফলন ভালো হয়েছে। এ কারণে মৌসুমের শুরু থেকেই দাম গত বছরের তুলনায় কম ছিল। তবে এখন দাম বেড়ে গেছে।মগবাজারের কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, ফার্মের মুরগির বাদামি এক ডজন ডিম বড় বাজারে ১২০-১২৫ টাকা এবং মহল্লার মুদি দোকানে ১৩০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। বিক্রেতাদের দাবি, এক সপ্তাহে ডজনে ১০ টাকার মতো বেড়েছে। পবিত্র ঈদুল ফিতরের পর চাহিদা কমায় বাজারে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম কমেছে।বুধবার প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৬০-১৭০ টাকা এবং সোনালি মুরগি বিক্রি হয়েছে ২২০-২৬০ টাকায়। চালের দাম অনেক দিন ধরেই চড়া। নতুন করে দাম বাড়েনি বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।তবে টিসিবি জানাচ্ছে, খোলা আটার সর্বনিম্ন দাম কেজিতে ২ টাকা বেড়েছে। ডালের দাম আগের মতোই বেশি। নতুন করে হেরফের হয়নি। চিনির দামও আগের মতো রয়েছে, কেজি ১২০ টাকার আশপাশে। এদিকে বেড়েছে সবজির দাম।ব্যবসায়ীরা বলছেন, শীতের সবজির সরবরাহ শেষ। এখন গ্রীষ্মের সবজির চাহিদা বেশি। নতুন সবজি আসছে, দাম চড়া। কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ১৪টি সবজির দামের হিসাব দেয়।গত বুধবারের হিসাবে দেখা যায়, এক মাসের ব্যবধানে সবজির দাম বেড়েছে ১৪ থেকে ৫৬ শতাংশ পর্যন্ত।ভোরের আকাশ/এসএইচ
দেশের বাজারে সোনার দাম আবার বেড়েছে। ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম ৩ হাজার ৩৩ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৬৫ হাজার ২০৯ টাকা। যা দেশের ইতিহাসে রেকর্ড।বুধবার (১৬ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। যা আজ বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) থেকেই কার্যকর হবে।এতে বলা হয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) দাম বেড়ে যাওয়ায় দাম সমন্বয় করা হয়েছে। নতুন দাম আগামীকাল বৃহস্পতিবার বার থেকে কার্যকর হবে। সর্বশেষ ১৩ এপ্রিল রাতে সোনার দাম ভরিপ্রতি সর্বোচ্চ ১ হাজার ৩৮ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ৬২ হাজার ১৭৬ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। এ দামেই বুধবার রাত পর্যন্ত সোনা বিক্রি হয়েছে।নতুন দাম অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) থেকে সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম দাঁড়াবে ১ লাখ ৬৫ হাজার ২০৯ টাকা। ২১ ক্যারেট এক লাখ ৫৭ হাজার ৬৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক লাখ ৩৫ হাজার ১৭৪ টাকা। এ ছাড়া সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম বেড়ে দাঁড়াবে এক লাখ ১১ হাজার ৬৫৯ টাকা।দেশের বাজারে সোনার দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। বাজুসের তথ্য অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৫৭৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতিভরি রুপার দাম ১ হাজার ৫৮৬ টাকা নির্ধারণ করা আছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন বলেছেন, বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটারে ১৪ টাকা বাড়িয়ে ১৮৯ টাকা ও খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটারে ১২ টাকা বাড়িয়ে ১৬৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সচিবালয়ে ভোজ্যতেলের আমদানি ও সরবরাহসহ সার্বিক বিষয়ে আয়োজিত পর্যালোচনা সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটারে ১৪ টাকা বাড়িয়ে ১৮৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যদিকে খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটারে ১২ টাকা বাড়িয়ে ১৬৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া বাজারে পাঁচ লিটারের প্রতি বোতল সয়াবিন তেল ৯২২ টাকা ও প্রতি লিটার খোলা পাম তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬৯ টাকা। নতুন এ দাম আজ থেকেই কার্যকর হবে বলে জানান তিনি।স্থানীয় বাজার থেকে ভোজ্যতেলের জোগান বাড়াতে এরইমধ্যে দুইটি তেল কোম্পানি তেল উৎপাদন শুরু করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, আরও ৬-৭টি তেল কোম্পানি তেল উৎপাদনের প্রক্রিয়ায় আসবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
মন্তব্য করুন