স্বাস্থ্য ডেস্ক
প্রকাশ : ২৬ জুন ২০২৫ ০২:৫৮ এএম
অ্যাপেনডিক্স ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ছে: অজানা বিপদের লক্ষণ ও কারণ
বর্তমানে স্তন, প্রস্টেট, কোলন কিংবা ফুসফুসের ক্যানসার নিয়ে যতটা সচেতনতা তৈরি হয়েছে, অ্যাপেনডিক্স ক্যানসার নিয়ে ততটা নয়। অথচ গবেষণা বলছে, এই রোগও নীরবে বাড়ছে, বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে। চিকিৎসকদের মতে, অবহেলা ও অজ্ঞতা থেকেই এই ঝুঁকি আরও বাড়ছে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ভ্যান্ডারবিল্ট ইউনিভার্সিটি মেডিকেল সেন্টার প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, কমবয়সীদের মধ্যে অ্যাপেনডিক্স ক্যানসারের হার উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা এর জন্য দায়ী করছেন অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস, প্রক্রিয়াজাত খাবার, দূষণ এবং অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনকে।
অ্যাপেনডিক্স ও অ্যাপেন্ডিসাইটিস কী?
অ্যাপেনডিক্স হলো খাদ্যনালির ক্ষুদ্রান্ত্র ও বৃহদন্ত্রের সংযোগস্থলের একটি ক্ষুদ্র থলির মতো অঙ্গ, যা শরীরের ডান তলপেটে থাকে। এখানে ‘গাট ব্যাকটেরিয়া’ নামে পরিচিত উপকারী ব্যাকটেরিয়াদের বসবাস, যেগুলো হজমে সাহায্য করে এবং শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
তবে, এই অঙ্গটি সংক্রমিত হলে সেটিকে বলে অ্যাপেন্ডিসাইটিস। এতে অ্যাপেনডিক্স ফুলে গিয়ে তীব্র ব্যথা শুরু হয়, যা সাধারণত ১০ থেকে ৩৫ বছর বয়সীদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
কেন হয় অ্যাপেনডিক্স ক্যানসার?
প্রক্রিয়াজাত খাবার, অতিরিক্ত চিনি বা ক্যাফিন গ্রহণ, ধূমপান এবং দূষিত পদার্থ শরীরে প্রবেশ করলে অ্যাপেনডিক্সে কোষের অনিয়ন্ত্রিত বিভাজন শুরু হতে পারে, যা ক্যানসারে রূপ নেয়।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, যাদের গ্যাস্ট্রিসাইটিস, পার্নিসিয়াস অ্যানিমিয়া, বা বংশগতভাবে মাল্টিপল এন্ডোক্রিন নিয়োপ্লাসিয়া টাইপ ১ (MEN1) রয়েছে, তাদের অ্যাপেনডিক্স ক্যানসারের ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে বেশি।
কীভাবে বুঝবেন ক্যানসারের লক্ষণ?
চিকিৎসা ও সতর্কতা
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে অ্যাপেনডিক্স ক্যানসার চিকিৎসাযোগ্য। তাই যেকোনো অস্বাভাবিক উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। পাশাপাশি সুস্থ জীবনযাপন, সুষম খাবার, ধূমপান ও প্রক্রিয়াজাত খাবার পরিহার করে ঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব।
ভোরের আকাশ//হ.র