আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০১:৪৬ এএম
সাঁজোয়া ট্রেনে চীন সফরে কিম জং উন
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন সাঁজোয়া বিশেষ ট্রেনে করে চীনে পৌঁছেছেন। আগামীকাল বুধবার বেইজিংয়ের তিয়ানআনমেন স্কয়ারে অনুষ্ঠিতব্য ‘ভিক্টরি ডে’ সামরিক কুচকাওয়াজে অংশ নিতেই তার এ সফর। দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদমাধ্যম ইয়োনহাপের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এ কুচকাওয়াজে কিম জং উনের পাশাপাশি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনসহ বিশ্বের আরও ২৬টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান যোগ দেবেন। ১৯৫৯ সালের পর এ প্রথম কোনো উত্তর কোরীয় নেতা চীনের সামরিক কুচকাওয়াজে উপস্থিত হচ্ছেন।
কিমের ব্যবহৃত সাঁজোয়া ট্রেনটিতে রয়েছে আধুনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও বিলাসবহুল সুবিধা—রেস্তোরাঁ, কনফারেন্স রুম, অডিয়েন্স চেম্বার ও শয়নকক্ষ। নিরাপত্তার কারণে ট্রেনটি ধীরে চলায় যাত্রা সম্পন্ন করতে সময় লেগেছে প্রায় ২৪ ঘণ্টা।
বিশ্বপরিসরে কিম জং উনের সফর বরাবরই বিরল। ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর তিনি কেবল ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দুই দফা বৈঠক করেছেন। সর্বশেষ তিনি ২০১৯ সালে চীন সফর করেছিলেন, তখনও সাঁজোয়া ট্রেনেই। কিম পরিবারের এই ট্রেন ভ্রমণের ঐতিহ্য শুরু করেছিলেন তার দাদা কিম ইল সুং, যা পরবর্তীতে কিম জং ইলের আমলেও বহাল ছিল।
চীন-জাপান যুদ্ধের অবসানের ৮০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এই কুচকাওয়াজে প্রদর্শিত হবে চীনের আধুনিক সামরিক শক্তি—ড্রোন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, উন্নত ট্যাঙ্ক, শত শত যুদ্ধবিমান ও অন্যান্য অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র। প্রায় ৭০ মিনিটব্যাপী এ কুচকাওয়াজকে নতুন সেনা কাঠামোর প্রথম বড় প্রদর্শনী হিসেবে দেখা হচ্ছে।
পশ্চিমা বিশ্বের অধিকাংশ নেতা রাশিয়ার ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে এ অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন না। তবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, মায়ানমার ও ভিয়েতনামের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত থাকবেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষে কেবল স্লোভাক প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকো অংশ নেবেন, পাশাপাশি হাঙ্গেরি ও বুলগেরিয়া প্রতিনিধি পাঠিয়েছে।
সূত্র: বিবিসি
ভোরের আকাশ//হ.র