ছবি: সংগৃহীত
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের অর্থ বরাদ্দের ক্ষেত্রে কোনও কার্পণ্য করা হবে না বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, চলতি অর্থবছরেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাবনা থাকায় সরকার আগেই নির্বাচনী বাজেট ঠিক করেছে। নির্বাচনী বাজেট বরাদ্দের ক্ষেত্রে কার্পণ্য করা হবে না।
তিনি বলেন, বৈঠকে চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। ডিএপি, ইউরিয়া সার কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এলএনজির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এলএনজি এলে আমরা হয়তো সারের সরবরাহ বাড়াতে পারবো। রংপুরে ৩০টি স্কুল রিনভেন্ট করার বিষয়ে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনের ফলে চট্টগ্রাম বন্দর তিন দিন বন্ধ ছিল। তবে আমদানি-রপ্তানিতে তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি।
চট্টগ্রাম বন্দর পরিচালনার দায়িত্ব কাদেরকে দেওয়া হবে, সে ব্যাপারে বুধবার (২ জুলাই) সিদ্ধান্ত হবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আগামী ৬ মাসের জন্য পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হবে। তবে টেন্ডারের মাধ্যমে দেওয়া হবে না।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
২০২৪-২৫ অর্থবছরের শেষ মাস জুনে ইতিহাসের তৃতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে বাংলাদেশে। চলতি অর্থবছরের এই মাসে ব্যাংকিং চ্যানেলে দেশে পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৮১ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩৪ হাজার ৪০৪ কোটি টাকার সমপরিমাণ (প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে)। প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ৯ কোটি ৪০ লাখ ডলার বা প্রায় ১ হাজার ১৪৭ কোটি টাকা।বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্যে দেখা যায়, এর আগে একক মাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল মার্চে—৩২৯ কোটি ডলার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ছিল মে মাসে, ২৯৭ কোটি ডলার। সেই হিসাবে জুন মাসের রেমিট্যান্স প্রবাহ ইতিহাসের তৃতীয় সর্বোচ্চ অবস্থানে রয়েছে।বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, বৈধ চ্যানেলে প্রবাসী আয় পাঠাতে নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগ, উৎসবকেন্দ্রিক রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি এবং হুন্ডির মতো অবৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানো ent discouragement-এর ফলেই এই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।চলতি অর্থবছরের (২০২৪-২৫) ১ জুলাই থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত সময়ের মধ্যে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ৩০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৬ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের এই সময়ের মধ্যে প্রবাসী আয় ছিল ২৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার।মাসওয়ারি বিশ্লেষণে দেখা যায়, জুলাইয়ে এসেছে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ডলার, আগস্টে ২২২ কোটি ১৩ লাখ, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ, নভেম্বরে ২২০ কোটি, ডিসেম্বরে ২৬৪ কোটি, জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি, ফেব্রুয়ারিতে ২৫৩ কোটি, মার্চে ৩২৯ কোটি, এপ্রিলে ২৭৫ কোটি, মে মাসে ২৯৭ কোটি এবং সর্বশেষ জুনে এসেছে ২৮২ কোটি ডলার।বিশ্লেষকরা বলছেন, চলমান ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী অর্থবছরে রেমিট্যান্স প্রবাহ নতুন রেকর্ড গড়তে পারে।ভোরের আকাশ//হ.র
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের অর্থ বরাদ্দের ক্ষেত্রে কোনও কার্পণ্য করা হবে না বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।মঙ্গলবার (১ জুলাই) সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।অর্থ উপদেষ্টা বলেন, চলতি অর্থবছরেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাবনা থাকায় সরকার আগেই নির্বাচনী বাজেট ঠিক করেছে। নির্বাচনী বাজেট বরাদ্দের ক্ষেত্রে কার্পণ্য করা হবে না।তিনি বলেন, বৈঠকে চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। ডিএপি, ইউরিয়া সার কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এলএনজির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এলএনজি এলে আমরা হয়তো সারের সরবরাহ বাড়াতে পারবো। রংপুরে ৩০টি স্কুল রিনভেন্ট করার বিষয়ে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনের ফলে চট্টগ্রাম বন্দর তিন দিন বন্ধ ছিল। তবে আমদানি-রপ্তানিতে তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি।চট্টগ্রাম বন্দর পরিচালনার দায়িত্ব কাদেরকে দেওয়া হবে, সে ব্যাপারে বুধবার (২ জুলাই) সিদ্ধান্ত হবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আগামী ৬ মাসের জন্য পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হবে। তবে টেন্ডারের মাধ্যমে দেওয়া হবে না।ভোরের আকাশ/এসএইচ
জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের আওতায় পরিচালিত পাঁচটি সঞ্চয় কর্মসূচির মুনাফার হার কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি)। স্কিমের ধরন অনুযায়ী নতুন মুনাফার হার সর্বোচ্চ হার ১১ দশমিক ৮২ শতাংশ থেকে ১১ দশমিক ৯৮ শতাংশ পর্যন্ত করা হয়েছে।মঙ্গলবার (১ জুলাই) থেকে এই মুনাফার হার কার্যকর হবে।এর আগে গত ১ জানুয়ারি সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার নির্ধারণ করা হয়। সে সময় স্কিমের ধরন অনুযায়ী মুনাফার হার সর্বোচ্চ হার নির্ধারণ করা হয় ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ পর্যন্ত।রাষ্ট্রপতির আদেশে সোমবার (৩০) সঞ্চয়পত্রের নতুন হার নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এতে সই করেছেন সহকারী সচিব মো. মোবারক হোসেন।মুনাফার হার কমানো পাঁচ স্কিমের মধ্যে রয়েছে- পরিবার সঞ্চয়পত্র, ৫ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র, ৩ মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র, পেনশনার সঞ্চয়পত্র এবং পোস্ট অফিস ফিক্সড ডিপোজিট বা ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক মেয়াদি হিসাব।আগের মতো সঞ্চয়পত্রের বিনিয়োগকারীদের দুটি ধাপ রাখা হয়েছে। প্রথম ধাপ ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার নিচের বিনিয়োগকারী। আর দ্বিতীয় ধাপটি হলো ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার ওপরের বিনিয়োগকারী।জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের আওতায় ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড, ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড, ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ড এবং ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক সাধারণ হিসাব এই চারটি স্কিমের মুনাফার হার অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রনতুন হার অনুযায়ী, প্রথম ধাপের বিনিয়োগকারীরা ৫ বছর বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১০ দশমিক ২১ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ১০ দশমিক ৭২ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ১১ দশমিক ২৬ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ১১ দশমিক ৮৩ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন।৩০ জুন পর্যন্ত প্রথম ধাপের বিনিয়োগকারীরা পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১০ দশমিক ১৩ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১০ দশমিক ৬৪ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ১১ দশমিক ১৯ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ১১ দশমিক ৭৮ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ১২ দশমিক ৪০ শতাংশ হারে মুনাফা পান।অপরদিকে দ্বিতীয় ধাপের বিনিয়োগকারীরা পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১০ দশমিক ১৯ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ১০ দশমিক ৭০ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ১১ দশমিক ২৩ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ১১ দশমিক ৮০ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন বিনিয়োগকারীরা।৩০ জুন পর্যন্ত দ্বিতীয় ধাপের বিনিয়োগকারীরা ৫ বছর বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১০ দশমিক ১১ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১০ দশমিক ৬২ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ১১ দশমিক ১৭ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ১১ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ হারে মুনাফা পান।৩ মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রপ্রথম ধাপের বিনিয়োগকারীরা ৩ মাস অন্তর মুনাফা সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১০ দশমিক ৬৫ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১১ দশমিক ২২ শতাংশ এবং তৃতীয় বছরে ১১ দশমিক ৮২ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন বিনিয়োগকারীরা। ৩০ জুন পর্যন্ত প্রথম ধাপের বিনিয়োগকারীরা এই সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১১ দশমিক ৬৫ শতাংশ এবং তৃতীয় বছরে ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ হারে মুনাফা পান।অপরদিকে দ্বিতীয় ধাপের বিনিয়োগকারীরা ৩ মাস অন্তর মুনাফা সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১০ দশমিক ৬০ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১১ দশমিক ১৬ শতাংশ এবং তৃতীয় বছরে ১১ দশমিক ৭৭ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন। ৩০ জুন পর্যন্ত দ্বিতীয় ধাপের বিনিয়োগকারীরা এই সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১১ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১১ দশমিক ৬১ শতাংশ এবং তৃতীয় বছরে ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ হারে মুনাফা পান।পেনশনার সঞ্চয়পত্রপ্রথম ধাপের বিনিয়োগকারীরা পেনশনার সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ৯ দশমিক ৮৪ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১০ দশমিক ৩২ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ১০ দশমিক ৮৪ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ১১ দশমিক ৩৯ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ১১ দশমিক ৯৮ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন।৩০ জুন পর্যন্ত প্রথম ধাপের বিনিয়োগকারীরা এই সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১০ দশমিক ২৩ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১০ দশমিক ৭৫ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ১১ দশমিক ৩১ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ১১ দশমিক ৯১ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ হারে মুনাফা পান।অপরদিকে দ্বিতীয় ধাপের বিনিয়োগকারীরা পেনশনার সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১০ দশমিক ১৯ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ১০ দশমিক ৮৪ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ১১ দশমিক ৩৯ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ১১ দশমিক ৯৮ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন।৩০ জুন পর্যন্ত দ্বিতীয় ধাপের বিনিয়োগকারীরা এই সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১০ দশমিক ১১ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১০ দশমিক ৬২ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ১১ দশমিক ১৭ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ১১ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ হারে মুনাফা পান।পরিবার সঞ্চয়পত্রপ্রথম ধাপের বিনিয়োগকারীরা পরিবার সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১০ দশমিক ২৯ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ১০ দশমিক ৮০ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ১১ দশমিক ৩৫ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ১১ দশমিক ৯৩ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন।৩০ জুন পর্যন্ত প্রথম ধাপের বিনিয়োগকারীরা এই সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১০ দশমিক ২০ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১০ দশমিক ৭২ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ১১ দশমিক ৮৭ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ হারে মুনাফা পান।অপরদিকে দ্বিতীয় ধাপের বিনিয়োগকারীরা পেনশনার সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১০ দশমিক ১৯ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ১০ দশমিক ৭০ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ১১ দশমিক ২৩ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ১১ দশমিক ৮০ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন।৩০ জুন পর্যন্ত দ্বিতীয় ধাপের বিনিয়োগকারীরা এই সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১০ দশমিক ১১ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১০ দশমিক ৬২ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ১১ দশমিক ১৭ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ১১ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ হারে মুনাফা পান।ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক মেয়াদি হিসাবপ্রথম ধাপের বিনিয়োগকারীরা ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক মেয়াদি হিসাবে মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১০ দশমিক ৬৫ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১১ দশমিক ২২ শতাংশ এবং তৃতীয় বছরে ১১ দশমিক ৮২ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন। ৩০ জুন পর্যন্ত প্রথম ধাপের বিনিয়োগকারীরা এই সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১১ দশমিক ৬৫ শতাংশ এবং তৃতীয় বছরে ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ হারে মুনাফা পান।অপরদিকে দ্বিতীয় ধাপের বিনিয়োগকারীরা এই সঞ্চয়পত্রে মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১০ দশমিক ৬০ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১১ দশমিক ১৬ শতাংশ এবং তৃতীয় বছরে ১১ দশমিক ৭৭ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন। ৩০ জুন পর্যন্ত দ্বিতীয় ধাপের বিনিয়োগকারীরা এই সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১১ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১১ দশমিক ৬১ শতাংশ এবং তৃতীয় বছরে ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ হারে মুনাফা পান।ভোরের আকাশ/জাআ
চলতি অর্থবছরে বড় রাজস্ব ঘাটতির আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান। এনবিআর কর্মকর্তাদের আন্দোলনের কারণে রাজস্ব আদায় হোঁচট খাওয়ার কথাও বলেছেন তিনি।সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, প্রাথমিক হিসাবে ৩ লাখ ৬০ হাজার ৯২২ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। যদিও অর্থবছরের আজকের দিনের হিসাব এখনো বাদ আছে। অর্থবছরের শেষ দিনের পরিসংখ্যান যোগ করলে রাজস্ব আদায় ৪ লাখ কোটি টাকার কাছাকাছি হতে পারে বলে মনে করছেন এনবিআর চেয়ারম্যান। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তারপরও বড় ধরনের ঘাটতির মুখে পড়বে এবার রাজস্ব আদায়।গতকাল সোমবার রাজস্ব ভবনে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, সোমবার সকাল ১০টা পর্যন্ত আমাদের রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩ লাখ ৬০ হাজার ৯২২ কোটি টাকা। এরপর যেটা ট্রেজারিতে জমা হবে সেটার রিপোর্ট কাল মঙ্গলবার। এর বাইরে সরকারি প্রকল্পের কর বা মূসকের বিল থাকে; যেটা আদায় হয়, সেটা সমন্বয় করতে কিছুটা সময় লাগবে। নরমালি জুন ক্লোজিংয়ে একটু সময় লাগে। ২-৩ সপ্তাহ লেগে যাবে ফাইনাল ফিগার আসতে। সোমবার সব দপ্তর খোলা, ব্যাংক খোলা। আমার ধারণা অর্থবছরের শেষ দিনে ভালো পরিমাণ অর্থ জমা হবে। সরকারি বিলগুলো এডজাস্ট করলে গতবারের চেয়ে বেশি এটা নিশ্চিত।জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে এনবিআরকে লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছিল ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। তবে অর্থবছরের মাঝপথে এসে লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৫০০ কোটি করা হয়।কর্মকর্তাদের আন্দোলন প্রসঙ্গে মো. আবদুর রহমান খান বলেছেন, রাজস্ব আদায় এবার একটু হোঁচট খেয়েছে, তবে সবকিছু ভুলে গিয়ে দেশের স্বার্থে সবাই কাজ করব। তিনি বলেন, গতবারের চেয়ে রাজস্ব আদায় বেশি হবে এটা নিশ্চিত। কিন্তু যে রকম আশা করছিলাম, একটু তো হোঁচট খেয়েছি গত কয়দিনের কাজ-কর্মে। ব্যবসা-বাণিজ্য বিঘ্নিত হয়েছে। রাজস্ব আদায় হোঁচট খেয়েছে। যা কিছু হয়েছে সবকিছু ভুলে গিয়ে রাষ্ট্রীয় স্বার্থে, দেশের স্বার্থে আমরা সবাই কাজ করব। যে কাজগুলো আছে সেগুলোকে এগিয়ে নিয়ে যাব। আশা করি আমাদের আর এ ধরনের বড় সমস্যার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে না। অতীতে রেভিনিউ অফিসাররা যেভাবে দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেছেন, একইভাবে সামনেও তারা কাজ করবেন।তিনি বলেন, কাস্টমস হাউজগুলো রোববার বিকেল থেকেই কাজ শুরু করেছে। তারা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেছেন। এর ফলে সবার মধ্যে স্বস্তি বিরাজ করছে। বিশেষ করে ব্যবসায়ীদের মধ্যে ও নীতি নির্ধারকদের মধ্যে। সোমবার সকাল থেকেই আমাদের সব দপ্তরে কাজ শুরু হয়েছে। সম্পূর্ণ উপস্থিতি আছে। সব কাস্টমস হাউজ, আইসিডি, ভ্যাট ও কর অফিস সবাই কাজ করছে। ৩০ জুন আমাদের একটা বড় ড্রাইভ থাকে। রেভিনিউগুলো যেগুলো পাইপলাইনে আছে সেগুলো ট্রেজারিতে নিয়ে আসার একটা ক্রমাগত চেষ্টা থাকে। সেই চেষ্টা চলছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ